রাশিয়ার নজিরবিহীন হামলার পর নতুন নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

রাশিয়ার নজিরবিহীন আকাশ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার মস্কোর বিরুদ্ধে আরও নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইউক্রেনজুড়ে চালানো এই হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয় এবং রাজধানী কিয়েভের মন্ত্রিপরিষদ ভবনসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনায় আগুন ধরে যায়।
ভোরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন একযোগে আছড়ে পড়ে কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায়। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানায়, মাত্র এক রাতে রাশিয়া অন্তত ৮১০টি ড্রোন ও ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে—যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আক্রমণ। হামলায় সরকারি স্থাপনার পাশাপাশি আবাসিক ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে অনেক নারী-শিশু রয়েছে। একজন গর্ভবতী নারী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেছেন; মা ও নবজাতক দুজনের জীবনই ঝুঁকিতে রয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি ‘দৃঢ় প্রতিক্রিয়া’ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, “পুতিন বিশ্বের ধৈর্য পরীক্ষা করছেন। আমাদের অংশীদারদের শক্ত প্রতিক্রিয়াই এখন সময়ের দাবি।” তিনি আরও জানান, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং ফ্রান্স ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদারে সহায়তা দেবে।
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিদেঙ্কো কিয়েভের মন্ত্রিপরিষদ ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশের ভিডিও প্রকাশ করে বলেন, “আমরা ভবনগুলো পুনর্নির্মাণ করব, কিন্তু প্রাণগুলো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না।” এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হামলায় সাতটি ঘোড়াও মারা গেছে। তারা এক বিবৃতিতে লিখেছে, “বিশ্ব হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না, যখন একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র প্রতিদিন মানুষ ও প্রাণের জীবন কেড়ে নিচ্ছে।”
হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁ বলেছেন, রাশিয়া ‘যুদ্ধ ও সন্ত্রাসের যুক্তিতে’ ক্রমেই ডুবে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার এটিকে ‘কাপুরুষোচিত হামলা’ আখ্যা দিয়েছেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডার লেইয়েন মন্তব্য করেছেন, ক্রেমলিন এখন কার্যত ‘কূটনীতির প্রতি উপহাস’ করছে।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন, রুশ তেল আমদানি করা দেশগুলোর ওপরও শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। তাঁর মতে, এতে রাশিয়ার অর্থনীতি ভেঙে পড়বে এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য করা যাবে।
রাশিয়া অবশ্য দাবি করেছে, তারা কেবল কিয়েভের একটি প্ল্যান্ট ও লজিস্টিকস হাবকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, সাধারণ জনগণকে নয়। তবে আন্তর্জাতিক মহল রাশিয়ার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
উল্লেখ্য, আগস্টের মাঝামাঝি ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ার পর থেকেই রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা আরও তীব্র করেছে। এদিকে যুদ্ধবিরতির যেকোনো প্রস্তাব তদারকির জন্য ইউরোপের দুই ডজনের বেশি দেশ নিজেদের সম্পৃক্ত করার অঙ্গীকার করেছে। এমনকি কয়েকটি দেশ প্রয়োজনে মাটিতে সেনা পাঠাতেও আগ্রহ দেখিয়েছে, যা নিয়ে মস্কো কঠোর আপত্তি জানিয়েছে।
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এ সংঘাতে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড দখল করেছে রাশিয়া। ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী এই সংঘাতে ইতিমধ্যেই লাখো মানুষ গৃহহীন এবং কয়েক হাজার প্রাণ হারিয়েছে।
-সুত্রঃ এ এফ পি
হামাসকে আত্মসমর্পণের আহ্বান ইসরায়েলের
গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে হামাসকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজার সবচেয়ে বড় শহরের কেন্দ্রে বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সাআর জেরুজালেমে বলেন, “যদি হামাস গাজায় আটকে থাকা বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেয় এবং অস্ত্র সমর্পণ করে, তাহলে এই যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা রাজনৈতিক উপায়ে এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে খুবই খুশি হবো।”
এর জবাবে, হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেন, তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না। তবে ইসরায়েল যদি যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং গাজা থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করতে রাজি হয়, তাহলে তারা সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে। এটি দীর্ঘদিন ধরে এই ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অবস্থান।
গত মাসে ইসরায়েল গাজা সিটিতে হামলা শুরু করে এবং বর্তমানে তাদের সেনারা শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, রাতভর হামলায় শহরজুড়ে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজা সিটির দক্ষিণে একটি স্কুলেও হামলা হয়েছে, যেখানে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল।
স্কুলে হামলা প্রসঙ্গে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা হামাসের একজন যোদ্ধাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল এবং হামলা চালানোর আগে বেসামরিক নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছিল। সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, “ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য যেকোনো হুমকি দূর করতে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাবে।
সূত্র: রয়টার্স
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে নতুন মোড়: বাফার জোনের নিরাপত্তার দায়িত্বে কি বাংলাদেশ?
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটাতে বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, যুদ্ধবিরতি হলে দুই দেশের মাঝখানে একটি ‘বাফার জোন’ বা নিরস্ত্রীকরণ এলাকা গড়ে উঠতে পারে। আর সেই বাফার জোনের নিরাপত্তা তদারকির জন্য বাংলাদেশসহ একাধিক ন্যাটো-বহির্ভূত দেশের সেনা মোতায়েন করা হতে পারে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বাফার জোনের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মতো একাধিক দেশের সেনাদের সেখানে মোতায়েন করা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের মতে, সৌদি কিংবা বাংলাদেশের সেনাদের অংশগ্রহণ নিরাপত্তা জোরদার করবে এবং রাশিয়ার ভবিষ্যৎ আগ্রাসন ঠেকাতে সহায়তা করবে।
যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই
তবে জটিল বাস্তবতায় যুদ্ধ থামার কোনো দ্রুত সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। গত মাসে আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মুখোমুখি বৈঠক করলেও মস্কো এখনো শান্তিচুক্তির কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়নি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক নিয়েও অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন পুতিন, যা ট্রাম্পের হতাশা বাড়াচ্ছে।
বাফার জোন হলো সংঘাতপূর্ণ দুই অঞ্চলের মাঝখানে গড়ে ওঠা একধরনের নিরপেক্ষ বা নিয়ন্ত্রিত এলাকা, যার মূল উদ্দেশ্য হলো উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ প্রতিরোধ করা।
এর আগে আগস্টে হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দেন, যেকোনো শান্তিচুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। বৈঠকের পর জেলেনস্কি এটিকে তার দেখা “সেরা বৈঠক” আখ্যা দেন এবং জানান, যুক্তরাষ্ট্র শুধু সমন্বয় করবে না, বরং নিরাপত্তা নিশ্চয়তারও অংশীদার হবে, যা ইউক্রেনের জন্য বড় অগ্রগতি।
আলোচনায় প্রস্তুত ইউক্রেন
জেলেনস্কি আবারও জানিয়েছেন, ইউক্রেন আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে ভূখণ্ড বিনিময়ের মতো সংবেদনশীল ইস্যু সরাসরি তার ও পুতিনের আলোচনার মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে। সম্প্রতি ট্রাম্প বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো প্রতিরক্ষার প্রথম সারিতে থাকবে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেনকে যথেষ্ট সহায়তা করবে।
ইউক্রেনের মন্ত্রিসভার ভবনে রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের প্রধান সরকারি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাজধানীর মন্ত্রিসভা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সিভিবিদেঙ্কো। ২০২২ সালে মস্কো সামরিক অভিযান শুরু করার পর এই প্রথম ভবনটি হামলার শিকার হলো।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, শনিবার কিয়েভে রাতভর হামলায় রাশিয়া রেকর্ডসংখ্যক, অর্থাৎ আট শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। সর্বশেষ এসব হামলায় ৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৫৬টি ড্রোন ৩৭টি স্থানে আঘাত হেনেছে।
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মন্ত্রিসভা ভবনের ছাদ ও ওপরের তলাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, "শত্রু প্রতিদিন দেশের মানুষের ওপর ভয়ের সৃষ্টি করছে।"
সিভিবিদেঙ্কো জানান, “আজ ভোরে আমরা ইনডিপেনডেনস স্কয়ারের আকাশে ধোঁয়ার এক বড় কুণ্ডলী উঠতে দেখেছি। এরপর আমরা (বিস্ফোরণের শব্দ) শুনেছি এবং দেখেছি, দুটি রুশ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছুটে চলছে। এরপর আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে।”
চাপের মুখে পদত্যাগ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রোববার দেশটির গণমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে শিগেরু জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। সম্প্রতি সংসদের উচ্চকক্ষে তার নেতৃত্বাধীন জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে নিজ দলের নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
দলীয় চাপের মুখে সাত দিন আগেও ইশিবার পদত্যাগের গুঞ্জন উঠেছিল। তখন তিনি এমন খবর নাকচ করে দিলেও, ঠিক এক সপ্তাহ পর তিনি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছালেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার সময় ইশিবা মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলার পাশাপাশি নিজের দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এলডিপি) সংস্কার আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই তার দল সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়।
আগামীকাল সোমবার এলডিপিতে বিশেষ নেতৃত্ব বাছাইয়ের কথা রয়েছে। আল জাজিরার খবর অনুযায়ী, দলের ভেতর সম্ভাব্য বিভক্তি এড়াতেই ইশিবার এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত।
ভারত ও রাশিয়া গভীর, অন্ধকার চীনের দিকে চলে গেছে: ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেছেন, ভারত ও রাশিয়া যেন ‘গভীর, অন্ধকার চীনের দিকে চলে গেছে’। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এই দুই দেশের নেতাদের বৈঠকের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি এই মন্তব্য করেন। ট্রাম্পের এই বক্তব্যে স্পষ্টত নিউ দিল্লি ও মস্কোর ওপর তার বিরক্তি প্রকাশ পেয়েছে।
ট্রাম্প তার পোস্টে লিখেছেন, “আমরা ভারত ও রাশিয়াকে গভীর, অন্ধকার চীনের কাছে হারিয়েছি। তারা একসাথে দীর্ঘায়ু ও সমৃদ্ধশালী হোক!” তিনি শি জিনপিং, ভ্লাদিমির পুতিন ও নরেন্দ্র মোদির একটি ছবিও শেয়ার করেছেন।
এই মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ক্রেমলিনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ট্রাম্পের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন শি জিনপিং চীনের তিয়ানজিনে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর শীর্ষ সম্মেলনে ২০টিরও বেশি অ-পশ্চিমা দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও উপস্থিত ছিলেন। সামিটে পুতিন ও মোদি একসাথে শি জিনপিংয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন এবং পরে তিনজনকে একসাথে দাঁড়াতেও দেখা যায়।
ট্রাম্প বারবার অভিযোগ করে আসছেন যে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য থেকে অসমভাবে লাভবান হচ্ছে। এই সপ্তাহে তিনি বলেছিলেন, পুতিনের প্রতি খুবই হতাশ হলেও রাশিয়া-চীন সম্পর্ক বৃদ্ধিকে নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন নন। তবে তিনি খুব শীঘ্রই পুতিনের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা করছেন বলেও জানান।
এক ঘটনাতেই উত্তাল ইন্দোনেশিয়া, পাশে দাঁড়িয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলো
ইন্দোনেশিয়ায় চলমান বিক্ষোভকে প্রতিবেশী দেশগুলোও সমর্থন জানাচ্ছে। সম্প্রতি একজন ডেলিভারি রাইডারের মৃত্যুর পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের নাগরিকরা জনপ্রিয় ডেলিভারি অ্যাপ গ্র্যাব ও গোজেক ব্যবহার করে ইন্দোনেশিয়ার রাইডারদের জন্য খাবার অর্ডার করছেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর গোজেকের চালক আফফান কুরনিয়াওয়ান পুলিশের গাড়ির নিচে চাপা পড়ে নিহত হওয়ার পর এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। এই ঘটনায় জনরোষ তীব্র আকার ধারণ করে এবং বিভিন্ন সরকারি ভবনে আগুন দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি দেশজুড়ে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বাড়তে থাকে। বিক্ষোভে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
প্রতিবেশী দেশগুলোর নাগরিকরা #SEAblings হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে এই প্রতিবাদে সমর্থন জানাচ্ছেন। ফিলিপাইনের সেবু দ্বীপের বাসিন্দা তারা (৩৪) জাকার্তায় দুই দফায় খাবার ও পানীয় পাঠিয়েছেন। একইসঙ্গে অনলাইনে অন্যদেরও সাহায্যের জন্য নির্দেশিকা পোস্ট করেছেন। মালয়েশীয় শিক্ষার্থী আয়মান হারিজ মুহাম্মদ আদিব বলেছেন, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাদের সাহস আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।”
ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে খাদ্য ও পানীয় বিতরণে প্রতিবেশী দেশগুলোর সমর্থন পেয়ে বিক্ষোভকারীরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন। কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, রাইডাররা আবেগাপ্লুত হয়ে বিদেশ থেকে আসা অর্ডারের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার বাইরে থেকে, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব এশিয়া থেকে খাবারের অর্ডার সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে।
বিহারের বিমানবন্দরে অদ্ভুত দৃশ্য: বিমানে ওঠার আগে রানওয়ের পাশে প্রস্রাব
ভারতের বিহারের দ্বারভাঙা বিমানবন্দরে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। বিমানে ওঠার ঠিক আগে রানওয়ের পাশে বসে প্রস্রাব করতে দেখা যায় এক বয়স্ক যাত্রীকে। সেই মুহূর্তের ভিডিও ক্যামেরায় ধরা পড়ে এবং পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রায় নয় সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা কুর্তা-পাজামা পরিহিত এক বৃদ্ধ রানওয়ের ঘাসের ওপর বসে প্রস্রাব করছেন। একই সময়ে বোর্ডিংয়ের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের লাইনও পেছনে দেখা যায়। ভিডিওটি প্রকাশের পর নেটিজেনদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। কেউ ঘটনাটিকে হাস্যরস হিসেবে নিচ্ছেন, আবার কেউ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
একজন মন্তব্য করেন, “বিমান ভ্রমণ এখন সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে এসেছে, কিন্তু ন্যূনতম শৃঙ্খলা মেনে চলাও জরুরি।” অন্য একজন বলেন, “ভুল তো হতেই পারে, কিন্তু পাইলটের উচিত হয়নি ভিডিওটি শেয়ার করা।”
ঘটনাটি বিমানবন্দর নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। সাধারণত রানওয়ে ও এর আশপাশে শক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নজরদারি ক্যামেরা এবং নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতি থাকে। সেখানে এভাবে যাত্রীর বসা বা চলাফেরা বিমান চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জরিপ শুরু হয়েছে—বিমানবন্দরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা প্রয়োজন কি না। অনেকেই ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছেন। তবে কেউ কেউ বলছেন, এমন ঘটনা খুবই বিরল, তাই অতি বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার নেই।
গাজা নগরীর কেন্দ্রে প্রবেশ করছে ইসরায়েলি সেনারা
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় শহর গাজা সিটির প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকা দখলে নেওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। এছাড়া, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) গাজার সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহত্তম এই নগরীর একাধিক সুউচ্চ ভবন ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা, যার মধ্যে একটি ১২ তলা ও একটি পাঁচতলা ভবন রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, তারা এখন গাজা নগরীর ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। ইসরায়েলি হামলা শুরুর আগে এই নগরীতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বসবাস করতেন। গত মাসের শুরুর দিকে গাজা নগরী পুরোপুরি দখলের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। ঘোষণার কিছুদিনের মধ্যেই প্রায় ৪০ বর্গকিলোমিটার নগরীর উপকণ্ঠে বিমান ও গোলা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। তারা ধীরে ধীরে নগরীর কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বোমা হামলা চালিয়ে নগরীর দ্য ম্যানেজমেন্ট অব মুশতাহা টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেয় ইসরায়েল। ভবনটিতে অনেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। হামলায় অনেকে হতাহত হয়েছেন। গাজা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, শুক্রবার ইসরায়েলের হামলায় গাজা নগরীসহ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ৬৯ জন নিহত ও ৪২২ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, ম্যানেজমেন্ট অব মুশতাহা টাওয়ারে হামাসের প্রতিরোধ যোদ্ধারা অবস্থান করছিলেন। কিন্তু টাওয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে হামাসের কোনো সদস্য ছিলেন না। ভবনটিতে অবস্থানকারীদের সবাই ছিলেন বেসামরিক ফিলিস্তিনি।
এদিকে, গাজা নগরীতে আরেকটি পাঁচতলা ভবনের বাসিন্দাদেরও সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। এখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ভবনটির একাংশ বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সামরিক বিশেষজ্ঞ ইলাইজা ম্যাগনিয়ার আল জাজিরাকে বলেন, নিজেদের সেনাদের হতাহতের সংখ্যা কমাতে গাজা নগরীর বহুতল ভবন লক্ষ্যবস্তু করছে ইসরায়েল। তবে বহুতল ভবন নিশানা করার অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। যেমন বেসামরিক বাসিন্দাদের ভীতসন্ত্রস্ত করা, যাতে তারা এই নগরী ছেড়ে চলে যান।
শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, গাজার নরকদ্বারের তালা এখন খুলে ফেলা হচ্ছে। দ্বারটি খোলার পর আর বন্ধ হবে না এবং ইসরায়েলের সামরিক কার্যক্রম আরও বাড়বে।
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের ৭০০তম দিন পূর্ণ হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা শুরুর পর থেকে অন্তত ১৯ হাজার ৪২৪টি শিশু নিহত হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ৫২ মিনিটে একটি শিশুর প্রাণহানি ঘটেছে। নিহত শিশুদের মধ্যে নবজাতক ও এক বছরেরও কম বয়সীর সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। একই সময়ে গাজায় ১০ হাজার ১৩৮ জন নারী ও ৪ হাজার ৬৯৫ জন বয়স্ক মানুষ নিহত হয়েছেন। এর অর্থ, নিহতের মধ্যে নারী ও বয়স্ক মানুষ প্রায় ২৩ শতাংশ। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ নিহত হয়েছেন ২৯ হাজার ৯৭৫ জন বা ৪৬ দশমিক ৭ শতাংশ।
গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যানে হামাস বা অন্যান্য ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর সদস্যসংখ্যা কত, তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে সম্প্রতি ইসরায়েলের ফাঁস হওয়া এক নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গাজায় নিহত ব্যক্তিদের প্রায় ৮৩ শতাংশই বেসামরিক মানুষ।
সূত্র: আল-জাজিরা
জিম্মি মুক্তি না হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে: ট্রাম্পের সতর্কবার্তা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে গভীর আলোচনা চলছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য দেন। ট্রাম্প বলেন, হামাসের সঙ্গে আমাদের গভীর আলোচনা হচ্ছে। আমি হামাসকে আহ্বান জানাব, জিম্মিদের মুক্তি দিন। তাহলে ভালো কিছু ঘটবে। তবে হামাস যদি গাজা থেকে জিম্মিদের মুক্তি না দেয়, তাহলে পরিস্থিতি জটিল হবে এবং খারাপ দিকে যাবে।
ট্রাম্প আরও বলেন, হামাসের হাতে বর্তমানে খুব বেশি জীবিত জিম্মি নেই, ফলে আলোচনার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, আমি সবসময় বলেছি—যখন জিম্মির সংখ্যা ১০ থেকে ২০ জনে নেমে আসে, তখন তাদের ফিরিয়ে আনা সহজ হয় না। যদি পর্যাপ্ত প্রচেষ্টা না করা হয়, তাহলে জিম্মিদের ফেরত পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। আবার অনেক ছাড় দিলে সেটি আত্মসমর্পণের মতো হবে, যা মোটেও ভালো কিছু নয়। এটি নিঃসন্দেহে একটি কঠিন পরিস্থিতি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েলে সাধারণ মানুষের ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এসব বিক্ষোভে জনগণ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও সমঝোতার দাবি জানায়। ট্রাম্পের মতে, ইসরায়েলি সমাজের এই চাপের কারণে গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সরকারের জন্য ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে।
এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে সব জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি লিখেছিলেন, দুই, পাঁচ বা সাতজন নয় সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। হামাস যদি তা করে, তবে ভালো কিছু ঘটবে।
-রফিক
পাঠকের মতামত:
- কক্সবাজার সৈকতে ক্রিকেটার মুশফিকুরের ভাতিজার মর্মান্তিক মৃত্যু
- শেখ হাসিনার উত্তরাধিকার প্রশ্ন: আওয়ামী লীগের সামনে এক অমীমাংসিত সংকট
- হাঁটার জাদু: সপ্তাহে পাঁচ দিনেই দূরে রাখুন হৃদরোগ ও চাপ
- রাশিয়ার নজিরবিহীন হামলার পর নতুন নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
- কপ-৩০ ঘিরে ব্রাজিলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার অঙ্গীকার বাংলাদেশের
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথে নতুন রূপরেখা চূড়ান্ত
- রঙিন প্রচারণায় বর্ণিল ডাকসু—ভোট মঙ্গলবার
- আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি চোরে চোরে মাসতুতো ভাই: সারজিস আলম
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
- হামাসকে আত্মসমর্পণের আহ্বান ইসরায়েলের
- হোন্ডা-গুন্ডার রাজনীতি আর চলবে না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
- জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসন ও মাসিক ভাতা দেওয়া হবে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা
- চার দফা দাবিতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে গ্রাহক
- সুস্থ ফুসফুসের জন্য যে ৫ খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি
- চবিতে চতুর্মুখী আন্দোলন, উত্তাল ক্যাম্পাস
- শান্তির পুরস্কার চাইছেন, অথচ ঝামেলা পাকাচ্ছেন’ সালমানের খোঁচা ট্রাম্পকে
- ভিপি পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থী আবিদুল
- বিবিএসের প্রতিবেদন: ৩৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি
- কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান
- ওসমান হাদির নামে ভিন্ন যুগলের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ফুটেজ ভাইরাল
- আওয়ামী লীগ নেতারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি: বদরুদ্দীন উমরের বিস্ফোরক মন্তব্য
- সামনে যাকে পাচ্ছে তাকেই কামড়াচ্ছে পাগলা ঘোড়া
- নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না কোনো শক্তি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব
- রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে নতুন মোড়: বাফার জোনের নিরাপত্তার দায়িত্বে কি বাংলাদেশ?
- ডাকসু নির্বাচন: শেষ দিনের প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থী ও সমর্থকরা
- পঞ্চগড়ের সফল মানুষ সারজিস আলম হয়ে যায়: জয়
- অবসরের পর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র মাতাবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
- গণতন্ত্রের জন্য জবাবদিহিমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য: রিজওয়ানা হাসান
- ইলিশের বাজারে আগুন: দুই বছরে চাঁদপুরে দাম বেড়েছে দ্বিগুণ
- ঢালিউডে শাকিব খানের ছবিতে আসছেন ‘অ্যানিমেল’ সিনেমার ডিওপি
- ডিএসই’র বাজার প্রতিবেদন: এক নজরে আজকের লেনদেন
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ইউক্রেনের মন্ত্রিসভার ভবনে রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- রাকসু নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করল ছাত্রদল
- ডিএসই ও সিএসইতে সূচকের বড় উত্থান, লেনদেন শুরু ইতিবাচক ধারায়
- শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই: কাদের সিদ্দিকী
- এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশকে নিয়ে আকাশ চোপড়ার খোঁচা, যা বললেন জাকের আলী
- ডিএসইতে নিম্নমুখী প্রবণতায় পুবালী ব্যাংক
- সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা গ্রেপ্তার
- লেনদেনহীন ২২ বন্ড, সীমিত লেনদেনে এগিয়ে দু’টি
- চাপের মুখে পদত্যাগ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু
- লন্ডনের স্বর্ণবাজারে আসছে ‘ডিজিটাল স্বর্ণ’, বদলাবে লেনদেন পদ্ধতি
- ড. ইউনূস সরকারের পদত্যাগের দাবি
- রাজনৈতিক দলের নেতাদের তেল দেবেন না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কড়া বার্তা
- এক্সিম ব্যাংকের শেয়ার দরপতন: বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা
- ডিএসসিসির জ্বালানি খাতে ভুয়া ব্যয়ের অভিযোগে দুদকের অভিযান
- শেয়ারদর বৃদ্ধি নিয়ে ডিএসইকে যে ব্যাখ্যা দিল বিডিকম অনলাইন
- রিলায়েন্স ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের সাপ্তাহিক NAV প্রকাশ
- ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন, জানুন ইশতেহারের আটটি অঙ্গীকার
- যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আস্থার শীর্ষে এএইচজেড
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ভ্যালু, ভলিউম ও ট্রেডে শীর্ষ ২০ কোম্পানি
- ডিএসই–৩০ সূচকের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর লেনদেনের চিত্র
- ০১ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ১ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- শেয়ারবাজারে ফিরল স্বস্তি, শীর্ষে থাকা কোম্পানির তালিকা প্রকাশ
- ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২৪ সালের নগদ লভ্যাংশ বিতরণ সম্পন্ন
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গোয়ালন্দে কবর অবমাননার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের তীব্র নিন্দা
- নোয়াখালীর সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুরের অবৈধ সম্পদের পাহাড়
- “তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ঐক্য সম্ভব”
- দেড় বছর পর ঢাকায় স্থায়ী রাষ্ট্রদূত পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ০২ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- বাংলাদেশি ওষুধের সাফল্য: যুক্তরাজ্যে রেনেটার নতুন পদচারণা