ইসরায়েল থেকে মুক্তি পেয়েছেন শহিদুল আলম, তুরস্কের ফ্লাইটে আঙ্কারার পথে

বাংলাদেশের বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলমকে বহনকারী একটি ফ্লাইট আজ বিকেলে ইসরায়েল থেকে উড্ডয়ন করেছে বলে তুরস্কের কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে। তুর্কি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নম্বর TK 6921 স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে ইস্তাম্বুলে অবতরণের কথা রয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ বিকেলে তাঁর যাচাইকৃত ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন—
“বাংলাদেশের নাগরিক শহিদুল আলমের মুক্তি ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।”
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হাতে শহিদুল আলমের আটক হওয়ার পরপরই বাংলাদেশ সরকার তুরস্ক, মিশর ও জর্ডান সরকারের মাধ্যমে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু করে। তুরস্ক এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে তাঁর মুক্তির ব্যবস্থা করে।
তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই শহিদুল আলমকে ইস্তাম্বুলে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর গাজামুখী মানবিক অভিযানে অংশ নেওয়া ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের সবচেয়ে বড় জাহাজ ‘কনসায়েন্স’-এ ছিলেন শহিদুল আলম। জাহাজটিতে বিভিন্ন দেশের ৯৩ জন মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ অংশ নিয়েছিলেন। ইসরায়েলি নৌবাহিনী ওই দিন জাহাজটিতে অভিযান চালিয়ে সব যাত্রীকে আটক করে তেলআবিবে নিয়ে যায়।
শহিদুল আলমকে মুক্ত করতে বাংলাদেশের আঙ্কারা, কায়রো ও আম্মানস্থ দূতাবাসগুলো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছিল। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের তৎপরতার ফলেই এই অগ্রগতি এসেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের এক কর্মকর্তা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর বার্তায় আরও বলেন,
“বাংলাদেশ মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমরা প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। শহিদুল আলমের মুক্তি আমাদের কূটনৈতিক সাফল্যের প্রতিফলন।”
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, শহিদুল আলমকে তুরস্ক থেকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও চলছে। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁকে বাংলাদেশে আনা হতে পারে।
জমি রেকর্ডে জনসাধারণকে সরকারের জরুরি সতর্কতা
বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিনের জটিলতা, অনিয়ম ও দ্বন্দ্ব দূর করতে সরকার বড় ধরনের প্রযুক্তিগত রূপান্তরের পথে হাঁটছে। শুধু দলিল থাকলেই আর জমির মালিকানা প্রমাণ হবে না এমন যুগান্তকারী পরিবর্তন আনছে ভূমি মন্ত্রণালয়। সরকারি নির্দেশনায় পরিষ্কার করা হয়েছে, দলিলের পাশাপাশি নামজারি এখন থেকে বাধ্যতামূলক, এবং নামজারি ছাড়া জমি সরকারি রেকর্ডে মালিক হিসেবে গণ্য হবে না।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুলাই থেকে দেশের ২১টি উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে যে ডিজিটাল নামজারি পদ্ধতি চালু হয়েছে, সেটি শিগগিরই সারা দেশে বাস্তবায়ন করা হবে। এই পুরো সিস্টেম ডিজিটাল ভূমি সেবা কাঠামোয় নতুন মাত্রা যোগ করবে, যা জমি লেনদেনে স্বচ্ছতা বাড়াবে এবং মালিকানা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন বিধান অনুসারে, জমি কেনা বা উত্তরাধিকারসূত্রে জমি পাওয়ার পর শুধুমাত্র দলিলের কপি জমার মাধ্যমে আর মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩’ অনুযায়ী, রেকর্ডে মালিকানা গ্রহণযোগ্য হবে শুধু তখনই, যখন দলিলের সঙ্গে নামজারি সম্পন্ন থাকবে। ফলে নামজারি না থাকলে জমি বিক্রি, হস্তান্তর, বন্ধক রাখা বা খাজনা পরিশোধ সবই স্থগিত হয়ে যাবে। এছাড়া ভবিষ্যতে জমির মালিকানা নিয়ে মামলাকানুন ও বিরোধের সম্ভাবনা বহুগুণ বাড়বে।
সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, শুধুমাত্র দলিলের ভিত্তিতে জমি রেকর্ডভুক্ত করার আগের পদ্ধতি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ জমি কেনা বা উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়ার পর দ্রুততম সময়ে নামজারি সম্পন্ন করাই বৈধ মালিকানা নিশ্চিত করার একমাত্র পথ। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে নামজারি ছাড়া কোনো দলিলকে রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত না করা হয়।
জনস্বার্থে সরকার নাগরিকদের বিশেষভাবে সতর্ক করে বলেছে, “দলিল থাকলেই মালিকানা নয় নামজারি ছাড়া মালিকানা সরকারি খাতায় বৈধ হবে না।” সেই সঙ্গে সবাইকে সময়মতো ডিজিটাল নামজারি সম্পন্ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে জমি সম্পর্কিত মামলাজট ও প্রতারণা এড়ানো যায়।
-রাফসান
নতুন পে স্কেলে বড় ঘোষণা সামনে আলোচনার অন্তরালে কী ঘটছে
নতুন জাতীয় পে স্কেল প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় বেতন কমিশন ধাপে ধাপে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কমিশনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, যেখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা অংশ নেন। বৈঠকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সময়োপযোগী বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করার বিষয়ে নানা আলোচনা হয়।
সভা শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলেন যে সচিবদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। যদিও সব সচিব সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি, তাই অনুপস্থিত সচিবদের সঙ্গে শিগগিরই আলাদা করে বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি জানান, আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে দ্রুতই সুপারিশ চূড়ান্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়া সম্ভব হবে।
সরকার গত ২৭ জুলাই জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সময়োপযোগী ও যথোপযুক্ত বেতন কাঠামো নির্ধারণে জাতীয় বেতন কমিশন গঠন করে। এরপর ১ থেকে ১৫ অক্টোবর অনলাইনের মাধ্যমে সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতি এই চার শ্রেণির মানুষের মতামত সংগ্রহ করা হয়। প্রশ্নমালাভিত্তিক এ মতামত কমিশনের সুপারিশ প্রণয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ পূর্বে জানিয়েছেন যে পে কমিশনের জন্য আলাদা একটি কমিশনও কাজ করছে। তিনটি রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ চূড়ান্ত করা হবে। বর্তমান সরকার মূল কাঠামো তৈরি করবে, যা পরবর্তী সরকার বাস্তবায়ন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। পে কমিশনকে সুপারিশ জমা দেওয়ার জন্য ৩০ নভেম্বরকে আলটিমেটাম দিয়েছেন কর্মচারী নেতারা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুপারিশ না পেলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। একই দাবিতে আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
-শরিফুল
জামায়াত নেতার বক্তব্যে পুলিশের তীব্র প্রতিবাদ
জামায়াতে ইসলামীর নেতা এবং সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। তাদের মতে, রাজনৈতিক সমাবেশে দেওয়া এমন বক্তব্য একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে উসকানি দেয় এবং প্রশাসনের প্রতি জনআস্থা ক্ষুণ্ন করে।
সোমবার ২৪ নভেম্বর রাতে এক আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদলিপির মাধ্যমে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এই প্রতিক্রিয়া জানায়। তারা জানায়, শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্য ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং বিষয়টি অ্যাসোসিয়েশনের নজরে এসেছে।
শাহজাহান চৌধুরী ২২ নভেম্বর এক রাজনৈতিক সমাবেশে বলেন নিজের ভাষায় প্রশাসনকে দলে আনা প্রয়োজন এবং পুলিশসহ সকল প্রশাসনিক কাঠামোকে রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। তিনি বলেন নির্বাচনী এলাকায় পুলিশকে তাদের নির্দেশে কাজ করতে হবে, মামলা গ্রহণ থেকে শুরু করে গ্রেপ্তার পর্যন্ত সবকিছু তাদের কথায় পরিচালিত হওয়া উচিত। তার উদ্ধৃতি অনুযায়ী থানার ওসি থেকে পুলিশ সদস্যদের পেছনে হাঁটার মতো অবস্থা তৈরি করতে হবে এবং রাজনৈতিক নেতাকে প্রটোকল দিতে হবে।
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এই বক্তব্যকে অত্যন্ত রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টিকারী এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে হেয়প্রতিপন্ন করার শামিল বলে উল্লেখ করেছে। তাদের মতে বাংলাদেশ পুলিশ সংবিধান ও বিধিবদ্ধ আইনের অধীনে পরিচালিত হয় এবং কোনো রাজনৈতিক শক্তির প্রভাবাধীন নয়।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয় গত ১৭ বছরে কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষী কর্মকর্তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে জনঅসন্তোষ তৈরি করেছিলেন। তবে ৫ আগস্টের ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর পুলিশ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ভূমিকা এখন জনআকাঙ্ক্ষা ভিত্তিক এবং তারা কোনো দল মতের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করছে না।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশ সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় রাখছে বলে প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়। তারা বলেন রাজনৈতিকভাবে কারও দাসত্ব করার যুগ শেষ হয়েছে। জনকল্যাণ এবং রাষ্ট্রীয় আইনের ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করাই পুলিশের প্রধান লক্ষ্য।
অ্যাসোসিয়েশন আরও জানায়, একজন রাজনৈতিক নেতার এমন বক্তব্য শুধু পুলিশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্নই করে না বরং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রযন্ত্রকে দুর্বল করার চেষ্টা। তারা এই ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে এমন উসকানিমূলক বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
-শরিফুল
বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমাতে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত সরকার
দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকরা জানিয়েছেন সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের কারণে আতঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই বরং প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। গত শুক্রবার ও শনিবার কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় বিশেষজ্ঞরা এ মতামত দেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বিশেষজ্ঞদের আহ্বান জানান তাঁরা যেন স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সরকারের করণীয় সম্পর্কে লিখিত পরামর্শ দেন। তিনি বলেন আমরা হাত গুটিয়ে রাখতে চাই না আবার অবৈজ্ঞানিক কোনো পদক্ষেপও নিতে চাই না। আপনাদের পরামর্শগুলো দ্রুত লিখিত আকারে আমাদের দিন কারণ সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রস্তুত। তিনি জানান প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং এক বা একাধিক টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে কাজ চলছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পাওয়া মাত্রই সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন ভূমিকম্পকে ঘিরে বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক গুজব তৈরি হয়েছে। বলা হচ্ছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বা ১০ দিনের মধ্যে অথবা ১ মাসের মধ্যে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হবে যা পুরোপুরি অপতথ্য। তাঁরা বলেন ভূমিকম্প কখন হবে তা কেউ বলতে পারে না। কোনো অঞ্চলে কত বছরে কতগুলো ভূমিকম্প হয়েছে এবং তাদের মাত্রা কী ছিল তা দেখে একটি সময়সীমা অনুমান করা যায় কিন্তু নির্দিষ্ট দিন তারিখ ও সময় বলা যায় না।
বৈঠকে অধ্যাপক ডক্টর জিল্লুর রহমান বলেন ভূমিকম্পের উৎস ও উৎপত্তিস্থল নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখতে হবে বাংলাদেশ ও এর আশেপাশে কতগুলো সোর্স আছে এবং সেগুলোর কারণে শেকিং লেভেল কী হতে পারে তা নিরূপণ করতে হবে। তিনি বলেন বাংলাদেশে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হবার সম্ভাবনা কম কারণ আমরা স্বল্প ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা তবে আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রাখতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর হুমায়ুন আখতার বলেন জনসচেতনতা তৈরিতে তরুণদের কাজে লাগানো জরুরি। ইনডোরে আউটডোরে ব্যক্তি পর্যায়ে ও প্রতিষ্ঠানে এই চার স্তরে করণীয় পরিকল্পনা তৈরি করে সবার কাছে পৌঁছাতে হবে। তরুণদের কাজে লাগিয়ে ন্যাচারাল হ্যাজার্ড প্ল্যান ও প্রযুক্তিগত উদ্যোগ নিলে সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবে। চুয়েটের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন মন্ত্রণালয় তাদের আওতাধীন স্থাপনাগুলোর মূল্যায়ন করতে পারে। হাসপাতাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ এসব খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এমআইএসটির অধ্যাপক মো. জয়নুল আবেদীন বলেন সবাইকে বোঝাতে হবে যে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। আমাদের সম্পদের মধ্যে থেকেই কাজ করতে হবে এবং মানুষকে মাথা ঠান্ডা রাখার বিষয়ে সচেতন করতে হবে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন কয়দিন আগে ভয়াবহ ভূমিকম্পে যাদের মৃত্যু হলো এবং যারা আহত হলেন এটা খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। এমনটি যেন আর না হয় তার জন্য আমাদের অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সমন্বয়ের পরামর্শ দিয়ে বলেন আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য শুভেচ্ছা নামে একটি অ্যাপ করেছি। এই অ্যাপের মাধ্যমে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের সাথে যুক্ত হোন।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সিভিল মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী জানান ইতোমধ্যেই একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভূমিকম্পের ফলে ফাটল ধরা ভবনের ছবি সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এর মধ্য থেকে দুইশটির বেশি ভবনের মূল্যায়ন করা হয়েছে যার বেশিরভাগই পার্টিশন দেয়ালে ফাটল দেখা যাচ্ছে।
বৈঠকে উপদেষ্টাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আইন উপদেষ্টা ডক্টর আসিফ নজরুল দুর্যোগ ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমআইএসটির প্রফেসর মো. জয়নুল আবেদীন বুয়েটের অধ্যাপক ডক্টর মেহেদী আহমেদ আনসারী অধ্যাপক তাহমীদ মালিক আল হুসাইনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর হুমায়ুন আখতার বুয়েটের অধ্যাপক ডক্টর তানভীর মনজুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মমিনুল ইসলাম আবহাওয়াবিদ মো. রুবাইয়্যাত কবীর ভূতত্ত্ববিদ ডক্টর রেশাদ মো. ইকরাম আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর মো. শাখাওয়াত হোসাইন ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান এবং বুয়েটের অধ্যাপক ইসরাত ইসলাম।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে বিশেষজ্ঞদের পাঠানো লিখিত সুপারিশ নিয়ে সরকার দ্রুত সময়ে আলোচনা করে টাস্কফোর্স গঠন করবে। ভূমিকম্পের বিষয়ে আশু করণীয় নিয়ে গঠিত টাস্কফোর্সে সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা যুক্ত থাকবেন।
আগামী ৫ বছরে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাংক
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হবে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলো। বিশেষ করে বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানকে এর ভয়াবহ প্রভাব মোকাবিলা করতে হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সোমবার ২৪ নভেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে ঝুঁকি থেকে স্থিতিস্থাপকতা বা দক্ষিণ এশিয়ায় মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের অভিযোজনে সহায়তা শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি সেখানেই উঠে এসেছে এই উদ্বেগজনক তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ চরম জলবায়ু ঝুঁকির মুখে পড়বে। উচ্চ তাপমাত্রা ভয়াবহ বন্যা এবং উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে সব মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে গ্রামীণ অর্থনীতি কৃষি উৎপাদন ও কর্মসংস্থান। পাশাপাশি পারিবারিক পর্যায়েও ঝুঁকি বাড়বে বহুগুণ।
জরিপে দেখা যায় আগামী ১০ বছরে আবহাওয়াজনিত ধাক্কার আশঙ্কা করছে দক্ষিণ এশিয়ার তিন চতুর্থাংশ পরিবার ও প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৬৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠান এবং ৮০ শতাংশ পরিবার কোনো না কোনোভাবে অভিযোজনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা উন্নত প্রযুক্তি বা অবকাঠামোর বদলে কম খরচের সাধারণ সমাধানের ওপর নির্ভর করছে যা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর নয়।
বাংলাদেশের উপকূলের ২৫০টি গ্রামে পরিচালিত জরিপে দেখা যায় জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামোই এখন সবচেয়ে বড় অপূর্ণ চাহিদা। দীর্ঘমেয়াদে ৫৭ শতাংশ পরিবার পর্যাপ্ত দুর্যোগ সুরক্ষা অবকাঠামোর অভাবকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং ৫৬ শতাংশ পরিবার বলেছে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে তারা প্রয়োজনীয় অভিযোজন করতে পারছে না। এর প্রভাব শুধু পরিবেশগত নয় বরং সবচেয়ে বেশি ভুগছে দরিদ্র ও কৃষিনির্ভর পরিবার।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয় বাংলাদেশের বাঁধ ও সাইক্লোন শেল্টারসহ সরকারি বিনিয়োগ অনেক প্রাণ বাঁচিয়েছে। বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন কেস স্টাডিতে দেখা গেছে সঠিকভাবে লক্ষ্যভিত্তিক সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি এবং হালনাগাদ তথ্য দ্রুত সম্প্রসারণযোগ্য যা দুর্যোগের সময় দরিদ্র মানুষের বড় সহায়ক হতে পারে। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে সরকারি উদ্যোগের পরিধি সীমিত থাকায় এ অবস্থায় জলবায়ু অভিযোজনে বেসরকারি খাতকে সামনে এনে একটি সমন্বিত নীতি প্যাকেজ প্রয়োজন বলে মত দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর জ্যাঁ পেসমে বলেন বাংলাদেশের জলবায়ু সহনশীলতা বারবার নতুনভাবে পরীক্ষিত হচ্ছে। অভিযোজন ব্যাপক হলেও ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে ফলে আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। দেশের সহনশীলতা গড়ে তুলতে আগাম সতর্কবার্তা ব্যবস্থা সামাজিক সুরক্ষা জলবায়ু স্মার্ট কৃষি এবং ঝুঁকিভিত্তিক অর্থায়ন বাড়াতে হবে। এছাড়া শহরাঞ্চলে লক্ষ্যভিত্তিক হস্তক্ষেপও জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনটি সমন্বিত ও বহুমুখী অভিযোজন কৌশল গ্রহণের তাগিদ দেয়। এতে বলা হয় আগাম সতর্কবার্তা ব্যবস্থা বীমা ও আনুষ্ঠানিক ঋণপ্রাপ্তি সহজ করা গেলে জলবায়ুজনিত ক্ষতির প্রায় এক তৃতীয়াংশই এড়ানো সম্ভব। বাজেট সংকটের মধ্যেও সরকার পরিবহন ও ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অর্থায়নে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির মাধ্যমে বেসরকারি খাতকে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে দিতে পারে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ বলেন জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় শক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন ও তথ্য সংগ্রহ সবই ব্যয়বহুল। জলবায়ু অভিযোজন মোকাবিলায় বাংলাদেশের অনেক পলিসি রয়েছে তবে তা বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং। তিনি আরও জানান এ বিষয়ে পাইলট প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের সমন্বয়ে বাংলাদেশ বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছে।
গুরুতর অনিয়ম ও ঘুষের সত্যতা মেলার পরও এসপি পেলেন নামমাত্র শাস্তি
বরিশাল মহানগর পুলিশের বা বিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার ও নরসিংদীর সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে আনা অনিয়ম ক্ষমতার অপব্যবহার এবং পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে শাস্তি হিসেবে তিরস্কার দিয়েছে সরকার। ঘুস আদান প্রদান ফৌজদারি অপরাধ হলেও গুরুতর এই অপরাধের জন্য তাকে শুধু তিরস্কার করায় প্রশাসনিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা ১ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই শাস্তির কথা জানানো হয় যাতে সই করেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
সম্প্রতি গঠিত বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয় ২০২৩ সালে নরসিংদীর পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়নের উদ্দেশে এসপি হান্নান কথিতভাবে রবিউল মুন্সী নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ লাখ টাকা ঘুস দেন। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ওই নির্দিষ্ট উপায়ে পদায়ন বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি বলে তদন্তে উল্লেখ রয়েছে।
পরবর্তীকালে গত বছরের ৯ নভেম্বর নরসিংদীতে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তিনি এবং তাঁর অধীনস্ত ডিবি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক এস এম কামরুজ্জামান অনুমতি ছাড়া ঢাকায় গিয়ে মনিপুরীপাড়া এলাকায় রবিউল মুন্সীর অফিস থেকে ৫ লাখ টাকা আদায় করেন। অবশিষ্ট ৪৫ লাখ টাকা ফেরতের জন্য তাঁদের উপস্থিতিতেই একটি স্বহস্তে লিখিত দলিল গ্রহণ করা হয় যা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় সাংবাদিক নেছারুল হক খোকনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের সময় পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বদলি সংক্রান্ত বিষয় এবং ব্যক্তিগত কাজে অধস্তন পুলিশ সদস্য ব্যবহারের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক আলোচনা করেন। পরবর্তীকালে ওই কথোপকথনটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে পুলিশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারির পর পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান লিখিত জবাব দাখিল করেন এবং ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন। গত ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত শুনানিতে উভয়পক্ষের বক্তব্য নথিপত্র ও অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তদন্ত কর্মকর্তা ও শুনানি কমিটির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শেষ পর্যন্ত তাঁকে লঘু দণ্ড হিসেবে তিরস্কার দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সূত্র:যুগান্তর
প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ডক্টর ইউনূসের জরুরি বৈঠক
ভূমিকম্প প্রস্তুতি বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার ২৪ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে তেজগাঁওয়ে সরকারপ্রধানের দপ্তরে এ বৈঠক শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে শুক্র ও শনিবার অর্থাৎ ২১ ও ২২ নভেম্বর মাত্র দুই দিনে চার দফা ভূমিকম্পে দেশে আতঙ্কিত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা এ বৈঠকে বসেছেন। পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করতেই এই জরুরি তলব।
শনিবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার আগে শুক্রবার সকালে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প আঘাত হানে বাংলাদেশে। এই ভূমিকম্পে তিন জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয় এবং ছয় শতাধিক মানুষ আহত হন। ঢাকার বহু ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং কোথাও কোথাও ভবন হেলে পড়ার ঘটনাও ঘটে যা নগরবাসীর মনে গভীর আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে।
রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদীতে এবং এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। উৎপত্তিস্থল রাজধানীর এত কাছে হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি ও আতঙ্ক ছিল অনেক বেশি। এই প্রেক্ষাপটে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে প্রস্তুতির বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশে হঠাৎ বেড়েছে টার্গেট কিলিং ও ফিল্মি স্টাইলে হত্যা
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে টার্গেট কিলিং। প্রকাশ্যে ফিল্মি কায়দায় গুলি করে হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা ঘটছে এবং এসব অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে ভাড়াটে খুনি। অপরাধ বিশেষজ্ঞ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক সূত্র বলছে আধিপত্য বিস্তার আন্ডারওয়ার্ল্ডের দখল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ব্যক্তিগত শত্রুতা এবং ঢালাও জামিনে বের হওয়া কুখ্যাত অপরাধীদের কারণে টার্গেট কিলিং দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা নেই এবং গত দেড় বছরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে মাঠের চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। ঢাকা চট্টগ্রাম ও খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফিল্মিস্টাইলে গুলি কুপিয়ে হত্যা অপহরণের পর খুন এবং অজ্ঞাত স্থান থেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনা জনমনে ভয় আতঙ্ক ও অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলছে। বিশ্লেষকরা বলছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও রাজনৈতিক বিভক্তি মাঠপর্যায়ের দুর্বলতাকে আরও জটিল করে তুলছে।
পরিসংখ্যান বলছে গত ১৫ দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৩৫টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত ১৭ নভেম্বর জাতীয় ঈদগাহের সামনে দুটি নীল রঙের ড্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের ২৬ টুকরো লাশ যা নৃশংসতার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এছাড়া ১০ নভেম্বর পুরান ঢাকার আদালত পাড়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে গুলি করে হত্যা ১১ নভেম্বর গুলশানে ছাত্রদল নেতা সৌরভকে কুপিয়ে হত্যা এবং ১৬ নভেম্বর মিরপুরের পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে জুলাই আন্দোলনের পর ৫ আগস্ট ও পরবর্তী সময়ে দেশব্যাপী বিভিন্ন থানা ও কারাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্র এখন অপরাধীদের হাতে নতুন শক্তি জোগাচ্ছে। পুলিশের এক হিসাবে দেখা গেছে থানা ও বিভিন্ন স্থাপনা থেকে লুট হয়েছিল ৫ হাজার ৭৫৩টি অস্ত্র যার মধ্যে এখনো ১ হাজার ৩৪৪টি অস্ত্র দুর্বৃত্তদের হাতে রয়ে গেছে। অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে এই অস্ত্রগুলোই এখন টার্গেট কিলিং চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারে ব্যবহৃত হচ্ছে। মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিওনোলজি ও পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর ওমর ফারুক সতর্ক করে বলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী ও অপরাধী চক্রের পুনরুত্থান এখনই থামানো না গেলে দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মিডিয়া এইচএম শাহাদাত হোসাইন জানান নির্বাচনের আগে ও পরে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা নির্বাচনের আগে সময় ও পরে কোনো ধরনের সহিংসতা যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখবেন।
সূত্র:যুগান্তর
আজ বিকেল থেকে এনআইডি সংশোধন নিয়ে ইসির বড় সিদ্ধান্ত
ভোটার তালিকা প্রস্তুত ও প্রিন্টের কাজ শুরু হওয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্রের বা এনআইডির ঠিকানা পরিবর্তনসহ সব ধরনের সংশোধন কার্যক্রম আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন বা ইসি। সোমবার ২৪ নভেম্বর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক অপারেশন মো. সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান আজ বিকেল থেকে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত অথবা নতুন কোনো নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এনআইডি সংশোধন সেবা বন্ধ থাকবে। মূলত নির্ভুল ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা এবং তা মুদ্রণের কাজের সুবিধার্থেই এই সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। একই দিনে গণভোট আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সরকার চিঠি দিয়েছে। ইসি ইতোমধ্যে এ দুই প্রক্রিয়া একসঙ্গে সম্পন্ন করতে নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী দেশে আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন নারী ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ হাজার ২৩৪ জন। নির্বাচন কমিশন এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সুচারুরূপে সম্পন্ন করতেই এনআইডি সংশোধনের কাজ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাঠকের মতামত:
- জমি রেকর্ডে জনসাধারণকে সরকারের জরুরি সতর্কতা
- কোরআন–হাদিসে গিবতের ভয়াবহ শাস্তির বর্ণনা
- ডিএসই মিউচুয়াল ফান্ডে বড় বৈষম্য NAV বিশ্লেষণে বাজারচাপ স্পষ্ট
- ফরচুন সুজ লিমিটেডের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- নতুন পে স্কেলে বড় ঘোষণা সামনে আলোচনার অন্তরালে কী ঘটছে
- এক সপ্তাহে দ্বিতীয়বার পরিবর্তন স্বর্ণের দামে নতুন সমন্বয়
- জামায়াত নেতার বক্তব্যে পুলিশের তীব্র প্রতিবাদ
- দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপের সম্ভাবনা
- ২৫ নভেম্বর, আজকের নামাজের সময়সূচি
- এশিয়া কাপে বাংলাদেশ কবে খেলছে জানুন বিস্তারিত
- সন্দ্বীপে উপকূলীয় বন উজাড়ের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
- রাজধানীতে আজ ব্যস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে
- রাজধানীতে আজ মঙ্গলবার যেসব মার্কেট বন্ধ জানুন এক নজরে
- বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমাতে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত সরকার
- আগামী ৫ বছরে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাংক
- ঘন ঘন ভূমিকম্প নিয়ে আহমাদুল্লাহর জরুরি সতর্কবার্তা
- ইথিওপিয়ায় বিরল অগ্ন্যুৎপাতের দৃশ্য এবং ১২ হাজার বছরের নীরবতা ভাঙার গল্প
- কুমিল্লায় বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
- শিক্ষা আজ জাতির মেরুদণ্ড নয় বরং অসুস্থতায় পরিণত হয়েছে: রিজভী
- এভারকেয়ারে নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকা খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন
- রাজনৈতিক দল জান্নাতের টিকিট দিতে পারে না বলে জামায়াতকে তোপ দাগলেন এ্যানি
- গুরুতর অনিয়ম ও ঘুষের সত্যতা মেলার পরও এসপি পেলেন নামমাত্র শাস্তি
- ক্যানসার থেকে বাঁচতে জীবনযাত্রায় আনুন ৫টি সহজ পরিবর্তন
- উপকারী হলেও মেথি ভেজানো পানি যাদের জন্য মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে
- শুধু ওয়াজ মাহফিল নয় এবার রাষ্ট্র পরিচালনার স্বপ্ন দেখছেন গিয়াসউদ্দিন তাহেরী
- প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ডক্টর ইউনূসের জরুরি বৈঠক
- চট্টগ্রাম ৪ আসনে বিএনপির অভিজ্ঞতা নাকি জামায়াতের কৌশল কার পাল্লা ভারী
- চুক্তি নবায়নের আলোচনা থমকে যাওয়ায় রিয়ালে অনিশ্চিত ভিনিসিয়ুসের ভবিষ্যৎ
- মার্কিন সন্ত্রাসী তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নাম
- গত ১৫ বছর গণমাধ্যম ফ্যাসিবাদ লালন করেছে: মির্জা ফখরুল
- প্রধান উপদেষ্টার ওপর আস্থা থাকলেও অন্যদের নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন রিজভী
- নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশে হঠাৎ বেড়েছে টার্গেট কিলিং ও ফিল্মি স্টাইলে হত্যা
- ভারতীয় চাল কেনা হচ্ছে সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে: বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের নতুন কৌশল
- আজ বিকেল থেকে এনআইডি সংশোধন নিয়ে ইসির বড় সিদ্ধান্ত
- ২৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বলিউডের হি ম্যান খ্যাত কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র আর নেই
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে প্রতারণা আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার বিস্ফোরক মন্তব্য
- মালয়েশিয়ায় জেলের ঘানি টেনে অবশেষে দেশে ফিরতে হলো ৪৯ বাংলাদেশিকে
- জুলাইয়ের গণহত্যা মামলায় এবার সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের দিনক্ষণ চূড়ান্ত
- মামলার জট কমাতে আইন মন্ত্রণালয়ের ২১টি সংস্কার ও লিগ্যাল এইড নিয়ে উপদেষ্টার বার্তা
- নির্বাচন ও গণভোটের খরচ নিয়ে সরকারের নো টেনশন নীতির কথা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি দুই বড় প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীল লেনদেনে
- ডিএসই ৩০ সূচকে জোরদার উত্থান বাজারে ফিরছে আস্থা
- রেকর্ড ডে সামনে রেখে পদ্মা অয়েলের স্বচ্ছ লেনদেন নির্দেশনা
- প্রবাসী ভোটে নতুন রেকর্ড শীর্ষে যে দুই দেশ
- ভূমিকম্পে বাথরুম কি সত্যিই নিরাপদ? জানুন বিশেষজ্ঞদের মত
- বাংলাদেশি ওষুধশিল্পের রেনাটার মাইলফলক
- ডিএসইতে একযোগে এনএভি প্রকাশ, কোন ফান্ড কোথায় দাঁড়াল
- শিরোপা জয়ের রেসে আজ বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তান কার পাল্লা ভারীে
- বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে
- ভয়ংকর ঝুঁকিতে দেশের তিন বড় শহর: মাটির নিচ থেকে আসছে বড় বিপদের বার্তা
- আজকের ভূমিকম্প আমাদের কী শিক্ষা দিচ্ছে: একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?
- ফায়ার সার্ভিসে ফোনের বন্যা, হেলে পড়েছে কয়েকটি ভবন
- ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর তালিকা এবং বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ পরিসংখ্যান
- ২৫০ বছরের ইতিহাস বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ কি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে?
- ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- প্রপাগান্ডা আর ষড়যন্ত্র পেরিয়ে জনতার কাতারে: জন্মদিনে তারেক রহমানকে নিয়ে ভাবনা
- রাকিবের দুর্দান্ত দৌড়, মোরসালিনের ফিনিশিং: শুরুতেই ব্যাকফুটে ভারত
- ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হলো যেভাবে
- মাটির নিচে তিন প্লেটের সংযোগস্থলে থাকা চট্টগ্রাম যেভাবে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে
- ভারতকে হারানোর পর ৯ বছরের মধ্যে সেরা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
- "শেখ হাসিনার রায় কার্যকর হবে না"








