ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি
ঢাবি শিক্ষার্থী আলী হুসেনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার জঘন্য অপরাধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০–২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলী হুসেনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, প্রক্টরিয়াল সত্যানুসন্ধান কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে প্রমাণিত অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও জানিয়েছে, কেবল বহিষ্কার করেই দায় শেষ করা হয়নি, বরং অভিযোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিষয়ক কমিটিতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রশাসনের ভাষ্যমতে, ঘটনাটি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। তাই বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী প্রক্টরের এখতিয়ারের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। আলী হুসেনের শ্রেণি রোল ৫৪ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২০২০২১২৭৬৮। তিনি আবাসিকভাবে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে অবস্থান করছিলেন।
এই ঘটনার আগে ইসলামী ছাত্রশিবির ও ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেলের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগে আলী হুসেনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া মন্তব্য কেবল একজন শিক্ষার্থীকে নয়, বরং পুরো বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রদায়কেই অসম্মানিত করেছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এই রিটের প্রেক্ষিতে আলী হুসেন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক উসকানিমূলক মন্তব্য পোস্ট করেন। তিনি লিখেছিলেন, “হাইকোর্টের বিপক্ষে এখন আন্দোলন না করে আগে একে গণধর্ষণের পদযাত্রা করা উচিত।”
আলী হুসেনের ওই পোস্ট মুহূর্তের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন মহল তার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানায়। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন প্রতিবাদ সমাবেশ করে এবং অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে তার শাস্তির দাবি জানায়। তারা মনে করেন, এ ধরনের মন্তব্য নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ সংস্কৃতির পরিপন্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজও বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন। অনেক শিক্ষক মন্তব্য করেন, এটি শুধু একটি ছাত্রীকে হুমকি নয়, বরং নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি সামগ্রিকভাবে সহিংস মনোভাব প্রকাশের বহিঃপ্রকাশ। এমন ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়বদ্ধতার বার্তা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে তারা শূন্য সহনশীলতার নীতি অনুসরণ করবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে এবং এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। আলী হুসেনের বহিষ্কারাদেশ তাই কেবল ব্যক্তিগত শাস্তি নয়, বরং একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক শৃঙ্খলা ও মর্যাদা রক্ষায় প্রতীকী ভূমিকা রাখবে।
-রফিক
চবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় উত্তাল ক্যাম্পাস, বিক্ষোভ ছাত্রদলের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা নানা স্লোগান দেন, যার মধ্যে ছিল—‘উপাচার্য হায় হায়, নিরাপত্তার খবর নাই’, ‘দফা এক দাবি এক, প্রশাসনের পদত্যাগ’ এবং ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’।
শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, “চবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। সংঘর্ষের সময় যদি প্রশাসন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিত, তাহলে আমাদের এত শিক্ষার্থী আহত হতো না।” তিনি অভিযোগ করেন, এই ঘটনার পেছনে প্রশাসনের কতিপয় ব্যক্তির ইন্ধন এবং বিশেষ গোষ্ঠীর এজেন্ডা রয়েছে। এ কারণে এই ব্যর্থ প্রশাসনের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। অন্যথায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিনও একই সুরে কথা বলেন। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং সংঘর্ষে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা এই প্রশাসনের পদত্যাগ চাই। এটি আমাদের চূড়ান্ত দলীয় সিদ্ধান্ত।” তিনি আরও জানান, ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
/আশিক
হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার: ডাকসু নির্বাচন হতে আর বাধা নেই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। এর ফলে নির্ধারিত সময়ে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আর কোনো বাধা নেই।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আদেশ দেন। এর আগে বিচারপতি তাহসিন আলী ও হাবিবুল গণির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ডাকসু নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে একটি রিট দায়ের করা হয়। বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম এই রিটটি করেন।
রিটের আবেদনে বলা হয়, এস এম ফরহাদ আগে ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন। এর পরও তিনি কীভাবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলে প্রার্থী হলেন—এ প্রশ্ন তুলে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং এস এম ফরহাদের পক্ষে ছিলেন মোহাম্মদ শিশির মনির। আদালত রিট আবেদনকারীকে এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে সব প্রমাণসহ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করতে বলেছেন। ট্রাইব্যুনালকে ২১ অক্টোবরের মধ্যে সব পক্ষের শুনানি নিয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
/আশিক
ডাকসু, জাকসু, রাকসু, চাকসু হতেই হবে: এনসিপি নেতা সারজিস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির স্বার্থেই ডাকসু, জাকসু, রাকসু ও চাকসুসহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া জরুরি।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে সারজিস লিখেছেন, “বাংলাদেশের স্বার্থে ডাকসু, জাকসু, রাকসু, চাকসু হতেই হবে। যারা শিক্ষার্থীদের সংসদকে ভয় পায়, তারা জনগণের সংসদকেও ভয় পায়। তাদের উদ্দেশ্য অসৎ। তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে।”
এর আগে ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের একটি রায়কে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ডাকসু নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সারজিস আলম এই পোস্টটি করেছেন। তবে একইদিন বিকেলে চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করে দেন। ফলে নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, তা কেটে গেছে।
ডাকসু নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে। এবার ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, যার মধ্যে ৬২ জন নারী প্রার্থী। ১৮টি হলে ১৩টি পদের জন্য মোট ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
/আশিক
স্থগিত হলো ডাকসু নির্বাচন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন, বাছাই ও চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া এবং ভোটের প্রস্তুতির প্রক্রিয়া কী—এসব বিষয়েও জানতে চেয়েছেন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের শুনানিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এবং রিটকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনী কার্যক্রম ও প্রার্থী তালিকা
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। এবার ডাকসুর ২৮টি পদের জন্য মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। এর মধ্যে ৬২ জন ছিলেন নারী প্রার্থী। সদস্য পদে সবচেয়ে বেশি ২১৭ জন প্রার্থী ছিলেন। ১৮টি হলে ১৩টি পদের জন্য মোট ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল। এছাড়াও, ২৮ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। ফলে চূড়ান্তভাবে ৪৭১ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ডাকসুর ২৮টি পদের জন্য প্রার্থীর সংখ্যা ছিল:
সহসভাপতি (ভিপি) পদে: ৪৫ জন
সাধারণ সম্পাদক (জিএস): ১৯ জন
সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস): ২৫ জন
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক: ১৭ জন
কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক: ১১ জন
আন্তর্জাতিক সম্পাদক: ১৪ জন
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক: ১৯ জন
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: ১২ জন
গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক: ৯ জন
ক্রীড়া সম্পাদক: ১৩ জন
ছাত্র পরিবহন সম্পাদক: ১২ জন
সমাজসেবা সম্পাদক: ১৭ জন
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক: ১৫ জন
মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক: ১১ জন
ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক: ১৫ জন
সদস্য: ২১৭ জন
/আশিক
চবিতে হামলায়, প্রশাসনের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে কাঁদলেন উপ-উপাচার্য
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর নারকীয় হামলায় প্রশাসনের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে সাংবাদিকদের সামনে কাঁদলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন। রোববার দুপুর ৩টার দিকে চবি মেডিকেল সেন্টারের গ্রাউন্ড ফ্লোরে কান্নারত অবস্থায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের শিক্ষক ও ছাত্রদের তারা মেরেছে। আমরা মেডিকেলে জায়গা দিতে পারছি না। চিটাগাং মেডিকেলে ৪-৫টা গাড়ি পাঠিয়েছি। সেখানে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত আছে।”
ড. কামাল উদ্দিন বলেন, “আমরা কোন জগতে আছি। ছাত্রলীগের বড় বড় ক্যাডাররা এখানে ঢুকে হেলমেট পরে ছাত্রদের মারধর করছে। পুলিশ নাই, কোনো কিছু নাই। আমরা সিওসির সঙ্গে কথা বলেছি, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছি, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে কথা বলেছি, দুই ঘণ্টা চলে গেছে এখনো এখানে কেউ আসে নাই।”
শনিবার রাতে একটি বাসার দারোয়ান কর্তৃক এক ছাত্রীকে মারধরের পর শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ পর্যন্ত অন্তত দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার স্থানীয়দের ধাওয়ায় অসুস্থ হয়ে যান উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) কামাল উদ্দিন। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফকে মেডিকেল সেন্টারে আনা হয়। এছাড়াও উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) শামীম উদ্দিন খান আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীদের রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। স্থানীয় বাসা ও মেসে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে পেটানো হয়েছে। এছাড়াও আহত করে একতলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাওসারকে কল দিলে তিনি কল কেটে দেন।
চবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস ও এর আশপাশের এলাকায় আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রোববার (৩১ আগস্ট) উপজেলা প্রশাসন এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের ২ নম্বর গেট-সংলগ্ন শাহাবুদ্দীন ভবন নামের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী রাত করে বাসায় ফিরলে দারোয়ানের সঙ্গে তার তর্ক হয়। একপর্যায়ে দারোয়ান ওই নারী শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। এই ঘটনার জেরে রাতেই ক্যাম্পাসের হল থেকে শত শত শিক্ষার্থী ২ নম্বর গেটের দিকে চলে আসেন। স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে, যেখানে প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
রোববার দুপুরে ফের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মুখোমুখি হলে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় উপজেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আজ রোববার দুপুর ২টা থেকে সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ২নং গেট বাজার থেকে রেলগেট পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও, ৫ বা ততোধিক ব্যক্তির একসঙ্গে চলাফেরা এবং বিস্ফোরকদ্রব্য ও আগ্নেয়াস্ত্র বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীরা মূল ফটক বন্ধ করে বিক্ষোভ ও হামলায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
/আশিক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও সংঘর্ষ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের ২ নম্বর গেট-সংলগ্ন জোবরা গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গতকাল শনিবার রাতে। শিক্ষার্থীরা জানান, রাত ১২টার দিকে ২ নম্বর গেটের কাছে এক ছাত্রী একটি ভবনে প্রবেশের সময় দারোয়ানের সঙ্গে তার তর্ক হয় এবং একপর্যায়ে দারোয়ান তাকে মারধর করে। এরপর শিক্ষার্থীরা ওই দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করলে স্থানীয় লোকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এরপর স্থানীয়রা মাইকে ডেকে লোক জড়ো করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এই সংঘর্ষে রাতেই অন্তত ৭০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা হামলা চালিয়েছেন এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছেন।
আজ দুপুরে দুই পক্ষ আবারও মুখোমুখি হয়। এক প্রান্তে কয়েক শ শিক্ষার্থী এবং বিপরীত দিকে এলাকাবাসী অবস্থান নেন। উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রক্টরেরা দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষ আবারও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে সহ-উপাচার্য মো. কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের মাথা থেকে রক্ত ঝরছিল। তবে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি।
সংঘর্ষ শুরুর আগে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের এতগুলো শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। স্থানীয় সন্ত্রাসীরা প্রক্টর ও পুলিশের তিনটি যানবাহন ভেঙেছে। এ বিষয়ে অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর পরীক্ষা স্থগিত, সেনা মোতায়েন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শনিবার দিবাগত রাতেই সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এর পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে, তবে নিয়মিত ক্লাস চালু থাকবে।
সংঘর্ষের সূত্রপাত
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ভাড়া বাসায় প্রবেশের সময় ভবনের দারোয়ানের সঙ্গে তর্কে জড়ান এবং তাকে মারধরের শিকার হতে হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয় লোকজন শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয় এবং স্থানীয়রা মাইকে ডেকে আরও মানুষ জড়ো করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।
হতাহতের ঘটনা
সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে দুজন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন, অন্যদের লাঠি, কাঠ ও ইটপাটকেলের আঘাত লেগেছে। তিনি বলেন, এত বিপুলসংখ্যক আহত শিক্ষার্থী একসঙ্গে আগে আসেননি, ফলে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি ৩৬ জন আহত শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা নিতে দেখেছেন। তাঁদের মধ্যে চক্ষু বিভাগে একজন, নিউরোলজিতে তিনজন ভর্তি আছেন, আরেকজনের পা ভেঙে গেছে।
কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এত শিক্ষার্থী আহত হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং ইতোমধ্যেই স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ আরিফ জানান, উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
বর্তমান অবস্থা
ক্যাম্পাসে এখনো সেনাবাহিনী অবস্থান করছে। সহ–উপাচার্য জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম শাটল ট্রেন নিয়মিত সূচি অনুযায়ী চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ডিএমপি কার্যালয় অভিমুখে মিছিল শেষে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের
তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয় অভিমুখে মিছিল শেষে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা আসে।
শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রধান তিনটি দাবি তুলে ধরেন, যা বিএসসি প্রকৌশলীদের পক্ষে উপস্থাপন করা হয়েছে:
৩৩ শতাংশ পদোন্নতি কোটা বাতিল: নবম গ্রেড সহকারী প্রকৌশলী পদে ডিপ্লোমাধারীদের জন্য নির্ধারিত ৩৩ শতাংশ পদোন্নতি কোটা বাতিল করতে হবে।
টেকনিক্যাল গ্রেড উন্মুক্ত করা: দশম গ্রেডের টেকনিক্যাল পদগুলো শুধু ডিপ্লোমাধারীদের জন্য সংরক্ষিত না রেখে উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন (বিএসসি) প্রার্থীদের জন্যও উন্মুক্ত করতে হবে।
‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি: বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কোনো ব্যক্তি ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না।
শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, দাবিগুলো পূরণ না হলে সারাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শাটডাউন চলতে থাকবে। একইসঙ্গে তারা বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ এবং সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শেষে জাতীয় সমাবেশ করারও ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রকৌশলী অধিকার পরিষদের উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান শহিদ বলেছেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন্স ফ্রেমওয়ার্ক (বিএনকিউএফ) অনুযায়ী, ডিপ্লোমা ডিগ্রি থেকে শুধুমাত্র চাকরির অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিএসসি’র যোগ্যতা অর্জন সম্ভব নয়, যা একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড।
এর আগে বুধবার (২৭ আগস্ট), ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে অবস্থান নিলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল মোড়ে পুলিশ টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই ঘটনায় সাংবাদিকসহ অনেক শিক্ষার্থী আহত হন।
/আশিক
পাঠকের মতামত:
- ঢাবি শিক্ষার্থী আলী হুসেনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
- বাঘি ৪: মরুভূমির বুকে হারনাজের আগুনঝরা রূপ
- সৌদি আরবে মূল পর্বের স্বপ্নে যাত্রা শুরু বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের
- পাকিস্তানে একদিনে তিন হামলা: নিহত অন্তত ২৫
- কাস্টমস-ভ্যাট-আয়করের জটিলতা সমাধানে এনবিআরের নতুন উদ্যোগ
- দেড় বছর পর ঢাকায় স্থায়ী রাষ্ট্রদূত পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- রোনালদোর শেষ বিশ্বকাপ স্বপ্ন শুরু হচ্ছে
- শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান, লেনদেনে গতি
- যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আস্থার শীর্ষে এএইচজেড
- মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী সম্পত্তি ভাগাভাগির নিয়ম
- লেনদেনহীন সকালে শেয়ারবাজারে নীরবতা নেমে এল
- নিউ লাইন ক্লোদিংস নিয়ে শেয়ারবাজারে নতুন প্রশ্ন
- জার্মানিতে নানা আয়োজনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- ইশরাক-চাশত-আওয়াবীন: কোন সময় কত রাকাআত পড়বেন?
- স্টার্ট-আপের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল
- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে সংশোধনী, পালিয়ে থাকা নেতাদের জন্য কড়া নিয়ম
- নোয়াখালীর সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুরের অবৈধ সম্পদের পাহাড়
- আজকের খেলাধুলার সরাসরি সম্প্রচারসূচি
- আমি বেঁচে আছি: ডোনাল্ড ট্রাম্প
- নুরুল হক নূর কে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের জরুরি নির্দেশ
- ভয়াবহতার রেশ কাটতে না কাটতেই আফগানিস্তানে ফের ভূমিকম্প
- সিলেটে জব্দ হওয়া সাদাপাথর এবার নিলামে
- ডিবি প্রধান হারুনকে ‘জ্বীন’ ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: মামুন
- বিসিবি সভাপতি পদে দুই সাবেক অধিনায়কের লড়াই, প্যানেলে তামিম ইকবাল
- নুরকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
- অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান
- আলোচনার টেবিলে ভিন্ন দাবি, নির্বাচনের পথে নতুন কোন সংকেত?
- ধর্ষণের হুমকি: ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন উমামা ফাতেমা
- রাজধানীর মৌচাকে মসজিদে অগ্নিকাণ্ড
- খুলনা শিপইয়ার্ড সড়কে অভিনব প্রতিবাদ: ধানের চারা রোপণ ও লাল কার্ড
- আজ রাতে দেশের ৬ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, সতর্কতা জারি
- জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করা বিএনপির কাজ নয়: রুহুল কবির রিজভী
- ভূমিকম্প বিধ্বস্ত আফগানিস্তান: দুর্গম এলাকায় এখনো চলছে উদ্ধারকাজ
- বেগম জিয়া নিরাপদ,তারেক রহমানও নিরাপদ থাকবেন: হান্নান মাসউদ
- নুরের ওপর হামলায় জামায়াত জড়িত: ছাত্রদল নেতা আমানউল্লাহর
- আবারও সিটি স্ক্যানের জন্য নেওয়া হচ্ছে নুরকে, উদ্বেগ বাড়ছে
- ভবিষ্যতে সরকারপ্রধানদের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা উচিত: ফারুকী
- বাড়তি চিনি ও ক্যালরি: প্রোটিন শেকের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে সতর্কবার্তা
- চবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় উত্তাল ক্যাম্পাস, বিক্ষোভ ছাত্রদলের
- ভারত-চীন-রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা 'অত্যন্ত লজ্জাজনক': যুক্তরাষ্ট্র
- পুলিশের মধ্যে ট্রমা আছে, তারা ভয় পায়: পুলিশ নিয়ে মান্নার বিস্ফোরক মন্তব্য
- বিইআরসির সিদ্ধান্তে কমলো এলপিজির দাম, নতুন মূল্য কার্যকর
- আপত্তিকর ভিডিও নিয়ে বিতর্কে এনসিপি নেতা আব্দুর রহিম
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ
- ০২ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ০২ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- পুলিশের ভেতরে দুটি গ্রুপ: সাবেক আইজিপি মামুনের বিস্ফোরক জবানবন্দি
- ভারতে ভোট চুরির ‘হাইড্রোজেন বোমা’ ফাঁস করবেন রাহুল গান্ধী
- নুরুল হক নুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল
- হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়: বিচার বিভাগ পেল নিজস্ব সচিবালয়
- জ্ঞান ফিরেছে নুরুল হক নুরের
- "জাতীয় নাগরিক পার্টি আসলে ইউনূসের দল, জামায়াতই দেশ চালাচ্ছে"
- ছেলের আত্মহত্যার জন্য দায়ী ChatGPT’: কাঠগড়ায় OpenAI
- ২৭ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২৭ আগস্টের বন্ড মার্কেট আপডেট: কিছু বন্ডে দরপতন, বেশিরভাগই স্থবির
- ২৮ আগস্ট দরপতনের তালিকায় শীর্ষ ১০ কোম্পানি
- জুলাই সনদ নিয়ে মতভেদ চরমে, আজ তিন দলের সঙ্গে বৈঠক অন্তর্বর্তী সরকারের
- ১ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২৮ আগস্ট শীর্ষ ১০ গেইনার তালিকা
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেনের সামগ্রিক বিশ্লেষণ
- ০১ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ডিএসই ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেন
- সংসদ ভবনে আগুন দিল বিক্ষোভকারীরা
- নিহত গাজা সাংবাদিকের চিঠি পড়ে কেঁদে ফেললেন জাতিসংঘে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত