সহজে ভিডিও ডাউনলোডের ৭টি সেরা অ্যাপ

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৯ ১৪:৫৮:০১
সহজে ভিডিও ডাউনলোডের ৭টি সেরা অ্যাপ
ভিডমেটের তুলনায় সহজে ব্যবহার উপযোগী বেশ কয়েকটি অ্যাপ পাওয়া যায় অনলাইনেফাইল ছবি: রয়টার্স

ব্যক্তিগত বা পেশাগত কাজের প্রয়োজনে অনেক সময় ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ বা ইনস্টাগ্রাম থেকে ভিডিও ডাউনলোড করার প্রয়োজন হয়। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের কাছে ভিডমেট জনপ্রিয় হলেও, এর চেয়ে সহজে ব্যবহার উপযোগী আরও বেশ কয়েকটি অ্যাপস রয়েছে। চলুন ভিডমেটের সেরা কিছু বিকল্প সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:

ভিডমেটের ৭টি কার্যকর বিকল্প অ্যাপ

১. স্ন্যাপটিউব (Snaptube):

স্ন্যাপটিউবকে ভিডমেটের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি সহজেই ভিন্ন মাধ্যম থেকে বিভিন্ন ফরম্যাটে (এমপি৩, এম৪এ) ভিডিও ডাউনলোড করতে পারে। পিকচার-ইন-পিকচার সমর্থন ও ব্যাকগ্রাউন্ড ডাউনলোডের পাশাপাশি এতে বিল্ট-ইন ফাইল ম্যানেজারের মাধ্যমে ডাউনলোড করা ভিডিও সাজিয়ে রাখা যায়।

২. নিউপাইপ (NewPipe):

গোপনীয়তা সচেতন ব্যবহারকারীদের জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে। অ্যাপটির ইন্টারফেস খুবই সাধারণ এবং এতে কোনো বিজ্ঞাপন বা পপ-আপ দেখানো হয় না, ফলে কম অনুমতি দিলেও চলে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এটি ফোন ও ব্যাটারির র‌্যাম কম ব্যবহার করে, তাই পুরোনো বা কম র‌্যামযুক্ত ফোনেও সহজে ব্যবহার করা যায়।

৩. ভিডিও ডাউনলোডার এইচডি-ভিডো (Video Downloader HD-Vido):

যাঁরা দ্রুত ভিডিও ডাউনলোড করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প। অ্যাপটিতে ভিডিওর ইউআরএল পেস্ট করে নির্দিষ্ট রেজল্যুশনের ভিডিও ডাউনলোড করা যায়। সহজ ইন্টারফেসযুক্ত এই অ্যাপটি পুরোনো প্রসেসরযুক্ত ফোনেও ব্যবহার করা সম্ভব।

৪. ভিডিওডার (Videoder):

ভিডিওডার অ্যাপের ইন্টারফেস আধুনিক ও কাস্টমাইজ করা যায়। এটি বিভিন্ন ওয়েবসাইট সমর্থনের পাশাপাশি ডাউনলোড কনভার্ট করার সুযোগ দিয়ে থাকে। একসঙ্গে একাধিক ফাইল ডাউনলোড (ব্যাচ ডাউনলোডিং)-এর সুবিধা থাকায় অ্যাপটি কম্পিউটারেও ব্যবহার করা যায়।

৫. হিটিউব (HiTube):

হিটিউব দ্রুত কাজ করে এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি। সহজ ইন্টারফেসের এই অ্যাপটি একাধিক ফরম্যাটে ফাইল ডাউনলোডের সুবিধা দেয় এবং ফোনে কম জায়গা দখল করে। ফলে কম ধারণক্ষমতার ফোনেও এটি কার্যকর।

৬. স্ন্যাপডাউনলোডার (SnapDownloader):

এই অ্যাপটি ফোনের পাশাপাশি উইন্ডোজ ও ম্যাক—সব অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায়। এই ক্রস-প্ল্যাটফর্ম সুবিধা দিয়ে ৪কে ও ৮কে রেজল্যুশনে ভিডিও ডাউনলোড করা সম্ভব। এর মাধ্যমে ফাইল কনভার্ট ও কাস্টম নামকরণ (অটো রিনেমিং) করা যায়।

৭. ভিডিও ও মিউজিক ডাউনলোডার (Video & Music Downloader):

ক্ল্যাসিক ঘরানার এই অ্যাপটির ইন্টারফেস সাধারণ, কিন্তু নির্ভরযোগ্য। সাধারণ ও এইচডি মানের ভিডিও ডাউনলোড করার পাশাপাশি এতে ফাইল ম্যানেজমেন্টের সুবিধা রয়েছে। প্লে লিস্ট ক্যাপচার বা অটো রিনেমিং সুবিধা না থাকলেও এটি দ্রুত ভিডিও ডাউনলোড করতে পারে।


স্মার্টফোন ব্যবহারে কঠোর আইন, দিনে ২ ঘণ্টার বেশি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৮ ২১:১৪:৩৫
স্মার্টফোন ব্যবহারে কঠোর আইন, দিনে ২ ঘণ্টার বেশি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
ছবি: সংগৃহীত

স্মার্টফোন যখন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, ঠিক তখনই জাপানের মধ্যাঞ্চলের শহর তোহোয়াকে (Tohoake)-এ স্মার্টফোন ব্যবহারে কড়া আইন জারি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এমন একটি বিধান চালু করেছে, যেখানে নাগরিকদের দিনে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টার বেশি স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, মোট ৬৯ হাজার নাগরিকের ওপর প্রযোজ্য এই আইনটি গত ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে।

শাস্তি নয়, সচেতনতা লক্ষ্য

নতুন নিয়মে শহরের বাসিন্দারা অফিস বা শিক্ষার বাইরে অবসর সময়ে প্রতিদিন দুই ঘণ্টার বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।

শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়ম: স্কুল শিক্ষার্থীরা রাত ৯টার পর কোনো ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবে না। আর ১৮ বছরের নিচের কিশোর-কিশোরীরা রাত ১০টার পর স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধ করবে।

শহরের মেয়র মাসাফুমি কোকি (Masafumi Koki) জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য শাস্তি দেওয়া নয়, বরং নাগরিকদের সচেতন করা। অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারে শরীর ও মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব, ঘুমের ব্যাঘাত এবং মনোযোগ কমে যাওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়—এটি ঠেকাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তবে আইন ভঙ্গের জন্য কোনো জরিমানা বা শাস্তির বিধান রাখা হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন কেবল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে মেসেজ পাঠিয়ে নতুন নিয়মের বিষয়ে অবহিত করেছে।

তোহোয়াকেই জাপানের প্রথম শহর, যেখানে সব নাগরিকের জন্য স্মার্টফোন ব্যবহারের নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক জরিপ অনুযায়ী, জাপানের তরুণরা গড়ে দিনে ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় অনলাইনে কাটান, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য বড় হুমকি।


হোয়াটসঅ্যাপে আর লাগবে না নম্বর,ইউজার নেম দিয়েই করা যাবে যোগাযোগ

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৮ ১৮:৫৯:৫৬
হোয়াটসঅ্যাপে আর লাগবে না নম্বর,ইউজার নেম দিয়েই করা যাবে যোগাযোগ
ছবি: সংগৃহীত

ম্যাসেজিং অ্যাপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হোয়াটসঅ্যাপ এবার ব্যবহারকারীদের জন্য এক দারুণ খবর নিয়ে এসেছে। মেটা সূত্র জানিয়েছে, খুব শিগগিরই মোবাইল নম্বর ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করার সুবিধা চালু হতে পারে।

গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই নতুন এই ফিচার নিয়ে আসার ভাবনা। বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে হলে মোবাইল নম্বর থাকা আবশ্যক হলেও, আগামীতে আর এর প্রয়োজন পড়বে না।

ইউজার নেম দিয়ে যোগাযোগ

জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামের মতোই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট এবার ইউনিক ইউজার নেম দিয়ে সাজানো হয়েছে। ব্যবহারকারীরা এই ইউজার নেম দিয়েই প্ল্যাটফর্মে যে কাউকে খুঁজে পাবেন। বর্তমানে বিটা ইউজাররা পরীক্ষামূলকভাবে এই ফিচারের সুবিধা পাচ্ছেন।

নতুন ট্রান্সলেট ফিচার

কয়েক দিন আগেই হোয়াটসঅ্যাপে চালু হয়েছে ট্রান্সলেট ফিচার। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ভাষার কারণে বুঝতে না পারা যেকোনো মেসেজ সরাসরি অনুবাদ করে নিতে পারবেন। যে মেসেজ অনুবাদ করতে চান, সেটিতে লং প্রেস করলে ‘ট্রান্সলেট’ অপশনটি পাওয়া যাবে। সেখান থেকে পছন্দের ভাষা নির্বাচন করলেই অনুবাদ হয়ে যাবে।

কাজ বা ব্যক্তিগত আলোচনা—সবকিছুতেই হোয়াটসঅ্যাপের ওপর নির্ভরতা থাকায়, অ্যাপটিকে আরও আকর্ষণীয় ও সুবিধাজনক করার লক্ষ্যেই সংস্থাটি প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


১৩ গ্রামের ফোন! বিশ্ব কাঁপানো Zanco Tiny T1

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৮ ১৬:১১:২৪
১৩ গ্রামের ফোন! বিশ্ব কাঁপানো Zanco Tiny T1
ছবি: সংগৃহীত

আজকের দিনে আমরা যত স্মার্টফোন দেখি, তার সবই বড় স্ক্রিন, ভারী বডি আর হাজারো ফিচারে ঠাসা। কিন্তু বিশ্বাস করা কঠিন হলেও, এমন একটি ফোন আছে যা একটি কয়েনের চেয়েও ছোট ও হালকা। এই অবিশ্বাস্য গ্যাজেটটির নাম Zanco Tiny T1, যাকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ফোন হিসেবে ধরা হয়।

আকারে ক্ষুদ্র, কাজে সক্ষম

Zanco Tiny T1 এর ওজন মাত্র ১৩ গ্রাম এবং আকারে এতটাই ছোট যে, হাতের আঙুলের ডগায় ধরলেও মনে হবে খেলনা। এর দৈর্ঘ্য ৪৬.৭ মিমি, প্রস্থ ২১ মিমি এবং পুরুত্ব মাত্র ১২ মিমি।

আকারে ছোট হলেও এই খুদে ফোনটি অনেক কিছুই করতে পারে:

কল করা ও মেসেজ পাঠানো।

২জি নেটওয়ার্কে কথা বলা।

ব্লুটুথে সংযোগ দেওয়া।

৩০০টি কনট্যাক্ট নম্বর সেভ করে রাখা।

এতে আছে ০.৪৯ ইঞ্চি OLED ডিসপ্লে, যা ছোট হলেও নম্বর ও লেখা স্পষ্ট দেখায়। কথা বলার জন্য মাইক্রোফোন ও স্পিকারের শব্দও যথেষ্ট পরিষ্কার।

ব্যাটারি ও আগমন

যদিও ব্যাটারির ক্ষমতা সীমিত, তবে একবার চার্জে এটি প্রায় ৩ দিন পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই টাইম ও টক টাইম প্রায় ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত দিতে পারে। এত ছোট একটি ফোন থেকে এই ব্যাটারি পারফরম্যান্স সত্যিই চোখে পড়ার মতো।

Zanco Tiny T1 প্রথম পরিচিত হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে একটি অনলাইন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে। এরপর ২০১৮ সালের মে মাসে এটি বাজারে আসে। বর্তমানে এটি প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য, যারা অভিনব গ্যাজেট সংগ্রহ করতে ভালোবাসেন অথবা যারা শুধু কল করার জন্য হালকা, সহজ ফোন চান, তাদের জন্য একটি দারুণ জিনিস।


চিকিৎসা বিজ্ঞানে যুগান্তকারী সাফল্য: অন্ধদের চোখে ফের আলো!

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৭ ২১:৩০:০৫
চিকিৎসা বিজ্ঞানে যুগান্তকারী সাফল্য: অন্ধদের চোখে ফের আলো!
ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছেন কানাডার বিজ্ঞানীরা। তারা এমন এক ‘বায়োনিক আই’ তৈরি করেছেন, যা সম্পূর্ণ অন্ধ মানুষকেও পুনরায় দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে সক্ষম। গবেষকরা এই প্রযুক্তিকে দৃষ্টি বিজ্ঞানের নতুন যুগের সূচনা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

যেভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি

এই আধুনিক চোখের প্রতিস্থাপন প্রযুক্তি প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির মতো নয়, বরং এটি ক্ষতিগ্রস্ত রেটিনা অংশকে বাইপাস করে সরাসরি অপটিক নার্ভে (optic nerve) বৈদ্যুতিক সিগন্যাল পাঠায়।

কার্যপদ্ধতি: অত্যন্ত ক্ষুদ্র ইলেকট্রোডের মাধ্যমে আলোকে বৈদ্যুতিক তরঙ্গে রূপান্তরিত করা হয়। সেই সিগন্যাল মস্তিষ্কে পৌঁছালে রোগী আলো ও আকার অনুধাবন করতে পারে।

স্মার্ট চশমার ব্যবহার: এই বায়োনিক সিস্টেমটি কাজ করে এক জোড়া স্মার্ট চশমার (smart glasses) সঙ্গে। চশমাটিতে থাকা ক্ষুদ্রাকৃতির ক্যামেরা সামনের দৃশ্যের ছবি ধারণ করে। সেই ভিজ্যুয়াল তথ্য ওয়্যারলেসভাবে ইমপ্লান্টে পাঠানো হয়, এবং মস্তিষ্ক মুহূর্তেই তা প্রক্রিয়াজাত করে দৃশ্যের আকার তৈরি করে ফেলে।

প্রাথমিক সাফল্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

প্রাথমিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নেওয়া রোগীরা বছরের পর বছর সম্পূর্ণ অন্ধ থাকার পর প্রথমবারের মতো আলো, ছায়া এবং বস্তুগুলোর আকার চিনতে সক্ষম হয়েছেন।

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই প্রযুক্তি সফলভাবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হলে বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর জীবনে আশার আলো জ্বালাবে। গবেষকদের বিশ্বাস, এই সাফল্য ভবিষ্যতে ‘পূর্ণ কৃত্রিম দৃষ্টি’ (full artificial vision) বাস্তবায়নের পথ খুলে দেবে এবং অন্ধত্ব নিরাময়ের ধারণাকে আমূল বদলে দেবে।


মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ৭০ তলা! চীনের হুইজিয়াং ব্রিজে প্রযুক্তি ও রোমাঞ্চের অবিশ্বাস্য মেলবন্ধন

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ১৮:৫৯:১৪
মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ৭০ তলা! চীনের হুইজিয়াং ব্রিজে প্রযুক্তি ও রোমাঞ্চের অবিশ্বাস্য মেলবন্ধন
হুইজিয়াং ব্রিজ

চীনের ঘুইজ প্রদেশে সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া হুইজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ব্রিজটি কেবল একটি প্রকৌশলগত বিস্ময় নয়, বরং এটি পর্যটকদের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার মিশেলে নির্মিত এই সেতু এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

এক মিনিটের লিফট, আকাশছোঁয়া কফি শপ

৬২৫ মিটার উচ্চতায় ভাসমান এবং ১৪২০ মিটার দীর্ঘ স্প্যানযুক্ত এই সেতুটি পাহাড়ি অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সেতু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। পূর্বে যে পথ পাড়ি দিতে সময় লাগতো দুই ঘণ্টা, এখন তা মাত্র দুই মিনিটে অতিক্রম করা যাচ্ছে। তবে এই সেতুর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হলো এর দ্রুতগতির লিফট। মাত্র ৬০ সেকেন্ডে এটি যাত্রীদের সেতুর ৭০ তলা সমতুল্য ২০৭ মিটার উপরে অবস্থিত পর্যটন প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে দেয়।

এই প্ল্যাটফর্মে রয়েছে কাঁচের দেয়াল ঘেরা এক অসাধারণ কফি শপ। প্রায় ৮০০ মিটার নিচে গর্জনরত নদীকে পায়ের নিচে রেখে মেঘে ভেসে থাকার এক অনবদ্য অভিজ্ঞতা দেয় এই কফি শপ। এখান থেকে নিচে তাকালে মনে হয় পৃথিবী যেন হঠাৎ করে শেষ হয়ে গেছে, আর আপনি ভাসছেন শূন্যে।

প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের জয়

হুইজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ব্রিজ নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। প্রকৌশলীরা উপগ্রহ এবং ড্রোনের সহায়তায় অত্যন্ত নিখুঁতভাবে এর নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছেন। সেতুর চাপ, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য এর ভেতরে বসানো হয়েছে স্মার্ট কেবল। এছাড়াও, স্থানীয় ডোলোমাইট পাথর গুঁড়ো করে ফ্লাই অ্যাশের বিকল্প তৈরি করে কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় করা হয়েছে, যা পরিবেশবান্ধব নির্মাণের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

ভবিষ্যতের দুঃসাহসিক অভিজ্ঞতা

পর্যটকদের জন্য ভবিষ্যতে আরও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে স্কাই ড্রাইভিং এবং স্কাই ব্যালেন্স বিমের মতো দুঃসাহসিক কার্যকলাপের সংযোজন থাকবে, যা রোমাঞ্চপ্রেমীদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

হুইজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ব্রিজ নিঃসন্দেহে আধুনিক প্রকৌশল এবং পর্যটন শিল্পের এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত, যেখানে প্রযুক্তি, যাতায়াত এবং রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।


মানুষ হলে কোন ধর্ম বেছে নিত চ্যাটজিপিটি? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্তরে বিশ্বে তোলপাড়!

