জবিতে সহিংসতা, গণশুনানি ঘোষণা যেদিন থেকে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) গত বছরের ১৫ জুলাই “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন” চলাকালে ক্যাম্পাস ও আশপাশে সংঘটিত সহিংস ও বেআইনি ঘটনার দায় নির্ধারণ ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অভিযুক্ত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে আগামী ১৭ থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে ধারাবাহিক গণশুনানি আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, ১৫ জুলাইয়ের ওই সহিংস ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করা জরুরি। এ লক্ষ্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিষয়ে তথ্য আহ্বান করা হয়েছে।

গণশুনানির অংশ হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে একাধিক সেক্টরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে, ১৭ জুন মঙ্গলবার দুপুর ২টায় সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ১৯ জুন বৃহস্পতিবার একই সময়ে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ২২ জুন রবিবার কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে, ২৪ জুন মঙ্গলবার বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এবং ২৬ জুন বৃহস্পতিবার বিজনেস স্টাডিজ, চারুকলা ও আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। শেষে, ২৯ জুন রবিবার দুপুর ২টায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, এসব গণশুনানির মাধ্যমে অভিযুক্তদের পরিচয়, ভূমিকা ও দায় নির্ধারণ করে পরবর্তী পর্যায়ে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা, সুশাসন এবং দায়িত্ববোধ ফিরিয়ে আনার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, জবির ঐতিহ্য ও শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা ও বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত যেকোনো পক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ প্রশাসন। গণশুনানি হবে উন্মুক্ত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ।

- রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক