নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা: কে পেলেন এ বছরের সম্মানজনক পুরস্কার?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১০ ১৫:১০:১৭
নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা: কে পেলেন এ বছরের সম্মানজনক পুরস্কার?

এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছেন ভেনেজুয়েলার রাজনীতিক মারিয়া কোরিনা মাচাডো। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় নরওয়ের অসলো থেকে নোবেল কমিটি তার নাম ঘোষণা করে।

শান্তি পুরস্কারকে নোবেলের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে দেখা হয়। গত বছর (২০২৪) এই পুরস্কার পেয়েছিল জাপানের অ্যান্টি-নিউক্লিয়ার সংগঠন নিহন হিদানকিয়ো।

বিজয়ীর পটভূমি ও পুরস্কারের চিত্র

মারিয়া কোরিনা মাচাডো এ বছর ৩৩৮ জন ব্যক্তি ও সংস্থার মনোনয়নকে পেছনে ফেলে এই সম্মান অর্জন করলেন। এবারের পুরস্কারের জন্য ২৪৪ জন ব্যক্তি এবং ৯৪টি সংস্থা মনোনীত হয়েছিল।

পুরস্কারের মূল্য: প্রতিটি নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। বিজয়ী পাচ্ছেন একটি সোনার পদক ও ডিপ্লোমা।

ইতিহাস: ২০০৬ সালে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল পান পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই (১৭ বছর, ২০১৪)।

ট্রাম্পের দাবি ও প্রত্যাশা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে তার আগ্রহ বারবার প্রকাশ করলেও, নোবেল কমিটি তাঁর এই স্বপ্ন পূরণ করেনি। ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি “আটটি যুদ্ধ” বন্ধ করেছেন এবং সেই কারণেই নোবেল পাওয়ার দাবি রাখেন। তবে নোবেল কমিটির ফলাফলে তার সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল।

ট্রাম্প গতকাল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সমালোচনা করে বলেছিলেন, “ওবামা নোবেল পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি জানতেন না কেন। ওবামা আমাদের দেশ ধ্বংস করেছে।”


নোবেল শান্তি পুরস্কারের ঘোষণা আজ, ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১০ ১৪:০৪:১৭
নোবেল শান্তি পুরস্কারের ঘোষণা আজ, ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ
ছবি: সংগৃহীত

আজ, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) নরওয়ের অসলোতে ঘোষণা হবে এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের। বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় বিজয়ীর নাম জানাবে নোবেল কমিটি। তবে এই ঘোষণার আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুরস্কার না পেলে তার প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির মধ্যে।

ট্রাম্পের দাবি ও বিশেষজ্ঞদের মত

ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি আটটি বড় সংঘাতের মীমাংসা করেছেন এবং এ কারণেই তিনি নোবেলের যোগ্য। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তত এ বছর তার হাতে পুরস্কার উঠছে না।

অধ্যাপক পিটার ভ্যালেনস্টেইন মনে করেন, গাজা সংকটসহ নানা বিতর্ক এখনো তাজা থাকায় ট্রাম্পকে এবার বেছে নেওয়া হবে না।

অসলো পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নিনা গ্রেগার জানান, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও নিরস্ত্রীকরণে উৎসাহ দেওয়াই নোবেলের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু ট্রাম্পের নীতি ছিল একের পর এক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়া, বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ—যা তার সম্ভাবনা কমিয়েছে।

কমিটির অবস্থান ও সম্ভাব্য বিজয়ী

নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ইয়োরগেন ওয়াতনে ফ্রিডনেস বলেছেন, “আমরা কারও পূর্ণাঙ্গ কর্মকাণ্ড দেখে সিদ্ধান্ত নিই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো—শান্তির জন্য বাস্তব অবদান।” তিনি বলেন, ক্ল্যাসিক শান্তির ধারণায় ফিরে সম্ভবত এবার পুরস্কার এমন কারও হাতে যাবে, যিনি বিতর্কহীন।

এ বছর পুরস্কারের জন্য মোট ৩৩৮ ব্যক্তি ও সংস্থা মনোনীত হয়েছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছে সুদানের ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুমস’, প্রয়াত রুশ নেতা আলেক্সেই নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ওডিআইএইচআর।

সূত্র: এএফপি, দ্য গার্ডিয়ান


ফিলিপাইনে ৭.৫ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প: সুনামি সতর্কতা, আতঙ্কে মিন্দানাওবাসী

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১০ ১১:০৫:৫৬
ফিলিপাইনে ৭.৫ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প: সুনামি সতর্কতা, আতঙ্কে মিন্দানাওবাসী

ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও দ্বীপপুঞ্জে আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালেই কেঁপে উঠেছে পৃথিবী। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে আঘাত হানে এক ভয়াবহ ভূমিকম্প, যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৫। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মানায় শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে এবং ভূপৃষ্ঠের ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) গভীরে। দেশটির ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা (Phivolcs) সঙ্গে সঙ্গেই সুনামি সতর্কতা জারি করে, নাগরিকদের উপকূল এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও সিএনএন জানিয়েছে, প্রধান কম্পনের পর মিনিট দশেকের ব্যবধানে একই এলাকায় আরও একটি ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই দুটি ভূমিকম্পের প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিশাল অংশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস (USGS) জানিয়েছে, দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির এপিসেন্টারও মানায় শহরের কাছেই, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫৮ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে। এপিসেন্টার থেকে দাভাও শহরের দূরত্ব ছিল প্রায় ১২৩ কিলোমিটার।

ভূমিকম্পের পরপরই প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র (PTWC) একটি সতর্কবার্তা জারি করে জানায়, সুনামির ঢেউ ফিলিপাইনের উপকূলীয় এলাকায় ১০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। পাশাপাশি, ঢেউয়ের ধাক্কা পৌঁছাতে পারে প্রতিবেশী দেশ ইন্দোনেশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পালাউ পর্যন্ত, যেখানে ঢেউয়ের উচ্চতা ১ মিটার বা ৩ ফুটেরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মিন্দানাওয়ের রাজধানী দাভাও প্রদেশের গভর্নর এডউইন জুবাহিব সাংবাদিকদের জানান, “ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি, তবে আঘাত এতটাই শক্তিশালী ছিল যে অনেক ভবনের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। মানুষ আতঙ্কে খোলা জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে।” তিনি আরও জানান, “উদ্ধারকর্মীরা ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করা হচ্ছে।”

স্থানীয় সময় সকাল ১০টার মধ্যে ৫ দশমিক ৬ থেকে ৬ মাত্রার বেশ কয়েকটি আফটারশক আঘাত হানে মিন্দানাওয়ের বিভিন্ন এলাকায়, যার মধ্যে দাভাও ও কাগায়ান দে ওরো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, ভবনের জানালা ভেঙে পড়ছে, দোকান ও বাসাবাড়ির আসবাবপত্র ছিটকে যাচ্ছে, আতঙ্কে রাস্তায় ছুটছে মানুষ।

মিন্দানাওয়ের দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ও স্কুল ভবন সাময়িকভাবে খালি করা হয়েছে। ফিলিপাইনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা এখনও মূল্যায়নাধীন, তবে বেশ কয়েকটি সেতু ও রাস্তা ধসে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ছাড়া সমুদ্র উপকূলবর্তী কিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের প্রাথমিক ঢেউয়ের লক্ষণ দেখা গেছে, তবে বড় কোনো সুনামি এখনও আঘাত হানেনি।

এদিকে, ইন্দোনেশিয়া ও পালাউ সরকারও নিজ নিজ উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে। স্থানীয় প্রশাসন জনগণকে উপকূল থেকে অন্তত এক কিলোমিটার দূরে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলেছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশ—জাপান, পাপুয়া নিউগিনি ও মাইক্রোনেশিয়াও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

মার্কিন ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ ড. এমিলি হপকিনস সিএনএনকে বলেন, “ফিলিপাইন প্রশান্ত মহাসাগরের কুখ্যাত ‘রিং অব ফায়ার’-এর ওপর অবস্থিত। এখানে পৃথিবীর টেকটোনিক প্লেটগুলো একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত। এই কারণেই ফিলিপাইন বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প-সংবেদনশীল দেশ।”

তিনি আরও বলেন, “আজকের ভূমিকম্পের মাত্রা ও গভীরতা ইঙ্গিত দেয় যে এটি একটি ‘মেগা-থ্রাস্ট’ ধরনের কম্পন হতে পারে, যা বড় ধরনের সুনামি সৃষ্টি করার সক্ষমতা রাখে। এমন ভূমিকম্প ২০০৪ সালের সুমাত্রা সুনামির মতো বিপর্যয় ঘটাতে পারে, যদি এর ঢেউ উপকূলে পৌঁছে যায়।”

ভূমিকম্পের প্রভাব মিন্দানাও ছাড়িয়ে ভিসায়াস ও লুজন দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে। রাজধানী ম্যানিলায় উচ্চ ভবনগুলো কেঁপে ওঠে, তবে সেখানে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ফিলিপাইন প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র এক টুইট বার্তায় বলেন, “সব নাগরিককে শান্ত থাকতে ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে অনুরোধ করছি। উদ্ধার ও ত্রাণ দল সক্রিয় রয়েছে।”

আন্তর্জাতিক রেডক্রস, জাতিসংঘের OCHA, এবং জাপান সরকারের দুর্যোগ ত্রাণ বিভাগ ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি যোগাযোগ স্থাপন করেছে। মানবিক সহায়তা ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

ফিলিপাইনের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই ডজনের বেশি আফটারশক হতে পারে, যার কিছু তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী হবে। জনসাধারণকে ভবনের ভেতরে অবস্থান না করার এবং গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি এলাকা থেকে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির যে চিত্র আসছে, তা ভয়াবহ। ফাটল ধরা ভবন, ধসে পড়া দেয়াল ও কাঁপতে থাকা মাটির নিচে দাঁড়িয়ে এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরছে সবার মনে—“এটা কি আরেকটি বড় বিপর্যয়ের শুরু?”


এক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে নারাজ ইসরায়েল, কে এই ব্যক্তি?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৯ ২১:৩৪:৪৭
এক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে নারাজ ইসরায়েল, কে এই ব্যক্তি?
হাতকড়া অবস্থায় মারওয়ান বারঘুতি। ছবি : সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে বন্দি বিনিময়ের চুক্তিতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিরা রাজি হলেও, ইসরায়েল এই মুক্তির তালিকা থেকে একজন ব্যক্তিকে বাদ দিয়েছে—তিনি হলেন ফিলিস্তিনিদের কাছে ‘নিজেদের নেলসন ম্যান্ডেলা’ বলে আখ্যায়িত মারওয়ান বারঘুতি।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান নিশ্চিত করেছেন, “এই বন্দি বিনিময়ের অংশ হবেন না মারওয়ান বারঘুতি।”

বারঘুতির গুরুত্ব ও ইসরায়েলের অবস্থান

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হওয়া এই চুক্তি অনুযায়ী, গাজায় আটক ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে।

ফিলিস্তিনিদের অবস্থান: ১৯৫৯ সালে পশ্চিম তীরের রামাল্লার কোবারা গ্রামে জন্ম নেওয়া বারঘুতি ফাতাহ দলের শীর্ষ নেতা এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্যতম মুখ্য সংগঠক। তিনি ২০০২ সাল থেকে কারাবন্দি। জনমত জরিপে দেখা গেছে, বারঘুতিকে মুক্তি দেওয়া হলে তিনি ফিলিস্তিনের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রার্থী।

ইসরায়েলের অবস্থান: তেল আবিব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—বারঘুতির মুক্তি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, তিনি শুধু একজন বন্দি নন, বরং ‘ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের প্রতীক’, আর তাকে মুক্তি দিলে ফিলিস্তিনিদের আন্দোলন নতুন গতি পেতে পারে।

কূটনৈতিক তৎপরতা

কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, কাতার ও মিসরসহ কয়েকটি দেশ বারঘুতির মুক্তি নিশ্চিত করতে তৎপর ছিল। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল হাসান মাহমুদ রশাদ ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়ে আলোচনায় যুক্ত ছিলেন।

ইসরায়েলের এই অবস্থান ফিলিস্তিনি সমাজে গভীর হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বারঘুতিকে বাদ দিয়ে কোনো বন্দি বিনিময় চুক্তিই প্রকৃত অর্থে পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না, কারণ তিনি ফিলিস্তিনের আত্মত্যাগ ও স্বাধীনতার প্রতীক।

সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল ও মিডল ইস্ট আই


পশ্চিমতীরে ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিল ইসরায়েলি সেনারা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৯ ১৪:২৯:১৫
পশ্চিমতীরে ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিল ইসরায়েলি সেনারা
ছবি: সংগৃহীত

ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব সুক্কোট উপলক্ষে ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরের ঐতিহাসিক ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে ইসরায়েলি সেনারা মসজিদে যাওয়ার সব প্রবেশপথ ও রাস্তা বন্ধ করে দেয়।

ইব্রাহিমি মসজিদ মুসলমানদের কাছে একটি অত্যন্ত পবিত্র স্থান। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই হজরত ইব্রাহিম (আ.), ইসহাক (আ.), ইয়াকুব (আ.), ইউসুফ (আ.) ও তাদের স্ত্রীরা সমাধিস্থ আছেন।

ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘন ও কারফিউ

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, মসজিদটি বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। হেবরনের আল-আওকাফ বিভাগের পরিচালক আমজাদ কারাজেহ এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি পবিত্র স্থান অবমাননা ও মুসল্লিদের ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ।

ইসরায়েলি সেনারা মসজিদে যাওয়ার সব চেকপয়েন্ট বন্ধ করে হেবরনের কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি করেছে। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না, এমনকি শিক্ষার্থীরাও স্কুলে যেতে পারছে না।

আল-আকসা নিয়ে বেন-গিভিরের উসকানি

এর মধ্যেই ইসরায়েলের উগ্রপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গিভির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করেন এবং বলেন, “এখন আল-আকসার মালিক ইসরায়েল।” তার এই ঘোষণার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সূত্র : দ্য নিউ আরব


গাজায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও হামলা অব্যাহত

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৯ ১২:০৩:০২
গাজায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও হামলা অব্যাহত
ছবি: সংগৃহীত

হামাস এবং ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় সম্মত হওয়ার ঘোষণার পরও বৃহস্পতিবার গাজায় বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থার এক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-মুগাইয়ির বলেন, "গত রাতে গাজায় প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি কাঠামোতে একমত হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে উত্তর গাজার বেশ কিছু এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।" এএফপি’র বরাত দিয়ে আল জাজিরা এই খবর জানিয়েছে।

তিনি জানান, গাজা সিটিতে তীব্র বিমান হামলার একটি ধারাবাহিকতা চালানো হয়েছে।

পুনর্গঠনে ট্রাম্পের আশ্বাস

অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও পুনর্গঠনে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমরা তাদের সফল হতে সাহায্য করব এবং শান্তিপূর্ণ থাকতে সহায়তা করব।”

এর কয়েক ঘণ্টা আগেই তিনি ঘোষণা দেন যে ইসরায়েল ও হামাস তার শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে সম্মত হয়েছে। ট্রাম্প আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসবে বলে তিনি খুবই আত্মবিশ্বাসী।


গাজায় শান্তি ফেরায় উৎসব: হামাস-ইসরায়েল চুক্তিতে আনন্দ-উচ্ছ্বাস

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৯ ১১:০১:৫৪
গাজায় শান্তি ফেরায় উৎসব: হামাস-ইসরায়েল চুক্তিতে আনন্দ-উচ্ছ্বাস
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে সম্মত হয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইসরায়েল ও হামাস। এই ঐতিহাসিক চুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই আমাদের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে স্বাক্ষর করেছে। এর অর্থ হলো খুব শিগগিরই সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং ইসরায়েল নিজেদের সেনাদের নির্ধারিত একটি লাইনে সরিয়ে আনবে।”

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই চুক্তিকে "ইসরায়েলের জন্য একটি মহান দিন" বলে অভিহিত করেছেন। চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য আজ বৃহস্পতিবার তার সরকারের একটি বৈঠক আহ্বান করেছেন তিনি। হামাসও গাজায় যুদ্ধ বন্ধে চুক্তিতে পৌঁছানোর কথা নিশ্চিত করেছে।

গাজা ও ইসরায়েলে উচ্ছ্বাস

শান্তি চুক্তি সই হওয়ার খবরে গাজাবাসীর মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। ইসরায়েলেও অনেকে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সাঈদ মোহাম্মদ ইনস্টাগ্রামে রাতের একটি ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছেন। এতে দেখা গেছে, প্রধান শহর দেইর আল বালাহতে আল-আকসা হাসপাতালের বাইরে পুরুষ ও মহিলাদের ব্যাপক সমাগম। তারা সঙ্গীতের তালে তালে নেচে, শিস এবং হাততালি দিয়ে উদযাপন করছেন। একইসঙ্গে 'আল্লাহু আকবর' রব তুলতেও দেখা গেছে। আরেক সাংবাদিক মোহাম্মদ আল-হাদ্দাদের ভিডিওতে গাজার অন্য একটি স্থানের রাস্তায় তরুণদের একটি ছোট দলকে নাচতে দেখা গেছে।

বিশ্বনেতাদের স্বাগত বার্তা

এই শান্তি চুক্তির জন্য বিশ্বনেতারা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তোনিও গুতেরেস সব পক্ষকে এই চুক্তির সব শর্ত মেনে চলতে আহ্বান জানিয়েছেন। গুতেরেস বলেছেন, “এই দুর্ভোগের অবসান হওয়া উচিত।”

যুক্তরাজ্য: যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার এই খবরকে "একটি গভীর স্বস্তিকর মুহূর্ত" বলে উল্লেখ করেছেন এবং ট্রাম্পের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বলেছেন, “দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সংঘাত, জিম্মি এবং বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির পর, চুক্তিটি শান্তির দিকে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। আমরা সকল পক্ষকে পরিকল্পনার শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।”

তিনি ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং সমঝোতা আলোচনায় মিশর, কাতার ও তুরস্কের ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান।


অষ্টম প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পথে ফ্রান্স: ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াইয়ে ম্যাক্রোঁ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৯ ১০:২৫:৪৮
অষ্টম প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পথে ফ্রান্স: ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াইয়ে ম্যাক্রোঁ
ছবিঃ সংগৃহীত

ফ্রান্সে রাজনৈতিক সংকট ক্রমেই গভীর হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নুর পদত্যাগের পর দেশটি আবারও অস্থিরতার মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন বলে বুধবার রাতে এলিসি প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ, সর্বশেষ শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে ফ্রান্স নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম জানতে পারবে।

লেকর্নু ফরাসি টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে জানান, চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগই হবে সবচেয়ে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ। তিনি বলেন, “এটি এমন সময় নয় যখন রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করতে হবে বা আগাম নির্বাচনের পথে যেতে হবে; বরং এখন প্রয়োজন কার্যকর নেতৃত্ব।”

গত তিন দিনে ফ্রান্সে ঘটে যাওয়া ঘটনাপ্রবাহ দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। লেকর্নু সোমবার পদত্যাগপত্র জমা দেন—মাত্র এক মাসেরও কম সময় দায়িত্বে থাকার পর। তবে রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁ তাকে বুধবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন অর্থনীতি সংকোচন (austerity budget) নিয়ে পার্লামেন্টের অচলাবস্থা নিরসনের জন্য।

লেকর্নুর আগের দুই প্রধানমন্ত্রীও একই বাজেট নিয়ে সংসদের বিরোধিতায় পদচ্যুত হন। ফলে ম্যাক্রোঁর সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ—সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে কীভাবে বাজেট পাস করানো সম্ভব হবে। এলিসি প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতি মনে করেন বছরের শেষ নাগাদ বাজেট নিয়ে একটি সমঝোতার পথ তৈরি করা সম্ভব।

যদি লেকর্নু পুনরায় নিয়োগ না পান, তবে এটি হবে ম্যাক্রোঁর সাত বছরের শাসনামলের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ, ফরাসি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা এখন কার্যত বিলাসিতা।

‘রাষ্ট্রপতি পরিবর্তনের সময় নয়’

লেকর্নু স্পষ্ট করে বলেন, “এখন রাষ্ট্রপতি পরিবর্তনের সময় নয়। জনগণকে ভুল ধারণা দেওয়া উচিত নয় যে বাজেট রাষ্ট্রপতি ভোট দেন।” তিনি আরও জানান, সংসদের নিম্নকক্ষে বেশিরভাগ দল আগাম নির্বাচনের বিপক্ষে, তাই সংসদ ভেঙে দেওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার ফিলিপ সম্প্রতি ম্যাক্রোঁর পদত্যাগ ও আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আহ্বানের দাবি তুলেছিলেন। তবে লেকর্নু বলেছেন, ম্যাক্রোঁকে ২০২৭ পর্যন্ত তাঁর মেয়াদ পূর্ণ করতেই হবে।

‘মিশন শেষ’ ঘোষণা করে বিদায়

নিজের পদত্যাগের সময় লেকর্নু বলেন, “আমি সবকিছু চেষ্টা করেছি। আজ রাতে আমার মিশন শেষ।” তিন বছর প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই নেতা নিজেকে বর্ণনা করেছেন “একজন যোদ্ধা সন্ন্যাসী” হিসেবে।

তিনি ইঙ্গিত দেন যে প্রযুক্তিনির্ভর (technocratic) একটি নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে, যেখানে সদস্যদের ২০২৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকবে না। তাঁর মতে, “দেশের সমস্যা সমাধানই এখন একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।”

পেনশন সংস্কার ইস্যুতে লেকর্নু বলেছেন, অবসর গ্রহণের বয়স বৃদ্ধি সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার দরজা খুলে দেওয়া যেতে পারে, তবে তা স্থগিত করলে ২০২৭ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৩ বিলিয়ন ইউরো ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী এলিজাবেথ বর্ন—যিনি সংস্কারটি ভোট ছাড়াই সংসদে পাস করিয়েছিলেন—এরই মধ্যে স্থগিত রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

‘সবকিছুর বিরুদ্ধেই ভোট দেব’

ফ্রান্সের সংসদীয় রাজনীতির বাস্তবতা আরও জটিল। ২০২২ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর ম্যাক্রোঁর দল ডানপন্থী রিপাবলিকানদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক নয় এমন একটি সমঝোতায় সরকার চালিয়ে আসছে। কিন্তু এই জোটও সংসদে সংখ্যালঘু অবস্থায়। ফলে যে কোনো নতুন প্রধানমন্ত্রীকে আবারও অবিশ্বাস প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে হতে পারে।

অন্যদিকে, চরম ডানপন্থী নেতা মেরিন ল্য পেন ঘোষণা দিয়েছেন, “নতুন সরকার যাই করুক, আমি তার বিরুদ্ধেই ভোট দেব।” তাঁর দল ন্যাশনাল র‌্যালি এখন ২০২৭ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার সবচেয়ে বড় সুযোগ দেখছে, কারণ সংবিধান অনুযায়ী ম্যাক্রোঁ তৃতীয় মেয়াদে প্রার্থী হতে পারবেন না।

এ অবস্থায় রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব এখন পুরোপুরি ম্যাক্রোঁর কাঁধে। তাঁর পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে—ফ্রান্স স্থিতিশীলতার পথে ফিরবে, নাকি আরও গভীর রাজনৈতিক অচলাবস্থায় নিমজ্জিত হবে।

-আলমগীর হোসেন


তহবিল সংকটে জাতিসংঘ: শান্তিরক্ষী বাহিনী কমছে ২৫ শতাংশ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৯ ১০:১৪:১৯
তহবিল সংকটে জাতিসংঘ: শান্তিরক্ষী বাহিনী কমছে ২৫ শতাংশ
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বড় ধাক্কায় পড়তে যাচ্ছে। তহবিল সংকটের কারণে বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে সংস্থাটি। এই আর্থিক ঘাটতির মূল কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ পরিমাণ অনুদান হ্রাসকে চিহ্নিত করেছেন জাতিসংঘের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

বুধবার (স্থানীয় সময়) এক গোপন বৈঠকে ওই কর্মকর্তা জানান, অর্থ সংকটের ফলে ১৩ থেকে ১৪ হাজার সেনা ও পুলিশ সদস্যসহ তাদের সরঞ্জামাদি নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। শুধু সামরিক বা পুলিশ সদস্যরাই নন, শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত অনেক বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও এই সংকোচনের প্রভাবে পড়তে হবে।

জাতিসংঘের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শান্তিরক্ষা বাজেট দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান রাখার কথা ছিল প্রায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ওয়াশিংটন সম্প্রতি জাতিসংঘকে জানিয়েছে, তারা এই বাজেটের অর্ধেকেরও কম—মাত্র ৬৮২ মিলিয়ন ডলার প্রদান করবে। এর মধ্যেও ৮৫ মিলিয়ন ডলার হাইতির নতুন আন্তর্জাতিক অ্যান্টি-গ্যাং মিশনের জন্য বরাদ্দ, যা মূল বাজেটে অন্তর্ভুক্ত ছিল না।

অন্যদিকে, চীন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা তহবিলে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে—যা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বরাদ্দের চেয়ে বেশি।

একজন জাতিসংঘ কর্মকর্তা বলেন, “এই ঘাটতির সরাসরি প্রভাব পড়বে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ, সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা, মানবিক সহায়তার কার্যক্রম ও অন্যান্য শান্তিরক্ষা মিশনের ওপর। এসব ক্ষেত্রে কার্যকারিতা বজায় রাখা কঠিন হবে।”

বর্তমানে জাতিসংঘের ১১টি শান্তিরক্ষা মিশনে প্রায় ৭০ হাজার সেনা ও পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় মিশনগুলো রয়েছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ লেবানন, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ সুদান ও পশ্চিম সাহারাতে। এখন এই ১১টি মিশনের মধ্যে থেকে ধাপে ধাপে সৈন্য ও কর্মী সংখ্যা কমানো হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে ওয়াশিংটন বৈদেশিক সহায়তা ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বে বড় ধরনের কাটছাঁট চালিয়ে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিক প্রভাব পড়ছে জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার তহবিলেও। এর ফলে বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা কাঠামো নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

বিশ্বে সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলে শান্তি রক্ষা, মানবিক সহায়তা ও পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের ভূমিকা অনন্য। তবে অর্থনৈতিক চাপ ও রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে এই ভূমিকা এখন ধারাবাহিক সংকোচনের ঝুঁকিতে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এতে বহু সংঘাতমুখর দেশে সহিংসতা ও মানবিক বিপর্যয় বেড়ে যেতে পারে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য একটি উদ্বেগজনক সংকেত।

-নাজমুল হাসান


নোবেল শান্তি পুরস্কার: আগামীকাল ঘোষণা, ট্রাম্পের ভাগ্য নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৯ ১০:১৩:০৬
নোবেল শান্তি পুরস্কার: আগামীকাল ঘোষণা, ট্রাম্পের ভাগ্য নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
ছবি: সংগৃহীত

এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিজ্ঞানী জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ ডেভোর ও জন এম মার্টিনেস। এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩ বিজ্ঞানী জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ ডেভোর ও জন এম মার্টিনেস। এবার আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে নোবেল শান্তি পুরস্কার। আগামীকাল শুক্রবার (১০ অক্টোবর) নরওয়ের অসলোতে ঘোষণা হবে এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের। বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় বিজয়ীর নাম জানাবে নোবেল কমিটি। তবে পুরস্কারটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাচ্ছেন কি না, সেটি নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্প কোনোভাবেই এই পুরস্কার পাবেন না।

ট্রাম্পের দাবি ও সমালোচনার কারণ

ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি আটটি সংঘাত সমাধানে কাজ করেছেন এবং ভারত-পাকিস্তানকে পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরিয়ে এনেছেন। কিন্তু সুইডিশ অধ্যাপক পিটার ওয়ালেনস্টিন মনে করেন, তার এসব প্রচেষ্টা অতিরঞ্জিত এবং অনেক নীতি আলফ্রেড নোবেলের শান্তি, সহযোগিতা ও নিরস্ত্রীকরণের আদর্শের বিপরীতে যায়। গাজা সংকটসহ নানা বিতর্ক এখনো তাজা থাকায় ট্রাম্পকে এবার বেছে নেওয়া হবে না।

অসলোর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নিনা গ্রেগারও বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়া, বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ—এসব কর্মকাণ্ড ট্রাম্পের শান্তির দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সম্ভাব্য বিজয়ী কারা?

এ বছর শান্তি নোবেলের জন্য ৩৩৮ জন ব্যক্তি ও সংস্থা মনোনীত হয়েছেন। যদিও তালিকা গোপন, তবুও আলোচনায় রয়েছে:

সুদানের স্বেচ্ছাসেবী নেটওয়ার্ক ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুমস।

প্রয়াত রুশ নেতা আলেক্সেই নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া।

নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা অফিস ফর ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউশনস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

নরওয়েজিয়ান বিশেষজ্ঞ হালভার্ড লাইরা বলেন, নোবেল কমিটি মানবাধিকার, গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নারী অধিকারে জোর দিচ্ছে। তাই এবারও অবিতর্কিত প্রার্থী বেছে নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

পাঠকের মতামত: