ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দলের ইঙ্গিত

যুক্তরাষ্ট্রের দুইদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন টেসলার সিইও ও প্রযুক্তি ধনকুবের ইলন মাস্ক। সম্প্রতি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধের পর তিনি নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠনের সম্ভাবনা উত্থাপন করেছেন। এ ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক যুগান্তকারী সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরাসরি সমর্থন দিয়েছিলেন মাস্ক। তিনি রিপাবলিকান পার্টির প্রচারে খরচ করেন প্রায় ২৭ কোটি ডলার, যা তাকে ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত করে তোলে। এমনকি ট্রাম্প নির্বাচনের পর মাস্কের জন্য ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ নামে একটি নতুন প্রশাসনিক দপ্তরের পরিকল্পনাও করেছিলেন—যার লক্ষ্য ছিল সরকারি খরচ হ্রাস ও প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি।

কিন্তু সম্প্রতি একটি বিতর্কিত ব্যয়বিল নিয়ে দুইজনের মধ্যে প্রকাশ্য মতবিরোধ দেখা দেয়। যেখানে ট্রাম্প বিলটিকে বলেন "One Big Beautiful Bill Act", সেখানে মাস্ক এটিকে "জঘন্য" আখ্যা দিয়ে সমালোচনা করেন এবং তার প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এই ঘটনায় দুইজনের রাজনৈতিক সম্পর্ক কার্যত ছিন্ন হয়ে যায়।

ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর মাস্ক এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ এক জরিপের আয়োজন করেন। সেখানে তিনি আমেরিকান জনগণকে প্রশ্ন করেন:

“যুক্তরাষ্ট্রে কি এমন একটি নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন আছে, যারা জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব করবে?”

জরিপে ৮০ শতাংশ উত্তরদাতা নতুন রাজনৈতিক দলের পক্ষে মত দেন। পরে মাস্ক লেখেন:

“জনগণ রায় দিয়েছে—যুক্তরাষ্ট্রে এমন একটি নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন রয়েছে, যা ৮০% মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে।”

যদিও তিনি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেননি, তবুও একাধিক গণমাধ্যম সূত্রে বলা হচ্ছে, সম্ভাব্য দলের নাম হতে পারে “The American Party”। এই দল হতে পারে প্রযুক্তি-ভিত্তিক, স্বাধীনচিন্তা সম্পন্ন এবং প্রচলিত ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান ধাঁচের বাইরে এক বিকল্প রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম।