ডিএসই মিউচুয়াল ফান্ডে বড় বৈষম্য NAV বিশ্লেষণে বাজারচাপ স্পষ্ট

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ক্লোজড–এন্ড মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর ২৪ নভেম্বর ২০২৫ কার্যদিবস শেষে প্রকাশিত নিট সম্পদমূল্য (NAV) বাজারে মিশ্র প্রবণতার ইঙ্গিত দিয়েছে। বাজারদরের ভিত্তিতে অধিকাংশ ফান্ডেই ইউনিটপ্রতি এনএভি তুলনামূলকভাবে কমে এসেছে, যা চলমান বাজারচাপ ও বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মানসিকতার প্রতিফলন। তবে কস্ট প্রাইস ভিত্তিক NAV স্থিতিশীল থাকা ফান্ডগুলোর সম্পদ সংরক্ষণ সক্ষমতা ও দীর্ঘমেয়াদি টেকসই অবস্থান স্পষ্ট করে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বড় ফান্ডগুলোর মধ্যে FBFIF উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে আছে, যার বাজারদর ভিত্তিক মোট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার পাঁচশো তেত্রিশ কোটি টাকার বেশি। কস্ট প্রাইস ভিত্তিক সম্পদমূল্য আট হাজার আটশো পঁচিশ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে, যা বাজারসংকটের মধ্যেও ফান্ডটির আর্থিক শক্তিমত্তা ধরে রাখার প্রমাণ। একইভাবে GRAMEENS2 ফান্ড ইউনিটপ্রতি সর্বোচ্চ ১৫ টাকা ৬৯ পয়সা NAV প্রদর্শন করেছে, যা অন্যান্য ফান্ডের তুলনায় বাজারদরের অধিক সাড়া নির্দেশ করে। কস্ট প্রাইস ভিত্তিক NAV ১০ টাকা ৩৮ পয়সা থাকা প্রমাণ করে যে ফান্ডটির প্রকৃত সম্পদমূল্য বাজারচাপের তুলনায় আরও শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
মাঝারি ও ছোট মাপের অন্যান্য ফান্ড যেমন POPULAR1MF, TRUSTB1MF, PHPMF1, IFIC1STMF, RELIANCE1, EBLNRBMF, GLDNJMF, ICBAGRANI1, ICBSONALI1, EBL1STMF এবং PRIME1ICBA–এর NAV বাজারদরের ভিত্তিতে ৬ থেকে ১১ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে। এতে দেখা যাচ্ছে, বাজারের চাপ বেশি থাকলেও এসেট–বেসড কস্ট NAV তুলনামূলক শক্ত অবস্থানে আছে। বাজারদরের NAV কমে যাওয়া বিনিয়োগকারীদের স্বল্পমেয়াদি অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দিলেও দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিকোণে এসব ফান্ডে পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে ICB পরিচালিত ফান্ডগুলো বাজার অস্থিরতার মধ্যেও তুলনামূলক স্থিতিশীল NAV প্রদর্শন করেছে, যা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা দক্ষতার প্রতিফলন।
বাজারদর ও কস্ট প্রাইসের মধ্যে বৈষম্য সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে PF1STMF, ICB3RDNRB এবং ICBSONALI1 ফান্ডগুলোতে। এসব ফান্ডে বর্তমান বাজারমূল্য কম হলেও কস্ট অ্যাসেট শক্ত অবস্থায় থাকা ফান্ডগুলোর দীর্ঘমেয়াদি পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা উজ্জ্বল রাখে। বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মিউচুয়াল ফান্ড বাজার বর্তমানে সংকোচনের মধ্য দিয়ে গেলেও সম্পদসংরক্ষণে সফল হওয়ায় বিকল্প বিনিয়োগে সম্ভাবনার জায়গা তৈরি হচ্ছে। তাদের মতে, বর্তমান NAV চিত্র স্বল্পমেয়াদি দুর্বলতা দেখালেও মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের জন্য এটি আকর্ষণীয় সুযোগ হয়ে উঠতে পারে।
মোটের ওপর, ২৪ নভেম্বরের NAV ট্রেডিং ডেটা দেখায় যে বাজার চাপের মধ্যেও ফান্ডগুলো প্রকৃত সম্পদমূল্য ধরে রেখেছে এবং পুনরুদ্ধারের সঠিক সময় এলে মিউচুয়াল ফান্ড বাজার আবারও শক্ত অবস্থানে ফিরে আসতে পারে।
-রফিক
ফরচুন সুজ লিমিটেডের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
ফরচুন সুজ লিমিটেড চলতি অর্থবছরের আর্থিক সংকট ও ব্যয়বৃদ্ধির প্রভাব সত্ত্বেও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ০ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির লভ্যাংশ শুধুমাত্র সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য প্রযোজ্য হবে, স্পনসর ও পরিচালকদের জন্য নয়। কোম্পানির স্পনসর ও পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৫ কোটি ২৭ লাখ ৮২ হাজার ১৩৮টি শেয়ার, আর সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের হাতে রয়েছে ১১ কোটি ৭৮ লাখ ৮০ হাজার ১২৫টি শেয়ার। ঘোষিত নগদ লভ্যাংশের আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬ টাকা ২৫ পয়সা।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ সকাল ১০টায় হাইব্রিড পদ্ধতিতে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। লভ্যাংশ সম্পর্কিত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫।
আর্থিক বিবরণীতে দেখা যায়, ২০২৪–২৫ অর্থবছরে FORTUNE-এর প্রতি শেয়ার আয় (EPS) কমে দাঁড়িয়েছে ০ দশমিক ১১ টাকা, যা আগের অর্থবছরের ০ দশমিক ৫০ টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। একই সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (NAV) বেড়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ৭০ টাকা, যা গত অর্থবছরে ছিল ১৩ দশমিক ৫৮ টাকা। তবে শেয়ারপ্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহ (NOCFPS) নেগেটিভ হয়ে দাঁড়িয়েছে মাইনাস ০ দশমিক ৪২ টাকা, যা আগের বছরের মাইনাস ০ দশমিক ৩৬ টাকার তুলনায় কম অনুকূল।
কোম্পানি জানিয়েছে, ইপিএসের এই নিম্নমুখী প্রবণতা এসেছে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, বিদেশি অর্ডারের কিছু ক্ষতি, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, গ্রাহক দাবির কারণে ক্ষয়ক্ষতি, অন্যান্য আয়খাতের মুনাফা হ্রাস এবং সুদের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় আর্থিক খরচ বেড়ে যাওয়ার ফলে। এসব চাপে সামগ্রিক মুনাফাযোগ্যতা কমে এসেছে, যদিও সম্পদমূল্য কিছুটা উন্নত হয়েছে।
-রাফসান
২৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
সোমবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (DSE) লেনদেন শেষে বাজারের সামগ্রিক চিত্রে অত্যন্ত ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে লেনদেন হওয়া প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। দিনশেষে ৩৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে মাত্র ২২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায় মোট ৩৯১টি ইস্যুর মধ্যে এই লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। ক্যাটাগরিভিত্তিক লেনদেনে 'A' ক্যাটাগরিতে ১৯৭টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৩টির। 'B' ক্যাটাগরিতে ৭৫টি ইস্যু এগিয়েছে এবং কমেছে মাত্র ৪টি। বিশেষ করে 'Z' ক্যাটাগরিতে ৮৭টি কোম্পানির দর বাড়লেও পতন হয়েছে ৫টির।
মিউচুয়াল ফান্ড (MF) খাতেও চাঙ্গাভাব দেখা গেছে। এই খাতে ৩৩টি ফান্ডের দর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মাত্র ২টির দর হ্রাস পেয়েছে। তবে করপোরেট বন্ড এবং সরকারি সিকিউরিটিজ খাতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল তুলনামূলক কম।
এদিন বাজারে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬,৩৫৯.৫০ মিলিয়ন টাকা (প্রায় ৬৩৫ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা)। মোট ২,০৯,৩৭৪টি ট্রেডের মাধ্যমে ২৩ কোটি ৯৪ লক্ষ ৫ হাজার ৫০৫টি শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে।
ব্লক মার্কেটে ৩২০ মিলিয়নের লেনদেন
মূল বাজারের পাশাপাশি ব্লক মার্কেটে আজ ৩২০.৭২১ মিলিয়ন টাকার (প্রায় ৩২ কোটি ৭ লক্ষ টাকা) লেনদেন হয়েছে। মোট ২৮টি স্ক্রিপের লেনদেন হয় এখানে।
ব্লক মার্কেটে লেনদেনের শীর্ষে ছিল SIMTEX যার একাই ১৩২.৫২০ মিলিয়ন টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা KBPPWBIL ৭৩.০৯৪ মিলিয়ন এবং তৃতীয় স্থানে LOVELLO ২৬.৯১১ মিলিয়ন টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য লেনদেনের মধ্যে CITYGENINS ২৩.৭৬২ মিলিয়ন এবং ACMELAB ১৬.৮৯৭ মিলিয়ন টাকার লেনদেন সম্পন্ন করে।
দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মোট বাজার মূলধন (Total Market Capitalisation) বৃদ্ধি পেয়ে ৬,৯৩৩,৫৯৮.৫৬ মিলিয়ন টাকায় দাঁড়িয়েছে।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
/আশিক
২৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
সোমবার (২৪ নভেম্বর) শেয়ারবাজারের লেনদেনে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দামে পতন লক্ষ্য করা গেছে। দুটি ভিন্ন মানদণ্ডে এই দরপতন পরিমাপ করা হয়েছে। গতকালের সমাপনী মূল্যের (YCP) তুলনায় আজকের সমাপনী মূল্যে (CloseP) এবং দিনের লেনদেনের উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ মূল্যে (LTP) উভয় ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে BDWELDING।
Close Price vs YCP
গতকালকের সমাপনী মূল্যের (YCP) সাথে আজকের সমাপনী মূল্যের (CloseP) শতাংশ পরিবর্তন বিবেচনায় দরপতনের তালিকার শীর্ষে রয়েছে BDWELDING। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩ দশমিক ১২৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এটির YCP ছিল ৯ টাকা ৬ পয়সা যা আজ লেনদেন শেষে ৯ টাকা ৩ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে WMSHIPYARD যার দর কমেছে ২ দশমিক ২৭২৭ শতাংশ। ১ দশমিক ৯৬০৮ শতাংশ দর হারিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে PF1STMF।
শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো JUTESPINN (-১.৮৩৪৪ শতাংশ), RAHIMTEXT (-১.৭৩১৬ শতাংশ), VAMLBDMF1 (-১.৪০৮৫ শতাংশ), AZIZPIPES (-১.৩২৪৫ শতাংশ), BPPL (-১.২৪২২ শতাংশ), ALARABANK (-১.১৬২৮ শতাংশ) এবং AL-HAJTEX (-১.০০৭৮ শতাংশ)।
Opening Price vs LTP (Intra-day)
দিনের লেনদেনের মধ্যে অর্থাৎ উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ লেনদেন মূল্যের (LTP) ডেভিয়েশন বা পরিবর্তনেও সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে BDWELDING এর। কোম্পানিটির শেয়ার দর দিনের মধ্যেই ৬ দশমিক ০৬০৬ শতাংশ হ্রাস পায়। এটির লেনদেন শুরু হয়েছিল ৯ টাকা ৯ পয়সা দিয়ে এবং সর্বশেষ LTP দাঁড়ায় ৯ টাকা ৩ পয়সায়।
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে STANCERAM যার ডেভিয়েশন মাইনাস ৬ দশমিক ০৪৭২ শতাংশ। TAKAFULINS মাইনাস ৫ দশমিক ৪৯৪৫ শতাংশ ডেভিয়েশন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো NTC (-৫.০২৭৯ শতাংশ), WMSHIPYARD (-৪.৪৪৪৪ শতাংশ), VAMLBDMF1 (-৪.১০৯৬ শতাংশ), PROGRESLIF (-৩.৩৬৮৪ শতাংশ), PHARMAID (-২.৮৭৭২ শতাংশ), UNIONCAP (-২.৫৬৪১ শতাংশ) এবং MEGHNAPET (-২.৩২৫৬ শতাংশ)।
পর্যালোচনা করে দেখা যায় BDWELDING, WMSHIPYARD এবং VAMLBDMF1 এই তিনটি প্রতিষ্ঠান উভয় তালিকাতেই দরপতনের শীর্ষ দশে স্থান পেয়েছে। এটি নির্দেশ করে যে এই কোম্পানিগুলো শুধু গতকালের তুলনায়ই নয় বরং আজকের দিনের লেনদেনের শুরুতেও বিক্রয় চাপের মুখে ছিল।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
/আশিক
২৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
সোমবার (২৪ নভেম্বর) শেয়ারবাজারের লেনদেনে মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন মানদণ্ডে ব্যাংক এবং মিউচুয়াল ফান্ড খাতের দাপট দেখা গেছে। গতকালের সমাপনী মূল্যের (YCP) তুলনায় আজকের সমাপনী মূল্যে (CloseP) সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে IFIC। অন্যদিকে দিনের লেনদেনের উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ মূল্যে (LTP) সবচেয়ে বেশি মুনাফা দিয়েছে EBL1STMF।
Close Price vs YCP
গতকালকের সমাপনী মূল্যের (YCP) সাথে আজকের সমাপনী মূল্যের (CloseP) শতাংশ পরিবর্তন বিবেচনায় শীর্ষ দশ গেইনারের তালিকায় প্রথম স্থান দখল করেছে IFIC। কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল এর YCP ছিল ৫ টাকা যা আজ লেনদেন শেষে ৫ টাকা ৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে SIMTEX যার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৯২৯১ শতাংশ। ৯ দশমিক ৯০১ শতাংশ দর বৃদ্ধি পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে QUEENSOUTH।
শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো INTECH (৯.৮৪২৫ শতাংশ), AIBL1STIMF (৯.৬৭৭৪ শতাংশ), EBL1STMF (৯.৬৭৭৪ শতাংশ), SALAMCRST (৯.৪৫৯৫ শতাংশ), KBPPWBIL (৯.৩৭৫ শতাংশ), NRBBANK (৯.৩৭৫ শতাংশ) এবং MONOSPOOL (৯.১২৮২ শতাংশ)।
Opening Price vs LTP (Intra-day)
দিনের লেনদেনের মধ্যে অর্থাৎ উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ লেনদেন মূল্যের (LTP) ডেভিয়েশন বা পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল EBL1STMF। ফান্ডটির ইউনিট দর দিনের মধ্যেই ১৩ দশমিক ৩৩৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এটির লেনদেন শুরু হয়েছিল ৩ টাকা দিয়ে এবং সর্বশেষ LTP দাঁড়ায় ৩ টাকা ৪ পয়সায়।
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ADNTEL যার ডেভিয়েশন ১২ দশমিক ১৭৭১ শতাংশ। LRGLOBMF1 ১১ দশমিক ১১১১ শতাংশ ডেভিয়েশন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো SONARGAON (১০.৩৫৮৬ শতাংশ), QUEENSOUTH (৯.৯০ শতাংশ), MBL1STMF (৯.০৯০৯ শতাংশ), SIMTEX (৮.৭৭১৯ শতাংশ), SHARPIND (৮.৫৪৭৯ শতাংশ), 1JANATAMF (৮.৩৩৩৩ শতাংশ) এবং NCCBLMF1 (৮.৩৩৩৩ শতাংশ)।
পর্যালোচনা করে দেখা যায় SIMTEX, QUEENSOUTH এবং EBL1STMF এই তিনটি প্রতিষ্ঠান উভয় তালিকাতেই শীর্ষ দশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে যা এগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের শক্তিশালী আগ্রহের প্রমাণ।
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
/আশিক
বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি দুই বড় প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীল লেনদেনে
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সোমবারের লেনদেনে বেক্সিমকো ও ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারে দেখা গেছে তুলনামূলক স্থিতিশীলতা এবং সীমিত পরিসরে মূল্য পরিবর্তন। বাজার বিশ্লেষকদের মতে দুই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারেই বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণ নীতিতে চলছেন, যার প্রভাব পড়েছে লাস্ট ট্রেডেড প্রাইস এবং দৈনিক ওঠানামায়।
বাজার তথ্য অনুযায়ী বেক্সিমকোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে একশ দশ দশমিক এক শূন্য টাকায়, যা দিনের উচ্চ মূল্য এবং নিম্ন মূল্য দুটিই একই হওয়ায় লেনদেন স্থিতিশীল থেকেছে। আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইস ছিল একশ একুশ দশমিক এক শূন্য টাকা, ফলে আজ মূল্যটি আগের দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে নিচে অবস্থান করছে। বেক্সিমকোর ক্ষেত্রে দিনের মূল্যসীমা একেবারেই অপরিবর্তিত থাকায় বিশ্লেষকেরা বলছেন বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বিনিয়োগকারীরা একটি অপেক্ষামূলক অবস্থান নিয়েছেন।
অন্যদিকে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে বত্রিশ দশমিক ছয় শূন্য টাকায়, যা আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইসের সমান। দিনের সর্বোচ্চ মূল্য ছিল পঁয়ত্রিশ দশমিক নয় শূন্য টাকা, আর সর্বনিম্ন মূল্য ছিল বত্রিশ দশমিক ছয় শূন্য টাকা। গত দিনের ক্লোজ ছিল উনচল্লিশ দশমিক চার শূন্য টাকা, ফলে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারে তুলনামূলক চাপে লেনদেন চললেও দাম স্থিতিশীল ছিল দিনজুড়ে।
-রাফসান
ডিএসই ৩০ সূচকে জোরদার উত্থান বাজারে ফিরছে আস্থা
সপ্তাহের শুরুতে ডিএসই ৩০ সূচকের লেনদেনে দেখা গেছে এক অসাধারণ ইতিবাচক গতি। সোমবার ২৪ নভেম্বর ২০২৫ দুপুর ১২টা ৩২ মিনিটে প্রকাশিত আপডেট অনুযায়ী সূচকভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানিই মূল্যবৃদ্ধি দিয়ে লেনদেন করছে। লেনদেনের পরিমাণ এবং বাজারমূল্যে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে সিটি ব্যাংক রবি জিপিএইচ ইস্পাত এবং বিসিসি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি কোম্পানি। সবচেয়ে নজরকাড়া উল্লম্ফন ঘটেছে কেপিবিপিডব্লিউবিআইএল কোম্পানির শেয়ারে যার মূল্য বেড়েছে পাঁচ শতাংশের বেশি।
তামাক খাতের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের শেয়ারের দর দাঁড়িয়েছে দুইশ বাহান্ন দশমিক তিন টাকা যা গতকালের চেয়ে এক দশমিক এক ছয় শতাংশ বেশি। ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে বিকন ফার্মা এবং বিবিএক্স ফার্মা দুটিই চমক দেখিয়েছে। বিকন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে একশ আট টাকায় যা গতকালের তুলনায় দুই দশমিক চার সাত শতাংশ বেশি। অন্যদিকে বিবিএক্স ফার্মার শেয়ার বেড়েছে তিন দশমিক চার দুই শতাংশ।
ব্যাংক খাতে সিটি ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ধরে রেখেছে। সিটি ব্যাংকের লেনদেনমূল্য প্রায় একশ তেতাল্লিশ মিলিয়ন টাকায় পৌঁছেছে যা বাজারে সর্বোচ্চগুলোর একটি। লাস্ট ট্রেডেড প্রাইস দাঁড়িয়েছে চব্বিশ দশমিক দুই টাকা। ব্র্যাক ব্যাংকের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে পঁয়ষট্টি দশমিক আট টাকা যা এক শতাংশের বেশি বৃদ্ধি প্রতিফলিত করে।
সমুদ্র পরিবহন খাতে বিএসসি আবারো নজর কেড়েছে। শতাধিক লেনদেনে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে একশ সাত টাকায় যা দুই দশমিক চার নয় শতাংশ বেশি। এক্ষেত্রে লেনদেনমূল্য প্রায় পঞ্চাশ মিলিয়ন টাকা। একইভাবে বিএসসি পিএলসি র এক শতাংশের বেশিও উত্থান দেখা গেছে।
জিপিএইচ ইস্পাত রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন ধরে রেখেছে যেখানে চার লাখের বেশি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। কোম্পানির মূল্য বেড়েছে চার দশমিক শূন্য সাত শতাংশ যা দিনটির অন্যতম বড় বৃদ্ধিগুলোর একটি। একইভাবে এল এইচ বি লঙ্কা বাংলা ফিন্যান্স ইউনিক হোটেলস এবং লাভেলোও শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে।
অন্যদিকে কেবল দুই কোম্পানির দর কমেছে। লিন্ডে বাংলাদেশ এবং জামুনা অয়েলের শেয়ারে সামান্য নেতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। লিন্ডের দাম কমেছে শূন্য দশমিক আট শূন্য শতাংশ এবং জামুনা অয়েলের দর কমেছে শূন্য দশমিক চার সাত শতাংশ।
প্রযুক্তি খাতের রবি অডিও অসাধারণ লেনদেন ধরে রেখেছে। কোম্পানির শেয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে আটাশ দশমিক চার টাকা যেখানে লেনদেন হয়েছে দশ লাখের বেশি শেয়ার। একইভাবে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের দামও সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুইশ দুই দশমিক সাত টাকা।
পেট্রোলিয়াম খাতে পদ্মা অয়েলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে একশ পঁচানব্বই দশমিক সাত টাকায় যার বৃদ্ধির পরিমাণ শূন্য দশমিক তিন ছয় শতাংশ। রেনাটার দাম বেড়েছে দুই দশমিক সাত শূন্য শতাংশ যা বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রতিফলন।
ট্রেড ভলিউমে জিপিএইচ ইস্পাত রবি সিটি ব্যাংক এবং কেপিবিপিডব্লিউবিআইএল এগিয়ে থেকে বাজারে প্রাণ ফিরিয়ে এনেছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে দিনের এই ইতিবাচক প্রবণতা বাজারে নতুন আস্থা তৈরি করেছে যা আগামী দিনগুলোতে আরও শক্তিশালী প্রবণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
-রাফসান
রেকর্ড ডে সামনে রেখে পদ্মা অয়েলের স্বচ্ছ লেনদেন নির্দেশনা
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগামী ২৫ এবং ২৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার শুধুমাত্র স্পট মার্কেটে লেনদেনযোগ্য থাকবে। এ সময় ব্লক মার্কেটের লেনদেনও স্পট সেটেলমেন্টের নিয়মে নিষ্পত্তি হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই দুই দিনের লেনদেন কাম বেনিফিট অবস্থায় পরিচালিত হবে, অর্থাৎ শেয়ার ক্রেতারা ঘোষিত সব সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানির রেকর্ড ডে ২৭ নভেম্বর ২০২৫, এবং রেকর্ড ডে উপলক্ষে ওই দিন পদ্মা অয়েলের শেয়ার লেনদেন সম্পূর্ণরূপে স্থগিত থাকবে। রেকর্ড ডেতে লেনদেন বন্ধ রাখা মূলত কোম্পানির সুবিধাভোগী শেয়ারহোল্ডারদের তালিকা চূড়ান্ত করার জন্য প্রয়োজন হয়, যাতে লভ্যাংশ বা অন্য কোনো সুবিধা দিতে আইনি জটিলতা না তৈরি হয়।
অর্থবাজার বিশ্লেষকদের মতে, স্পট মার্কেটে লেনদেন চালু করার অর্থ হলো শেয়ার দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা, যাতে ক্রেতা–বিক্রেতা উভয়ই স্বল্প সময়ে মালিকানা হস্তান্তর সম্পন্ন করতে পারে। সাধারণত রেকর্ড ডে সামনে রেখে স্পট মার্কেট ঘোষণা বাজারে স্বচ্ছতা, সুষ্ঠু সেটেলমেন্ট এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবিধা নিশ্চিত করে। পদ্মা অয়েলের মতো ব্লু–চিপ কোম্পানির ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘোষণা বাজারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে থাকে।
বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, রেকর্ড ডে সামনে রেখে স্পট মার্কেটে লেনদেনের সুযোগ লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং কর্পোরেট সুবিধা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। তবে রেকর্ড ডেতে লেনদেন স্থগিত থাকার কারণে বিনিয়োগকারীদের লেনদেন পরিকল্পনা আগে থেকেই সাজিয়ে নিতে হবে।
-রাফসান
বাংলাদেশি ওষুধশিল্পের রেনাটার মাইলফলক
দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রেনাটা লিমিটেড যুক্তরাজ্যের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের Hydrocortisone 5 mg Tablets উন্মোচন করেছে। কোম্পানির আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অ্যাড্রিনাল কর্টেক্সের স্বল্পতা বা Adrenocortical insufficiency–এ আক্রান্ত রোগীদের জন্য অপরিহার্য এই কর্টিকোস্টেরয়েড এখন থেকে যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনে নতুন মাত্রার সুনির্দিষ্ট ডোজিং সুবিধা দেবে। ৫ মি.গ্রা ডোজটি রোগীর শারীরবৃত্তিক কর্টিসল চাহিদা আরও নিখুঁতভাবে ম্যানেজ করার সুযোগ তৈরি করবে, ফলে চিকিৎসকেরা রোগীর অবস্থা অনুযায়ী ডোজ আরও কার্যকরভাবে টাইট্রেট করতে পারবেন।
রেনাটার এই পণ্যটি উৎপাদিত হয়েছে ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত কোম্পানির UK MHRA-approved এবং EU GMP-certified potent facility–তে, যা আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বৈশ্বিক নিয়ন্ত্রিত বাজারে ওষুধ সরবরাহের ক্ষেত্রে রেনাটার সক্ষমতাকে আরও একবার প্রমাণ করে। রেনাটার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সহযোগী প্রতিষ্ঠান Renata (UK) Limited–এর ব্র্যান্ডিংয়ের অধীনে দেশটির বাজারে পণ্যটি বাণিজ্যিকভাবে বিতরণ করা হবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, যুক্তরাজ্যে Hydrocortisone 5 mg শক্তির ট্যাবলেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রেনাটা এখন অন্যতম। এই শক্তির ঘাটতি এবং উচ্চমানের কর্টিকোস্টেরয়েডের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে রেনাটার বাজারে প্রবেশ চিকিৎসা–বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে শুধু রোগীদের চিকিৎসায় নতুন বিকল্প তৈরি হলো না, বরং রেনাটার আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণ কৌশলে আরও দৃঢ়তা যোগ হলো।
-রাফসান
ডিএসইতে একযোগে এনএভি প্রকাশ, কোন ফান্ড কোথায় দাঁড়াল
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত একাধিক ক্লোজড এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড ২৩ নভেম্বর ২০২৫ সমাপ্ত দিনে ইউনিটপ্রতি নেট অ্যাসেট ভ্যালু বা এনএভি হালনাগাদ করেছে। একদিনের লেনদেন শেষে প্রকাশিত এসব তথ্যে দেখা যায়, অধিকাংশ ফান্ডই বর্তমান বাজারদরে ইউনিটপ্রতি এনএভি হিসেবে মূলদাম দশ টাকার নিচে লেনদেনমূল্য প্রতিফলিত করছে, তবে কিছু ফান্ড এখনও প্রিমিয়ামে আছে এবং বেশ কিছু ফান্ডের মোট সম্পদের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় রয়েছে। সব তথ্য ২৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে।
প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, এনসিসি ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান, এলআর গ্লোবাল নামের ফান্ডসহ বেসরকারি ব্যাংক ও লিজিং সংশ্লিষ্ট একাধিক ফান্ডের ইউনিটপ্রতি এনএভি বাজারদরে আট থেকে নয় টাকার ঘরে অবস্থান করছে, যদিও কস্ট প্রাইস বা ক্রয়মূল্যভিত্তিক এনএভি এখনো দশ টাকার ওপরে। উদাহরণ হিসেবে এনসিসিবিএলএমএফ ওয়ান ফান্ডটি বাজারদরে ইউনিটপ্রতি এনএভি দেখিয়েছে নয় টাকা আট পয়সা, অথচ কস্ট প্রাইসের ভিত্তিতে এই এনএভি এগারো টাকা আট পয়সা। এই ফান্ডের মোট নিট সম্পদের পরিমাণ প্রায় আটানব্বই কোটি টাকারও বেশি বাজারদরে এবং কস্ট প্রাইস অনুসারে প্রায় একশ বিশ কোটি টাকার অধিক। এলআর গ্লোবাল মিউচুয়াল ফান্ডটির ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা স্পষ্ট, যেখানে বাজারদরে ইউনিটপ্রতি এনএভি আট টাকা তেতাল্লিশ পয়সা হলেও কস্ট প্রাইসের ভিত্তিতে তা দশ টাকা নিরানব্বই পয়সা এবং মোট নিট সম্পদ দুইশো বাষট্টি কোটি টাকারও বেশি।
বাজারে কার্যকর বেশ কিছু ফান্ডের আকার মোট সম্পদের দিক থেকে বড় হলেও ইউনিটপ্রতি এনএভি বাজারদরে মুখমূল্য দশ টাকার অনেক নিচে আছে। যেমন ট্রাস্ট ব্যাংক নামের ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি এনএভি বাজারদরে দেখিয়েছে ছয় টাকা একচল্লিশ পয়সা, যেখানে কস্ট প্রাইসের ভিত্তিতে এনএভি এগারো টাকা তেতাল্লিশ পয়সা এবং মোট নিট সম্পদের পরিমাণ বাজারদরে একশ চুরানব্বই কোটি টাকার বেশি, কস্ট প্রাইসে প্রায় তিনশ ছেচল্লিশ কোটি টাকারও ওপরে।
পপুলার ওয়ান, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ইবিএল এনআরবি এমএফ ও এফবিএফআইএফ ফান্ডগুলোও একই ধরনের চিত্র তুলে ধরেছে, যেখানে বাজারদরে প্রতি ইউনিট এনএভি ছয় থেকে সাত টাকার ঘরে, কিন্তু কস্ট প্রাইসভিত্তিক এনএভি এগারো টাকার বেশি। বিশেষ করে এফবিএফআইএফ ফান্ডটির মোট নিট সম্পদ বাজারদরে পাঁচশ ছেচল্লিশ কোটি টাকারও বেশি, আর কস্ট প্রাইসে তা আটশ বিরাশিটি কোটি টাকার উপরে, যা ফান্ডটির বড় আকার ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের চাপকে ইঙ্গিত করে।
ডিএসইতে তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকটি ফান্ডের ক্ষেত্রে বাজারদরের এনএভি মুখমূল্য দশ টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্য ডিসকাউন্টে অবস্থান করছে। যেমন ফার্স্ট জনতা মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি এনএভি বাজারদরে পাঁচ টাকা সাতানব্বই পয়সা, অথচ কস্ট প্রাইসে তা এগারো টাকা চুয়াল্লিশ পয়সা এবং মোট নিট সম্পদ বাজারদরে প্রায় একশ তিয়াত্তর কোটি টাকারও বেশি।
আইসিবি এগ্রাণী ওয়ান, আইসিবি সোনালী ওয়ান, আইসিবি থার্ড এনআরবি, প্রাইম আইসিবি ফান্ড, আইসিবিএএমসিএল সেকেন্ড ফান্ড ও পিএফ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডসহ বেশ কয়েকটি ফান্ডে কস্ট প্রাইসের তুলনায় বাজারদরে ইউনিটপ্রতি এনএভি উল্লেখযোগ্যভাবে কম, যা দীর্ঘমেয়াদে মূলধনী ক্ষতির চাপকে পরিসংখ্যানের মাধ্যমে স্পষ্ট করে। বিনিয়োগ বিশ্লেষণের দৃষ্টিতে এটি ডিসকাউন্টেড ফান্ড পরিস্থিতি তুলে ধরে, যদিও পৃথক ফান্ডের বিনিয়োগ কৌশল ও ডিভিডেন্ড ইতিহাস বিবেচনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
অন্যদিকে, কিছু ফান্ড এখনও তুলনামূলক ভালো অবস্থানে আছে। ক্যাপিটেক জিবি ফান্ডের ইউনিটপ্রতি এনএভি বাজারদরে দেখানো হয়েছে নয় টাকা ঊননব্বই পয়সা, যা মুখমূল্যের খুব কাছাকাছি এবং কস্ট প্রাইসের ভিত্তিতে এই এনএভি দশ টাকা ছিয়াশি পয়সা। রিলায়েন্স ওয়ান ফান্ডের ইউনিটপ্রতি এনএভি বাজারদরে দশ টাকা আটচল্লিশ পয়সা, অর্থাৎ এটি মুখমূল্য দশ টাকার ওপরে অবস্থান করছে, কস্ট প্রাইসের ভিত্তিতে এগারো টাকা ছয় পয়সা।
সব ফান্ডের মধ্যে গ্রামীণ সেকেন্ড ফান্ডের পরিসংখ্যান সবচেয়ে নজরকাড়া, কারণ এটির ইউনিটপ্রতি এনএভি বাজারদরে পনেরো টাকা পঁয়তাল্লিশ পয়সা, যা শুধু মুখমূল্যেরই অনেক ওপরে নয়, বরং কস্ট প্রাইসভিত্তিক এনএভি দশ টাকা সাঁইত্রিশ পয়সারও ওপরে বাজারমূল্যে উল্লেখযোগ্য প্রিমিয়াম প্রতিফলিত করছে। এই ফান্ডের মোট নিট সম্পদের পরিমাণ বাজারদরে দুইশো একাশি কোটি টাকারও বেশি, কস্ট প্রাইসে প্রায় একশ উননব্বই কোটি টাকার কাছাকাছি।
এছাড়া এসইএমএল লার্জ ক্যাপ, এসইএমএল ফার্স্ট বি এস এল, এসইএমএল আইবিবিএল এসএফ ফান্ডগুলোর ইউনিটপ্রতি এনএভি বাজারদরে নয় থেকে দশ টাকার ঘরে অবস্থান করছে, যা তুলনামূলকভাবে শক্ত অবস্থান নির্দেশ করে। তদুপরি গ্রিন ডেল্টা, ডিবিএইচ, ভিক্টোরি কিংবা ক্যাপিএম আইবিবিএল, ক্যাপিএম বিডিবিএল ফান্ডের ক্ষেত্রেও দেখা যায়, আর্থিক খাতভিত্তিক এই ফান্ডগুলোর নিট সম্পদের আকার মাঝারি হলেও বাজারদরে ডিসকাউন্ট অব্যাহত আছে, আর কস্ট প্রাইসের ভিত্তিতে ইউনিটপ্রতি এনএভি দশ টাকার ওপরে অবস্থান করছে।
সব ফান্ডের ক্ষেত্রেই উল্লেখ আছে যে এনএভি নির্ণীত হয়েছে নির্ধারিত তারিখের শেষে সব সম্পদ ও দায় বিবেচনার ভিত্তিতে। প্রতিটি ফান্ডের মুখমূল্য দশ টাকা হওয়া সত্ত্বেও বাজারদরের এনএভি অধিকাংশ ক্ষেত্রে মুখমূল্যের নিচে এবং কস্ট প্রাইসের ভিত্তিতে এনএভি প্রায় সব ক্ষেত্রেই দশ টাকার ওপরে, যা দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিতে মূলধনী ক্ষতির চাপ, বাজারদরের দুর্বলতা এবং ফান্ড ম্যানেজারদের বিনিয়োগ সময়ের মূল্য পরিবর্তনের প্রভাবকে একসঙ্গে ইঙ্গিত করে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য এই তথ্যগুলো ফান্ড বাছাই, পোর্টফোলিও পুনর্গঠন এবং ঝুঁকি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স হিসেবে কাজ করতে পারে, যদিও স্বতন্ত্র বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে স্বীয় আর্থিক পরামর্শকের মতামত নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
-রফিক
পাঠকের মতামত:
- ডিএসই মিউচুয়াল ফান্ডে বড় বৈষম্য NAV বিশ্লেষণে বাজারচাপ স্পষ্ট
- ফরচুন সুজ লিমিটেডের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- নতুন পে স্কেলে বড় ঘোষণা সামনে আলোচনার অন্তরালে কী ঘটছে
- এক সপ্তাহে দ্বিতীয়বার পরিবর্তন স্বর্ণের দামে নতুন সমন্বয়
- জামায়াত নেতার বক্তব্যে পুলিশের তীব্র প্রতিবাদ
- দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপের সম্ভাবনা
- ২৫ নভেম্বর, আজকের নামাজের সময়সূচি
- এশিয়া কাপে বাংলাদেশ কবে খেলছে জানুন বিস্তারিত
- সন্দ্বীপে উপকূলীয় বন উজাড়ের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
- রাজধানীতে আজ ব্যস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে
- রাজধানীতে আজ মঙ্গলবার যেসব মার্কেট বন্ধ জানুন এক নজরে
- বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমাতে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত সরকার
- আগামী ৫ বছরে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাংক
- ঘন ঘন ভূমিকম্প নিয়ে আহমাদুল্লাহর জরুরি সতর্কবার্তা
- ইথিওপিয়ায় বিরল অগ্ন্যুৎপাতের দৃশ্য এবং ১২ হাজার বছরের নীরবতা ভাঙার গল্প
- কুমিল্লায় বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
- শিক্ষা আজ জাতির মেরুদণ্ড নয় বরং অসুস্থতায় পরিণত হয়েছে: রিজভী
- এভারকেয়ারে নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকা খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন
- রাজনৈতিক দল জান্নাতের টিকিট দিতে পারে না বলে জামায়াতকে তোপ দাগলেন এ্যানি
- গুরুতর অনিয়ম ও ঘুষের সত্যতা মেলার পরও এসপি পেলেন নামমাত্র শাস্তি
- ক্যানসার থেকে বাঁচতে জীবনযাত্রায় আনুন ৫টি সহজ পরিবর্তন
- উপকারী হলেও মেথি ভেজানো পানি যাদের জন্য মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে
- শুধু ওয়াজ মাহফিল নয় এবার রাষ্ট্র পরিচালনার স্বপ্ন দেখছেন গিয়াসউদ্দিন তাহেরী
- প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ডক্টর ইউনূসের জরুরি বৈঠক
- চট্টগ্রাম ৪ আসনে বিএনপির অভিজ্ঞতা নাকি জামায়াতের কৌশল কার পাল্লা ভারী
- চুক্তি নবায়নের আলোচনা থমকে যাওয়ায় রিয়ালে অনিশ্চিত ভিনিসিয়ুসের ভবিষ্যৎ
- মার্কিন সন্ত্রাসী তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নাম
- গত ১৫ বছর গণমাধ্যম ফ্যাসিবাদ লালন করেছে: মির্জা ফখরুল
- প্রধান উপদেষ্টার ওপর আস্থা থাকলেও অন্যদের নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন রিজভী
- নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশে হঠাৎ বেড়েছে টার্গেট কিলিং ও ফিল্মি স্টাইলে হত্যা
- ভারতীয় চাল কেনা হচ্ছে সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে: বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের নতুন কৌশল
- আজ বিকেল থেকে এনআইডি সংশোধন নিয়ে ইসির বড় সিদ্ধান্ত
- ২৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বলিউডের হি ম্যান খ্যাত কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র আর নেই
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে প্রতারণা আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার বিস্ফোরক মন্তব্য
- মালয়েশিয়ায় জেলের ঘানি টেনে অবশেষে দেশে ফিরতে হলো ৪৯ বাংলাদেশিকে
- জুলাইয়ের গণহত্যা মামলায় এবার সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের দিনক্ষণ চূড়ান্ত
- মামলার জট কমাতে আইন মন্ত্রণালয়ের ২১টি সংস্কার ও লিগ্যাল এইড নিয়ে উপদেষ্টার বার্তা
- নির্বাচন ও গণভোটের খরচ নিয়ে সরকারের নো টেনশন নীতির কথা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি দুই বড় প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীল লেনদেনে
- ডিএসই ৩০ সূচকে জোরদার উত্থান বাজারে ফিরছে আস্থা
- রেকর্ড ডে সামনে রেখে পদ্মা অয়েলের স্বচ্ছ লেনদেন নির্দেশনা
- প্রবাসী ভোটে নতুন রেকর্ড শীর্ষে যে দুই দেশ
- ভূমিকম্পে বাথরুম কি সত্যিই নিরাপদ? জানুন বিশেষজ্ঞদের মত
- বাংলাদেশি ওষুধশিল্পের রেনাটার মাইলফলক
- ডিএসইতে একযোগে এনএভি প্রকাশ, কোন ফান্ড কোথায় দাঁড়াল
- ২১–১৮ ক্যারেটেও দাম কমছে, কেমন হবে বাজারের পরবর্তী ধাপ?
- দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন খালেদা জিয়া
- শিরোপা জয়ের রেসে আজ বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তান কার পাল্লা ভারীে
- বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে
- ভয়ংকর ঝুঁকিতে দেশের তিন বড় শহর: মাটির নিচ থেকে আসছে বড় বিপদের বার্তা
- আজকের ভূমিকম্প আমাদের কী শিক্ষা দিচ্ছে: একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?
- ফায়ার সার্ভিসে ফোনের বন্যা, হেলে পড়েছে কয়েকটি ভবন
- ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর তালিকা এবং বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ পরিসংখ্যান
- ২৫০ বছরের ইতিহাস বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ কি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে?
- ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- প্রপাগান্ডা আর ষড়যন্ত্র পেরিয়ে জনতার কাতারে: জন্মদিনে তারেক রহমানকে নিয়ে ভাবনা
- রাকিবের দুর্দান্ত দৌড়, মোরসালিনের ফিনিশিং: শুরুতেই ব্যাকফুটে ভারত
- ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হলো যেভাবে
- মাটির নিচে তিন প্লেটের সংযোগস্থলে থাকা চট্টগ্রাম যেভাবে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে
- ভারতকে হারানোর পর ৯ বছরের মধ্যে সেরা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
- "শেখ হাসিনার রায় কার্যকর হবে না"








