বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশে মন্ত্রী হলেই বদলে যায় মনোভাব: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশের রাজনীতিতে মন্ত্রী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিত্ব ও মানসিকতার যে আমূল পরিবর্তন ঘটে, তা দেশকে ধীরে ধীরে স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেয় এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “আমাদের এখানে যে-ই মন্ত্রী হয়ে যায়, সে এক ভিন্ন জগতে প্রবেশ করে। তার সামনে-পেছনে গাড়ি, স্যালুট, বাঁশি- এই আনুষ্ঠানিকতা তাকে ধীরে ধীরে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে তোলে। এটি নিছক সৌন্দর্য নয়, বরং স্বৈরতান্ত্রিক চেতনার সূচনা।”
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত ‘সিভিল ডিসকোর্স ন্যাশনালস–২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি এবং দ্য বাংলাদেশ ডায়ালগ (টিবিডি) যৌথভাবে এ আয়োজন করে।
বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক সংকট, সমাজে উদ্ভূত মূল্যবোধগত বিচ্যুতি এবং তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা নিয়ে গভীর পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমাদের এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। একটি সিগন্যাল, একটি বেলুন, একটি গ্লোরিফায়েড লেবেল দিয়ে কেউ নেতা হয় না। নেতৃত্ব আসে দায়বদ্ধতা ও মানুষের সঙ্গে সংযোগ থেকে।”
তার মতে, নেতৃত্বের আড়ালে এই ‘গ্লোরিফিকেশন’ অর্থাৎ ‘মাননীয়’ সংস্কৃতিই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্পিকার এই শব্দগুলোর পেছনে যে শ্রেষ্ঠত্বের দাবি আছে, সেটি থেকেই অটোক্রেসির জন্ম হয়। আমরা চাই না শব্দে শ্রেষ্ঠত্ব, চাই চিন্তায় নেতৃত্ব।”
সমাজে প্রজন্মের মধ্যে বেড়ে চলা দূরত্বকে দেশের রাজনৈতিক সংকটের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব। “ঢাকার চিন্তা আর ঠাকুরগাঁওয়ের চিন্তা এক নয়। অথচ রাষ্ট্রে আমরা সবাই এক নীতিতে চলি। এই দূরত্ব, এই বোধগত ফারাক—এটিকে কমিয়ে আনতে না পারলে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত প্রজন্ম, সেই ট্রান্সফর্মেটিভ ফোর্স তৈরি করতে পারব না,” বলেন তিনি।
তরুণদের সঙ্গে মেলামেশা ও মতবিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “জেনারেশন গ্যাপ আমাদের রাজনৈতিক সংকোচ বাড়িয়ে দিয়েছে। তরুণদের চিন্তা, ভাষা ও গতিকে বোঝার চেষ্টা জরুরি। একই সঙ্গে তাদেরকেও আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু শেখা প্রয়োজন।”
মতের অমিল, বিতর্ক ও অসন্তোষকে গণতন্ত্রের অঙ্গ মনে করে ফখরুল বলেন, “আমরা লিবারেল ডেমোক্রেসিতে বিশ্বাস করি। এই বিশ্বাস বলে—তুমি যা বলছ, আমি তা একমত না হলেও তোমার বলার অধিকার রক্ষা করব। এটাই সুস্থ গণতন্ত্রের শর্ত।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আমি বয়সে অনেক, কিন্তু এখনো আশা হারাইনি। আমি বিশ্বাস করি, তরুণরাই ভবিষ্যতে এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আরও বেশি সচেতন, যুক্তিবাদী, উদার ও মানবিক হয়ে।”
টিবিডির পরিচালক সাইফ রুবাবের সঞ্চালনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি ছিল রাজনৈতিক-সামাজিক বিষয়ে নতুন প্রজন্মের সচেতনতা ও নেতৃত্ব গঠনের এক প্রগতিশীল চর্চা। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম ইলিয়াস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশনা ইমাম, অ্যাডকম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম ফারহান চৌধুরী, বিএনপির আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু, ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি শাহাদাত হোসাইন, প্রধান মডারেটর অধ্যাপক আকতারুজ্জামান ও টিবিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবায়েত মান্নান রাফি।
-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে হানাহানি থাকবে না: মুফতি ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে দেশে মারামারি, হানাহানি ও কাটাকাটি কিছুই থাকবে না। তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ যেখানে জান-মালের নিরাপত্তা পাবে, সেখানেই ভোট দেবে। হিন্দুরাও নিরাপত্তা যেখানে পাবে, সেখানেই ভোট দেবে।”
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার জিয়া অডিটরিয়ামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রামগঞ্জ উপজেলা শাখার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
৫ বছরে উন্নয়ন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ
ফয়জুল করীম বলেন:
“৫৪ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, ইসলামী আন্দোলন ইনশাআল্লাহ ক্ষমতায় এলে সেই উন্নয়ন ৫ বছরেই সম্ভব। আমাদের লক্ষ্য কেবল রাস্তাঘাট নির্মাণ নয়, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।”
তিনি বলেন, শুধু রাস্তাঘাট উন্নয়নই একজন এমপির দায়িত্ব নয়। এসব হলো শুভঙ্করের ফাঁকি। তিনি অভিযোগ করেন, তারা (ক্ষমতাসীনরা) উন্নয়নের কথা বলে ইসলামের বিরুদ্ধে আইন পাস করে। অথচ একজন এমপির মূল কাজ হলো আইন প্রণয়ন করা। ইসলামের পক্ষে ভোট দিলে তার বরকতও ভোটাররাই পাবেন।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জান-মালের নিরাপত্তা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিশ্চিত করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপজেলা সভাপতি ডা. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম সহ অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা-তারেকের নিরাপত্তা: বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, একটি বুলেটপ্রুফ বাস কেনার অনুমতি দেওয়া হয় চলতি মাসের শুরুর দিকে এবং গত জুন মাসে একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দেওয়া হয়। বিএনপি এখনো কোন মডেলের গাড়ি কেনা হবে তা চূড়ান্ত না করলেও, দলীয় সূত্রে জানা গেছে—জাপান থেকে গাড়ি কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
নিরাপত্তা ও আগ্নেয়াস্ত্র
বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর জানান, আসন্ন নির্বাচনের সময় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান জনসংযোগ করতে সারা দেশে যাবেন। তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হচ্ছে।
বুলেটপ্রুফ গাড়ির পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্যও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে বিএনপি। একটি শটগান ও দুটি পিস্তলের লাইসেন্সের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তবে এই লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন রয়েছে।
নাহিদ ইসলামের তীব্র সমালোচনা: পিআর নিয়ে জামায়াতকে একহাত নিলেন এনসিপি নেতা
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেছেন, নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলন একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা ছিল। তিনি বলেছেন, তাদের এই আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল সংস্কার কমিশনের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করা এবং জনগণের উত্থানের পর জাতীয় সংলাপকে রাষ্ট্র ও সংবিধান পুনর্গঠনের মূল প্রশ্ন থেকে বিভ্রান্ত করা। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ষড়যন্ত্র ও জিম্মি করার অভিযোগ
নাহিদ ইসলাম তার পোস্টে উল্লেখ করেন, পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে একটি উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার দাবি একটি সাংবিধানিক নিরাপত্তা হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছিল। এর আশেপাশে একটি শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল।
তবে তিনি অভিযোগ করেন:
“জামায়াত ও তার সহযোগীরা এই এজেন্ডাকে জিম্মি করে এটিকে কেবল একটি কৌশলগত পিআর ইস্যুতে পরিণত করে। তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এটিকে ব্যবহার করে। তাদের উদ্দেশ্য কখনো সংস্কার নয়, বরং এটি ছিল কৌশলগত প্রভাব বিস্তার।”
নাহিদ ইসলাম আরও উল্লেখ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের আগে অথবা পরে কখনোই সংস্কার সংলাপে অংশগ্রহণ করেনি জামায়াত। তিনি মনে করেন, সংস্কার কমিশনের মধ্যে তাদের সমর্থন ছিল বিশ্বাস বা দৃষ্টিভঙ্গির ফল নয়, বরং রাজনৈতিক ছদ্মবেশধারী হস্তক্ষেপ।
ভবিষ্যৎ ও হুঁশিয়ারি
নাহিদ ইসলাম তার পোস্টে হুঁশিয়ারি দেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন স্পষ্টভাবে এই প্রতারণাকে বুঝতে পেরেছে।
“সর্বশক্তিমান আল্লাহ ও এই দেশের সার্বভৌম জনগণ আর কখনো অসৎ, সুযোগসন্ধানী ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া শক্তিগুলোকে তাদের ওপর শাসন করতে দেবেন না।”
জুলাই সনদের ৫ দফা দাবিতে জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিসসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো ৫ দফা দাবির বাস্তবায়নে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচি ও ৫ দফা দাবি
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, দলগুলো বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবে:
২০ অক্টোবর (সোমবার): রাজধানীতে
২৫ অক্টোবর (শনিবার): বিভাগীয় শহরগুলোতে
২৭ অক্টোবর (সোমবার): জেলা শহরগুলোতে
৫ দফা দাবিসমূহ:
১. গণভোট ও আদেশ: জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং উক্ত আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা।
২. পিআর পদ্ধতি: আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে / উচ্চ কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু করা।
৩. লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড: অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
৪. বিচার: ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
৫. নিষিদ্ধকরণ: স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি
সংবাদ সম্মেলনে সমমনা রাজনৈতিক দলসমূহের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ, খেলাফত মজলিস সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, জাগপা মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ইসি জঙ্গলীয় কায়দায় চলছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ‘জঙ্গলীয় কায়দায়’ চলছে। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক যাত্রায় কোনো পরিবার কিংবা ধর্মীয় উপাসনালয়ের কাছে নির্বাচন কমিশনকে বর্গা দিতে চাই না। নির্বাচন কমিশন সর্বজনীন।”
রোববার (১৯ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শাপলা প্রতীক ও স্বৈরাচারী আচরণ
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, শাপলা প্রতীক না দিতে পারার ব্যাপারে কমিশনকে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, ইসি শাপলাকে রাষ্ট্রীয় প্রতীক বলেছে, এমন বক্তব্য দিয়ে রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করেছে।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন:
“জুলাই সনদ নামে যে নাটক হয়েছে সংসদে, তারা এখন ঘুমাচ্ছে। গণভোটের কোনো নির্দেশনা আসেনি নির্বাচন কমিশনে। চুপ্পুর হাত দিয়ে জুলাই সনদ এনসিপি মানবে না।”
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনাররা যেখান থেকে আসছেন, তারা তাদের পারপাস সার্ভ করছেন। অদৃশ্য শক্তি থেকে মুক্ত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
হাসনাত আবদুল্লাহর অভিযোগ ও সাদৃশ্য
দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “ইসির রিমোট কন্ট্রোল আগারগাঁওয়ে নেই।” তিনি মনে করেন, নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে একটি ‘ইনস্টিটিউশনাল অটোক্রেসি’ (স্বৈরশাসন) তৈরি হচ্ছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ইসির প্রতীক তালিকায় ‘কোন নীতিমালার ভিত্তিতে’ মার্কাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং কেন শাপলাকে বাদ দেওয়া হচ্ছে—এসবের স্পষ্ট নীতিমালা নেই। তিনি বলেন:
“নির্বাচন কমিশনের আচার-আচরণে আমরা মধ্যযুগীয় রাজা-বাদশাদের আচরণের সঙ্গে তাদের একটা সাদৃশ্য দেখছি। নির্বাচন কমিশন একটি স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।”
তিনি বলেন, এনসিপির মার্কার ক্ষেত্রে তাদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল, যা গণবিদ্বেষী না হয়।
‘বক্তব্য কাট করে বিকৃত করা হয়েছে’: জুলাই যোদ্ধা নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদের ব্যাখ্যা
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ নিয়ে দেওয়া বক্তব্য জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আংশিক কাট করে প্রকাশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বানের প্রেক্ষিতে রোবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই বিষয়টি স্পষ্ট করেন।
ক্ষমা চাওয়ার আহ্বানকে স্বাগত
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “গতকাল শনিবার একটি রাজনৈতিক দলের সংবাদ সম্মেলনে তার একটি বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আনা হয়েছে। তাকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। তিনি এটাকে স্বাগত জানান। এভাবেই রাজনৈতিক চর্চা হওয়া উচিত। গণতান্ত্রিক চর্চা হওয়া উচিত। যথেষ্ট সম্মানের সঙ্গেই তারা কথাগুলো বলেছে।”
তবে তিনি বলেন, তিনি মনে করছেন বিষয়টি পরিষ্কার করা দরকার।
বক্তব্যের মূল উদ্দেশ্য
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পূর্বে সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি বলেছিলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা হলো ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনী’।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন:
“এখানে কোনো জুলাই যোদ্ধা সঠিক কোনো জুলাই অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত কোনো সংগঠন অথবা কোনো ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে না। এটা ছিল আমার সুস্পষ্ট বক্তব্য। এই কথার মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে আমি জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি সংগঠন এবং শক্তিদের সম্মানিত করার চেষ্টা করেছি।”
তিনি মনে করেন না তার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে, তবে আংশিক বক্তব্য কাট করে এনসিপি কথা বলেছে বলে তার ধারণা।
জুলাই অভ্যুত্থান ১৬ বছরের সংগ্রামের ফসল
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এখন পর্যন্ত বিএনপির ৪২২ জন নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, শুধু বিএনপি নয়, বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর অবিরাম সংগ্রাম-আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে রক্তের সোপান তৈরি হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “মাত্র ৩৬ দিনের আন্দোলনে একটা ফ্যাসিবাদী শাসকের পতন হয়েছে বলে যদি মনে করা হয়, তবে তা সঠিক নয়। এটা হচ্ছে ১৬ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল। সুতরাং বিএনপিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিপরীতে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা সফল হবে না বলেই তার মনে হয়।”
এনসিপি’র হুঁশিয়ারি: নির্বাচন কমিশন ‘স্বৈরাচারী কায়দায়’ চলছে
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের পছন্দের শাপলা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে এখনও আশাবাদী। রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, শাপলা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।
ইসি’র নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন
এনসিপি নেতারা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিরপেক্ষতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন:
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “নির্বাচন কমিশন আগের মতোই বর্বর স্বৈরাচারী কায়দায় চলছে। বর্তমান কমিশন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সক্ষম নয়। নির্বাচন কমিশন অন্য কারো রিমোট কন্ট্রোল বা প্রেসক্রিপশনে পরিচালিত হচ্ছে।”
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর দাবি: এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “শাপলা প্রতীক নিয়ে একটি ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছে নির্বাচন কমিশন। জনগণের প্রতীক শাপলা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা এখনো আশাবাদী শাপলা প্রতীক এনসিপিই পাবে।”
পরিবারকরণ: পাটওয়ারী হুঁশিয়ারি দেন, “নির্বাচন কমিশনকে পারিবারিকভাবে কারো কাছে বর্গা দেওয়া যাবে না। এটা জনগণের সম্পদ।”
নির্বাচন ও সনদের অবস্থান
আজকের বৈঠক শেষেও এনসিপি তাদের অবস্থানে অনড়। এনসিপিকে প্রতীক বাছাইয়ে সময় বেঁধে দিয়েছিল ইসি। এনসিপি বলেছে, শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে নিবন্ধন নেবে না।
জাতীয় নিরাপত্তা: ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়া নিয়ে সংশয় ব্যক্ত করে পাটওয়ারী বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।
জুলাই সনদ: এনসিপি জুলাই সনদ রাষ্ট্রপতি নয়, প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে গ্রহণ করতে চায়।
এনসিপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করে। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডগুলো জননিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি: তারেক রহমান
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডসহ সম্প্রতি কয়েকটি জায়গায় আগুন লাগার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, জননিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য এই ঘটনাগুলোর পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্ত অপরিহার্য।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা ১৪ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ
তারেক রহমান তার পোস্টে লেখেন, “ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ক্ষতিগ্রস্ত সবার জন্য আমার দোয়া রইল এবং আমি আশা করি, সবাই নিরাপদে আছেন।”
তিনি সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে বলেন:
“এ ঘটনার কারণ নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতের জন্য জননিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্ত করা অপরিহার্য।”
ফায়ার সার্ভিস ও অন্যদের প্রশংসা
পোস্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে কাজ করা ফায়ার সার্ভিস, সশস্ত্র বাহিনী এবং অন্যদের প্রশংসা করেন। তিনি তাদের জনসেবার প্রতি সত্যিকারের নিষ্ঠা প্রদর্শন করে দ্রুত এবং সাহসের সঙ্গে কাজ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড:
বিমানবন্দর: শনিবার দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আগুন লাগে, যা এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
চট্টগ্রাম ইপিজেড: বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি কারখানায় আগুন লাগে, যা টানা ১৭ ঘণ্টা জ্বলার পর নিয়ন্ত্রণে আসে।
মিরপুর: গত ১৪ অক্টোবর মিরপুরের রূপনগরে একটি কেমিক্যাল গোডাউন ও পোশাক কারখানায় আগুন লাগে, যাতে ১৬ জন প্রাণ হারান। টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে একটি সুতার মিলেও আগুন লাগে।
রক্ত দেওয়ার সময় আমরা, ক্ষমতার সময় অন্যেরা: হাসনাত আবদুল্লাহ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছেন, “রক্ত দেওয়ার সময় আমরা সবার আগে থাকি। কিন্তু ক্ষমতার প্রশ্ন এলে, আমাদের আর খুঁজেই পাওয়া যায় না।” শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ছবিতে দুই বিপরীত দৃশ্য
হাসনাত আবদুল্লাহ একটি কোলাজ ছবি সংযুক্ত করে এই আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
প্রথম ছবি: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সরকার গঠনের দায়িত্ব নিতে দেশে ফিরলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা (নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, আসিফ মাহমুদ ও উমামা ফাতেমাসহ)।
দ্বিতীয় ছবি: গতকাল (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার পাশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের দেখা যাচ্ছে।
এই ছবি দুটি পাশাপাশি যুক্ত করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন:
“এই দেশে এখন পর্যন্ত চোখে দেখা যায় এমন একমাত্র সংস্কার হলো—এই ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে। রক্ত দেওয়ার সময় আমরা সবার আগে থাকি, কিন্তু ক্ষমতার প্রশ্ন এলে, আমাদের আর খুঁজেই পাওয়া যায় না।”
উল্লেখ্য, জুলাই সনদ স্বাক্ষর হলেও জুলাই আন্দোলনের মুখ্য শক্তি এনসিপি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি এবং সনদে স্বাক্ষর করেনি।
পাঠকের মতামত:
- তিস্তা মহাপরিকল্পনা’র দাবিতে চবি শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল, ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি
- ভিসা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ: ৪২ দেশের নাগরিকদের জন্য বিশেষ সুবিধা চালু
- ২০ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- তৈরি পোশাক শিল্পে বড় আঘাত: কার্গো ভিলেজের ক্ষতি নিয়ে যা বলল বিজিএমইএ
- শীতে আমন্ড বাদাম: ভিজিয়ে খাবেন নাকি শুকনো? জেনে নিন সঠিক পদ্ধতি
- মাথাব্যথাকে বিদায়: ৫টি সহজ ঘরোয়া টোটকা
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
- চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি? জেনে নিন উপকারিতা
- ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে হানাহানি থাকবে না: মুফতি ফয়জুল করীম
- ইতিহাসের সবচেয়ে দুঃসাহসিক ছিনতাই: ২ লক্ষ ডলার নিয়ে আকাশেই উধাও সেই রহস্যমানব!
- ড্রোন দিয়ে ঘণ্টায় ১,৮০০ চারা রোপণ: প্রযুক্তিতে বন পুনরুদ্ধারের নজির
- ১০ বছরের সন্তানকে নিয়ে মা সমুদ্র সাঁতরে পৌঁছালেন স্পেনে
- খালেদা-তারেকের নিরাপত্তা: বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি
- নাহিদ ইসলামের তীব্র সমালোচনা: পিআর নিয়ে জামায়াতকে একহাত নিলেন এনসিপি নেতা
- মানব সভ্যতায় মুসলিম বিজ্ঞানীদের ৫ যুগান্তকারী অবদান
- আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টার বার্তা
- ১৮ বছরের গণনা: যে আবিষ্কার বিশ্বকে বোঝালো আমরা মিল্কি ওয়েতে একা নই
- জুলাই সনদের ৫ দফা দাবিতে জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- সুখবর: ৯ মাস বন্ধ থাকার পর খুলছে সেন্ট মার্টিন
- পা ফাটা দূর করুন: ঘরোয়া উপায়ে মসৃণ গোড়ালি পাওয়ার সহজ কৌশল
- শোয়েব আখতারের রেকর্ড ভাঙা! স্টার্কের ১৭৬.৫ কিমি গতির বল নিয়ে তোলপাড়
- ১৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৯ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৯ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- পরিকল্পিত আগুন: কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বড় অভিযোগ
- ইসি জঙ্গলীয় কায়দায় চলছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- ‘বক্তব্য কাট করে বিকৃত করা হয়েছে’: জুলাই যোদ্ধা নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদের ব্যাখ্যা
- এনসিপি’র হুঁশিয়ারি: নির্বাচন কমিশন ‘স্বৈরাচারী কায়দায়’ চলছে
- ফ্রান্স: সভ্যতা, প্রজাতন্ত্র ও মানবমুক্তির দীপ্ত ইতিহাস
- বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশ: বঙ্গোপসাগর থেকে ভারতীয় ১৪ জেলে আটক
- মেথি পানির ম্যাজিক: নিয়মিত ১৫ দিন পান করলে শরীরে আসে যে ৬ পরিবর্তন
- সাবধান! কম ঘুম ছোট করে দিতে পারে মস্তিষ্ককে, নতুন গবেষণার ভয়াবহ তথ্য
- এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়াল সরকার
- ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা: বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
- ইয়েমেনে জাতিসংঘ ভবনে হুথি অভিযান: সব কর্মী নিরাপদে
- গণভোটের দিনক্ষণ: নির্বাচনের দিন হবে না আগে? সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর
- রক্ষণ থেকে আক্রমণে জাদু: আরাউহোর গোলে লা লিগার শীর্ষে বার্সা
- মেসির জাদুতে ইন্টার মায়ামির দুর্দান্ত জয়: হ্যাটট্রিকে এমএলএস গোল্ডেন বুট প্রায় নিশ্চিত
- ‘আমরা রাজা নই, আমরা জনগণ’: যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল জনতা
- রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতি: দোহায় পাকিস্তান-আফগান সমঝোতা
- শাহজালালে আগুনে ছাই ব্যবসায়িক আশা: বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির আশঙ্কা
- ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- কার্গো ভিলেজে আগুন: ক্ষতির আশঙ্কা বিলিয়ন ডলার
- ভারতের বিরুদ্ধে নতুন সামরিক হুমকি দিলেন পাক সেনাপ্রধান
- সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডগুলো জননিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি: তারেক রহমান
- পায়ে সামান্য ব্যথা বা ঘা: নীরব ঘাতক ‘রক্তনালির ব্লকের’ সংকেত নয়তো?
- রাতে ফ্লাইট চালুর চেষ্টা চলছে: কার্গো ভিলেজের আগুন পরিদর্শনে উপদেষ্টা
- রিশাদ ম্যাজিক স্পিনে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- ঢাকার বিমানবন্দর অচল: ভয়াবহ আগুনে পুড়ছে কার্গো ভিলেজ, ৫ ঘণ্টায়ও নেভেনি
- ৪০-৪৫ দিনের রেণুবিন্দু: বিজ্ঞান বনাম কোরআন, গর্ভের শিশুর নিয়তি কখন লেখা হয়?
- ফ্রান্স: সভ্যতা, প্রজাতন্ত্র ও মানবমুক্তির দীপ্ত ইতিহাস
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- জায়ান-শমিতকে নিয়েই একাদশ, বেঞ্চে বসলেন দলের অন্যতম তারকা
- মাইগ্রেন কি শুধু মাথাব্যথা? জেনে নিন এর ৫টি ভিন্ন ধরন
- শি জিনপিং: সমাজে প্রকৃত সমতা চাইলে নারীর নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে
- আজ বাংলাদেশের বাঁচা-মরার লড়াই, টিভিতে নয় ২৫ টাকায় দেখুন অনলাইনে
- ১৪ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- পরমাণু ইস্যুতে কঠোর ইরান: আইএইএ-এর সঙ্গে চুক্তি স্থগিত, কারণ কী?
- শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- শীতকাল আসছে: সুস্থ থাকতে এখনই বর্জন করুন এই ৫টি অভ্যাস
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- ‘সামাজিক ব্যবসা তহবিল’ গঠনের প্রস্তাব দিলেন প্রধান উপদেষ্টা