শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী আজ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা, রাষ্ট্রগঠন ও রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের রূপকার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী আজ পালিত হচ্ছে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর একটি বিপথগামী অংশের হাতে তিনি নিহত হন, যা দেশের ইতিহাসে এক শোকাবহ ও বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত।

জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, জেড ফোর্সের অধিনায়ক এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে তিনি ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে দেশের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়।

তার জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর বাগমারা গ্রামে। ১৯৭৫ সালের সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রে উঠে আসেন জিয়া। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার শাসনামলে খালকাটা কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব, শিল্পোন্নয়ন ও যুগোপযোগী অর্থনৈতিক কাঠামো প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে তিনি একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশের রূপরেখা নির্ধারণ করেন।

শুধু অর্থনীতিই নয়, নারী উন্নয়ন ও শিশু কল্যাণেও তার দৃষ্টি ছিল অগ্রগামী। সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমে তিনি ছিলেন অনন্য, যা আজও তার রাজনৈতিক উত্তরসূরীদের প্রেরণার উৎস।

এ বছর বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো ২৬ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত টানা ৮ দিনের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী পালন করছে। আজ সকালে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, এবং শেরেবাংলা নগরে তার কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়। কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থেকে দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।

যৌথ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে শহীদ জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড যেমন জাতীয় রাজনৈতিক ইতিহাসে গভীর ক্ষত তৈরি করে, তেমনি তার রেখে যাওয়া দর্শন ও কর্মসূচি নতুন প্রজন্মের জন্য অব্যাহতভাবে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

জাতীয় শোক ও উপলব্ধির এ দিনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক মহল তাকে স্মরণ করে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে তার অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছে।

- অনন্যা, নিজস্ব প্রতিবেদক