মোদির চীন সফরের মধ্যেই ভারতকে নিশানায় ট্রাম্পের উপদেষ্টা

রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল কিনে তা প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশে বিক্রি করে ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে মুনাফা করছে ভারত এমন অভিযোগ তুলেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চীন সফরের সময়ই এই সমালোচনা করেন তিনি। এমনকি ভারতকে রাশিয়ার ‘মানি লন্ড্রিং সেন্টার’ বলেও অভিহিত করেন নাভারো। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাভারো দাবি করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে ভারত মস্কোর কাছ থেকে খুব সামান্য পরিমাণ তেল কিনত। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন শুরুর পর নয়াদিল্লি নিয়মিতভাবে ডিসকাউন্টে রাশিয়ার তেল কিনছে এবং তা দেশীয় রিফাইনারিতে প্রক্রিয়াজাত করে ইউরোপসহ বিশ্ববাজারে উচ্চ মূল্যে রপ্তানি করছে। তাঁর ভাষায়, এভাবেই রাশিয়ার “যুদ্ধযন্ত্রে জ্বালানি” যোগাচ্ছে ভারত।
নাভারো ভারতীয় অভিজাত শ্রেণিকে অভিযুক্ত করে বলেন, তারা জনগণের ক্ষতির বিনিময়ে বিপুল মুনাফা করছে। তাঁর মন্তব্য অনুযায়ী, “ভারত আসলে রাশিয়ার জন্য একটি লন্ড্রোম্যাট ছাড়া কিছুই নয়। ব্রাহ্মণরা জনগণের কষ্টের বিনিময়ে লাভ করছে, আর ইউক্রেনে নিরপরাধ মানুষ মারা যাচ্ছে।” তিনি আরও যোগ করেন, ভারতীয় রিফাইনারিগুলো রাশিয়ার তেল কম দামে কিনে প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করছে। এতে ভারত লাভবান হলেও ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারাচ্ছে এবং পশ্চিমা করদাতাদের নিজেদের সরকারকে আরও অর্থ দিতে হচ্ছে।
তিনি ভারতীয় পণ্যের ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের পক্ষেও অবস্থান নেন। তাঁর মতে, নয়াদিল্লির মস্কো ও বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিশ্ব স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যদিও তিনি নরেন্দ্র মোদিকে একজন শক্তিশালী নেতা হিসেবে প্রশংসা করেন, তবে প্রশ্ন তোলেন কেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন ও শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন।
ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টার এই কড়া সমালোচনা এমন সময়ে এলো যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিতে চীন সফর করছেন। সাত বছর পর এই প্রথম মোদি বেইজিং সফরে গেছেন এবং সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। ফলে নাভারোর মন্তব্যকে অনেকেই কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে দেখছেন।
-রাফসান
পূর্ব আফগানিস্তানে এক রাতের ভয়াবহতা, কাঁপছে সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলো
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে আঘাত হেনেছে ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী কুনার প্রদেশের নোরগাল জেলা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কেবল কুনারেই নিহতের সংখ্যা ২৫০ ছাড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৫০০ জন।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারও সর্বোচ্চ সম্পদ ও জনবল কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে, যাতে দ্রুততম সময়ে আহতদের চিকিৎসা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া যায়।
রোববার গভীর রাতে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানায় স্থানীয় গণমাধ্যম। আফগান তথ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানায়, প্রাণহানির পাশাপাশি ব্যাপক সম্পদহানি ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি হতাহতের খবর পাওয়া গেছে কুনার প্রদেশ থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬.০। উৎপত্তিস্থল ছিল জালালাবাদের উত্তর-পূর্বে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরে এবং মাত্র ৮ কিলোমিটার ভূগর্ভে। প্রধান কম্পনের পর একই এলাকায় আরও দুটি আফটারশক অনুভূত হয়, যার মধ্যে একটির মাত্রা ছিল ৫.২। এসব কম্পন নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে স্থানীয়দের মধ্যে।
আফগানিস্তানের নানগারহার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, আহতদের দ্রুত স্থানীয় আঞ্চলিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক্সে দেওয়া বার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, “দুঃখজনকভাবে আজকের রাতের ভূমিকম্পে আমাদের কয়েকটি পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে প্রাণহানি ও ব্যাপক সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।” তবে তিনি নির্দিষ্ট হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেননি।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় প্রশাসন, নিরাপত্তা বাহিনী এবং সাধারণ মানুষ একসঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার ও পার্শ্ববর্তী প্রদেশগুলো থেকেও সহায়তাকারী দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। জীবন রক্ষায় ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সব ধরনের সম্পদ ও সামর্থ্য ব্যবহার করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুজাহিদ।
-রাফসান
আবু উবাইদার মৃত্যু নিয়ে দ্বন্দ্ব- ইসরায়েলের দাবি, হামাসের নীরবতা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একাধিক বিমান হামলা চালিয়ে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র ও শীর্ষস্থানীয় নেতা আবু উবাইদাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে হামাস এখনো এই দাবির সত্যতা স্বীকার করেনি। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এ খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, গত শনিবার (৩০ আগস্ট) গাজার রাজধানী গাজা সিটির ঘনবসতিপূর্ণ আল-রিমাল এলাকায় লক্ষ্যভেদী হামলা চালানো হয়। ছয়তলা একটি ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় একসঙ্গে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। হামলার মূল লক্ষ্য ছিল একটি নির্দিষ্ট ফ্ল্যাট, যা দাঁতের চিকিৎসকের চেম্বার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। ইসরায়েলের দাবি, এ হামলায় আবু উবাইদা নিহত হন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে এই অভিযানকে “সফল” উল্লেখ করে সেনাবাহিনী (আইডিএফ) ও গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তবে হামাস তাৎক্ষণিকভাবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান না করলেও উবাইদার মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত করেনি। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই হামলায় বহু সাধারণ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আল-রিমাল এলাকায় চালানো ওই হামলায় অন্তত সাতজন নিহত ও বিশজন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। হামলার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে লাখ লাখ ডলার সমমূল্যের কাগুজে টাকা উড়ে যেতে দেখা যায়। এর একটি বড় অংশ স্থানীয়রা সংগ্রহ করলেও পরে তা উদ্ধার করে হামাস।
রোববার (৩১ আগস্ট) প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গাজায় চলমান অভিযান যত তীব্র হবে, আবু উবাইদার সহযোগী ও অন্যান্য “অপরাধীদের” টার্গেট করা হবে। তার ভাষ্যমতে, এটি সম্প্রতি অনুমোদিত গাজা সিটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনারই অংশ।
প্রায় ৪০ বছর বয়সী আবু উবাইদা ছিলেন হামাসের সামরিক শাখার অল্প কয়েকজন শীর্ষ নেতার একজন, যিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলার আগের সময় থেকেই সক্রিয় ছিলেন। হামাসের সবচেয়ে পরিচিত মুখ হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলবিরোধী বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। সবসময় মুখমণ্ডল ফিলিস্তিনি কাপড়ে আবৃত রাখায় তিনি কেবল কণ্ঠস্বর ও প্রতীকে পরিণত হয়েছিলেন, যা মধ্যপ্রাচ্যের হামাস-সমর্থকদের কাছে এক প্রতীকী মর্যাদা এনে দেয়।
গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) তিনি সর্বশেষ ভাষণ দিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই ভাষণে তিনি ইসরায়েলি বন্দিদের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “তাদের পরিণতি হবে হামাস যোদ্ধাদের মতোই।” একইসঙ্গে গাজা সিটিতে ইসরায়েলের সম্ভাব্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও তিনি সতর্কবার্তা দেন।
-রফিক
ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা
গাজায় শনিবার চালানো এক বিমান হামলায় হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জ আদ-দীন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ এই খবর নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে ইসরায়েলি নিরাপত্তা মহলে আগে থেকেই গুঞ্জন থাকলেও এটি ছিল প্রথম কোনো সরকারি স্বীকৃতি।
রোববার (৩১ আগস্ট) ‘টাইমস অব ইসরায়েল’-এর এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়।
কাটজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “দীর্ঘদিনের মুখপাত্র আবু উবাইদাকে নরকের তলানিতে ইরান, গাজা, লেবানন ও ইয়েমেনের ধ্বংসপ্রাপ্ত অক্ষশক্তির সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে পাঠানো হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “গাজা অভিযানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক হামাস সন্ত্রাসী ও অপরাধীর সঙ্গে সেও সেখানে যোগ দেবে।”
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন যে আবু উবাইদাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে, তবে তিনি বেঁচে আছেন কিনা তা তখন নিশ্চিত ছিল না।
অন্যদিকে হামাস দ্রুত এই দাবি নাকচ করে দিয়ে জানায়, এ ধরনের গুজব ইসরায়েলের ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের অংশ’। সংগঠনটি ফিলিস্তিনিদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এ ধরনের খবর ছড়ানো জনগণের আস্থা ও ঐক্য দুর্বল করে দেবে।
শনিবার রাতের হামলাটি গাজা সিটির একটি অ্যাপার্টমেন্টে চালানো হয়। স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, ওই অ্যাপার্টমেন্টে আবু উবাইদা ছাড়াও অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল। সৌদি আরবের আল-আরাবিয়া টিভি এক ফিলিস্তিনি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, পরিবারের সদস্য ও হামাস কর্মকর্তারা তার মরদেহ শনাক্ত করেছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা বেসামরিক হতাহতের ঝুঁকি কমাতে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর ওপর নজরদারি ও নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
হুদায়ফা সামির আব্দুল্লাহ আল-খালুত নামের এই ব্যক্তি ‘আবু উবাইদা’ ছদ্মনামে ২০০৪ সাল থেকে ইজ্জ আদ-দীন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০০৬ সালে ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতকে অপহরণের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তিনি আলোচনায় আসেন এবং গাজা ও আরব বিশ্বের অনেক স্থানে একটি প্রতীকী মুখপাত্রে পরিণত হন।
আবু উবাইদার সর্বশেষ বিবৃতিটি প্রকাশিত হয় শুক্রবার রাতে। সেখানে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, গাজা সিটিতে ইসরায়েলের সম্ভাব্য আক্রমণে জিম্মিদেরও একই ঝুঁকি ও পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে।
প্রেমিকার ফোন ব্যস্ত, রাগে বিদ্যুতের লাইন কেটে দিলেন প্রেমিক
প্রেমিকার ওপর ক্ষোভের কারণে এক যুবক বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে হাইটেনশন লাইন কেটে পুরো গ্রামকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছেন। এতে মুহূর্তেই ভোগান্তিতে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এই দৃশ্য দেখা গেছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, ওই তরুণ লোহার কাটার যন্ত্র হাতে একটি খুঁটির ওপর উঠে একের পর এক বিদ্যুতের তার কেটে যাচ্ছেন। যেকোনো সময় একটি প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটতে পারত, কিন্তু তিনি কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এই সময়’-এর দাবি, প্রেমিকার ফোন বারবার ব্যস্ত থাকায় ক্ষোভে ওই তরুণ এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে ভিডিওটির সত্যতা বা ঘটনাটি ঠিক কোথায় ঘটেছে, তা এখনো যাচাই করা যায়নি।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা নানা ধরনের মন্তব্য করছেন। একজন লিখেছেন, “প্রেমে ক্ষোভে অনেকে নিজের শিরা কাটে, এ তো গোটা গ্রামের শিরা কেটে দিল।” আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “কথায় বলে প্রেমে অন্ধ, কিন্তু এই প্রেমে তো পুরো গ্রাম অন্ধ।”
দরজার নিচ দিয়ে গড়িয়ে পড়া রক্তে প্রকাশ পেল অচিন্তনীয় কাহিনি
ভারতের রাজধানী দিল্লির রোহিনিতে জন্মদিনের উপহার বিনিময়কে কেন্দ্র করে ভয়াবহ এক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পারিবারিক কলহের জেরে এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রী এবং শাশুড়িকে নির্মমভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটির পরপরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ আগস্ট মেঘ সিনহার মা কুসুম সিনহা (৬৩) নাতির জন্মদিন উদ্যাপন করতে মেয়ে প্রিয়া সেহালের (৩৪) বাসায় গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে প্রিয়া ও তার স্বামী যোগেশ সেহালের মধ্যে জন্মদিনের উপহার নিয়ে তর্ক শুরু হয়। পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন কুসুম সিনহা, কিন্তু তাতেই উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।
পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, মেঘ সিনহা ৩০ আগস্ট মাকে ফোন করলে কোনো সাড়া পাননি। এরপর তিনি প্রিয়ার বাসায় যান। সেখানে গিয়ে দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ এবং দরজার নিচ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। বিষয়টি দেখে তিনি প্রতিবেশীদের খবর দেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে কুসুম ও প্রিয়ার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
মেঘ সিনহার অভিযোগ, তার বোনের স্বামী যোগেশ সেহাল বর্তমানে বেকার ছিলেন এবং মানসিক চাপের মধ্যে ভুগছিলেন। জন্মদিনের অনুষ্ঠানের সময় উপহার নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জেরে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার মা ও বোনকে হত্যা করেন এবং সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান।
ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত যোগেশ সেহালকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে রক্তমাখা জামাকাপড় ও হত্যার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি কাঁচি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ঘটনাটি পারিবারিক সহিংসতার জটিলতা থেকেই সংঘটিত হয়েছে।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত আরও গভীরভাবে করার জন্য পুলিশ ক্রাইম টিম এবং ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞদের ঘটনাস্থলে ডেকেছে। তারা ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে হত্যার প্রকৃত কারণ এবং ব্যবহৃত অস্ত্রের বিস্তারিত প্রমাণ সংগ্রহ করছেন।
-শরিফুল
ভারতের কেরালায় ভিন্নধর্মী প্রতিবাদ: ‘বিফ ফেস্ট’
ভারতের কেরালার এরনাকুলামে ক্যানারা ব্যাংকের কর্মীরা এক অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সম্প্রতি নতুন যোগ দেওয়া এক শাখা ম্যানেজার ক্যান্টিনে গরুর মাংস পরিবেশন বন্ধের নির্দেশ জারি করেন। এর জেরেই কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতীকীভাবে একটি ‘বিফ ফেস্ট’ আয়োজন করেন।
এই কর্মসূচির উদ্যোগ নেয় ব্যাংক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (বিইএফআই)। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথমে তারা ম্যানেজারের অশালীন আচরণ এবং কর্মীদের মানসিক হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু গরুর মাংস পরিবেশনে নিষেধাজ্ঞার পর বিষয়টি অন্য রূপ নেয় এবং কর্মীরা সিদ্ধান্ত নেন ক্যান্টিনের সামনে গরুর মাংস ও পরোটা খেয়ে প্রতীকী উৎসবের মাধ্যমে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করবেন।
সংগঠনের নেতা এস এস অনিল বলেন, “এখানে একটি ছোট ক্যান্টিন আছে যেখানে নির্দিষ্ট দিনে গরুর মাংস পরিবেশন করা হয়। কিন্তু ম্যানেজার সরাসরি ক্যান্টিন কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, আর গরুর মাংস দেওয়া যাবে না। অথচ এই ব্যাংক সংবিধানের নিয়ম মেনে চলে। খাবার একটি ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। ভারতীয় সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে নিজের খাদ্যাভ্যাস বেছে নেওয়ার অধিকার দিয়েছে। আমরা কাউকে জোর করছি না গরুর মাংস খেতে। আমাদের প্রতিবাদের এই আয়োজন শুধুই একটি প্রতীকী বার্তা।”
ঘটনার পর কেরালার স্বতন্ত্র এমএলএ কে টি জালিল প্রকাশ্যে প্রতিবাদকারীদের প্রশংসা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোনও অধিকার নেই মানুষ কী পরবে, কী খাবে, কী ভাববে, তা নির্ধারণ করার।”
এর আগে ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার গরু বিক্রি নিষিদ্ধ করলে কেরালার বিভিন্ন জেলায় মানুষ ব্যাপক আকারে ‘বিফ ফেস্ট’ আয়োজন করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। সাম্প্রতিক এই ঘটনায় আবারও সেই ধরনের আন্দোলনের পুনরাবৃত্তি ঘটল, যা কেরালার সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
-রফিক
শরিয়াহবিরোধী,আখ্যায় আফগানিস্তানে নারীদের বিউটি পার্লার বন্ধে কঠোর অবস্থান
আফগানিস্তানে গোপনে পরিচালিত নারীদের সব বিউটি পার্লার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে তালেবান সরকার। এক ঘোষণায় তারা জানিয়েছে, যেসব পার্লার লুকিয়ে চালু আছে, সেগুলো আগামী এক মাসের মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে। অন্যথায় এসব পার্লারের মালিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জীবিকা ও অধিকার কেড়ে নেওয়া
তালেবান সরকারের দাবি, নারীদের জন্য বিউটি পার্লার ‘ইসলামী শরিয়াহবিরোধী’, তাই এগুলো কোনোভাবেই চালু রাখা যাবে না। তাদের এই সিদ্ধান্তে যারা গোপনে এই ব্যবসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন, তারা এখন নতুন করে ভয় ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। তালেবান সরকার ২০২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সব বিউটি পার্লার বন্ধ করে দিয়েছিল, যার ফলে প্রায় ১২ হাজার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় এবং অন্তত ৫০ হাজার নারী চাকরি হারান।
৩৮ বছর বয়সী এক নারী, ছদ্মনামে ফ্রেশতা, বলেন—তার স্বামী অসুস্থ, আর তিন সন্তানের ভরণপোষণের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি। তিনি বলেন, “যখন কোনো নারী আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের সৌন্দর্য দেখে হাসতেন, সেই আনন্দ আমার আনন্দ হয়ে যেত। শুধু টাকার জন্য নয়, নিজের কাজের জন্যও আমি খুশি হতাম। কিন্তু এখন ঝুঁকি এত বেশি যে হয়তো আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।” ফ্রেশতা বলেন, “আমি আর কোনো কাজ জানি না, অথচ আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। এই পৃথিবীতে আমাদের আর্তনাদ শোনার কেউ নেই।”
তালেবান কর্তৃপক্ষ কমিউনিটি নেতা ও স্থানীয় প্রবীণদের নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন গোপন বিউটি পার্লারের খোঁজ দিয়ে মালিকদের পুলিশের হাতে তুলে দেন।
নারীদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ
২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই তালেবান নারীদের ওপর নানা ধরনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে চলেছে। অধিকাংশ নারীদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং মেয়েদের মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়াশোনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, তালেবান কার্যত নারীদের বিরুদ্ধে এক ধরনের “লিঙ্গভিত্তিক বর্ণবাদ” চালু করেছে। নারীরা এখন পুরুষ অভিভাবক ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন না, পার্কে হাঁটতে, জিম বা সেলুনে যেতে পারেন না। এমনকি তাদের বাইরে বের হলে পুরো শরীর ঢেকে রাখতে হয় এবং জনসমক্ষে তাদের কণ্ঠস্বরও শোনা যায় না।
/আশিক
ট্রাম্পের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে, কী বলছে হোয়াইট হাউস?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে অদ্ভুত এক গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে শনিবার পর্যন্ত ‘ট্রাম্প মারা গেছেন’ শিরোনামে ৫৬ হাজারেরও বেশি পোস্ট হয়েছে। এতে ৭৯ বছর বয়সী প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা-কল্পনা আরও জোরালো হয়েছে।
এর আগেও ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। জুলাই মাসে তার হাতের ওপর ক্ষতচিহ্ন ও গোড়ালিতে ফোলাভাব দেখা যায়। সে সময় হোয়াইট হাউস দ্রুত জানায়, এটি গুরুতর কিছু নয়। তবে সম্প্রতি তার হাতের ক্ষত ঢাকতে মেকআপ ব্যবহার করা হয়েছে বলে যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তা নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ভাইস প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে বিতর্ক
গুজব আরও জোরালো হয় যখন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের একটি মন্তব্য প্রকাশ্যে আসে। ২৭ আগস্ট ইউএসএ টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যদি কোনো ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ ঘটে, তবে তিনি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। যদিও তিনি একইসঙ্গে জোর দিয়ে বলেন, ট্রাম্প এখনো চমৎকার ফিট এবং মজবুত। ভ্যান্স বলেন, “গত ২০০ দিনে আমি দারুণ অন-দ্য-জব ট্রেনিং পেয়েছি। আল্লাহ না করুক, যদি কোনো ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে, তবে এই অভিজ্ঞতাই হবে সবচেয়ে কার্যকর প্রস্তুতি।”
উল্লেখ্য, ৭৯ বছর বয়সে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে, ৪১ বছর বয়সী ভ্যান্স দেশের তৃতীয় কনিষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট।
‘ব্রুইজ মিস্ট্রি’ বা ক্ষতের রহস্য
ট্রাম্পের হাতে হঠাৎ দেখা দেওয়া ক্ষতকে অনেকেই সন্দেহজনক বলে মনে করছেন। কয়েক দিন আগে ওভাল অফিসের বৈঠকে তার ডান হাতে একটি ক্ষত দেখা যায়, যা মেকআপ দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করা হয়েছে বলে সমালোচকরা দাবি করছেন। একই সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং-এর সঙ্গে বৈঠকের ছবিতেও তার হাতে একই চিহ্ন দেখা গেছে।
এর আগে জুলাই মাসে হোয়াইট হাউস জানায়, ট্রাম্পের গোড়ালিতে ফোলাভাব হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, এটি শিরায় রক্তপ্রবাহজনিত একটি সমস্যা যা সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়।
হোয়াইট হাউসের ব্যাখ্যা
প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিদিন হাজারো মানুষের সঙ্গে হাত মেলান। এর ফলে এমন ছোটখাটো ক্ষত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।” ট্রাম্পের ব্যক্তিগত চিকিৎসক শন বার্বাবেলাও এক বিবৃতিতে জানান, প্রেসিডেন্টের হাতে দেখা দেওয়া ক্ষত কেবল সফট টিস্যু ইরিটেশন, যা বারবার হাত মেলানো ও অ্যাসপিরিন ব্যবহারের কারণে হয়ে থাকে।
তবে সরকারি ব্যাখ্যা সত্ত্বেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্পকে ঘিরে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও গুজব থামছে না। এর আগে ২০২৩ সালেও ট্রাম্প জুনিয়রের এক্স অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ট্রাম্পের ভুয়া মৃত্যুসংবাদ ছড়ানো হয়েছিল।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে
সংসদ ভবনে আগুন দিল বিক্ষোভকারীরা
শ্রমজীবীদের জন্য অপ্রতুল মজুরি এবং রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের বিলাসবহুল জীবনযাপনকে কেন্দ্র করে ইন্দোনেশিয়ায় শুরু হওয়া অসন্তোষ এখন দেশব্যাপী বিক্ষোভে রূপ নিয়েছে। রাজধানী জাকার্তায় এক বিক্ষোভকারীর পুলিশ গাড়িচাপায় মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে এবং বিদ্যমান উত্তেজনা যেন নতুন করে উসকে যায়।
সর্বশেষ সুলাওয়েসি প্রদেশের আঞ্চলিক সংসদ ভবনে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। শুক্রবার রাতে সংঘটিত এই ঘটনায় অন্তত তিনজন প্রাণ হারান এবং পাঁচজন গুরুতর আহত হন। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, নিহতরা সংসদ ভবনের ভেতরে আটকে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আহতদের মধ্যে দুজন আতঙ্কে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতরভাবে আহত হন।
মূলত জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি, সংসদ সদস্যদের ভাতা বৃদ্ধি, এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার শত শত মানুষ জাকার্তায় জাতীয় সংসদ ভবনের বাইরে সমবেত হন। শিক্ষাখাতের বাজেট সংকোচন ও সরকারি স্কুল মিল কর্মসূচি নিয়েও তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরদিন শুক্রবার এই আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়। পার্লামেন্ট ভবনের সামনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি গাড়ি বিক্ষোভকারীদের ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং এতে এক যুবক ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে জাতিকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো। নিহত বিক্ষোভকারীর পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে তিনি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেন। প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত অ্যাকশন তাকে হতবাক ও হতাশ করেছে।
এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার জাকার্তায় বিচ্ছিন্নভাবে লুটপাটের ঘটনা ঘটে এবং এতে পরিবহন অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়। একইসঙ্গে বান্দুং ও জগজাকার্তা শহরেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভের কারণে রাজধানীর জনপরিবহন ব্যবস্থাও স্থবির হয়ে যায়। শনিবার জাকার্তার মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানায়, বিক্ষোভস্থলের নিকটবর্তী একটি স্টেশনে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। পাশাপাশি প্রাদেশিক মালিকানাধীন ট্রান্সজাকার্তা বাস সার্ভিসও বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
-রফিক
পাঠকের মতামত:
- মোদির চীন সফরের মধ্যেই ভারতকে নিশানায় ট্রাম্পের উপদেষ্টা
- পূর্ব আফগানিস্তানে এক রাতের ভয়াবহতা, কাঁপছে সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলো
- আবু উবাইদার মৃত্যু নিয়ে দ্বন্দ্ব- ইসরায়েলের দাবি, হামাসের নীরবতা
- বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ: কর্মসূচি, ইতিহাস ও নেতৃত্বের বার্তা
- পিনাকি গং-এর কৌশলগত প্রচারণা: বিএনপির বিভাজন ও ডানপন্থার উত্থান
- প্রাসাদ ষড়যন্ত্র ও বাংলাদেশে রাজনীতির বিপদসংকেত
- জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা, দাবি ও প্রত্যাশা: জামায়াত, এনসিপি ও বিএনপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
- নীরব ঘাতক স্ট্রোক, যে চারটি লক্ষণ দেখলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে
- যারা নির্বাচনের বিকল্প ভাবে, তারা জাতির জন্য বিপজ্জনক: প্রধান উপদেষ্টা
- নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্র চলছে, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে: তারেক রহমান
- শেখ হাসিনার মামলার বিচার শেষ পর্যায়, রায় শীঘ্রইে
- কোপানোর পর দুই শিক্ষার্থীকে ফেলে দেওয়া হয় ছাদ থেকে: চবিতে নারকীয় হামলা
- চাপে পড়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে: ড. তাহের
- ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা
- চবিতে হামলায়, প্রশাসনের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে কাঁদলেন উপ-উপাচার্য
- একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি: মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নাতি-নাতনিদের আবেদন বাতিল
- প্রেমিকার ফোন ব্যস্ত, রাগে বিদ্যুতের লাইন কেটে দিলেন প্রেমিক
- আ.লীগের মতো জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধ চায় জামায়াত
- ফ্যাসিস্ট আমলেও এমন হামলা হয়নি’: নুরের স্ত্রী মারিয়া নুর
- নুরের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার হবে, আশ্বাস দিলেন উপদেষ্টা আসিফ
- জামালপুরে বিএনপির সাবেক নেতার বিরুদ্ধে কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ
- আজকের বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমান: আমীর খসরু
- পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে সরকারকে আইনি নোটিশ
- বিএনপি থেকে বহিষ্কার হলেন উদয় কুসুম বড়ুয়া
- উন্নতি হচ্ছে নুরুল হক নুরের: কথা বলছেন ও তরল খাবার খাচ্ছেন
- চ্যাটবটের সঙ্গে ভুলেও শেয়ার করবেন না যে ১০টি তথ্য
- প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে জামায়াত: নির্বাচনকে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
- বুয়েটে কেউ পাত্তা দিত না: ব্যক্তিগত জীবনের গল্প শোনালেন অপি করিম
- প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে এনসিপি নেত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য
- নুরের ওপর হামলা ‘পূর্ব পরিকল্পিত’, মেরে ফেলার উদ্দেশ্য ছিল: রিজভী
- চবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ
- ৩১ আগস্ট শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ৩১ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- আইএসপিআরের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান,সেনাবাহিনী ও পুলিশই হামলা চালিয়েছে: রাশেদ খান
- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় আছে: রিজভী
- নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও সংঘর্ষ
- বাংলাদেশে প্রথম রোবটিক রিহ্যাব সেন্টার: চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত
- ডিএসই-তে শীর্ষ ২০ শেয়ার: ভ্যালু, ভলিউম ও ট্রেডে বাজারের গতি-প্রকৃতি
- দাবি পরিশোধ সক্ষমতায় শীর্ষে উঠে এলো একটি বীমা প্রতিষ্ঠান
- সরকারি সিকিউরিটিজে কুপন প্রদানের রেকর্ড ডেট ঘোষণা
- হাঁড়ি-কলসি থেকে টেরাকোটা: দোয়েল চত্বরে মাটির শিল্পের রঙিন দুনিয়া
- দেশের বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার আহ্বান, শেষ তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর
- দরজার নিচ দিয়ে গড়িয়ে পড়া রক্তে প্রকাশ পেল অচিন্তনীয় কাহিনি
- রুমিন ফারহানা ও হাসনাত সম্পর্কের নতুন মোড়
- ডা. তাহেরের বিতর্কিত মন্তব্যে চিকিৎসক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া
- ভারতের কেরালায় ভিন্নধর্মী প্রতিবাদ: ‘বিফ ফেস্ট’
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর পরীক্ষা স্থগিত, সেনা মোতায়েন
- জুলাই সনদ নিয়ে মতভেদ চরমে, আজ তিন দলের সঙ্গে বৈঠক অন্তর্বর্তী সরকারের
- ডিএসই প্রকাশ করল নতুন মার্জিন ঋণযোগ্য সিকিউরিটিজ তালিকা
- জ্ঞান ফিরেছে নুরুল হক নুরের
- "জাতীয় নাগরিক পার্টি আসলে ইউনূসের দল, জামায়াতই দেশ চালাচ্ছে"
- ২৭ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২৬ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- ২৭ আগস্টের বন্ড মার্কেট আপডেট: কিছু বন্ডে দরপতন, বেশিরভাগই স্থবির
- জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া বিপ্লব অসম্পূর্ণ: ডা. তাহের
- মাহফুজ আলমের উপস্থিতিতে নিউইয়র্কে কনস্যুলেটে আওয়ামী সহিংসতা, নিন্দার ঝড়
- ২৬ আগস্ট শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- নাইজেরিয়ার বাজারে ডেরিকা: টমেটো পেস্ট থেকে মাপের এককে রূপান্তরের গল্প
- ২৫ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- জুলাই সনদ নিয়ে মতভেদ চরমে, আজ তিন দলের সঙ্গে বৈঠক অন্তর্বর্তী সরকারের
- ২৮ আগস্ট দরপতনের তালিকায় শীর্ষ ১০ কোম্পানি
- সার্কিট ব্রেকারে তালিকাভুক্ত দুই শীর্ষ কোম্পানি
- ডিএসইতে ব্যাংক শেয়ারের দাপট