নয়াপল্টনে তারুণ্যের ঢল, রাজনৈতিক অধিকার দাবিতে বিএনপির মহাসমাবেশ

১৫ লাখ তরুণের অংশগ্রহণে ঢাকায় বিএনপির যুব-ছাত্র-স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের বিশাল কর্মসূচি

রাজধানীর নয়াপল্টনে বুধবার বেলা দুইটার কিছু আগে শুরু হয়েছে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন—ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’। জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই মহাসমাবেশে ইতোমধ্যে লাখো নেতাকর্মী ঢল তুলেছেন।

ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত মিছিলগুলোয় অংশ নেওয়া তরুণরা সবুজ, হলুদ ও লাল রঙের টি-শার্ট ও ক্যাপ পরে সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। মঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিপরীতে। এতে পুরো এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে এবং আশপাশে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।

তরুণদের রাষ্ট্রচিন্তায় সম্পৃক্ত করার প্রয়াস

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন বলেন, “চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় আমরা এর আগেও তারুণ্যের সমাবেশ করেছি। আজকের ঢাকার মহাসমাবেশ সেই ধারাবাহিকতার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। তরুণদের আকাঙ্ক্ষা একটাই—ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা। এর মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানের পথ তৈরি হবে এবং আমরা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারভিত্তিক একটি বাংলাদেশ গড়ব।”

মে মাসজুড়ে তরুণদের টানতে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপির ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলো। চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় এরই মধ্যে সেমিনার ও সমাবেশ সম্পন্ন হয়েছে। আজকের ঢাকার আয়োজন তাদের এই ধারাবাহিকতার শেষ কর্মসূচি।

নীতিগত আন্দোলনের রূপ

আয়োজকেরা বলছেন, এটি কেবল একটি রাজনৈতিক শোডাউন নয়, বরং ভবিষ্যতের রাষ্ট্রচিন্তায় তরুণদের সম্পৃক্ত করার একটি বৃহৎ নীতিগত আন্দোলন। তরুণদের চেতনায় গণতন্ত্রের শেকড় গভীরভাবে প্রোথিত করাই তাদের লক্ষ্য।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তিনি দলীয় রাষ্ট্রচিন্তা, রাজনৈতিক রূপরেখা ও আগামী দিনের কৌশল তুলে ধরবেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।

এ ছাড়া উপস্থিত থাকবেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা, যাদের মধ্যে রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।

নয়াপল্টনের আজকের এই মহাসমাবেশে তারুণ্যের শক্তি, রাজনৈতিক সচেতনতা এবং গণতান্ত্রিক অধিকারের নতুন ধারা তৈরির প্রত্যাশা করছে বিএনপি। সমাবেশের মাধ্যমে তরুণদের রাজনীতিতে সক্রিয় ও নেতৃত্বে এগিয়ে আসার বার্তা স্পষ্ট করেই দিতে চায় তারা।