মধ্যপ্রাচ্য সফরে ট্রাম্প, ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি নিয়ে উদ্বেগ

সত্য নিউজ:যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন, যেখানে তিনি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতারে চার দিনের সফর করবেন। এই সফরের সময়, গুঞ্জন উঠেছে যে তিনি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারেন।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, ট্রাম্প সৌদি আরবে গিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং এর স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ঘোষণা দিতে পারেন। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র 'মিডিয়া লাইন'কে জানিয়েছে, "ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং এর স্বীকৃতি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা আসতে পারে, তবে হামাসের উপস্থিতি ছাড়া এই রাষ্ট্র গঠন হবে।"

ট্রাম্প আগামী মঙ্গলবার সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত উপসাগরীয়-মার্কিন শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন, যেখানে তিনি এ বিষয়ে তার পরিকল্পনা প্রকাশ করতে পারেন। গত ৬ মে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে বৈঠকের সময় ট্রাম্প ‘আগামী দিনগুলিতে বড় একটি ঘোষণা’ দেবেন বলে মন্তব্য করেছিলেন, যা এখন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার গুঞ্জনকে আরো শক্তিশালী করেছে।

এই ঘোষণাটি ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতির একটি বড় পরিবর্তন হতে পারে এবং এটি 'আব্রাহাম চুক্তি' সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে এটি মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তনে সহায়তা করবে এবং আরও অনেক দেশকে 'আব্রাহাম চুক্তিতে' অন্তর্ভুক্ত করতে সহায়ক হতে পারে।

এছাড়া, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আগ্রহের অভাব এবং ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের হতাশার খবরও পাওয়া গেছে। তবে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি এসব গুঞ্জন অস্বীকার করে বলেছেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার খবর “বাজে কথা”।

ট্রাম্পের সফরের সময় সৌদি আরব এবং ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের চেষ্টা, নিরাপত্তা ও সামরিক চুক্তি, এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সমঝোতাও আলোচনা হওয়া সম্ভব বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরের প্রথমবারের মতো এবং তিনি সেখানে পরবর্তী সময় কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফর করবেন।