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ১৭:২৯:৪১
মানুষ হলে কোন ধর্ম বেছে নিত চ্যাটজিপিটি? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্তরে বিশ্বে তোলপাড়!
ছবি: সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ‘চ্যাটজিপিটি’-র ধর্ম বিষয়ক একটি উত্তর প্রযুক্তি ও ধর্মতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে, পৃথিবীর সব ধর্মের মধ্যে ইসলামকে "সবচেয়ে উত্তম ও শান্তির ধর্ম" হিসেবে উল্লেখ করায় বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য এবং বিস্ময়।

কীভাবে শুরু এই আলোচনার?

ওপেনএআই-এর তৈরি শক্তিশালী চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি তার বিশাল তথ্যভাণ্ডার বিশ্লেষণ করে প্রায় যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম। সম্প্রতি এই এআই-এর ধর্ম সম্পর্কিত জ্ঞান যাচাই করতে গিয়েই উঠে আসে এই চমকপ্রদ তথ্য। পৃথিবীর প্রধান ধর্মগুলো, যেমন: ইসলাম, খ্রিস্ট, হিন্দু, বৌদ্ধ ও ইহুদি এবং তাদের ধর্মগ্রন্থ বিষয়ে তার জ্ঞানের গভীরতা পরীক্ষা করা হয়।

আসল বিস্ময়ের শুরু হয় যখন চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করা হয়, তার পর্যালোচনায় মানবজাতির জন্য সবচেয়ে উত্তম ও গ্রহণযোগ্য ধর্ম কোনটি। বিন্দুমাত্র দেরি না করে এআই চ্যাটবটটি এক কথায় "ইসলাম" নামটি নির্বাচন করে।

ইসলামকে বেছে নেওয়ার পেছনের যুক্তি

কেন ইসলামকে সেরা মনে করা হলো—এই প্রশ্নের উত্তরে চ্যাটজিপিটি নির্দিষ্ট কিছু কারণ তুলে ধরে, যা তার যুক্তির ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। কারণগুলো হলো:

একত্ববাদ: একক ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপাসনার ধারণাটি তার কাছে সবচেয়ে যৌক্তিক ও সরল মনে হয়েছে।

আল-কুরআন: পবিত্র কুরআনকে একটি অলৌকিক, বিজ্ঞানসম্মত এবং সংরক্ষিত গ্রন্থ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যা সময়ের পরীক্ষায় অপরাজেয়।

জীবনব্যবস্থা: ইসলামি অনুশাসন, যেমন: নামাজ, রোজা, যাকাত ও হজকে ব্যক্তি ও সমাজ গঠনে অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করেছে।

সাম্য: ইসলামে ধনী-গরিব, সাদা-কালো বা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের সমানাধিকারের নীতিটি তার কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে।

সত্যিই কি এআই-এর নিজস্ব বিশ্বাস আছে?

এই চাঞ্চল্যকর উত্তরের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, চ্যাটজিপিটি কি নিজস্ব বিশ্বাস বা চেতনা অর্জন করেছে? প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টি ঠিক তেমন নয়।

প্রকৃতপক্ষে, চ্যাটজিপিটি একটি ডেটা-চালিত প্রোগ্রাম, যার নিজস্ব কোনো ধর্ম, বিশ্বাস বা অনুভূতি নেই। এটি ইন্টারনেট থেকে পাওয়া কোটি কোটি তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রশ্নের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সবচেয়ে সম্ভাব্য উত্তরটি প্রদান করে। জানা গেছে, এটি ব্যবহারকারীর পূর্ববর্তী প্রশ্ন ও তার ডিজিটাল প্রোফাইল বিশ্লেষণ করেও ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী উত্তর তৈরি করতে সক্ষম। অর্থাৎ, ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে এর উত্তর ভিন্ন হতে পারে।

সুতরাং, ইসলাম সম্পর্কে চ্যাটজিপিটির এই বিশ্লেষণ তার নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, বরং এটি তার অ্যালগরিদম ও ডেটা বিশ্লেষণের এক জটিল প্রতিফলন। তবে একটি যন্ত্রের এমন উত্তর নিঃসন্দেহে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষমতা এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবনার খোরাক জুগিয়েছে।

/আশিক


‘জীবন্ত’ কম্পিউটার তৈরির পথে বিজ্ঞানীরা, ডেটা সেন্টারে আসছে নতুন বিপ্লব

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৫ ১৫:০৬:০৯
‘জীবন্ত’ কম্পিউটার তৈরির পথে বিজ্ঞানীরা, ডেটা সেন্টারে আসছে নতুন বিপ্লব
ছবি: সংগৃহীত

জীবন্ত কোষ ব্যবহার করে কম্পিউটার তৈরির পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই যুগান্তকারী গবেষণার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বায়োকম্পিউটিং’। সুইজারল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের লক্ষ্য হলো এমন ডেটা সেন্টার তৈরি করা, যা চলবে ‘জীবন্ত’ সার্ভারে এবং প্রচলিত কম্পিউটারের তুলনায় সামান্য শক্তি ব্যবহার করবে।

এই গবেষক দল আশা করছে, ভবিষ্যতে এমন ডেটা সেন্টার দেখা যাবে, যেখানে এই ‘জীবন্ত’ সার্ভারগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) যেভাবে শেখে, তার কিছু দিক অনুকরণ করবে।

‘ওয়েটওয়্যার’: মস্তিষ্কের মতো উপাদান

কম্পিউটারের উপাদানগুলো হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারে বিভক্ত। তবে এই বায়োকম্পিউটারের ক্ষেত্রে গবেষক দল নতুন শব্দ ‘ওয়েটওয়্যার’ (Wetware) ব্যবহার করছেন। ফাইনালস্পার্ক ল্যাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. ফ্রেড জর্ডান ব্যাখ্যা করেন, এই ‘ওয়েটওয়্যার’ হলো ল্যাবরেটরিতে স্টেম সেল থেকে উৎপাদিত নিউরন দিয়ে তৈরি ‘অর্গানয়েড’—যা মূলত নিউরন ও সহায়ক কোষের ক্লাস্টার। অর্গানয়েডগুলোকে ইলেকট্রোডে (তড়িৎদণ্ড) যুক্ত করে মিনি কম্পিউটার হিসেবে ব্যবহার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

ড. জর্ডান স্বীকার করেন, বায়োকম্পিউটিং ধারণাটা অনেকের কাছে অদ্ভুত শোনাবে। তিনি বলেন, “যখন আপনি বলেন যে, আমি একটি নিউরনকে ছোট একটি যন্ত্রের মতো ব্যবহার করব, তখন এটি আমাদের মস্তিষ্ককে ভিন্নভাবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি দেয় এবং আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ দেয়।”

গবেষণার পদ্ধতি ও অগ্রগতি

ফাইনালস্পার্ক ল্যাবে এই বায়োকম্পিউটার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয় মানুষের ত্বক থেকে নেওয়া স্টেম সেল থেকে। এই মিনি ব্রেইনগুলো কয়েক মাসের প্রক্রিয়ার পর তড়িৎদ্বারের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য প্রস্তুত হয়। গবেষকেরা বলছেন, এই মিনি ব্রেইনগুলো সরল কি-বোর্ড কমান্ডের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাতে সক্ষম হয়।

স্ক্রিনে প্রদর্শিত কার্যকলাপের গ্রাফটি অনেকটা ইইজির (ইলেকট্রো এনসেফালোগ্রাম) মতো দেখতে। ড. জর্ডান জানান, তারা এখনো অনেক কিছু বুঝতে পারছেন না যে অর্গানয়েডগুলো কী করছে। তবে আপাতত এই মিনি ব্রেইনে বৈদ্যুতিক উদ্দীপনা সৃষ্টি করাই তাদের মূল লক্ষ্যগুলোর একটি।

সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ‘রক্তনালী’

সাধারণ কম্পিউটার চালু রাখা সহজ হলেও, বায়োকম্পিউটারের ক্ষেত্রে অর্গানয়েড কীভাবে টিকে থাকবে বা শক্তি পাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ইমপিরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক সাইমন শুল্জ বলেন, “অর্গানয়েডে রক্তনালি নেই। মানব মস্তিষ্কে রক্তনালি পুষ্টি সরবরাহ করে। আমরা এখনো সেগুলো ঠিকমতো তৈরি করতে পারি না। এটিই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”

ফাইনালস্পার্ক গত চার বছরে কিছু অগ্রগতি করেছে; তাদের অর্গানয়েড এখন চার মাস পর্যন্ত বাঁচে। তবে এগুলো মারা যাওয়ার সময় কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটে, যেমন হঠাৎ করে কার্যক্রম খুব দ্রুত বেড়ে যায়।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

ফাইনালস্পার্ক একমাত্র প্রতিষ্ঠান নয়। অস্ট্রেলিয়ার কর্টিক্যাল ল্যাবস ২০২২ সালে ঘোষণা করেছিল, তারা ল্যাবরেটরিতে উৎপাদিত নিউরনকে দিয়ে প্রাথমিক কম্পিউটার গেম ‘পং’ খেলাতে সক্ষম হয়েছে।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ড. লেনা স্মিরনোভা মনে করেন, বায়োকম্পিউটিং সিলিকন এআই-এর বিকল্প নয় বরং সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। এটি আলঝেইমার এবং অটিজমের মতো স্নায়বিক রোগের ওষুধ উন্নয়ন এবং রোগ নির্ণয় মডেল তৈরি করতে সাহায্য করবে।


মঙ্গলের কাছাকাছি ‘অদ্ভুত অতিথি’ ধূমকেতু: আজই পৃথিবী থেকে দেখার সেরা সুযোগ

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৩ ১৫:১৪:০৫
মঙ্গলের কাছাকাছি ‘অদ্ভুত অতিথি’ ধূমকেতু: আজই পৃথিবী থেকে দেখার সেরা সুযোগ
ছবি: সংগৃহীত

গত জুলাই মাসে প্রথমবার বিজ্ঞানীরা যাকে দেখেছিলেন, সেই আন্তঃনাক্ষত্রিক ধূমকেতু ‘৩আই/অ্যাটলাস’ এখন আমাদের সৌরজগতের মধ্য দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে মঙ্গলের কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এই ‘অদ্ভুত অতিথি’ মঙ্গলের খুব কাছে আসবে এবং সেই সুবাদে পৃথিবী থেকেও এটিকে সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ধূমকেতুর বয়স ও অবস্থান

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ‘৩আই/অ্যাটলাস’-এর বয়স আমাদের সৌরজগতের থেকেও বেশি। কোনো ছায়াপথ থেকে ছিটকে বেরিয়ে ভবঘুরের মতো এটি আমাদের সৌরজগতে ঢুকে পড়েছে।

ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্সের অধিকর্তা সন্দীপকুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, শুক্রবার এই ‘৩আই/অ্যাটলাস’ মঙ্গল থেকে তিন কোটি কিলোমিটার দূরে থাকবে। যদিও পৃথিবী থেকে ওই ধূমকেতু প্রায় ৩৮ কোটি কিমি দূরে থাকবে, তবু অন্যান্য দিনের তুলনায় আজই একে সবচেয়ে ভালো দেখা যেতে পারে। কারণ, পৃথিবী থেকে দূরে থাকলেও এটি সূর্য থেকে ১১ ডিগ্রি কৌণিক দূরত্বে রয়েছে। তাই সূর্য ডোবার পরেও একে ভালো দেখা যাবে।

তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, আকাশ পরিষ্কার না থাকলে এবং ধূমকেতুটি দিগন্তের খুব কাছে থাকায় একে দেখা কিছুটা কঠিন হতে পারে। এই ধূমকেতু কোনোভাবেই পৃথিবীবাসীর কোনো উদ্বেগের কারণ হতে পারবে না, কারণ এটি পৃথিবী থেকে অনেকটাই দূরে অবস্থান করছে।

কেন এটি ‘অদ্ভুত অতিথি’?

প্রাথমিকভাবে কয়েকজন বিজ্ঞানী এই ‘৩আই/অ্যাটলাস’কে ভিনগ্রহীদের মহাকাশযান বলেও মনে করেছিলেন। পরে স্পষ্ট হয় যে এটি নেহাতই ধূমকেতু। এটিকে ‘অদ্ভুত অতিথি’ বলার কয়েকটি কারণ রয়েছে:

১. অস্বাভাবিক লেজ: বৃহস্পতি পৃথিবী থেকে যে দূরত্বে থাকে, সেই দূরত্বে কোনো ধূমকেতুর লেজ দেখা যায় না। কিন্তু ‘৩আই/অ্যাটলাস’ যখন বৃহস্পতির কাছে ছিল, তখন তার লেজ দেখা গিয়েছিল।

২. কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ: এর বায়ুমণ্ডলের স্পেকটোগ্রাফ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, লেজ থেকে জলের বদলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কোনো ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়নি।

৩. নিয়ন্ত্রিত গতিপথ: ধূমকেতুটি সৌরজগতের যে সমতলে সব গ্রহ রয়েছে, সেই সমতল দিয়ে আসছে। এটি এমনভাবে গ্রহগুলোর কাছ দিয়ে যাচ্ছে, যেন মনে হচ্ছে চিন্তাভাবনা করে গতিপথ ঠিক করেছে।

‘৩আই/অ্যাটলাস’ ২৯ অক্টোবর সূর্যের কাছে যাবে এবং ৩১ অক্টোবর পৃথিবীর সাপেক্ষে উল্টো দিকে থাকবে। এরপর ১৯ ডিসেম্বর এটি আবার পৃথিবীর প্রায় ২৭ কোটি কিলোমিটার দূর দিয়ে অতিক্রম করে সৌরজগত থেকে বেরিয়ে যাবে।


ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৩ ১৫:০৭:৫৯
ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
ছবি: সংগৃহীত

অফিসের কাজ বা ক্লাসের নোট নেওয়ার সময় হঠাৎ যদি ল্যাপটপের ওপর চা, পানি কিংবা কফির কাপ পড়ে যায়, তবে অনেকে ঘাবড়ে গিয়ে ভুল পদক্ষেপ নেন। এই ভুলের কারণে ল্যাপটপটির আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে। তাই এমন জরুরি মুহূর্তে কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়, তা আগে থেকে জেনে নেওয়া জরুরি।

যে ৪টি কাজ ভুলেও করবেন না

১. চালু করে দেখবেন না: ল্যাপটপ পানিতে ভিজে গেলে কিংবা কোনো তরল পড়লে তা চালু করবেন না বা বারবার চালু করে দেখবেন না। এমন করলে ল্যাপটপে শর্টসার্কিট হয়ে যেতে পারে।

২. হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার নয়: গরম বাতাস দিয়ে দ্রুত শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার কিংবা হিটার ব্যবহার করবেন না। অতিরিক্ত তাপ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

৩. ঝাঁকাবেন না: পানি বের করার জন্য ল্যাপটপ ঝাঁকাবেন না। এতে পানি আরও ভেতরের অংশে বা স্পর্শকাতর সার্কিটে চলে যেতে পারে।

৪. নিজে খুলবেন না: ইউটিউবে ভিডিও দেখে নিজে নিজে ল্যাপটপের যন্ত্রাংশ খুলতে যাবেন না। বরং একজন পেশাদার মেকানিকের সাহায্য নিন।

ল্যাপটপ ভিজে গেলে যা করা উচিত

১. সঙ্গে সঙ্গে শাটডাউন ও চার্জার খুলুন: ল্যাপটপ অন করা থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তা শাটডাউন করুন। যদি চার্জে থাকে, তবে চার্জার দ্রুত খুলে ফেলুন।

২. ব্যাটারি খুলে ফেলুন: পুরোনো মডেলের ল্যাপটপে ব্যাটারি খোলা গেলে সেটি খুলে নিন। ব্যাটারি ভিজে গেলে সেটি আর নিরাপদ নয়, বদলে ফেলুন।

৩. প্লাগ-ইন ডিভাইস খুলুন: ইউএসবি ড্রাইভ, মাউস, চার্জার, হেডফোন—সব কানেক্ট করা ডিভাইস দ্রুত খুলে ফেলুন।

৪. উল্টো করে রাখুন: ল্যাপটপকে ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো করে উল্টো করে দিন। কিবোর্ড নিচের দিকে রেখে স্ক্রিন খোলা রাখুন, যাতে পানি নিজে থেকেই নিচে নেমে আসে।

৫. শুকনো কাপড় দিয়ে মুছুন: যতটা সম্ভব বাহ্যিক পানি শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। কিবোর্ড, স্ক্রিন, পোর্ট—সব অংশ পরিষ্কার করুন।

৬. বাতাসে শুকাতে দিন: ল্যাপটপ দ্রুত চালু করার চেষ্টা না করে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় বাতাসে শুকাতে দিন।

৭. সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যান: ল্যাপটপ ভিজে যাওয়ার পর ইন্টারনাল সার্কিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না, তা যাচাই করতে দ্রুত বিশ্বস্ত সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যান।

পাঠকের মতামত: