দারুননাজাত: নৈতিকতার আলোকবর্তিকা

সত্য নিউজ:রাজধানী ঢাকার ডেমরা থানাধীন সারুলিয়া ইউনিয়নেঅবস্থিত দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদ্রাসা এখন বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত। আধুনিক ও কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতির সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এই মাদ্রাসাটি ইসলামী জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্বদানে উপযোগী শিক্ষার্থী তৈরিতে রেখেছে অসামান্য ভূমিকা।

১৯৯০সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি শুরুতে ছিল কেবল হিফজ বিভাগ ও দাখিল পর্যায়ে সীমাবদ্ধ। সময়ের পরিক্রমায় প্রতিষ্ঠানটি আলিম, ফাজিল ও কামিল পর্যায়ে উন্নীত হয়ে আজ একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী উচ্চশিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। বর্তমানে এখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি কারিগরি ও সাধারণ শিক্ষারও সুযোগ পাচ্ছে।

দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া মাদ্রাসার অগ্রগতির পেছনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছেন এর সম্মানিত প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আ. খ.ম আবু বকর সিদ্দিক । তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব, শৃঙ্খলাপূর্ণ প্রশাসন এবং শিক্ষাবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গির ফলে প্রতিষ্ঠানটি আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছে। তিনি কেবল একজন দক্ষ প্রশাসকই নন, বরং একজন বিজ্ঞ আলেম, শিক্ষানুরাগী ও নৈতিক আদর্শে উজ্জীবিত শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের আত্মশুদ্ধি ও জ্ঞানের বিকাশে তাঁর নিবেদন ইতোমধ্যে দেশব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।

মাদ্রাসাটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো—এখানে একদিকে যেমন হাদীস, তাফসীর, ফিকহ, আরবী সাহিত্যসহ উচ্চতর ইসলামী বিষয়ের পাঠদান হয়, তেমনি আইসিটি, ইংরেজি ও সমসাময়িক বিষয়ের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফলে এখানকার শিক্ষার্থীরা কেবল ধর্মীয় জ্ঞানে পারদর্শীই নয়, বরং আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়ও সক্ষম হয়ে উঠছে।

প্রতিষ্ঠানের বর্তমান মহাপরিচালক হযরত মাওলানা মুফতি মাহমুদ আশরাফ এর নেতৃত্বে মাদ্রাসাটি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম, অভিজ্ঞ শিক্ষক মণ্ডলী এবং পরিপাটি শিক্ষার পরিবেশ এই মাদ্রাসাকে করেছে অনন্য।

মাদ্রাসাটির রয়েছে নিজস্ব পাঠাগার, কম্পিউটার ল্যাব, বিজ্ঞানাগার, আবাসন সুবিধা এবং সুবিশাল ক্যাম্পাস। এছাড়া, প্রতি বছর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্বিরাত ও হিফজ প্রতিযোগিতায় এখানকার শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করে চলেছে।

সারাদেশে ইসলামী শিক্ষার মানোন্নয়নে দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদ্রাসার অবদান অনস্বীকার্য। এটি যেন সত্যিকার অর্থেই একটি "আলোকবর্তিকা", যা সমাজে নৈতিকতা, মানবতা ও সত্যের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে।

বর্তমান বিশ্বে যখন নৈতিক অবক্ষয় প্রকট, তখন দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদ্রাসার মতো প্রতিষ্ঠান আমাদের আগামী প্রজন্মকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে। এই মাদ্রাসা শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং এটি একটি আদর্শের নাম — আর সেই আদর্শ রূপায়ণে প্রিন্সিপাল মুফতি মাহমুদুল হাসান সাহেবের ভূমিকা নিঃসন্দেহে অনন্য ও প্রশংসনীয়