বিসিবিতে ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’র লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন বুলবুল

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব পেলেও দেশের ক্রিকেটে বড় পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে ময়দানে নামছেন। দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই যিনি বলেছিলেন ‘কুইক টি-টোয়েন্টি ইনিংস’ খেলবেন, তিনি এবার জানালেন- লক্ষ্য তার ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’!

রোববার (১ জুন) বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনে (বিএসজেএ) ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে বৈঠকে বুলবুল জানান, বিসিবিতে তিনটি মূল স্তম্ভকে ঘিরে কাজ হবে- শতভাগ ট্রাস্ট, শতভাগ প্রোগ্রাম ও শতভাগ রিচ। এই তিনটি নিয়েই তার ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’ বাস্তবায়নের লক্ষ্য।

বুলবুল বলেন, “আমরা ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ আপগ্রেড করব, শুধু খেলোয়াড়দের নয়- কর্মকর্তাদের পারফরম্যান্সও হাই লেভেলে নিতে হবে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে বিসিবির কার্যক্রম পৌঁছে দিতে হবে।” এর অর্থ, বিসিবির কাঠামো শুধুমাত্র মিরপুরকেন্দ্রিক থাকবে না। বরং আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বিকেন্দ্রীকরণ ঘটানো হবে।

তিনি জানান, আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর ভিত্তিতে খেলোয়াড় তৈরি, জাতীয় লীগ ও বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের আয়োজন এবং স্থানীয় উন্নয়নই হবে অগ্রাধিকার। সংস্থাগুলোর পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে অনুদান দেওয়া হবে।

বুলবুল স্বীকার করেন, ভালো খেলোয়াড় মানেই ভালো প্রশাসক নয়। তবে তিনি মনে করেন, সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত। “নান্নু ভাই, আকরাম ভাই, লিপু ভাই, বাশার- তারা উইকেটের চরিত্র, ড্রেসিং রুমের পরিবেশ সব বোঝেন। এই অভিজ্ঞতা বিসিবির জন্য বড় সম্পদ।”

ক্রিকেট বিকেন্দ্রীকরণের ক্ষেত্রে তিনি আমলাতান্ত্রিক প্রতিবন্ধকতার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখছেন। তবে এনএসসি (জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ)-র সহযোগিতা পাওয়ায় তিনি আশাবাদী। বুলবুল বলেন, “টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার সময় আঞ্চলিক কাঠামোর পরিকল্পনা ছিল, এখন সেটা বাস্তবায়ন হবে।”

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি ছিল- দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্রিকেটের উন্নয়ন। বুলবুল সেই প্রতিশ্রুতি পূরণেই এগোতে চান।

বর্তমানে ঢাকা থেকে জাতীয় লিগের দল বাছাইয়ের পুরো কাজ পরিচালনা করেন জাতীয় নির্বাচকরা। এই প্রক্রিয়া বদলে আঞ্চলিক পর্যায় থেকে খেলোয়াড় উঠে আসার একটি স্বচ্ছ ও কার্যকর ব্যবস্থার কথা বলছেন বুলবুল।

তার মতে, উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায় পেরিয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ তৈরিই হবে তার অন্যতম বড় অর্জন।