ডাকসু নির্বাচন ২০২৫
রঙিন প্রচারণায় বর্ণিল ডাকসু—ভোট মঙ্গলবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন–২০২৫-এর ১৩ দিনের প্রাণবন্ত প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে শনিবার রাত ১১টায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী এখন অপেক্ষা করছে বহুল প্রতীক্ষিত ভোটগ্রহণের জন্য, যা অনুষ্ঠিত হবে আগামী মঙ্গলবার। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে জানিয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এইবারের ডাকসু নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীদের সৃজনশীলতা ও কৌশল ছিল চোখে পড়ার মতো। পোস্টার, লিফলেট ও প্রচারণার ধরনে এসেছে অভিনবত্ব। কোনো প্রার্থী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ডলার কিংবা টাকার নোটের আদলে লিফলেট ছাপিয়েছেন, কেউ বানিয়েছেন গাছের আকারে হ্যান্ডআউট, আবার কেউ পোস্টারে ব্যবহার করেছেন ওয়াই-ফাই চিহ্ন। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বৃক্ষাকৃতির প্রচারপত্র বিলিয়েছেন, পরিবহন সম্পাদক প্রার্থী দিয়েছেন বাসের আদলে কার্ড, স্বাস্থ্য সম্পাদক প্রার্থী হৃদয়-আকৃতির পোস্টার বানিয়েছেন। এমনকি ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক প্রার্থী বিতরণ করেছেন বিড়ালের আকৃতির লিফলেট। কেউ বুকমার্কের মতো ডিজাইন করেছেন, কেউ আবার ক্রেডিট কার্ডের মতো প্রচারপত্র তৈরি করেছেন। আইন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী লিগ্যাল নোটিশের মতো পোস্টার ছাপিয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রচারণায় সৃজনশীলতার এক রঙিন ছোঁয়া ছিল।
প্রার্থীদের প্রচারণায় প্রাণ সঞ্চার করেছে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনের উন্মুক্ত বিতর্কসভা। গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রার্থীরা সরাসরি শিক্ষার্থীদের সামনে নিজেদের ভিশন ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন সেখানে।
প্রচারণায় অংশ নিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বামঘরানার বিভিন্ন সংগঠন, ইসলামী ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলন (বিডিএসএ) এবং স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য। প্রতিটি প্যানেলই মিছিল, পথসভা, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও উন্মুক্ত আলোচনা আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের সামনে নিজেদের ইশতেহার উপস্থাপন করেছে।
ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে গুরুত্ব দিয়েছেন প্রার্থীরা। আবাসিক হলগুলোতে দরজায় দরজায় প্রচারণার পাশাপাশি বাসে যাতায়াতরত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলোচনাসভা আয়োজন করেছে কয়েকটি প্যানেল, যেখানে মেয়েদের প্রশ্ন ও সমস্যার উত্তর দিয়েছেন প্রার্থীরা।
ভোটারদের প্রতিক্রিয়া ছিল উৎসাহব্যঞ্জক। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্নাতকোত্তরের এক শিক্ষার্থী বলেন, “এবারের ডাকসু নির্বাচন নিঃসন্দেহে সবচেয়ে উৎসবমুখর। প্রতিটি প্রচারপত্রই অভিনব ও আলাদা।” বিশ্ববিদ্যালয়ের আর এক শিক্ষার্থী শামসুল আলম জানান, “প্রার্থীরা যখন সরাসরি আমাদের কাছে এসে ক্যাম্পাস উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেয়, তখন ভালো লাগে। আসলে ডাকসু এক ভিন্ন মাত্রার সংযোগ তৈরি করে।”
ভিপি প্রার্থী আবদুল কাদের বলেন, “শিক্ষার্থীরা আমাদের চেনে, তাই নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হয়নি। আমরা আগে থেকেই কাজ করেছি। আমাদের কথা ও কাজে সামঞ্জস্য ছিল বলেই শিক্ষার্থীরা আমাদের বিশ্বাস করে।” তবে তিনি ভোটকেন্দ্রগুলো আবাসিক হলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন, যা অংশগ্রহণে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তানভীর বারি হামিম বলেন, “শিক্ষার্থীরা উষ্ণ অভ্যর্থনা দিচ্ছেন। আমরা অঙ্গীকার করছি নিরাপদ ও সবার জন্য সমান ক্যাম্পাস গড়ে তুলব।” একইভাবে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আল সাদি ভুইয়া জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশের প্রত্যাশায় তাদের সমর্থন জানাচ্ছেন।
নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক জসীম উদ্দিন জানান, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ব্যালট বাক্স বিতরণসহ সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদেরও মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচন দিবসে ক্যাম্পাস বহিরাগতদের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে, বাইরের যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ডাকসু নির্বাচন ঘিরে এবারের প্রচারণা ছিল বর্ণিল, সৃজনশীল ও প্রাণবন্ত। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা—সত্যিকারের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে তাদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করবেন।
-এম জামান
রাষ্ট্র ইমোশন দিয়ে চলে না:সালাহউদ্দিন আহমদ
রাষ্ট্র কোনো আবেগ দিয়ে চলে না’—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে চলমান বিতর্কের প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি জোর দিয়েছেন যে, সনদ বাস্তবায়নে বৈপ্লবিক আবেগের বদলে দেশের আইন ও সাংবিধানিক পথ অনুসরণ করা জরুরি।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
‘এক্সট্রা কন্স্টিটিউশনাল অর্ডার’ নিয়ে আপত্তি
সালাহউদ্দিন আহমদ সাম্প্রতিক আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন:
“আমি কালকে [বুধবার নাহিদ ইসলামের] বলতে শুনলাম যে, এটা ‘এক্সট্রা কন্স্টিটিউশনাল অর্ডার’ করে জাতীয় সনদ জারি করতে পারে এবং সেটা প্রধান উপদেষ্টাকে বলা হচ্ছে যে, প্রধান উপদেষ্টা এটা জারি করতে পারেন।”
বিএনপি নেতা এই ধারণার বিরোধিতা করে বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা সরকার প্রধান এবং সরকার প্রধানের আইন জারির কোনো অধিকার বাংলাদেশের সংবিধানে নেই।” তিনি ব্যাখ্যা করেন, সরকারের পক্ষে মন্ত্রিসভার অনুমোদনে, সংসদ না থাকলে রাষ্ট্রপতিই কেবল আইন পাশ করতে পারেন। তিনি মনে করেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সরকার শুধু ‘প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে’ তা কার্যকর করার পদক্ষেপ নিতে পারে।
গণভোট ও আইনি ভিত্তি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর আগে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর বলেছিলেন, সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তির জন্য জনগণকেই চূড়ান্ত রায় দিতে হবে। সালাহউদ্দিন আহমদ সেই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন:
চূড়ান্ত রায়: বিএনপি জনগণের কাছে যেতে চায়। জনগণ যদি গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বলে, তবে সেটাই হবে ‘আর্টিকেল সেভেন সাব-সেকশন টু’ অনুসারে জনগণের অভিপ্রায়ের চূড়ান্ত অভিব্যক্তি ও সর্বোচ্চ আইনি ভিত্তি।
গণভোটের ধরন: তিনি বলেন, “আমরা জনগণের কাছে যাব, জনগণ যদি এটা হ্যাঁ বলে, এটা বাস্তবায়িত হবে এবং সেই সম্মতির জন্যই আমরা বলেছি একই দিনে একটি গণভোটের আয়োজন করা যেতে পারে, ছোট্ট একটা ব্যালটের মধ্যে।”
অনৈক্য ও এনসিপি
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই সনদের পক্ষে দুটি রাজনৈতিক দল ছাড়া বাকি সবাই একমত হয়েছে এবং তারা সনদে স্বাক্ষরও করেছে। তিনি নাম না নিয়ে এনসিপি প্রসঙ্গে বলেন, একটি রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করার জন্য সুযোগ খুঁজছে এবং তাদের কিছু দাবি দেওয়া আছে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, আলোচনায় তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে একটি যৌক্তিক সমাধান আসবে।
রাশিয়ার ওপর ইইউর নতুন নিষেধাজ্ঞা: জ্বালানি খাতে চাপ বাড়ছে
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা মূলত ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মস্কোর জ্বালানি আয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। বুধবার ডেনমার্ক, যা বর্তমানে ইইউর ঘূর্ণায়মান সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে, এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে। এটি ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর ইইউর গৃহীত ১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ।
এই নতুন পদক্ষেপ এমন এক সময় এলো যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের শান্তি প্রচেষ্টা স্থবির হয়ে পড়েছে, আর ইউরোপ চায় রাশিয়ার ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে।
তবে নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের অনুমোদন সহজ ছিল না। রাশিয়া-ঘনিষ্ঠ স্লোভাকিয়া প্রথমে এর বিরোধিতা করে, তাদের গাড়ি শিল্পকে ইইউর জলবায়ু আইন থেকে সুরক্ষা চেয়ে। শেষ পর্যন্ত স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো যথাযথ আশ্বাস পাওয়ার পর তার আপত্তি প্রত্যাহার করেন, ফলে বুধবার প্যাকেজটি অনুমোদিত হয়।
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ২৭ সদস্য দেশের এই জোট রাশিয়া থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) আমদানি নিষিদ্ধের সময়সীমা এক বছর এগিয়ে এনে ২০২৭ সালের শুরু থেকে কার্যকর করছে। পাশাপাশি, রাশিয়ার তেল রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ব্যবহৃত তথাকথিত “শ্যাডো ফ্লিট”-এর ১০০টিরও বেশি পুরনো ট্যাঙ্কারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
ইইউ শুধু জ্বালানি রাজস্বই নয়, বরং রাশিয়ার কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডকেও কঠোর নজরদারির আওতায় আনছে। নতুন বিধান অনুযায়ী, ইউরোপে নিযুক্ত রুশ কূটনীতিকদের অন্য কোনো দেশে ভ্রমণের আগে সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করতে হবে। ইউরোপীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মতে, এই ব্যবস্থা মূলত গুপ্তচরবৃত্তি কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
ডেনমার্ক জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেওয়া হবে বৃহস্পতিবার, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ব্রাসেলসে ইইউ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেওয়ার ঠিক আগে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ইউরোপীয় ঐক্যের একটি দৃঢ় বার্তা—যা ইউক্রেনের প্রতি অব্যাহত সমর্থন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত চাপ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি বহন করে।
-হাসানুজ্জামান
সিইসি’র সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি কী দাবি জানাল?
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নির্বাচন কমিশন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে যারা উপস্থিত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলে আরও উপস্থিত আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং সাবেক অতিরিক্ত সচিব ডক্টর মোহাম্মদ জকরিয়া।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ প্যানেলসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এর আগে, গত ২১ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ধারাবাহিক রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেছিল। সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বুধবার (২২ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দলের অতীতের ভুলের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের ২২ অক্টোবর পর্যন্ত জামায়াত যত ভুল করেছে, তার জন্য তিনি ক্ষমা চাইছেন।
ক্ষমা প্রার্থনা ও তার ব্যাখ্যা
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “৪৭ থেকে আজকের দিন (২২ অক্টোবর) পর্যন্ত আমাদের দ্বারা যে যেখানে যত কষ্ট পেয়েছেন, আমরা বিনা শর্তে তাদের কাছে মাফ চাই।”
বারবার ক্ষমা: জামায়াত আমির বলেন, এই ক্ষমা প্রার্থনা তিনি কমপক্ষে তিনবার করেছেন। অধ্যাপক গোলাম আযম, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং তিনিও অতীতে ক্ষমা চেয়েছেন।
ভুলের কারণ: তিনি বলেন, “আমাদের ১০০টার মধ্যে ৯৯টা সিদ্ধান্ত সঠিক, একটা তো বেঠিক হতে পারে। সেই বেঠিক একটা সিদ্ধান্তের জন্য জাতির ক্ষতি হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে আমার কোনো সিদ্ধান্তের জন্য যদি জাতির ক্ষতি হয়, তাহলে আমার মাফ চাইতে অসুবিধা কোথায়।”
নিঃশর্ত ক্ষমা: তিনি সব ব্যক্তি এবং সংগঠনের পক্ষে নিঃশর্তে ক্ষমা চেয়েছেন এবং সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্বাচন ও সংখ্যালঘু
গণভোট: নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই পিআর পদ্ধতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গণভোট করতে হবে।
নির্বাচনের সময়: তিনি নিশ্চিত করেন, ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই।
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা: তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী সংখ্যালঘুরা নির্বিঘ্নে থাকবে।
জামায়াতের হুঁশিয়ারি: কিছু উপদেষ্টা একটি দলের পক্ষে কাজ করছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তার পরিষদভুক্ত কয়েকজন উপদেষ্টাকে নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে কাদের নিয়ে এই আপত্তি, তাদের নাম প্রকাশ করেনি দলটি।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য জানান।
আপত্তির কারণ ও হুঁশিয়ারি
আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, “আমরা বলেছি, কিছু কিছু লোক আপনাকে (প্রধান উপদেষ্টাকে) বিভ্রান্ত করে এবং ওরা কোনো একটা দলের পক্ষে কাজ করে আমরা মনে করি। তাদেরকে, তাদের ব্যাপারে আপনাকে হুঁশিয়ার থাকা দরকার।”
এক দিন আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপিও কয়েকজন উপদেষ্টাকে নিয়ে আপত্তি তুলেছিল। নাম উল্লেখ না করে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিতে বিএনপিও আহ্বান জানিয়েছিল।
অপসারণের দাবি: সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, “আমরা প্রথম দিন দৃষ্টি আকর্ষণ করছি... আমরা প্রথমদিন যাইয়াই অপসারণ চাইনি। আমরা বলছি, আমরা এখন দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা সময় দিচ্ছি। যদি না হয়, তাহলে আমরা যা যা করার, সেগুলোর ব্যাপারে আমরা চিন্তা করব।”
প্রধান উপদেষ্টার আশ্বাস ও আলোচনা
জামায়াতে ইসলামীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “উনি এগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করছেন এবং যেটা করতে হবে, সেটি উনি করবেন, ইনশা আল্লাহ।”
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে:
জুলাই সনদ: জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া।
গণভোট: নভেম্বর মাসের শেষ দিকে গণভোট আয়োজন।
আইনি ব্যবস্থা: জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য ‘এক্সট্রা জুড়িশিয়াল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ জারির বিষয়ে আলোচনা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার: তার দল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় আছে। রায়ে কোনো ব্যত্যয় না হলে অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে বলেও আশাবাদ জানান তিনি।
বৈঠকে আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের জামায়াতে ইসলামীর চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
নাহিদ ইসলামের বিস্ফোরক দাবি: জানালেন কেন নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করা জরুরি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেছেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পুনর্গঠন প্রয়োজন। তিনি বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনের গঠন প্রক্রিয়া, নির্বাচন কমিশনের বর্তমান আচরণ আমাদের কাছে মনে হচ্ছে যে এটা নিরপেক্ষ হচ্ছে না। এটা স্বচ্ছ হচ্ছে না।”
বুধবার (২২ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি’র প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
নাহিদ ইসলাম বলেন, “নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যেভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা ছিল, সেটা করছে না। কিছু কিছু দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখা যাচ্ছে এবং কোনো কোনো দলের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ তারা করছে।”
তিনি বলেন, বিগত সময়গুলোতে নির্বাচন কমিশন যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোতে কীভাবে তাদের পক্ষপাতিত্ব ফুটে উঠেছে, সেই বিষয়ে তারা প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন, আর সেই লক্ষ্যে এই মুহূর্তে ইসি পুনর্গঠিত হওয়া প্রয়োজন।
জুলাই সনদের শর্ত
ঐতিহাসিক জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়েও দলটির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “জুলাই সনদের শুধু কাগজের মূল্যে আমরা বিশ্বাসী নই। এটি কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, সেটা সম্পর্কে নিশ্চয়তা পাওয়ার পরেই আমরা স্বাক্ষর করব।”
সারজিসের নতুন বার্তা: নন-ক্যাডার পদে নিয়োগবিধি নিয়ে কী বললেন?
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানিয়েছেন, নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ বিশেষ সংশোধন বিধিমালাটি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে তারা প্রত্যাশা করছেন।
বুধবার (২২ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
যৌক্তিক দাবি ও দীর্ঘদিনের সমস্যা
সারজিস আলম বলেন, ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিল যৌক্তিক কোটা সংস্কার আন্দোলন দিয়ে। সেই চাকরিপ্রত্যাশী ভাইবোনদের যৌক্তিক দাবি এনসিপির কাছে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মাঝে ‘নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ বিশেষ সংশোধন বিধিমালা ২০২৫’ দ্রুত করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার আশ্বাস: তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা কথা দিয়েছেন, এই ফাইল তার টেবিলে আসা মাত্রই তিনি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এটি অনুমোদন দেবেন।
পিএসসি’র কাছে অনুরোধ: এনসিপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ৪৩তম বিসিএস-এর নন-ক্যাডার প্রার্থীদের জন্য অধিযাচিত পদগুলোতে দ্রুততম সময়ে সুপারিশের জন্য প্রস্তাব করার অনুরোধ করেছে।
সমস্যার মূল কারণ
এনসিপির এই নেতা ব্যাখ্যা করেন, কেন এই সমস্যা দ্রুত সমাধান করা জরুরি:
“একজন মানুষ এবার শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন, পরেরবার তিনি অন্য ক্যাডার প্রত্যাশায় যখন আবার পরীক্ষা দেন, কিন্তু পুনরায় শিক্ষা ক্যাডার পান, তখন তিনি সিনিয়রিটির জন্য পূর্বের ক্যাডারেই থেকে যান। এতে ওই মানুষটির নতুন করে যে পদটি পেয়েছেন, ওই পদটি খালি থাকে এবং তার পরেই যে যোগ্য মানুষটি ছিল, তিনি ওই পদটা থেকে বঞ্চিত হন।”
তিনি মনে করেন, এই সমস্যা প্রতিটি ক্যাডারেই দেখা যায় এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে, অর্থাৎ আগামী সপ্তাহেই, এই সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন।
বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা ছাড়া সই নয়: জুলাই সনদে এনসিপি’র শর্ত
জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়নটা কীভাবে হবে, সেইটার সম্পর্কে নিশ্চয়তা পাওয়ার পরেই আমরা স্বাক্ষর করব।”
বুধবার (২২ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনি ভিত্তি ও গণভোটের দাবি
নাহিদ ইসলাম বলেন, যেহেতু জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টি অংশ নেয়নি, তাই তারা তাদের অবস্থান সরকারের কাছে এবং ঐকমত্য কমিশনের কাছেও তুলে ধরেছেন।
দাবির মূলকথা: “জুলাই সনদের শুধু কাগজের মূল্যে আমরা বিশ্বাসী নই। এটি কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, সেইটার সম্পর্কে নিশ্চয়তা পাওয়ার পরেই আমরা স্বাক্ষর করব।”
সাংবিধানিক আদেশ: তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য একটি সাংবিধানিক আদেশের কথা তারা বলছেন। গণঅভ্যুত্থানে জনগণের যে সার্বভৌম ক্ষমতা, সেটার একমাত্র বৈধতা প্রধান উপদেষ্টারই আছে। এনসিপি সেই আদেশের আইনি ও রাজনৈতিক কারণ প্রধান উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেছে।
নোট অব ডিসেন্ট: নাহিদ ইসলাম বলেন, যেহেতু সবাই বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, তাই নোট অব ডিসেন্টের (ভিন্নমত) কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। জুলাই সনদে যেই বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেগুলো গণভোটে যাবে এবং গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হলে পরবর্তী সংসদ একটি নতুন সংবিধান তৈরি করবে।
নাহিদ ইসলাম জানান, সরকার তাদের দাবিগুলো বিবেচনা করে এবং যৌক্তিকভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে এগিয়ে যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটার ওপর নির্ভর করেই তারা সনদের স্বাক্ষরের বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. তাহেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল যমুনায়
রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে।
জামায়াত প্রতিনিধিদল
প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
জামায়াত মূলত জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, বিশেষ করে পিআর পদ্ধতি ও নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে আলোচনা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এনসিপি ও বিএনপির বৈঠক
এনসিপি: এর আগে, বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন সারজিস আলম, তাসনিম জারা সহ অন্যান্য নেতারা।
বিএনপি: গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিল।
পাঠকের মতামত:
- চুল পড়া বেড়েছে? অ্যালোপেশিয়ার লক্ষণ, ঘরোয়া প্রতিকার ও করণীয়
- চোখই বলে দেবে হৃদরোগের ঝুঁকি: যে ৫টি লক্ষণ চোখে দেখলে সতর্ক হবেন
- ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- সাগর-রুনি হত্যা মামলা: তদন্ত শেষ করতে আর কত বছর লাগবে, ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
- শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি, যেতে বাধ্য হয়েছেন: আইনজীবীর যুক্তি
- রাষ্ট্র ইমোশন দিয়ে চলে না:সালাহউদ্দিন আহমদ
- ইসরায়েলকে ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি
- প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশ করবে ইসি
- ২৩ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- সাইফ-সৌম্যর ব্যাটে: ৩৪৫ দিন পর যে ‘কীর্তি’ গড়ল বাংলাদেশ
- বিতর্কিত কর্মকর্তাদের দায়িত্বে রাখা যাবে না: সিইসিকে বিএনপির আহ্বান
- হত্যা না আত্মহত্যা? সালমান শাহ্র মৃত্যুর ২৯ বছর পর ফ্ল্যাটের দৃশ্য ভাইরাল
- পুরুষ হলে মুখোমুখি হোন: পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে টিটিপি’র সরাসরি চ্যালেঞ্জ
- রায় ঘোষণার চূড়ান্ত দিন ধার্য: শেখ হাসিনার মামলার রায় নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে
- রূপকথা নয় সত্যি! আমাজনের গভীরে মিললো সেই ফুটন্ত জলের নদী
- “শান্তি আনতে পারবেন একমাত্র ট্রাম্প”—ওয়াশিংটনে ন্যাটো মহাসচিব রুটে
- রাশিয়ার ওপর ইইউর নতুন নিষেধাজ্ঞা: জ্বালানি খাতে চাপ বাড়ছে
- সিইসি’র সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি কী দাবি জানাল?
- যে দেশে ঘর জামাই দত্তক নিয়ে বানানো হয় কোম্পানির সিইও
- লিভারপুলের ৫-১ জয়ে ফিরে আসা, চেলসি-রিয়াল-বায়ার্নও জয়ী
- এআই বিভাগে ছাঁটাই, তবে গবেষণা প্রকল্পে বিন্দুমাত্র ছাড় নয়: মেটা
- মিরপুরে আজ সম্মানের লড়াই: সিরিজ বাঁচাতে পারবে কি বাংলাদেশ?
- ল্যুভর মিউজিয়াম: মোনালিসা চুরি হয়েছিল যেভাবে
- জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা
- বৈষম্যহীন ন্যায়বিচারের দাবি: গুমের ভুক্তভোগীদের কণ্ঠে বিচার, জবাবদিহিতা ও রাষ্ট্রীয় আস্থার প্রশ্ন
- এল ডোরাডো থেকে ট্রয়: ইতিহাসের হারানো ৬ শহর, যার রহস্য আজও অমীমাংসিত
- ডোপামিন আসক্তি: নিষিদ্ধ ভিডিওর ফাঁদে তরুণ প্রজন্ম, অজান্তেই হচ্ছে সাইবার অপরাধ
- দ্রুত ওজন কমাতে চান? সকালে পান করুন এই জাদুকরী পানীয়
- রাশিফল: ২৩ অক্টোবর দিনটি আপনার জন্য কেমন যাবে?
- পুরুষের কি স্তন ক্যানসার হতে পারে? জেনে নিন চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলছে
- রাশিয়ার দুই শীর্ষ তেল কোম্পানির ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
- মিঠামইনের অঘোষিত রাজা,হারুন অর রশীদের দুর্নীতির সাম্রাজ্য
- নিঃশ্বাস নিন সতেজ বাতাসে: ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ করবে এই তিন ইনডোর গাছ
- আজই মামলার রায়: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের মুখে শেখ হাসিনা
- মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে রাতভর সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ, নিহত ১
- ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের বিল পাশ, আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন
- ইচ্ছেপূরণ প্রকল্পে নতুন বিতর্ক: বাতিলের সিদ্ধান্ত বদলে ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব
- ব্রেস্ট ক্যান্সার: কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ—সচেতনতাই বাঁচাতে পারে জীবন
- রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ল, নতুন তথ্য দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- সাইবার হামলা ঠেকাতে মেটার নতুন পাসকি ও সতর্কতা সুবিধা চালু
- জামায়াতের হুঁশিয়ারি: কিছু উপদেষ্টা একটি দলের পক্ষে কাজ করছে
- নাহিদ ইসলামের বিস্ফোরক দাবি: জানালেন কেন নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করা জরুরি
- ফরজ গোসলে দেরি করলে কি গুনাহ হয়? জেনে নিন ইসলামি স্কলারদের মত
- ‘৩আই/অ্যাটলাস’ কি এলিয়েনদের তৈরি? হার্ভার্ড বিজ্ঞানীর অভিযোগে নতুন মোড়
- সারজিসের নতুন বার্তা: নন-ক্যাডার পদে নিয়োগবিধি নিয়ে কী বললেন?
- সেন্ট মার্টিনে রাত্রিযাপন নিয়ে নতুন ঘোষণা
- বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা ছাড়া সই নয়: জুলাই সনদে এনসিপি’র শর্ত
- ইবন খালদুন: রাজনীতি, সমাজ ও ইতিহাসের এক অবিনশ্বর তাত্ত্বিক
- ফ্রান্স: সভ্যতা, প্রজাতন্ত্র ও মানবমুক্তির দীপ্ত ইতিহাস
- বান্দরবান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি
- রিশাদ ম্যাজিক স্পিনে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- অভিভাবকতন্ত্রের প্রলোভন: জেনারেল ভূঁইয়ার বয়ান ও গণতন্ত্রের ঘড়ি থামানোর বিপদ
- ‘এখনই অস্ত্র ত্যাগ নয়’: গাজা পুনর্গঠন ও নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে অনড় হামাস
- মাইগ্রেনের সমস্যা: যে ৬টি অভ্যাস আজই আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে
- শীতকাল আসছে: সুস্থ থাকতে এখনই বর্জন করুন এই ৫টি অভ্যাস
- ২০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২০ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- জ্বীনের অদৃশ্য জগৎ: বিজ্ঞান কি খুলতে চলেছে সেই রহস্যের দরজা?
- ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- ২০ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ








