হামাসকে আত্মসমর্পণের আহ্বান ইসরায়েলের

গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে হামাসকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজার সবচেয়ে বড় শহরের কেন্দ্রে বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সাআর জেরুজালেমে বলেন, “যদি হামাস গাজায় আটকে থাকা বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেয় এবং অস্ত্র সমর্পণ করে, তাহলে এই যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা রাজনৈতিক উপায়ে এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে খুবই খুশি হবো।”
এর জবাবে, হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেন, তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না। তবে ইসরায়েল যদি যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং গাজা থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করতে রাজি হয়, তাহলে তারা সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে। এটি দীর্ঘদিন ধরে এই ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অবস্থান।
গত মাসে ইসরায়েল গাজা সিটিতে হামলা শুরু করে এবং বর্তমানে তাদের সেনারা শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, রাতভর হামলায় শহরজুড়ে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজা সিটির দক্ষিণে একটি স্কুলেও হামলা হয়েছে, যেখানে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল।
স্কুলে হামলা প্রসঙ্গে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা হামাসের একজন যোদ্ধাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল এবং হামলা চালানোর আগে বেসামরিক নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছিল। সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, “ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য যেকোনো হুমকি দূর করতে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাবে।
সূত্র: রয়টার্স
ইসরায়েলকে ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি
ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর অধিগ্রহণ যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করবে না। এ ধরনের কাজ করলে ইসরায়েলকে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সব সমর্থন হারাবে তারা।
টাইম ম্যাগাজিনকে ট্রাম্পের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের বরাতে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এনবিসি নিউজ ও দ্য টাইমস অব ইসরায়েল এ-সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করেছে।
আরব বিশ্বকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি
ট্রাম্প বলেন, পশ্চিম তীর অধিগ্রহণ হবে না, কারণ তিনি আরব দেশগুলোকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন:
“আমি আরব দেশগুলোকে কথা দিয়েছি। আমাদের প্রতি আরবদের অনেক সমর্থন রয়েছে। ইসরায়েল পশ্চিম তীর অধিগ্রহণ করতে পারবে না কারণ আমি আরবদের কথা দিয়েছি।”
ইসরায়েলি সরকারের উগ্রপন্থি এমপি-মন্ত্রীরা পুরো পশ্চিম তীর অধিগ্রহণের জন্য চাপ দিচ্ছেন। ঠিক সেই মুহূর্তে ট্রাম্পের এই মন্তব্য এলো।
গাজা পরিদর্শন ও আগের হুঁশিয়ারি
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি গাজা উপত্যকা পরিদর্শনের পরিকল্পনা করছেন। যদিও তিনি এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি।
পশ্চিম তীর নিয়ে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি এবারই প্রথম নয়। সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে দেবেন না। ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “আমি পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে দেব না, কোনোভাবেই না। এটা হবে না।” তিনি বলেন, “যথেষ্ট হয়েছে। এবার থামতে হবে।”
পুরুষ হলে মুখোমুখি হোন: পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে টিটিপি’র সরাসরি চ্যালেঞ্জ
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) তাদের প্রকাশিত এক ভিডিওতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছে। ভিডিওতে থাকা টিটিপি নেতা, যাকে পাকিস্তানি সূত্রে কমান্ডার কাজিম বলে দাবি করা হয়েছে, তিনি বলেছেন, “আপনি পুরুষ হয়ে থাকলে আমাদের মুখোমুখি হোন।”
ভিডিওর বার্তা ও হামলার দৃশ্য
ভিডিওতে ৮ অক্টোবর খাইবার পাখতুনখাওয়ার কুররাম অঞ্চলে হওয়া এক হামলার কিছু দৃশ্য দেখানো হয়। টিটিপি ওই হামলায় ২২ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়েছে দাবি করেছে; যদিও সেনাবাহিনী নিহতের সংখ্যা ১১ জানিয়েছিল। ক্লিপে জব্দ করা গোলাবারুদ ও ধ্বংসস্তূপ দেখা যায়।
কমান্ডার কাজিম ভিডিওতে কটূক্তিমূলক বার্তা দিয়েছেন:
“যদি মায়ের দুধ পান করে বড় হয়ে থাকেন, সরাসরি আমাদের সঙ্গে লড়াই করুন।”
কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ
পুরস্কার ঘোষণা: পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে নিয়ে কমান্ডার কাজিমকে ধরতে ১০ কোটি পাকিস্তানি রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
তদন্ত: সামরিক ও নিরাপত্তা সূত্ররা বলছে, ঘটনাটির ফরেনসিক যাচাই চলছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
“শান্তি আনতে পারবেন একমাত্র ট্রাম্প”—ওয়াশিংটনে ন্যাটো মহাসচিব রুটে
ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে বুধবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগকে গুরুত্বহীন বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব “শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বেই”।
রুটে ওয়াশিংটনে সফরকালে কংগ্রেস ভবনে মার্কিন সিনেট সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং পরে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন। এটি এমন এক সময়ের সফর, যখন মাত্র কয়েকদিন আগেই ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা জল্পনা ছড়ায়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রুটে বলেন, “গত সপ্তাহের বৈঠককে ব্যর্থ বলা ঠিক নয়; এটি ছিল একটি সফল আলোচনা।” তিনি জানান, সফরটি পূর্বনির্ধারিত ছিল এবং তিনি নিজেই ট্রাম্পকে বার্তা পাঠিয়ে ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ন্যাটো মহাসচিব বলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখি। আমি বিশ্বাস করি, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এই সংঘাতের অবসান ঘটানোর একমাত্র সামর্থ্য তাঁরই আছে।”
রুটের ভাষায়, “এই প্রক্রিয়ায় ট্রাম্পের নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁকে বিশ্বের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে সংলাপে যেতে হবে—পুতিনের সঙ্গেও, জেলেনস্কির সঙ্গেও।”
রিপাবলিকান সিনেটর থম টিলিস, যিনি রুটের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জানান, ইউক্রেনকে দীর্ঘ-পাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি এখনো আলোচনার টেবিলে আছে। টিলিস বলেন, “এই অস্ত্রের ক্ষমতা ও পরিসর অত্যন্ত বিস্তৃত। ইউক্রেনকে এগুলো দেওয়া হলে তা শুধু কৌশলগত নয়, বরং কূটনৈতিকভাবে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।”
গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়, তবে বৈঠক শেষে ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এক জ্যেষ্ঠ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা জানান, “আলোচনাগুলো সহজ ছিল না। শান্তি প্রক্রিয়া মনে হচ্ছে ক্রমেই দীর্ঘায়িত হচ্ছে, যেন আমরা এক বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছি।”
অন্যদিকে, ট্রাম্পের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে বুদাপেস্টে বৈঠকের কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, “অর্থহীন বৈঠকের কোনো প্রয়োজন নেই।” পরে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন যে, “নিকট ভবিষ্যতে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই।”
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প তাঁর ব্যক্তিগত কূটনৈতিক রসায়নের ওপর নির্ভর করে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান খুঁজছেন, কিন্তু পুতিনের অটল অবস্থানের কারণে তাঁর প্রচেষ্টা বারবার জটিল হয়ে উঠছে। অন্যদিকে, ন্যাটো মহাসচিব রুটের এই সফরকে অনেকে ইউরোপীয় সমর্থনের পুনর্ব্যক্তি হিসেবে দেখছেন—যেখানে পশ্চিমা জোট এখনো বিশ্বাস করে, শান্তির পথ বের করতে মার্কিন নেতৃত্বই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।
-হাসানুজ্জামান
রাশিয়ার ওপর ইইউর নতুন নিষেধাজ্ঞা: জ্বালানি খাতে চাপ বাড়ছে
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা মূলত ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মস্কোর জ্বালানি আয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। বুধবার ডেনমার্ক, যা বর্তমানে ইইউর ঘূর্ণায়মান সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে, এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে। এটি ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর ইইউর গৃহীত ১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ।
এই নতুন পদক্ষেপ এমন এক সময় এলো যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের শান্তি প্রচেষ্টা স্থবির হয়ে পড়েছে, আর ইউরোপ চায় রাশিয়ার ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে।
তবে নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের অনুমোদন সহজ ছিল না। রাশিয়া-ঘনিষ্ঠ স্লোভাকিয়া প্রথমে এর বিরোধিতা করে, তাদের গাড়ি শিল্পকে ইইউর জলবায়ু আইন থেকে সুরক্ষা চেয়ে। শেষ পর্যন্ত স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো যথাযথ আশ্বাস পাওয়ার পর তার আপত্তি প্রত্যাহার করেন, ফলে বুধবার প্যাকেজটি অনুমোদিত হয়।
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ২৭ সদস্য দেশের এই জোট রাশিয়া থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) আমদানি নিষিদ্ধের সময়সীমা এক বছর এগিয়ে এনে ২০২৭ সালের শুরু থেকে কার্যকর করছে। পাশাপাশি, রাশিয়ার তেল রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ব্যবহৃত তথাকথিত “শ্যাডো ফ্লিট”-এর ১০০টিরও বেশি পুরনো ট্যাঙ্কারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
ইইউ শুধু জ্বালানি রাজস্বই নয়, বরং রাশিয়ার কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডকেও কঠোর নজরদারির আওতায় আনছে। নতুন বিধান অনুযায়ী, ইউরোপে নিযুক্ত রুশ কূটনীতিকদের অন্য কোনো দেশে ভ্রমণের আগে সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করতে হবে। ইউরোপীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মতে, এই ব্যবস্থা মূলত গুপ্তচরবৃত্তি কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
ডেনমার্ক জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেওয়া হবে বৃহস্পতিবার, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ব্রাসেলসে ইইউ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেওয়ার ঠিক আগে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ইউরোপীয় ঐক্যের একটি দৃঢ় বার্তা—যা ইউক্রেনের প্রতি অব্যাহত সমর্থন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত চাপ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি বহন করে।
-হাসানুজ্জামান
ল্যুভর মিউজিয়াম: মোনালিসা চুরি হয়েছিল যেভাবে
মাত্র সাত মিনিটের অল্প সময়েই প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘর থেকে নেপোলিয়ন যুগের মূল্যবান রত্ন চুরির ঘটনা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই জাদুঘরের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এটি অনেকের কাছে হলিউডের কোনো সিনেমার গল্প মনে হলেও, আসল সত্য হলো—ল্যুভর জাদুঘরে চুরির ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে একে একে সাত বারের বেশি চুরি হয়েছে ফরাসি এই শিল্পের আঁতুড়ঘরে।
ল্যুভরের সেই ৭টি চুরির ঘটনা
১. ১৯১১ সালের বিখ্যাত ‘মোনালিসা’ চুরি: ২১ আগস্ট, ১৯১১। ইতালির ভিনসেনজো পেরুজিয়া নিজের পুরনো কর্মীর পোশাক পরে ল্যুভরে ঢোকেন। তিনি লিওনার্দো দা ভিঞ্চির ‘মোনালিসা’ পেইন্টিংটি খুলে নিয়ে বেরিয়ে যান। দুই বছর পর, ১৯১৩ সালে, পেরুজিয়া ছবিটি অন্য একটি জাদুঘরে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েন। তার দাবি ছিল জন্মভূমি ইতালির প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি এই চুরি করেছিলেন। এই ‘দেশপ্রেমিক’ চুরিই শেষ পর্যন্ত মোনালিসাকে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত চিত্রে পরিণত করে। মজার বিষয়, এই মামলার তদন্তে তরুণ পাবলো পিকাসোকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
২. নাৎসি দখলের সময় (১৯৪০): ১৯৪০ সালে জার্মান নাৎসি বাহিনীর দখলের সময়ও ল্যুভরের বিপুল শিল্পসংগ্রহ বিপন্ন হয়েছিল। জাদুঘরের পরিচালক জ্যাক জোজার্দ আগেই প্রায় ১ হাজার ৮০০ বাক্স মূল্যবান শিল্পকর্ম সরিয়ে নিয়ে যান। তবুও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চিত্রকর্ম—যেমন মুরিলোর ‘দ্য ইম্যাকুলেট কনসেপশন অফ লস ভেনেরেবলস’ নাৎসিদের হাতে পড়ে।
৩. গয়না উধাও (১৯৬৬): দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরেও ল্যুভরকে তাড়া করেছে চুরির অভিশাপ। ১৯৬৬ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের এক জাদুঘর থেকে ফিরিয়ে আনার পথে কিছু প্রাচীন গয়না উধাও হয়ে যায়। পরে সেগুলো নিউইয়র্কের এক মুদি দোকানের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়।
৪. দু’বার চুরি (১৯৭৬): ১৯৭৬ সালে, ল্যুভরে দু’বার চুরি ঘটে। জানুয়ারিতে চুরি হয় এক ফ্লেমিশ চিত্রকর্ম। এরপর ডিসেম্বরে মুখোশধারীরা নিয়ে যায় রাজা শার্ল দশমের অলংকারখচিত তলোয়ার—যা আজও নিখোঁজ।
৫. দিনের আলোয় খোয়া (১৯৯০): ১৯৯০ সালে, দিনের আলোয় রেনোয়ার-এর একটি চিত্রসহ প্রাচীন রোমান গয়না উধাও হয়। একই সঙ্গে আরও কয়েকটি চিত্রকর্মও খোয়া যায়।
৬. কেটে নেওয়া চিত্রকর্ম (১৯৯৮): ১৯৯৮ সালে, শিল্পী ক্যামিল কোরোর একটি চিত্রকর্ম ফ্রেম থেকে কেটে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সেটিও আর উদ্ধার করা যায়নি।
৭. নেপোলিয়নের রত্ন চুরি (২০২৫): এবারের ঘটনা ঘটেছে রোববার সকালে, যখন জাদুঘর দর্শনার্থীতে পূর্ণ ছিল। মুখোশ পরা কয়েকজন ট্রাক থেকে মই লাগিয়ে ব্যালকনির জানালা ভেঙে প্রবেশ করে। তারা নেপোলিয়ন বোনাপার্টের দ্বিতীয় স্ত্রী মেরি লুইজের পান্নার নেকলেস ও কানের দুলসহ রাজকীয় গয়নার একটি সংগ্রহ চুরি করে। পুলিশ নেপোলিয়নের স্ত্রী সম্রাজ্ঞী ইউজেনিকে উপহার দেওয়া একটি ভাঙা পান্না-হীরের মুকুট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
রাশিয়ার দুই শীর্ষ তেল কোম্পানির ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
রাশিয়ার দুই শীর্ষ তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (২৩ অক্টোবর) মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো ক্রেমলিনের প্রধান আয়ের উৎসকে টার্গেট করা। তিনি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করারও আহ্বান জানান।
ট্রাম্পের বৈঠক বাতিল ও যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি
বৈঠক বাতিল: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন। ট্রাম্প বিবৃতিতে বলেন, “বর্তমানে কোনো ইতিবাচক ফলাফল সম্ভব নয়। তবে পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি উভয়েই শান্তি চান। এখনই সময় এই যুদ্ধের অবসান ঘটানোর।”
যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি: রুশ ও ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের ৪৩ হাজারের বেশি সেনা নিহত ও প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার আহত হয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়ার প্রায় আড়াই লাখ নিহত এবং মোট এক মিলিয়নেরও বেশি হতাহত ও নিখোঁজ হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা ও উদ্দেশ্য
অর্থমন্ত্রী বেসেন্ট বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে শান্তি আলোচনায় গুরুত্ব না দেওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি পশ্চিমা মিত্রদের প্রতিও এই নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করার আহ্বান জানান।
সূত্র: শাফাক নিউজ
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের বিল পাশ, আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার একটি বিতর্কিত বিল ইসরায়েলের পার্লামেন্ট ‘নেসেটে’ প্রথম ধাপে অনুমোদিত হয়েছে। এটি কার্যত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড সংযুক্তিরই সমান এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন বলে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
মঙ্গলবার ১২০ আসনের নেসেটে ২৫-২৪ ভোটে বিলটি প্রাথমিকভাবে পাস হয়। এটি আইন হিসেবে কার্যকর হতে আরও তিন ধাপের ভোটে অনুমোদন পেতে হবে।
মার্কিন অবস্থান ও নেতানিয়াহুর প্রতিক্রিয়া
এই ভোট এমন এক সময়ে হলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক মাস আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর সংযুক্তির অনুমতি দেওয়া হবে না। একই সময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও ইসরায়েল সফর করছেন।
নেতানিয়াহুর বিরোধিতা: প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার দল লিকুদ পার্টি বিলটির বিরোধিতা করেছে। তারা এই ভোটকে ‘বিরোধী দলের উসকানি’ বলে অভিহিত করেছে। লিকুদ পার্টি বলেছে, “আসল সার্বভৌমত্ব আইন দেখানোর ভান করে নয়, বরং বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমেই অর্জন করা যায়।”
ভোটের উদ্দেশ্য: নেসেটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিলটির উদ্দেশ্য হলো ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব জুদিয়া ও সামারিয়া অঞ্চলে (পশ্চিম তীর) প্রয়োগ’ করা। এটি এখন সংসদের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটিতে পাঠানো হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হলে তা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে কার্যত শেষ করে দেবে।
আরব বিশ্বের তীব্র নিন্দা
নেসেটের এই বিতর্কিত বিল পাশের ঘটনায় ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হামাস, কাতার, সৌদি আরব ও জর্ডান তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: ফিলিস্তিনি ভূমি সংযুক্তির প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজা—এই অঞ্চলগুলো একক ভৌগোলিক ইউনিট, যার ওপর ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌম অধিকার নেই।
কাতার ও জর্ডান: কাতার একে ‘ফিলিস্তিনিদের ঐতিহাসিক অধিকারের প্রকাশ্য লঙ্ঘন’ এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ণনা করেছে। জর্ডান এটিকে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে বাধা বলে অভিহিত করেছে।
বর্তমানে দখলকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৭ লাখের বেশি ইসরায়েলি অবৈধ বসতিতে বাস করছে, যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ বলে ঘোষিত।
সূত্র: আল জাজিরা
জাপান সাগরে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ
উত্তর কোরিয়া জাপান সাগরের দিকে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ (জেসিএস)-এর বরাত দিয়ে ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থা এই খবর জানিয়েছে।
ইয়োনহাপের প্রতিবেদন অনুসারে, গত জুনের শুরুতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিই উত্তর কোরিয়ার প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ।
এপেক সম্মেলনের আগে উত্তেজনা
শনাক্তকরণ: জেসিএস জানিয়েছে, তারা উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় উত্তর হোয়াংহে প্রদেশের জুংঘোয়া থেকে উৎক্ষেপণগুলো সনাক্ত করেছে।
আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া: এক বিজ্ঞপ্তিতে জেসিএস বলেছে, "আমাদের সেনাবাহিনী অতিরিক্ত উৎক্ষেপণের (সম্ভাব্য) প্রস্তুতির জন্য নজরদারি বাড়িয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক তথ্য শেয়ার করার সময় দৃঢ় প্রস্তুতি বজায় রেখেছে।"
প্রেক্ষাপট: ৩১ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় আসন্ন এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনের আগেও উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনুষ্ঠানের কয়েকদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাবেন। ট্রাম্পের সফরের আগে উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপ আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়াল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নিজ সরকারের বিরুদ্ধেই ট্রাম্পের মামলা: মার্কিন রাজনীতিতে নজিরবিহীন ঘটনা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস) তার প্রতি অতীত তদন্তগুলোয় যে ক্ষতি করেছে, তার জন্য তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার তার রয়েছে। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আমার প্রতি অনেক বড় ক্ষতি করা হয়েছে, এবং তারা (বিচার বিভাগ) সম্ভবত আমাকে অনেক অর্থ দিতে বাধ্য।”
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রিপাবলিকান এই নেতার আইনজীবীরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পূর্ববর্তী ফেডারেল তদন্তগুলোর কারণে আনুমানিক ২৩ কোটি ডলার (২৩০ মিলিয়ন) ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। এই তদন্তগুলো পরিচালিত হয়েছিল ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার আগেই।
প্রতিবেদনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “এই ধরনের সিদ্ধান্ত আমার টেবিলেই আসে। কিন্তু নিজের সরকারের কাছে নিজেকেই অর্থ প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা বেশ অদ্ভুত ব্যাপার।” এরপরই হাস্যরস মিশিয়ে যোগ করেন, “তবুও যদি আমি দেশের কাছ থেকে কোনো অর্থ পাই, আমি তা ভালো কাজে ব্যয় করব—সম্ভবত দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দেব বা হোয়াইট হাউসের জন্য ব্যবহার করব।”
ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী, বিচার বিভাগের ওই তদন্তগুলো ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তার ভাবমূর্তি নষ্টের পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। তিনি আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে পরিচালিত এই মিথ্যা তদন্তগুলো থেকে আমি যে ক্ষতির শিকার হয়েছি, তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একাধিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, যাদের বিরুদ্ধে তিনি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ তুলেছেন। কিছু ক্ষেত্রে তিনি আদালতে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণও পেয়েছেন। যদিও ক্ষতিপূরণ দাবির বিষয়ে নিশ্চিত প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটা হতে পারে যে আমার আইনজীবীরা দাবি দাখিল করেছেন, কিন্তু সঠিক সংখ্যা আমি জানি না, আমি তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলিনি।”
তার আইনজীবী দলের এক মুখপাত্র এএফপি-কে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনো ডেমোক্র্যাটদের নেতৃত্বাধীন মিথ্যা ‘উইচ হান্ট’-এর (জাদুবিদ্যা অনুসন্ধান বা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র) বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।”
উল্লেখযোগ্য যে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ এবং ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার প্রচেষ্টা নিয়ে ফেডারেল তদন্ত শুরু হয়েছিল। এ ছাড়া, গোপন নথি অপব্যবহার ও রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগেও তদন্ত চলে। তবে গত বছর পুনর্নির্বাচনের পর এই তদন্তগুলো বাতিল করে দেওয়া হয়।
নিউইয়র্ক টাইমস মন্তব্য করেছে, একজন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিজের সরকারের কাছ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করার ঘটনা “আমেরিকার ইতিহাসে নজিরবিহীন।” পত্রিকাটি আরও বলেছে, এই পরিস্থিতি “গভীর নৈতিক ও প্রশাসনিক জটিলতা” তৈরি করতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই দাবি কেবল প্রশাসনিক অস্বস্তিই নয়, বরং মার্কিন শাসনব্যবস্থায় একটি অভূতপূর্ব সাংবিধানিক দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারে। কারণ, একজন প্রেসিডেন্ট যদি সরকারের বিরুদ্ধে নিজেই ক্ষতিপূরণ দাবি করেন, তবে তা সরকারের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে।
অন্যদিকে, ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী টড ব্লাঞ্চ বর্তমানে বিচার বিভাগের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, যা বিষয়টিকে আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে। তবে বিভাগের মুখপাত্র চ্যাড গিলমারটিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “যেকোনো পরিস্থিতিতে বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা পেশাদার নৈতিক নির্দেশনার অধীনে কাজ করেন; ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা রাজনৈতিক পরিচয় তাদের দায়িত্ব পালনে কোনো প্রভাব ফেলে না।”
এদিকে, ট্রাম্প এখনো নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ৩৪টি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, যা ২০১৬ সালের নির্বাচনের সময় এক পর্নোতারকার কাছে অর্থ প্রদানের ঘটনায় ‘হাশ মানি’ মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই আইনি ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে তার ক্ষতিপূরণ দাবির পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
-আলমগীর হোসেন
পাঠকের মতামত:
- চুল পড়া বেড়েছে? অ্যালোপেশিয়ার লক্ষণ, ঘরোয়া প্রতিকার ও করণীয়
- চোখই বলে দেবে হৃদরোগের ঝুঁকি: যে ৫টি লক্ষণ চোখে দেখলে সতর্ক হবেন
- ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- সাগর-রুনি হত্যা মামলা: তদন্ত শেষ করতে আর কত বছর লাগবে, ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
- শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি, যেতে বাধ্য হয়েছেন: আইনজীবীর যুক্তি
- রাষ্ট্র ইমোশন দিয়ে চলে না:সালাহউদ্দিন আহমদ
- ইসরায়েলকে ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি
- প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশ করবে ইসি
- ২৩ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- সাইফ-সৌম্যর ব্যাটে: ৩৪৫ দিন পর যে ‘কীর্তি’ গড়ল বাংলাদেশ
- বিতর্কিত কর্মকর্তাদের দায়িত্বে রাখা যাবে না: সিইসিকে বিএনপির আহ্বান
- হত্যা না আত্মহত্যা? সালমান শাহ্র মৃত্যুর ২৯ বছর পর ফ্ল্যাটের দৃশ্য ভাইরাল
- পুরুষ হলে মুখোমুখি হোন: পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে টিটিপি’র সরাসরি চ্যালেঞ্জ
- রায় ঘোষণার চূড়ান্ত দিন ধার্য: শেখ হাসিনার মামলার রায় নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে
- রূপকথা নয় সত্যি! আমাজনের গভীরে মিললো সেই ফুটন্ত জলের নদী
- “শান্তি আনতে পারবেন একমাত্র ট্রাম্প”—ওয়াশিংটনে ন্যাটো মহাসচিব রুটে
- রাশিয়ার ওপর ইইউর নতুন নিষেধাজ্ঞা: জ্বালানি খাতে চাপ বাড়ছে
- সিইসি’র সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি কী দাবি জানাল?
- যে দেশে ঘর জামাই দত্তক নিয়ে বানানো হয় কোম্পানির সিইও
- লিভারপুলের ৫-১ জয়ে ফিরে আসা, চেলসি-রিয়াল-বায়ার্নও জয়ী
- এআই বিভাগে ছাঁটাই, তবে গবেষণা প্রকল্পে বিন্দুমাত্র ছাড় নয়: মেটা
- মিরপুরে আজ সম্মানের লড়াই: সিরিজ বাঁচাতে পারবে কি বাংলাদেশ?
- ল্যুভর মিউজিয়াম: মোনালিসা চুরি হয়েছিল যেভাবে
- জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা
- বৈষম্যহীন ন্যায়বিচারের দাবি: গুমের ভুক্তভোগীদের কণ্ঠে বিচার, জবাবদিহিতা ও রাষ্ট্রীয় আস্থার প্রশ্ন
- এল ডোরাডো থেকে ট্রয়: ইতিহাসের হারানো ৬ শহর, যার রহস্য আজও অমীমাংসিত
- ডোপামিন আসক্তি: নিষিদ্ধ ভিডিওর ফাঁদে তরুণ প্রজন্ম, অজান্তেই হচ্ছে সাইবার অপরাধ
- দ্রুত ওজন কমাতে চান? সকালে পান করুন এই জাদুকরী পানীয়
- রাশিফল: ২৩ অক্টোবর দিনটি আপনার জন্য কেমন যাবে?
- পুরুষের কি স্তন ক্যানসার হতে পারে? জেনে নিন চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলছে
- রাশিয়ার দুই শীর্ষ তেল কোম্পানির ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
- মিঠামইনের অঘোষিত রাজা,হারুন অর রশীদের দুর্নীতির সাম্রাজ্য
- নিঃশ্বাস নিন সতেজ বাতাসে: ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ করবে এই তিন ইনডোর গাছ
- আজই মামলার রায়: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের মুখে শেখ হাসিনা
- মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে রাতভর সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ, নিহত ১
- ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের বিল পাশ, আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন
- ইচ্ছেপূরণ প্রকল্পে নতুন বিতর্ক: বাতিলের সিদ্ধান্ত বদলে ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব
- ব্রেস্ট ক্যান্সার: কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ—সচেতনতাই বাঁচাতে পারে জীবন
- রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ল, নতুন তথ্য দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- সাইবার হামলা ঠেকাতে মেটার নতুন পাসকি ও সতর্কতা সুবিধা চালু
- জামায়াতের হুঁশিয়ারি: কিছু উপদেষ্টা একটি দলের পক্ষে কাজ করছে
- নাহিদ ইসলামের বিস্ফোরক দাবি: জানালেন কেন নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করা জরুরি
- ফরজ গোসলে দেরি করলে কি গুনাহ হয়? জেনে নিন ইসলামি স্কলারদের মত
- ‘৩আই/অ্যাটলাস’ কি এলিয়েনদের তৈরি? হার্ভার্ড বিজ্ঞানীর অভিযোগে নতুন মোড়
- সারজিসের নতুন বার্তা: নন-ক্যাডার পদে নিয়োগবিধি নিয়ে কী বললেন?
- সেন্ট মার্টিনে রাত্রিযাপন নিয়ে নতুন ঘোষণা
- বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা ছাড়া সই নয়: জুলাই সনদে এনসিপি’র শর্ত
- ইবন খালদুন: রাজনীতি, সমাজ ও ইতিহাসের এক অবিনশ্বর তাত্ত্বিক
- ফ্রান্স: সভ্যতা, প্রজাতন্ত্র ও মানবমুক্তির দীপ্ত ইতিহাস
- বান্দরবান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি
- রিশাদ ম্যাজিক স্পিনে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- অভিভাবকতন্ত্রের প্রলোভন: জেনারেল ভূঁইয়ার বয়ান ও গণতন্ত্রের ঘড়ি থামানোর বিপদ
- ‘এখনই অস্ত্র ত্যাগ নয়’: গাজা পুনর্গঠন ও নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে অনড় হামাস
- মাইগ্রেনের সমস্যা: যে ৬টি অভ্যাস আজই আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে
- শীতকাল আসছে: সুস্থ থাকতে এখনই বর্জন করুন এই ৫টি অভ্যাস
- ২০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২০ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- জ্বীনের অদৃশ্য জগৎ: বিজ্ঞান কি খুলতে চলেছে সেই রহস্যের দরজা?
- ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- ২০ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ








