কাঠগড়ার রেলিং ধরে নির্বিকার মমতাজ

সত্য নিউজ:আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় লোকসংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম আজ মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এবং আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ্য করা যায়। সকাল ১০টার পর থেকেই উৎসুক জনতা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণে জমায়েত হতে থাকেন। বেলা দুইটার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মমতাজকে ডিবি কার্যালয় থেকে হাজতখানায় নিয়ে আসে। আদালতের আশপাশে ভিড় জমে থাকলেও মমতাজকে যখন হাজতখানার বাইরে আনা হয় তখন তিনি একেবারে নির্বিকার অবস্থায় ছিলেন।

মামলার শুনানির সময় মমতাজ কাঠগড়ার লোহার রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং তার পক্ষে কোনও বক্তব্যও পেশ করা হয়নি। মমতাজের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় করা সাগর হত্যা মামলায় সাত দিন রিমান্ডের আবেদন জানায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুকী। পিপি আদালতে বলেন মমতাজ একজন শিল্পী যার গান মানুষের মন জয় করেছে কিন্তু তিনি এখন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সহযোগী হয়ে ভোটচুরির সঙ্গী হয়েছেন। তিনি আরো বলেন "মমতাজ হাসিনার জন্য গান গাইতেন এবং খালেদা জিয়া ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করতেন।"

শুনানি শেষে বিচারক মমতাজকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। এ সময় মমতাজের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে বক্তব্য না দেওয়ার পরও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে আসে। আদালতে আইনজীবীরা মমতাজকে সিঁড়ি দিয়ে নামানোর দাবি জানালে পুলিশ তাদের শান্ত থাকার পরামর্শ দেয়।

বিকেল ৪টার দিকে কড়া পুলিশ পাহারায় মমতাজকে লিফটে করে আদালতের সাততলা থেকে নিচতলায় নিয়ে আসা হয়। আদালতের বাইরে উপস্থিত জনতা ও আইনজীবীরা তাকে ঘিরে ধরলে পুলিশ দ্রুত তাকে হাজতখানায় নিয়ে যায়। এই সময় আদালতের প্রধান ফটকে মমতাজের একজোড়া জুতা পড়ে থাকতে দেখা যায় যা পরিস্থিতির অদ্ভুত একটি প্রতীক হয়ে ওঠে।

শিল্পী মমতাজের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো রাজনৈতিকভাবে গুরুতর হওয়া সত্ত্বেও তার ব্যক্তিগত জীবন এবং কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক থেমে নেই। এখন প্রশ্ন উঠছে তার বিরুদ্ধে গৃহীত আইনগত পদক্ষেপ কিভাবে দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক পরিবেশকে প্রভাবিত করবে।