মুখ ঢেকে ঘোরাফেরা করছেন রাজনৈতিক নেতারা: জুলকারনাইন সায়ের

রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির প্রশ্নে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিও ঘিরে তিনি দাবি করেছেন—রাজনৈতিক নেতারা এখন মুখ ঢেকে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছেন, যা তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি সন্দেহ জাগায়।

রোববার (১ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেন সায়ের। মাত্র ১২ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে দেখা যায়, মুখে মাস্ক পরা এক ব্যক্তি জাতীয়তাবাদী নাগরিক ঐক্য (এনসিপি)-এর নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা করছেন। যদিও ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি, তবে ভিডিওর প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

ভিডিওর ক্যাপশনে সায়ের তির্যক মন্তব্য করে বলেন,

“বুঝলাম না সবাই কিম কার্দাশিয়ানকে ফলো করছে কেন? কিমের লুকানোর অনেক কিছু থাকার পরেও তিনি কেবল মুখে একটা মাস্ক লাগিয়ে সব জায়গায় যান। একইভাবে নিজেদের লুকানোর বহু কিছু থাকার পরেও রাজনৈতিক নেতারা নিজ মুখ ঢেকে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া শুরু করেছেন।”

তিনি আরও বলেন,

“কিন্তু যারা দাবি করেন তাদের সাথে কোনো রাজনৈতিক দলেরই সম্পর্ক নেই, তাদের এভাবে মুখ লুকিয়ে যাওয়ার বিষয়টা একটু হাস্যকর।”

সায়েরের এই মন্তব্যের পর সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেউ বলছেন, এটি রাজনৈতিক দ্বিচারিতার আরেকটি উদাহরণ, কেউবা আবার বলছেন—এটি নেতিবাচক উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রচার।

রাজনৈতিক নেতাদের গোপন বৈঠক কিংবা জনচক্ষুর আড়ালে চলাফেরা নতুন কিছু নয়। তবে বর্তমান সময়ে যখন রাজনীতি নিয়ে মানুষের আগ্রহ ও সংবেদনশীলতা তুঙ্গে, তখন এমন গোপনীয়তা সাধারণ নাগরিকদের মনে প্রশ্নের জন্ম দেয়। তবে এ ঘটনায় এনসিপির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশে রাজনৈতিক নেতাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জায়গা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মুখ ঢেকে চলাফেরা কিংবা অস্বচ্ছ রাজনৈতিক যোগাযোগ ভবিষ্যতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর।