ছবিতে বিড়াল, আসলে কার? তারেক রহমান জানালেন পশুপাখির প্রতি ভালোবাসার সেই গল্প

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৭ ১৫:০৯:২৫
ছবিতে বিড়াল, আসলে কার? তারেক রহমান জানালেন পশুপাখির প্রতি ভালোবাসার সেই গল্প
বিড়ালের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খুনসুটি। ছবি: সংগৃহীত

কয়েক দিন আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তার পোষা বিড়ালের খুনসুটির একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এবার সেই বিড়ালটি আসলে কার, সেটা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। তারেক রহমান জানিয়েছেন, বিড়ালটি তার মেয়ের এবং এটি এখন পরিবারের সবারই প্রিয় হয়ে উঠেছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই বিষয়ে কথা বলেন।

পশুপাখির সঙ্গে পরিবারের সম্পর্ক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষা বিড়ালের সঙ্গে তার নিয়মিত ছবি দেখা যাওয়ার বিষয়টি কেন গুরুত্বপূর্ণ, এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, বিড়ালটি মূলত তার মেয়ের হলেও “ও এখন অবশ্য সবারই হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই ওকে আদর করি।”

তিনি আরও জানান, পশুপাখির প্রতি তার পরিবারের ভালোবাসা নতুন নয়:

“শুধু বিড়াল নয়, আমি ও আমার ভাই যখন ছোট ছিলাম, তখন আমাদের একটি ছোট কুকুরও ছিল। এমনকি তখন আমাদের বাসায় আম্মা হাঁস-মুরগি পালতেন, ছাগলও ছিল। কবুতরও ছিল আমাদের বাসায়। আমাদের বাসায় একটি বিরাট বড় একটি খাঁচা ছিল, যার মধ্যে বিভিন্ন রকমের পাখি ছিল এবং একটি ময়না ছিল, যে বরিশালি ভাষায় কথাও বলতো।”

তিনি বলেন, পশুপাখির প্রতি এই বিষয়টি হঠাৎ করেই প্রকাশ পায়নি। এটি তার পরিবারে অনেক আগে থেকেই ছিল।

পরিবেশ ও প্রকৃতির গুরুত্ব

তারেক রহমান ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আল্লাহ আমাদের সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তৈরি করেছেন। তাই আল্লাহর সৃষ্টি যা কিছু আছে, প্রকৃতির প্রতি যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, প্রকৃতি যদি না থাকে, প্রকৃতির ভারসাম্য যদি না থাকে, তবে মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিন। তিনি দূষণের উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “নরমালি আমরা জানি, একটি দেশের টোটাল অংশের মধ্যে অ্যাটলিস্ট ২৫ শতাংশ গ্রিন দরকার, বনায়ন দরকার। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আমি যতটুকু জেনেছি, এটি ১২ পার্সেন্টের মতো। হুইচ ইজ ভেরি ডেঞ্জারাস।” তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের স্বার্থেই প্রকৃতি ও পশুপাখির প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।


দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন খালেদা জিয়া

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৪ ১১:২৭:০১
দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন খালেদা জিয়া
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হার্ট ও ফুসফুসে নতুন জটিলতা দেখা দেওয়ায় তাকে রোববার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যেখানে চিকিৎসকদের একটি উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তার চিকিৎসা চলছে।

হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে গিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী জানান, গত কয়েক মাস ধরে তিনি ঘনঘন শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন, তবে এবার একসঙ্গে কয়েকটি সমস্যা দেখা দেওয়ায় দ্রুত হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার চেস্টে ইনফেকশন শনাক্ত হয়েছে, আর হার্টের আগের জটিলতা স্থায়ী পেসমেকার, স্টেন্টিং এবং মাইট্রোস্টেনোসিস এর সঙ্গে ফুসফুসের সংক্রমণ যুক্ত হওয়ায় তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।

হাসপাতালে আনার পর দ্রুত প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা করা হয় এবং প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে জরুরি অ্যান্টিবায়োটিকসহ অন্যান্য চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, আগামী ১২ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট হাতে এলে পরবর্তী চিকিৎসা পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসতে পারে।

হাসপাতালের অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডে দেশের শীর্ষ বিশেষজ্ঞরা ছাড়াও লন্ডন থেকে ডা. জুবাইদা রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স হসপিটালের বিশেষজ্ঞরা ভার্চুয়ালি যুক্ত রয়েছেন। বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, সুচিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অযথা উৎকণ্ঠিত হওয়া কারণ নেই, তবে সতর্কতা বজায় রাখা হচ্ছে।

তিনি জানান, লন্ডন থেকে তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমান সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, আর প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শামিলা রহমানও হাসপাতালে উপস্থিত আছেন। দেশবাসীর উদ্দেশে খালেদা জিয়া তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন বলে জানান জাহিদ হোসেন।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান এবং প্রায় চার মাস চিকিৎসা শেষে ৬ মে দেশে ফেরেন। তবে চলমান জটিলতার সর্বশেষ ধাপটি চিকিৎসকদের মতে আরও সতর্কতা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ দাবি করছে, যেখানে হার্ট ও ফুসফুসের সমন্বিত সমস্যা তার শারীরিক অবস্থাকে আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে।

-রাফসান


পেকুয়ায় আওয়ামী লীগের ৩০ নেতার বিএনপিতে যোগদান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৪ ১১:০৫:৪৭
পেকুয়ায় আওয়ামী লীগের ৩০ নেতার বিএনপিতে যোগদান
ফাইল ছবি

কক্সবাজারের পেকুয়ার বারবাকিয়ায় স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন ঢেউ তুলেছে আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মীর নাটকীয় দলবদল। ২৩ নভেম্বর রাত ৮টায় বারবাকিয়া ইউনিয়ন বিএনপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলন ও কাউন্সিলে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। এ সময় ফুল দিয়ে আনুগত্য প্রদর্শন করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসাইনের কাছে।

বারবাকিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মাস্টার ইউনুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক জেড এম মিনার।সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, “আজকের এই যোগদান বারবাকিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বদলে দেবে।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আবু ছিদ্দিক রনি, অ্যাডভোকেট মিনার, ওলামা দলের সদস্য সচিব সানা উল্লাহ, প্রচার সম্পাদক মুজিবুল হক চৌধুরী এবং ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইদ্রিস বাদশা, মেম্বার আলমগীর, ছরওয়ার কামাল, ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শওকত হোসেন, ছাত্রদলের সদস্য সচিব নুরুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এটিএম গিয়াস উদ্দিন হায়দার, কৃষক দলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম, ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল আলিম, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের হাতে ফুল দিয়ে যে ৩০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন-

আবুল কাশেম, মো. শাহাদাত, আমির হোসাইন, মোহাম্মদ কামাল, বদিউল আলম, মো. কাছিম, বাদল চন্দ্র শীল, আবদুল খালেক, নুরুল হোসাইন, নজরুল, নুরুল হক, মো. নাছির মহিউদ্দিন, বশর, বদি আলম (২), মো. করিম, মো. কাশেম, নাজিম উদ্দিন, জসিম, জমির, আলমগীর, মো. কাশেম, উজ্জ্বল চন্দ্র শীল, আবু তালেব, নবীর হোসাইন, আনসার, রাজিব, মনু প্রমুখ।

নতুন যোগদানকারীরা জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, নেতৃত্ব ও আদর্শেই তারা অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপিতে যোগদান করেছেন।তাদের ভাষায়, “সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে আমরা নিজেদের বিকল্প রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ দেখছি।”

-রাফসান


আবারও হাসপাতালে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ২১:৪৬:৫৩
আবারও হাসপাতালে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
ছবিঃ সংগৃহীত

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ারের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। পরে স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি জানান বেশ কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। বর্তমানে তিনি কেবিনে আছেন। টেস্টের রিপোর্টগুলো মেডিকেল বোর্ড পর্যালোচনার পরে চিকিৎসার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সর্বশেষ শুক্রবার ২১ নভেম্বর বিকেলে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন বলে জানিয়েছিলেন তাঁর প্রেস উইংয়ের সদস্যরা।

উল্লেখ্য গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন। এরপর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলো বিএনপি চেয়ারপারসনকে।


স্বাস্থ্য খাত ও বেকারত্ব দূরীকরণে বিএনপির মেগা প্ল্যান তুলে ধরলেন আমীর খসরু

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ২০:৫৬:৩০
স্বাস্থ্য খাত ও বেকারত্ব দূরীকরণে বিএনপির মেগা প্ল্যান তুলে ধরলেন আমীর খসরু
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা চালু করবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। রোববার ২৩ নভেম্বর দুপুরে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বা বিএমইউ অডিটরিয়ামে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ড্যাব আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিনা চিকিৎসায় কোনো মানুষ মারা যাবে না।

ড্যাব নেতাদের উদ্দেশে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আহ্বান জানান বিএনপির ৩১ দফায় স্বাস্থ্য খাত নিয়ে যে অঙ্গীকার আছে তা যেন তাঁরা সারা দেশে ছড়িয়ে দেন। তিনি প্রত্যেককে ফেসবুকে পোস্ট করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করুন এবং তাদের জানান বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সারা দেশের মানুষের জন্য বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা চালু করবে। এ লক্ষ্যে বিএনপি এখন থেকেই পরিকল্পনামাফিক কাজ শুরু করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কর্মসংস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন সবার আকাঙ্ক্ষা আকাশচুম্বী তাই ডে ওয়ান বা প্রথম দিন থেকেই পারফর্ম করতে হবে। বিএনপি প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এক কোটি মানুষকে কীভাবে চাকরি দেওয়া হবে সে বিষয়ে হোমওয়ার্ক করেই কথা বলা হচ্ছে। আমীর খসরু ঘোষণা দেন বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন সেক্টর চিহ্নিত করে কাজ শুরু হয়েছে।

রাজনৈতিক দর্শন পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন আগের সেই রাজনৈতিক ধ্যান ধারণা আর নেই। রাজনীতি বদলেছে এবং মানুষও বদলেছে। আর তাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির রাজনৈতিক মন্ত্র এখন নবযুগের সূচনা। তিনি বলেন দেশের সার্বিক পরিবর্তনই এখন বিএনপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। সহনশীল রাজনীতির ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন আমাদের সহনশীল হতে হবে এবং গণতন্ত্র থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। দেশকে নিয়ে তারেক রহমানের ভবিষ্যৎ চিন্তা মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

প্রতিপক্ষের সঙ্গে তারেক রহমানের পার্থক্য তুলে ধরে তিনি বলেন সাংঘর্ষিক রাজনীতি করতে চান না তিনি। আজকে অনেকে বিভিন্ন দাবি নিয়ে রাস্তায় নামছে কিন্তু বিএনপি কোনো দাবি নিয়ে রাস্তায় নামছে না। বিএনপি সাংঘর্ষিক রাজনীতিতে যাচ্ছে না কারণ বিএনপি সহনশীল রাজনীতির পক্ষে। দেশের স্থিতিশীলতার স্বার্থে সহনশীল রাজনীতি করতে হবে।

আমীর খসরু আরও বলেন মানুষের রাজনৈতিক সচেতনতা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সবাই খোঁজে আমার জন্য কী আছে। মানুষ এখন শিক্ষা স্বাস্থ্য কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তা নিয়ে ভীষণ সচেতন। আর মানুষের এসব চাহিদা মাথায় রেখে বিএনপি আগামী রাষ্ট্র বিনির্মাণের ৩১ দফা ঘোষণা করেছে। দেশের যত মৌলিক সংস্কার তা সবই ৩১ দফায় আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার অধ্যাপক ডা. বজলুল গনি ড্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক ডা. আবুল কেনান কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী হাসানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।


পাঠ্যবই থেকে ৭ মার্চের ভাষণ বাদ দেওয়া নিয়ে সোহেল তাজের কড়া সতর্কতা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ২০:৪০:১৮
পাঠ্যবই থেকে ৭ মার্চের ভাষণ বাদ দেওয়া নিয়ে সোহেল তাজের কড়া সতর্কতা
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। ফাইল ছবি

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ বলেছেন প্রকৃত ইতিহাস জানার অধিকার থেকে নতুন প্রজন্মকে বঞ্চিত করলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কোনোদিনও উজ্জ্বল হবে না। রোববার ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এ কথা বলেন।

পোস্টে তিনি তিনটি ছবি শেয়ার করেছেন। এর মধ্যে একটি হলো দৈনিক শিক্ষা অনলাইন পত্রিকার একটি খবরের স্ক্রিনশট। সেই ছবিতে লেখা রয়েছে পাঠ্যবই থেকে ৭ মার্চের ভাষণ বাদ যুক্ত হচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থান। অন্য দুটি ছবি হলো বিখ্যাত লেখক জর্জ অরওয়েলের লেখা দুটি বই অ্যানিমেল ফার্ম ও ১৯৮৪ বা নাইনটিন এইটি ফোর। এই বই দুটি তিনি সবাইকে পড়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।

সোহেল তাজ তাঁর স্ট্যাটাসে লিখেছেন যখন যে দল বা গোষ্ঠী ক্ষমতার চেয়ারে বসে ইতিহাস আড়াল করে বা বিকৃত করে নিজের মতো করে নতুন ইতিহাস লেখার চেষ্টা করে যার ফলে নতুন প্রজন্ম বিভ্রান্ত হয় এবং দেশপ্রেম জেগে ওঠে না। আর আমরা সেই একই দুর্নীতি অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলার বেড়াজালে আটকে থাকি।

তিনি আরও উল্লেখ করেন ২০২৪ সাল বাংলাদেশকে একটি স্বৈরাচারী অগণতান্ত্রিক অপশাসনের কবল থেকে মুক্ত করেছে আর ১৯৭১ আমাদের স্বাধীন একটি দেশ দিয়েছে। তাই সঠিক ও প্রকৃত ইতিহাস জানার অধিকার থেকে নতুন প্রজন্মকে বঞ্চিত করলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কোনোদিনও উজ্জ্বল হবে না।

পোস্টের শেষ অংশে তিনি জর্জ অরওয়েলের ১৯৮৪ বইয়ের একটি বিখ্যাত উক্তি উদ্ধৃত করেন হু কন্ট্রোলস দ্য পাস্ট কন্ট্রোলস দ্য ফিউচার বা যারা অতীত নিয়ন্ত্রণ করে তারাই ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করে। এই উক্তির মাধ্যমে তিনি ইতিহাসের বিকৃতি রোধের গুরুত্ব বোঝাতে চেয়েছেন এবং সবাইকে জর্জ অরওয়েলের লেখা অ্যানিমেল ফার্ম ও ১৯৮৪ বই দুটি পড়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।


কোরআন ও সুন্নাহর বিপরীতে বাংলাদেশে কোনো কাজ হবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ২০:২৬:০১
কোরআন ও সুন্নাহর বিপরীতে বাংলাদেশে কোনো কাজ হবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ
ছবিঃ সংগৃহীত

কোরআন ও সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ বাংলাদেশে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। রোববার ২৩ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত ইমাম খতিব জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বক্তব্যে তিনি বলেন উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ ছাড়া রাষ্ট্রের কাউকেই গ্রেপ্তার করা যায় না আর সেখানে ইমাম খতিবরা তো দূরের কথা। তিনি অভিযোগ করেন যে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ইসলাম বিদ্বেষী ছিল এবং তারা আলেম ওলামাদের ওপর অন্যায়ভাবে দমনপীড়ন চালিয়েছে।

রাজনৈতিক প্রয়োজনে মসজিদকে ব্যবহারের প্রবণতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন দুনিয়ার কোনো কার্যক্রমকে যেন মসজিদে প্রশ্রয় না দেওয়া হয়। তিনি স্পষ্ট করে বলেন রাজনৈতিক চর্চার অনেক জায়গা রয়েছে তাই মসজিদকে রাজনীতির হাতিয়ার না বানিয়ে ইমামদের যেন আমরা বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখি।

সম্মেলনে তিনি উপস্থিত আলেম ওলামা এবং সাধারণ জনতাকে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন দেশের নবযাত্রা শুরু হয়েছে এবং এই যাত্রায় ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ইনসাফ বজায় রাখা হবে।


চট্টগ্রাম ১ আসনে বিএনপির নুরুল আমিন নাকি জামায়াতের সাইফুর রহমান কার পাল্লা ভারী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১৮:৪২:৫৬
চট্টগ্রাম ১ আসনে বিএনপির নুরুল আমিন নাকি জামায়াতের সাইফুর রহমান কার পাল্লা ভারী
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম ১ বা মীরসরাই আসনে ভোটের রাজনীতি এখন তুঙ্গে। এই আসনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে নেমেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন এবং জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান। আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে এই দুই নেতার লড়াই মীরসরাইয়ের নির্বাচনী মাঠকে উত্তপ্ত করে তুলেছে।

মাঠের রাজনীতিতে নুরুল আমিন বেশ পোড় খাওয়া নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের কাজ এবং তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বেশ গভীর। বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করছেন নুরুল আমিনের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে তাঁরা সহজেই এই আসনে জয় ঘরে তুলতে পারবেন। বিশেষ করে ধানের শীষের বিশাল ভোটব্যাংক এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ভোটারদের টানতে সহায়ক হবে বলে তাঁদের বিশ্বাস।

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমানও ছেড়ে কথা বলছেন না। পেশায় আইনজীবী সাইফুর রহমান ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। জামায়াতের সুশৃঙ্খল কর্মী বাহিনী এবং নিজস্ব ভোটব্যাংকের পাশাপাশি তিনি সাধারণ ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন। স্থানীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন নুরুল আমিন হেভিওয়েট প্রার্থী হলেও সাইফুর রহমানের কৌশলী প্রচারণায় ভোটের মাঠে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে।

মীরসরাইয়ের সাধারণ ভোটাররা এই লড়াইকে বিএনপি বনাম জামায়াতের মর্যাদার লড়াই হিসেবেই দেখছেন। একদিকে নুরুল আমিনের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ও দলের সাংগঠনিক শক্তি অন্যদিকে সাইফুর রহমানের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও জামায়াতের নীরব ভোট বিপ্লবের কৌশল এই দুইয়ের মধ্যে কে শেষ হাসি হাসবেন তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে পুরো চট্টগ্রামবাসী। কার্যত নৌকা না থাকায় মীরসরাইয়ের ভোটের মাঠ এখন পুরোপুরি নুরুল আমিন বনাম সাইফুর রহমানের দ্বৈরথে পরিণত হয়েছে।


ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১৮:১৪:৫৪
ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: তারেক রহমান
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সম্মানী ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রবিবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ইমাম ও খতিব সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দানকালে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন।

বক্তব্যে তারেক রহমান উল্লেখ করেন যে কোনো হীন দলীয় স্বার্থে ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা গেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন হীন স্বার্থে ধর্মীয় ব্যাখ্যা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। তাই ভিন্নমত যাতে সমাজে ফেৎনা তৈরি না করে সেদিকে আলেম ওলামাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। তিনি জোর দিয়ে বলেন বরাবরের মতো বিএনপি সবসময় ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থবিরোধী তৎপরতা রোধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ধর্মীয় নেতাদের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের বাইরে রেখে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে ইমাম ও খতিবদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

এ সময় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। সবশেষে একটি ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনে আলেম ওলামাদের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন তারেক রহমান।


রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত: রিজভী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১৬:৪৮:৪৮
রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত: রিজভী
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন গ্রামের জমি বিক্রি করে ঢাকায় এসে ফ্ল্যাট কিনছে। মানুষ অতিদ্রুত বড় লোক হতে চাচ্ছে। সেই বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত সেই নদী সেই পুকুর আর রাখতে চাচ্ছে না। টাকাকেই ভাবা হচ্ছে দেবতা। এ কারণেই আজ সামান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমরা কেঁপে উঠছি। এজন্য আমরা বলছি যার যে কাজ যারা রাজনীতিবিদ যারা রাজনীতি করছে তাদের ওপর রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া। এখানে অন্য কেউ যদি আসে ওই উপলব্ধিটা বুঝবে না।

রোববার ২৩ নভেম্বর রাজধানীর ভাসানী ভবনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সদ্য প্রয়াত সাইফুল ইসলাম পটুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত পূর্ব আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন মোগল আমলের কারওয়ান বাজার। এখানে নদী ছিল। একসময় পাল তোলা নৌকা আসত জাহাজ আসত। এই নদী আমরা রক্ষা করিনি আমরা মনেই করিনি। তাড়াতাড়ি ভরাট কর জায়গা দখল কর। এখানে কোনো প্লানিং ছাড়াই আমরা বাড়ি বানাব ভাড়া দেব অথবা বিক্রি করে টাকা আয় করব।

জীবনের স্মৃতিচারণ করে রিজভী বলেন আজকে সমাজে মূল্যায়ন হয় নানাভাবে। আমি তখন ছাত্রদলের রাজনীতি শেষে স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতি করি। মিরপুরের পাইকপাড়ায় থাকি। পকেটে পয়সা ছিল না। সেখান থেকে রিকশা নিয়ে পরীবাগে আসতাম। সেখানে একটা খাল ছিল এখন সেটা নেই। পার হয়ে আবার রিকশা নিয়ে নয়াপল্টন অফিসে আসতাম। বেশিদিন আগের কথা নয় ৯৭ বা ৯৮ সালের দিকের কথা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন এই ঢাকায় এতো বড় বড় নেতা গবেষক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তবুও ধোলাইখাল বন্ধ করে দেওয়া হলো। এটাকে পুনঃখনন করে পরিষ্কার করে পানিটা যাতে ক্লিন থাকে সেই ব্যবস্থাটা আমরা কেন করলাম না।

রিজভী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ভূমিদস্যু ও নগর প্লানার এদের কাছে খাল পরিবেশ নির্মল বাতাস যেন শত্রুপক্ষ। শুধু ঢাকা নয় সারা বাংলাদেশে একই অবস্থা তাদের কাছে সবই যেন শত্রুপক্ষ। এরা কেউ ভাবেনি ধোলাইখালটা রক্ষা করতে হবে আমাদের সন্তানদের সুস্থ রাখতে হবে। এদের সবার টাকা দরকার। এক দেড় কাঠা পৈতৃক জায়গার ওপর তলার পর তলা করে করে দশ তলাও করেছে। আগে বাড়ির সামনে একটা বাগান থাকত সেটা এখন নেই। এখন একটা শিশু ফ্ল্যাটে বন্দি জীবনযাপন করে। ইংল্যান্ড আমেরিকায় তো তা হয় না। সেখানে তো কোনো খাল বা জলাধার বন্ধ করে দেওয়া হয় না।

তিনি আরও বলেন দেখতে দেখতে ঢাকার জলাধার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরা ভূমিদস্যু এরাই আবার রাজনৈতিক নেতা হচ্ছে এরাই সমাজের অধিপতি হচ্ছে। এদের অনেকে ম্যাট্রিক পাশও করেনি। খাল বিল পুকুর এবং জায়গা দখল করে এখন বিরাট ফার্মের মালিক। এদের কাছে গিয়েই বুয়েট বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য ধর্ণা দিচ্ছেন কারণ সমাজ এমনভাবে বিভাজিত হয়েছে।

এটি শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি করে গেছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন তা না হলে ঢাকা শহরে পঞ্চাশটির বেশি ক্যাসিনো থাকতে পারে অথচ এর সঙ্গে জড়িতদের আওয়ামী লীগ থেকে বাদ দেওয়া হয়নি বা বহিষ্কার করা হয়নি। তকী হত্যার অভিযোগ যার বিরুদ্ধে ছিল শেষ পর্যন্ত সে এমপি হয়ে যায়। অর্থাৎ খারাপ মানুষ সন্ত্রাসী ভূমি দখলকারী এদেরকেই প্রটেকশন দেওয়া হলো। এদেরকেই টিকিয়ে রাখা হলো যার কারণে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে দশজন মানুষ মারা গেল।

যতটুকু বিল্ডিং কোড রয়েছে তাও মানা হয় না উল্লেখ করে রিজভী বলেন আপনারা জানেন এই ঢাকা শহরে রাজউকের যে এলাকা সেখানেও ৯৫ শতাংশ অনুমোদনহীন বিল্ডিং তৈরি হয়। এখানে রাজউক বা অন্যান্যদের চোখ বন্ধ। তার মতে এই ভূমিকম্পের মধ্য দিয়ে আমাদের উপলব্ধি করা প্রয়োজন। আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের সবার উপলব্ধি করার সময় এসেছে। তা যদি করতে না পারি তাহলে একটি শূন্য গর্তে হারিয়ে যাব।

সদ্য প্রয়াত সাইফুল ইসলাম পটুর কথা স্মরণ করে রিজভী বলেন সাইফুল ইসলাম পটু সামগ্রিকভাবে জীবিত থাকা অবস্থায় আমরা তার কী মূল্যায়ন করেছি। এখানে অনেকে আছেন যাদের জীবন কেটেছে আন্দোলন সংগ্রামে। যারা রাজনীতিতে জীবন উৎসর্গ করার মতো ভূমিকা রেখেছেন। এদের অধিকাংশই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অথবা নামকরা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থী। তাদের বিষয়গুলো দলের শীর্ষ মহলে আমরা সেভাবে বলি না। এরা কিন্তু পাড়ার বখাটে ছেলেও নয়। তাদের স্টুডেন্ট এবং রাজনৈতিক দুটি ক্যারিয়ারই আছে। তাদের যদি মূল্যায়ন না করি তাহলে চেতনা সম্পন্ন অনেক নেতৃবৃন্দকে হারাব।

এ সময় বিগত গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সাবেক ছাত্রনেতা পটুর ব্যক্তিগত জীবন ও রাজপথের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন তার সহযোদ্ধা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সরাফত আলী সপু সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল যুব বিষয়ক সহ সম্পাদক নেওয়াজ আলী নেওয়াজ ও সাদরেজ জামান প্রমুখ। হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন আজকের দিনে যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে কষ্ট করে তাদের হয়তো অনেকেই বোকা মনে করতে পারেন। কিন্তু এই বোকারাই দলকে টিকিয়ে রাখে এবং ক্ষমতায় নিয়ে যায়।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত