“একাত্তর ও গণতন্ত্র প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়”: মির্জা ফখরুলের দৃপ্ত উচ্চারণ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৯ ১৭:২৬:৪২
“একাত্তর ও গণতন্ত্র প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়”: মির্জা ফখরুলের দৃপ্ত উচ্চারণ
গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: প্রথম আলো

একাত্তর ও গণতন্ত্র প্রশ্নে কোনো ছাড় নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, "১৯৭১ আমাদের আত্মপরিচয়ের মূলে, আর গণতন্ত্র হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যতের রূপরেখা। এ দুটি প্রশ্নে কোনো আপস সম্ভব নয়। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং একটি পূর্ণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই চাই।" শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ আয়োজিত "গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ" শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, "যত দেরি হচ্ছে, পরিস্থিতি তত ঘোলাটে হচ্ছে। যারা জনগণ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছিল, তারা আবার সংঘটিত হয়ে এই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে। এখন সময়, সংস্কার, সনদ এবং নির্বাচন—এই তিনটি বিষয়ে দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছানোর। তা না হলে দেশের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হবে।"

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে মবোক্রেসি, হত্যা, ছিনতাই ভয়াবহভাবে বেড়েছে। এখনই এই সুযোগ কাজে না লাগালে বাংলাদেশ আরও বহু বছর পিছিয়ে যাবে। যারা গণতন্ত্র ও জনগণের অগ্রযাত্রায় বিশ্বাস করে না, তারা পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করছে। তিনি অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেরি করলে সেই দায়ভার তাদেরই নিতে হবে। সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, "গণতন্ত্রের জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্য জরুরি। যদি আমরা তা অর্জন করতে ব্যর্থ হই, তবে পতিত ফ্যাসিবাদের দোসর ও বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা প্রক্রিয়াটি ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিনটি বিষয় আজ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।"

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের পর আমরা যে রকম রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রিক পরিবর্তনের প্রত্যাশা করেছিলাম, তা বাস্তবে পরিলক্ষিত হয়নি।” এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ৯০ ভাগ মানুষের নামও কেউ জানে না। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক মহল স্বার্থে এ অভ্যুত্থানের প্রকৃত ত্যাগকে অস্বীকার করছে।” তিনি বলেন, “হাসিনার পতন না হলে আবু সাঈদকে জঙ্গি বানানো হতো, আজ আমরা অনেকেই রাজনৈতিকভাবে নির্মূল হয়ে যেতাম।”

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, "প্রশাসনের চরিত্র অপরিবর্তিত রয়েছে। মুহাম্মদ ইউনূস ও উপদেষ্টাদের ওপর মানুষের যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ হয়নি। যদি সরকারের কর্মক্ষমতার নম্বর দিতে হয়, আমি ১০ এর মধ্যে ৪ দেব।" জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, "গণ-অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য ছিল বিভেদের রাজনীতি দূর করে জনগণের স্বার্থে একটি নতুন রাজনৈতিক কাঠামো তৈরি করা। আমরা চেয়েছিলাম এমন একটি বিচারব্যবস্থা, যেখানে গুম-খুনের বিচারের আশ্বাস থাকবে। নির্বাচনের মাঠের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।"

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতন্ত্র মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু। আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ১২–দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উল্লাহ কায়সার, জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব, গণফোরামের মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের নাঈম জাহাঙ্গীর এবং নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত। আলোচনায় বক্তারা একমত হন যে, গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ কণ্টকাকীর্ণ হলেও তা অর্জন করা জরুরি। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সম্মিলিতভাবে সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নেয়, তবে ফের রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশে প্রাধান্য পেতে পারে এবং গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে।


বিশেষ একজন ছাড়া সবাই খারাপ এই মানসিকতা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ২১:০৩:৫০
বিশেষ একজন ছাড়া সবাই খারাপ এই মানসিকতা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক: তারেক রহমান
ছবি : সংগৃহীত

বিশেষ একজন ছাড়া সবাই খারাপ এই ধারণার পরিবর্তন হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি সতর্ক করে বলেন গত ১৬ বছর ধরে আমি ভালো আর সব খারাপ এরকম একটি বিষয় আমরা দেখেছি। দুঃখজনক হলেও ২৪ সালের ৫ তারিখের পরে কেন জানি মনে হচ্ছে সেটির বোধহয় পরিবর্তন হয়নি। এটির পরিবর্তন হওয়া বাঞ্ছনীয় এবং অত্যন্ত জরুরি। সোমবার ৮ ডিসেম্বর রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত দেশ গড়ার পরিকল্পনা শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী যেখানে মানুষ বিভিন্ন মতামত দেবে এবং মতামত দেওয়ার অধিকার তার আছে। কিন্তু বিশেষ একজন ভালো আর বাকি সবাই খারাপ এটি কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না। এই ধারণার পরিবর্তন হতে হবে কারণ এটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি এবং বিপজ্জনক।

সংসদ নির্বাচনে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে তিনি নেতাকর্মীদের স্মরণ করিয়ে দেন যে নির্বাচনে প্রার্থী মুখ্য নয় বরং ধানের শীষই মুখ্য। তিনি বলেন আজ আমাদের বসে থাকার সময় নেই। বিভিন্ন এলাকায় আমাদের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। হয়তো তুমি একজনকে পছন্দ করতে সে হয়তো পায়নি। কিন্তু ভাইরে তুমি তো প্রার্থীর জন্য কাজ করছ না তুমি তো তোমার ধানের শীষের জন্য কাজ করছ। এখানে প্রার্থী মুখ্য নয় বরং মুখ্য হচ্ছে তোমার দল বিএনপি এবং মুখ্য হচ্ছে দেশ।

২৪ এর ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে তারেক রহমান বলেন ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে দেশের মানুষ গৃহবধূ মুদি দোকানি রিকশাচালক এবং বাসের হেলপারসহ ছাত্র জনতা। তিনি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন ওই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড ছোট ছোট শিশু এবং ওই আন্দোলনে ৬৩ জন শিশু শহীদ হয়েছে।

তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন বাংলাদেশের ইমিডিয়েট ভবিষ্যৎ তোমাদের ওপর। তোমরা যদি এগিয়ে আসো এবং ঐক্যবদ্ধ হও তাহলে দেশের সামনে একটি ভবিষ্যৎ আছে। তা না হলে একটি ভয়াবহ কিছু হয়তো অপেক্ষা করছে। দেশ গড়া পরিকল্পনা শীর্ষক এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির অন্য নেতারাও বক্তব্য রাখেন।


বিএনপির সঙ্গে জোট হলে মাঠের পরিস্থিতি কেমন হবে জানালেন রাশেদ খান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ২০:৫৫:৩৭
বিএনপির সঙ্গে জোট হলে মাঠের পরিস্থিতি কেমন হবে জানালেন রাশেদ খান
ছবি: কালের কণ্ঠ

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন বিএনপি বা ফ্যাসিবাদবিরোধী অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচনী জোট করার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেই তাঁরা বিএনপিসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ আলোচনা করবেন। সোমবার ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া বাজারে গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান বলেন বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলো একমত হয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে তাঁরা বিএনপির সঙ্গে এক হয়ে লড়াই করেছেন এবং কাজেই নির্বাচনে জোট গঠনের বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপির মধ্যে আগেও আলাপ আলোচনা হয়েছে।

নিজের নির্বাচনী এলাকার প্রস্তুতি সম্পর্কে রাশেদ খান জানান তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকা ঝিনাইদহ ২ আসনে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এবং প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা মাঠ পর্যায়ে নানাভাবে জরিপ করার চেষ্টা করছেন যে গণঅধিকার পরিষদের জনপ্রিয়তা কেমন হয়েছে এবং ভোটের মাঠের বাস্তব চিত্র পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করছেন।

বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী জোট হলে করণীয় বিষয়ে রাশেদ খান বলেন বিএনপির সঙ্গে যদি গণঅধিকার পরিষদের জোট হয় তাহলে জোটের প্রার্থীদের বিষয়ে বিএনপি তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে। বিএনপির কর্মী ও ভোটাররা কীভাবে জোটপ্রার্থীকে সহায়তা করবে সেটা বিএনপিই পর্যবেক্ষণ করবে। তিনি আস্থা প্রকাশ করে বলেন তারেক রহমান কাউকে জোট প্রার্থী ঘোষণা করার পরে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী সেটার বিরোধিতা করবে বলে তাঁর বিশ্বাস হয় না। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন যে তাঁর নিজ এলাকার বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও তাঁর হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।


বিএনপির আমলে শেয়ার বাজারে ধস নামেনি: রিজভী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ২০:৪৭:৪৭
বিএনপির আমলে শেয়ার বাজারে ধস নামেনি: রিজভী
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন বিএনপির আমলে কখনো শেয়ার বাজারে ধস নামেনি। তিনি দাবি করেন জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় মেয়াদ পর্যন্ত শেয়ার বাজারে ধস নামেনি বরং দেশের অর্থনীতি যত নিচের দিকে গেছে সেটা গেছে শেখ হাসিনার আমলে। সোমবার ৮ ডিসেম্বর রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির দেশগড়ার পরিকল্পনা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী পাটশিল্পের প্রসঙ্গ টেনে বলেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন বেসরকারি খাতের জুট বা পাট ১০০ শতাংশ রপ্তানি হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা ভারতকে জুট ইন্ডাস্ট্রিতে সুবিধা দেওয়ার জন্য দেশের পাটশিল্পকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছেন। তাঁর মতে পাটখাতে যে সমস্ত ভর্তুকি বা সুবিধা দেওয়ার দরকার ছিল সরকার তা না দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই খাতকে রুগ্ন করেছে।

রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিএনপি নেতা বলেন বিএনপির কোনো নেতৃবৃন্দ কোনো ধরণের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেননি। যেটা সম্ভব এবং যেটা করা যায় সেই কথাগুলোই তাঁরা বলেছেন। তিনি মন্তব্য করেন কাউকে জান্নাত পাইয়ে দেবেন বা সাদ্দাতের বেহেশত পাইয়ে দেবেন এসব কথা বিএনপি বলছে না। বিএনপি অত্যন্ত প্র্যাকটিক্যালি তার সামর্থ্যের মধ্যে যে কাজ করা সম্ভব সেগুলোর কথাই বলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।


বিএনপির এক অংশের আচরণ আওয়ামী লীগের মতোই: ফুয়াদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ২০:৪৪:১৮
বিএনপির এক অংশের আচরণ আওয়ামী লীগের মতোই: ফুয়াদ
ছবি : সংগৃহীত

আমার বাংলাদেশ পার্টি বা এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন খুনি চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী কোনো দলের নেতা হতে পারে না। তিনি অভিযোগ করেন যে রাজনৈতিক দলের আচরণ আওয়ামী লীগের সময় যেমন দেখা গেছে বর্তমানে বিএনপির এক অংশের আচরণও ঠিক সেরকমই। সোমবার ৮ ডিসেম্বর দুপুরে বরিশালের রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এবি পার্টি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ফুয়াদ বলেন আমি একটা উন্নয়ন কাজের সহযোগী চাইলাম অথচ সেটাকে কেন্দ্র করে আমাকে হেনস্তা করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন আমরা সবার নাম জানি এবং সবাইকে চিনি তাই তাদের বের করে দলীয় শৃঙ্খলার ভেতর আনবেন। তিনি রোববার বরিশালের মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের সময় ঘটে যাওয়া এক অপ্রীতিকর ঘটনার জের ধরে এসব কথা বলেন। ওই সময় ব্রিজ নির্মাণের ঠিকাদারের কাছে স্থানীয়রা চাঁদা দাবি করেছেন বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন ফুয়াদ।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানা যায় অভিযোগ করার সময় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরে চাঁদাবাজদের নাম জানতে চায় এবং তখন দুই গ্রুপের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে ফুয়াদ তোপের মুখে পড়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে শুরু করলে বিএনপি নেতাকর্মীরা ভুয়া স্লোগান দিয়ে মিছিল করে তাঁর পিছু নেয়। এই ঘটনাকে তিনি গুন্ডা পান্ডার রাজনীতি বলে অভিহিত করেন।

প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন রোববারের ঘটনার সময় প্রশাসনের সবাই ছিল কিন্তু তারা কিছুই করে নাই বরং নিশ্চুপ ছিল। বাবুগঞ্জের প্রশাসনের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে এখানে ভালো নির্বাচন সম্ভব না বলে তিনি মত দেন। ফুয়াদ বলেন জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে আমি ধৈর্য ধরেছি কারণ আমরা বাংলাদেশকে বদলে দিতে চাই এবং সম্মান ও মর্যাদার রাজনীতি চাই।


আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথে হেঁটে জামায়াত দেশের জন্য অশুভ সংকেত আনছে: এনসিপি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১৮:৪৩:১৩
আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথে হেঁটে জামায়াত দেশের জন্য অশুভ সংকেত আনছে: এনসিপি
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি অভিযোগ করেছে যে জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিভাজন সৃষ্টি করছে। তারা ঘৃণা ও সহিংসতার রাজনীতি উসকে দিচ্ছে বলে দলটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে গতকাল রোববার ৭ ডিসেম্বর এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে উদ্দেশ করে জামায়াত বক্তব্য দিয়েছিল। সোমবার ৮ ডিসেম্বর এনসিপি তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াতের সেই বক্তব্যকে অসত্য মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় এনসিপি সেই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছে এবং এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এনসিপি মনে করে জামায়াতের এই বিবৃতি বাস্তবতাবিবর্জিত ও রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত এবং জনমত বিভ্রান্ত করার স্পষ্ট অপচেষ্টা। দলটি অভিযোগ করে যে ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তে তারা পুরোনো সহিংস ও আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথে নতুন খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হতে চাচ্ছে যা দেশের জন্য অশুভ সংকেত।

এনসিপির দাবি গত ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ন্যাশনাল প্রফেশনালস অ্যালায়েন্সের বা এনপিএ এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রমাণনির্ভর যে মন্তব্য করেন তা সম্পূর্ণ তথ্যসম্মত ও দায়িত্বশীল। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয় গত ২৭ নভেম্বর পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুলি চালানো তুষার মণ্ডল যে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে এবং অস্ত্র ও গুলিসহ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

এনসিপি জানিয়েছে এমন স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বাস্তবতা অস্বীকার করা সত্য গোপন ও দায় এড়ানোর নিন্দনীয় অপচেষ্টা ছাড়া অন্য কিছু নয়। সহিংসতা অস্ত্রনির্ভরতা ও ধর্মের অপব্যবহার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিপন্থী উল্লেখ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শান্তি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল আচরণ অপরিহার্য বলে মনে করে দলটি। বিজ্ঞপ্তির শেষে জামায়াতকে সত্য শান্তি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।


ক্ষমতায় গেলে খাল খনন প্রকল্প আবার চালু করা হবে: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১৮:৩৫:১২
ক্ষমতায় গেলে খাল খনন প্রকল্প আবার চালু করা হবে: তারেক রহমান
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন তখন তিনি খাল খনন প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে আবার দেশ পরিচালনার সুযোগ দিলে এই খাল খননের কাজ আবার শুরু করা হবে। সোমবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা শীর্ষক কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খাল খননের গুরুত্ব ও কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যখন খাল খনন করেছিলেন তখন এর মাধ্যমে তিনি একদিকে যেমন বন্যাকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন আর অন্যদিকে ঠিক একইভাবে ফসলের সেচ ব্যবস্থারও উন্নতি ঘটিয়েছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন সেচ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে বাংলাদেশের যেখানে একটি ফসল হতো সেখানে দুটি ফসল হওয়া শুরু করল। শুধু পানি সরবরাহ ঠিকভাবে পাওয়ার জন্য এবং সেচ সুবিধার জন্য যেখানে দুটি হতো সেখানে তিনটি ফসল হওয়া শুরু করল।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট টেনে তিনি বলেন এই বাংলাদেশে যেখানে কয়েক বছর আগে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় সেখানে দেশ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণই হলো না বরং অল্প পরিমাণ হলেও বিদেশে খাদ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছিল। তিনি মনে করেন দেশের কৃষি ও কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাল খনন কর্মসূচির কোনো বিকল্প নেই।


নীতি ছাড়া ধর্মের নামে রাজনীতিতে  একটি দল: সালাহউদ্দিন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১২:১১:২৬
নীতি ছাড়া ধর্মের নামে রাজনীতিতে  একটি দল: সালাহউদ্দিন
ছবি: সংগৃহীত

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের ৭ তারিখ থেকে শুরু হওয়া বিএনপির ঘোষিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনের আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে ফার্মগেটের খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশের রাজনীতিতে একটি দল নীতি–আদর্শহীনভাবে ধর্মকে ব্যবহার করছে, যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। তিনি দাবি করেন, মানুষের আর্থ–সামাজিক উন্নয়নের জন্য সুস্পষ্ট ও বৃহৎ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে বিএনপি।

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই উন্নয়ন, সুশাসন এবং সমৃদ্ধ অর্থনীতি প্রতিষ্ঠাই বিএনপির প্রধান লক্ষ্য। একই মঞ্চে বক্তব্য দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যিনি এই কর্মসূচিকে জনগণের প্রত্যাশা জানার সবচেয়ে কার্যকর উপায় বলে উল্লেখ করেন।

বিএনপি জানায়, এ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত সংগ্রহ করা হবে, যা দলটির আগামী জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহার প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। বিকেলের দ্বিতীয় সেশনের সমাপনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

-রাফসান


বিমান প্রস্তুত হলেও আগামী ৪৮ ঘণ্টা খালেদা জিয়ার জন্য অগ্নিপরীক্ষা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১১:৫৪:৩২
বিমান প্রস্তুত হলেও আগামী ৪৮ ঘণ্টা খালেদা জিয়ার জন্য অগ্নিপরীক্ষা
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি পেয়েছে। সোমবার ৮ ডিসেম্বর সকালে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বিমান পৌঁছালেও খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়া সম্পূর্ণ নির্ভর করছে তাঁর বর্তমান শারীরিক অবস্থার ওপর।

রাগীব সামাদ জানান জার্মানভিত্তিক এফএআই এভিয়েশন গ্রুপের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামীকাল সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকায় নামবে। প্রয়োজন হলে একই দিন রাত ৯টার পর বিমানটি ঢাকা থেকে লন্ডনের উদ্দেশে উড়াল দিতে পারবে। বেবিচক সূত্র জানায় গত শনিবার এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ যে আবেদন জমা দিয়েছিল তাতে মঙ্গলবার ঢাকায় অবতরণ এবং পরদিন বুধবার লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রার সময়সূচি প্রস্তাব করা হয়।

দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। চিকিৎসা ও বিদেশযাত্রা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র জানায় চিকিৎসকেরা তাঁর সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করে বিদেশ পাঠানোর সম্ভাব্য সময় আরও দুদিন পিছিয়ে দিয়েছেন। দীর্ঘ যাত্রার ঝুঁকি বিবেচনায় নেওয়া এ সিদ্ধান্ত এখন পুরোপুরি নির্ভর করছে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় তাঁর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনের ওপর।

মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায় তাঁর ডায়াবেটিস কিডনি হৃদ্‌যন্ত্র ও ফুসফুস সংক্রান্ত জটিলতাগুলো কখনো নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হঠাৎ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে তাঁকে স্থিতিশীল বলা যাচ্ছে না। সর্বশেষ পরীক্ষায় কিডনি ও ফুসফুসের কিছুটা উন্নতি দেখা গেলেও তা সামগ্রিক ঝুঁকি কমানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন তিনি এখনও আশঙ্কামুক্ত নন।

এই অনিশ্চয়তার কারণে বিদেশ যাত্রার সম্ভাব্য তারিখ বারবার বদলাচ্ছে। শুরুতে বিএনপি জানিয়েছিল ৫ ডিসেম্বর ভোরে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে। পরে সময় পরিবর্তন করে ৭ ডিসেম্বর করা হয়। এরপর নতুন সূচিতে ৯ ডিসেম্বর যাত্রার সম্ভাবনা জানানো হয় যা আবারও পিছিয়ে যায় তাঁর স্বাস্থ্যগত অনিশ্চয়তার কারণে। ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনও জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অগ্রগতি অনুযায়ীই শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন কি না।


 চাঁদাবাজদের কাছে মাথা নত করব না: হাসনাত আব্দুল্লাহ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১১:৪০:২১
 চাঁদাবাজদের কাছে মাথা নত করব না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির বা এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন আজকের চাঁদাবাজরাই আগামী দিনের টেন্ডারবাজ। তিনি সতর্ক করে বলেন চাঁদাবাজরা কিছুদিন পর মানুষের ঘরের ইট খুলে নিয়ে যাবে। তাই চাঁদাবাজদের নির্মূল না করা পর্যন্ত তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। রবিবার ৭ ডিসেম্বর রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের পদ্মকুট বাজারে উঠানে রাজনীতি শীর্ষক এক উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ দৃঢ়কণ্ঠে বলেন প্রয়োজনে ৩০০ ভোট পাব কিন্তু চাঁদাবাজদের কাছে মাথা নত করব না। তিনি তাঁর নির্বাচনী কৌশলের কথা তুলে ধরে বলেন রাজমিস্ত্রি ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো আমার বাবার বন্ধু এবং এবার তারাই হবে আমার নির্বাচনের এজেন্ট। কারণ তাদের সন্তান এবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে। মা বাবার এ ভোট তাদের সন্তানের পক্ষেই হোক।

নারীদের সমর্থনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন আমার মায়েরা বোনেরা রোজা রেখে আমাকে ভোট দিতে আসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ভাইবোনরা আমার জন্য কাজ করবে এবং প্রবাসে থাকা ভাইয়েরা ফোনে ভোট দেওয়ার জন্য পরিবারকে বলে দিয়েছেন।

বিগত শাসনামলের উদাহরণ টেনে এনসিপি নেতা হুঁশিয়ারি দেন এখন যদি কেউ মনে করে লাঠি দিয়ে দেশ চালাবে তবে তাদের শেখ হাসিনার কথা মনে রাখা উচিত। তিনি বলেন এ ছুপা নেতাগিরি বাংলাদেশে আর চলবে না এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি প্রচলিত রাজনৈতিক সংস্কৃতির সমালোচনা করে বলেন আমরা যারা নেতা বানাই নেতারা কখনো আমাদের মানুষই মনে করে না। নেতার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা বিশেষ চেয়ার ও বিশেষ প্রটোকল থাকে। এই বিশেষ মানুষকে আর আমরা সাধারণ মানুষের নেতা হিসেবে মানব না।

দেবিদ্বার উপজেলা এনসিপির ভারপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই উঠান বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক নাজমুল হাসান নাহিদ মো. মুজিবুর রহমান ওসমান গনি মোল্লা ও শামীম কাওসার।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত