সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ, সরকার কেন নিশ্চুপ: রিজভী

সত্য নিউজ: বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নির্বাচন বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নীরব অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, জনগণ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যখন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে, তখন সরকারের নিরুত্তর থাকাটা রহস্যজনক ও সন্দেহজনক।

রবিবার (১১ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরামের আয়োজিত এক শান্তি শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে এসব মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের এ নীরবতা গণতন্ত্রের প্রতি তাদের দায়হীনতার প্রমাণ।”

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়েও রিজভী প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “একজন খুনের মামলার আসামি কীভাবে দেশে থেকে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যান? তাঁর লাল পাসপোর্ট কীভাবে বহাল থাকে? গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কিছুই জানে না—এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।” তিনি ডিএসজি ও এনএসআই-এর ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে বলেন, “এ ধরনের ঘটনা গোটা জাতির জন্য নিরাপত্তা হুমকি।”

রিজভী সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁর অভিযোগ, সাতক্ষীরা, কুড়িগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অনুপ্রবেশকারী প্রবেশ করানো হচ্ছে। “সরকার নিশ্চুপ কেন? সীমান্ত সুরক্ষা কি এখন আর রাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকার নয়?”—প্রশ্ন তোলেন তিনি।

সরকারের একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টাকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, প্রশাসন নিয়ন্ত্রণের নামে তিনি রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করছেন এবং সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, “বাংলাদেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য হলো ধর্মীয় সহাবস্থান। গৌতম বুদ্ধের অহিংসার দর্শন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করেছে এ দেশে, তাই বিভেদ সৃষ্টি বা উসকানি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”

শোভাযাত্রায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরামের আহ্বায়ক দিলীপ বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সাথোয়াইপ্রু চৌধুরী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সুশীল বড়ুয়া।