আগামী ৫ বছরে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাংক

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হবে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলো। বিশেষ করে বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানকে এর ভয়াবহ প্রভাব মোকাবিলা করতে হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সোমবার ২৪ নভেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে ঝুঁকি থেকে স্থিতিস্থাপকতা বা দক্ষিণ এশিয়ায় মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের অভিযোজনে সহায়তা শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি সেখানেই উঠে এসেছে এই উদ্বেগজনক তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ চরম জলবায়ু ঝুঁকির মুখে পড়বে। উচ্চ তাপমাত্রা ভয়াবহ বন্যা এবং উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে সব মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে গ্রামীণ অর্থনীতি কৃষি উৎপাদন ও কর্মসংস্থান। পাশাপাশি পারিবারিক পর্যায়েও ঝুঁকি বাড়বে বহুগুণ।
জরিপে দেখা যায় আগামী ১০ বছরে আবহাওয়াজনিত ধাক্কার আশঙ্কা করছে দক্ষিণ এশিয়ার তিন চতুর্থাংশ পরিবার ও প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৬৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠান এবং ৮০ শতাংশ পরিবার কোনো না কোনোভাবে অভিযোজনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা উন্নত প্রযুক্তি বা অবকাঠামোর বদলে কম খরচের সাধারণ সমাধানের ওপর নির্ভর করছে যা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর নয়।
বাংলাদেশের উপকূলের ২৫০টি গ্রামে পরিচালিত জরিপে দেখা যায় জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামোই এখন সবচেয়ে বড় অপূর্ণ চাহিদা। দীর্ঘমেয়াদে ৫৭ শতাংশ পরিবার পর্যাপ্ত দুর্যোগ সুরক্ষা অবকাঠামোর অভাবকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং ৫৬ শতাংশ পরিবার বলেছে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে তারা প্রয়োজনীয় অভিযোজন করতে পারছে না। এর প্রভাব শুধু পরিবেশগত নয় বরং সবচেয়ে বেশি ভুগছে দরিদ্র ও কৃষিনির্ভর পরিবার।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয় বাংলাদেশের বাঁধ ও সাইক্লোন শেল্টারসহ সরকারি বিনিয়োগ অনেক প্রাণ বাঁচিয়েছে। বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন কেস স্টাডিতে দেখা গেছে সঠিকভাবে লক্ষ্যভিত্তিক সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি এবং হালনাগাদ তথ্য দ্রুত সম্প্রসারণযোগ্য যা দুর্যোগের সময় দরিদ্র মানুষের বড় সহায়ক হতে পারে। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে সরকারি উদ্যোগের পরিধি সীমিত থাকায় এ অবস্থায় জলবায়ু অভিযোজনে বেসরকারি খাতকে সামনে এনে একটি সমন্বিত নীতি প্যাকেজ প্রয়োজন বলে মত দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর জ্যাঁ পেসমে বলেন বাংলাদেশের জলবায়ু সহনশীলতা বারবার নতুনভাবে পরীক্ষিত হচ্ছে। অভিযোজন ব্যাপক হলেও ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে ফলে আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। দেশের সহনশীলতা গড়ে তুলতে আগাম সতর্কবার্তা ব্যবস্থা সামাজিক সুরক্ষা জলবায়ু স্মার্ট কৃষি এবং ঝুঁকিভিত্তিক অর্থায়ন বাড়াতে হবে। এছাড়া শহরাঞ্চলে লক্ষ্যভিত্তিক হস্তক্ষেপও জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনটি সমন্বিত ও বহুমুখী অভিযোজন কৌশল গ্রহণের তাগিদ দেয়। এতে বলা হয় আগাম সতর্কবার্তা ব্যবস্থা বীমা ও আনুষ্ঠানিক ঋণপ্রাপ্তি সহজ করা গেলে জলবায়ুজনিত ক্ষতির প্রায় এক তৃতীয়াংশই এড়ানো সম্ভব। বাজেট সংকটের মধ্যেও সরকার পরিবহন ও ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অর্থায়নে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির মাধ্যমে বেসরকারি খাতকে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে দিতে পারে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ বলেন জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় শক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন ও তথ্য সংগ্রহ সবই ব্যয়বহুল। জলবায়ু অভিযোজন মোকাবিলায় বাংলাদেশের অনেক পলিসি রয়েছে তবে তা বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং। তিনি আরও জানান এ বিষয়ে পাইলট প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের সমন্বয়ে বাংলাদেশ বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছে।
গুরুতর অনিয়ম ও ঘুষের সত্যতা মেলার পরও এসপি পেলেন নামমাত্র শাস্তি
বরিশাল মহানগর পুলিশের বা বিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার ও নরসিংদীর সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে আনা অনিয়ম ক্ষমতার অপব্যবহার এবং পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে শাস্তি হিসেবে তিরস্কার দিয়েছে সরকার। ঘুস আদান প্রদান ফৌজদারি অপরাধ হলেও গুরুতর এই অপরাধের জন্য তাকে শুধু তিরস্কার করায় প্রশাসনিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা ১ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই শাস্তির কথা জানানো হয় যাতে সই করেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
সম্প্রতি গঠিত বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয় ২০২৩ সালে নরসিংদীর পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়নের উদ্দেশে এসপি হান্নান কথিতভাবে রবিউল মুন্সী নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ লাখ টাকা ঘুস দেন। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ওই নির্দিষ্ট উপায়ে পদায়ন বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি বলে তদন্তে উল্লেখ রয়েছে।
পরবর্তীকালে গত বছরের ৯ নভেম্বর নরসিংদীতে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তিনি এবং তাঁর অধীনস্ত ডিবি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক এস এম কামরুজ্জামান অনুমতি ছাড়া ঢাকায় গিয়ে মনিপুরীপাড়া এলাকায় রবিউল মুন্সীর অফিস থেকে ৫ লাখ টাকা আদায় করেন। অবশিষ্ট ৪৫ লাখ টাকা ফেরতের জন্য তাঁদের উপস্থিতিতেই একটি স্বহস্তে লিখিত দলিল গ্রহণ করা হয় যা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় সাংবাদিক নেছারুল হক খোকনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের সময় পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বদলি সংক্রান্ত বিষয় এবং ব্যক্তিগত কাজে অধস্তন পুলিশ সদস্য ব্যবহারের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক আলোচনা করেন। পরবর্তীকালে ওই কথোপকথনটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে পুলিশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারির পর পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান লিখিত জবাব দাখিল করেন এবং ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন। গত ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত শুনানিতে উভয়পক্ষের বক্তব্য নথিপত্র ও অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তদন্ত কর্মকর্তা ও শুনানি কমিটির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শেষ পর্যন্ত তাঁকে লঘু দণ্ড হিসেবে তিরস্কার দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সূত্র:যুগান্তর
প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ডক্টর ইউনূসের জরুরি বৈঠক
ভূমিকম্প প্রস্তুতি বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার ২৪ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে তেজগাঁওয়ে সরকারপ্রধানের দপ্তরে এ বৈঠক শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে শুক্র ও শনিবার অর্থাৎ ২১ ও ২২ নভেম্বর মাত্র দুই দিনে চার দফা ভূমিকম্পে দেশে আতঙ্কিত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা এ বৈঠকে বসেছেন। পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করতেই এই জরুরি তলব।
শনিবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার আগে শুক্রবার সকালে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প আঘাত হানে বাংলাদেশে। এই ভূমিকম্পে তিন জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয় এবং ছয় শতাধিক মানুষ আহত হন। ঢাকার বহু ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং কোথাও কোথাও ভবন হেলে পড়ার ঘটনাও ঘটে যা নগরবাসীর মনে গভীর আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে।
রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদীতে এবং এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। উৎপত্তিস্থল রাজধানীর এত কাছে হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি ও আতঙ্ক ছিল অনেক বেশি। এই প্রেক্ষাপটে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে প্রস্তুতির বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশে হঠাৎ বেড়েছে টার্গেট কিলিং ও ফিল্মি স্টাইলে হত্যা
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে টার্গেট কিলিং। প্রকাশ্যে ফিল্মি কায়দায় গুলি করে হত্যার মতো নৃশংস ঘটনা ঘটছে এবং এসব অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে ভাড়াটে খুনি। অপরাধ বিশেষজ্ঞ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক সূত্র বলছে আধিপত্য বিস্তার আন্ডারওয়ার্ল্ডের দখল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ব্যক্তিগত শত্রুতা এবং ঢালাও জামিনে বের হওয়া কুখ্যাত অপরাধীদের কারণে টার্গেট কিলিং দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা নেই এবং গত দেড় বছরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে মাঠের চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। ঢাকা চট্টগ্রাম ও খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফিল্মিস্টাইলে গুলি কুপিয়ে হত্যা অপহরণের পর খুন এবং অজ্ঞাত স্থান থেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনা জনমনে ভয় আতঙ্ক ও অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলছে। বিশ্লেষকরা বলছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও রাজনৈতিক বিভক্তি মাঠপর্যায়ের দুর্বলতাকে আরও জটিল করে তুলছে।
পরিসংখ্যান বলছে গত ১৫ দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৩৫টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত ১৭ নভেম্বর জাতীয় ঈদগাহের সামনে দুটি নীল রঙের ড্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের ২৬ টুকরো লাশ যা নৃশংসতার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এছাড়া ১০ নভেম্বর পুরান ঢাকার আদালত পাড়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে গুলি করে হত্যা ১১ নভেম্বর গুলশানে ছাত্রদল নেতা সৌরভকে কুপিয়ে হত্যা এবং ১৬ নভেম্বর মিরপুরের পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে জুলাই আন্দোলনের পর ৫ আগস্ট ও পরবর্তী সময়ে দেশব্যাপী বিভিন্ন থানা ও কারাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্র এখন অপরাধীদের হাতে নতুন শক্তি জোগাচ্ছে। পুলিশের এক হিসাবে দেখা গেছে থানা ও বিভিন্ন স্থাপনা থেকে লুট হয়েছিল ৫ হাজার ৭৫৩টি অস্ত্র যার মধ্যে এখনো ১ হাজার ৩৪৪টি অস্ত্র দুর্বৃত্তদের হাতে রয়ে গেছে। অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে এই অস্ত্রগুলোই এখন টার্গেট কিলিং চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারে ব্যবহৃত হচ্ছে। মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিওনোলজি ও পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর ওমর ফারুক সতর্ক করে বলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী ও অপরাধী চক্রের পুনরুত্থান এখনই থামানো না গেলে দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মিডিয়া এইচএম শাহাদাত হোসাইন জানান নির্বাচনের আগে ও পরে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা নির্বাচনের আগে সময় ও পরে কোনো ধরনের সহিংসতা যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখবেন।
সূত্র:যুগান্তর
আজ বিকেল থেকে এনআইডি সংশোধন নিয়ে ইসির বড় সিদ্ধান্ত
ভোটার তালিকা প্রস্তুত ও প্রিন্টের কাজ শুরু হওয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্রের বা এনআইডির ঠিকানা পরিবর্তনসহ সব ধরনের সংশোধন কার্যক্রম আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন বা ইসি। সোমবার ২৪ নভেম্বর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক অপারেশন মো. সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান আজ বিকেল থেকে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত অথবা নতুন কোনো নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এনআইডি সংশোধন সেবা বন্ধ থাকবে। মূলত নির্ভুল ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা এবং তা মুদ্রণের কাজের সুবিধার্থেই এই সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। একই দিনে গণভোট আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সরকার চিঠি দিয়েছে। ইসি ইতোমধ্যে এ দুই প্রক্রিয়া একসঙ্গে সম্পন্ন করতে নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী দেশে আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন নারী ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ হাজার ২৩৪ জন। নির্বাচন কমিশন এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সুচারুরূপে সম্পন্ন করতেই এনআইডি সংশোধনের কাজ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে প্রতারণা আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার বিস্ফোরক মন্তব্য
বাংলাদেশের আইন সাংবাদিকবান্ধব নয় বরং রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানের বক্তব্যে উঠে এসেছে এক কঠোর বাস্তবতা। তিনি মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক নিবর্তনের জন্য রাষ্ট্র অনেক রকম পথ খোলা রেখেছে। আকাশের যত তারা আইনের তত ধারা আর সেগুলোই প্রয়োগ করা হয় সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণে।
সোমবার ২৪ নভেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ বা সিজিএস আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫ এর তৃতীয় দিনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ শীর্ষক পর্বে বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
বক্তব্যে তিনি বলেন ক্ষমতায় যেই থাকুক না কেন সাংবাদিক দমন করার প্রবণতা বহুদিনের যা ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসছে। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের পর আলোচনার ভিত্তিতে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে প্রতারণা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। বিগত সরকারের সময়ে এসব আইনের অপপ্রয়োগের উদাহরণ তুলে ধরে আসাদুজ্জামান বলেন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ ও কলম থামানোর সকল নিবর্তনমূলক আইনের অবসান হওয়া প্রয়োজন। শুধু আইন বাতিল করলেই হবে না বরং রাষ্ট্রের মানসিকতারও পরিবর্তন জরুরি।
তবে বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে দাবি করে তিনি জানান বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গুমের ঘটনা ঘটেনি এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডও কমেছে। এছাড়া গত ১৭ মাসে পুলিশ নিজে বাদী হয়ে কোনো গায়েবি মামলা করেনি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের প্রতি প্রত্যাশা জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন তারা যেন সাংবাদিক নিবর্তনের নীতিতে না ফেরে এবং সব ধরনের দমনমূলক আইনি পথ থেকে সরে আসে। অনুষ্ঠানটিতে সঞ্চালক রোমান উদ্দিন ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন অধ্যাপক সাজ্জাদ সিদ্দিকী ও ট্রায়াল ওয়াচের জ্যেষ্ঠ প্রোগ্রাম ম্যানেজার মানেকা খান্না।
জুলাইয়ের গণহত্যা মামলায় এবার সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের দিনক্ষণ চূড়ান্ত
জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় অভিযুক্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলাম ও সাবেক মেজর মো. রাফাত বিন আলমসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ৪ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার ২৪ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ এ বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যদের বিচারিক প্যানেল এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে সোমবার সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কর্নেল রেদোয়ানুল ও রাফাত বিন আলমকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তবে মামলার অন্য দুই আসামি খিলগাঁওয়ের সাবেক এডিসি রাশেদুল ও সাবেক ওসি মশিউর রহমান এখনো পলাতক রয়েছেন। তাঁদের আইনি সহায়তার জন্য ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ট্রাইব্যুনাল ২ এ আলোচিত জুলাই শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার কার্যক্রমও চলেছে। এই মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বা ভিসিসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া রাজধানীর চানখারপুলে শিক্ষার্থী শাহরিয়ার খান আনাসসহ ৬ জনকে হত্যা মামলার বিচারকাজও চলমান রয়েছে। সোমবার এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
মামলার জট কমাতে আইন মন্ত্রণালয়ের ২১টি সংস্কার ও লিগ্যাল এইড নিয়ে উপদেষ্টার বার্তা
আইন উপদেষ্টা ডক্টর আসিফ নজরুল জানিয়েছেন আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশের অর্ধেকের বেশি মামলার জট কমবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন এক তৃতীয়াংশ মামলা লিগ্যাল এইডের মাধ্যমেই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। সোমবার ২৪ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতে ই-পারিবারিক আদালতের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।
বক্তব্যে আইন উপদেষ্টা জানান শুধু আইন মন্ত্রণালয়েই ইতিমধ্যে ২১টি সংস্কার করা হয়েছে। তিনি বলেন বিচার বিভাগের যে সংস্কার করা হয়েছে তাতে আগামী ৫ বছরে মামলার সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন যে সংস্কার করতে হবে বাস্তবসম্মত। অতিরিক্ত সংস্কার করতে গিয়ে রাষ্ট্র কাঠামোকে দুর্বল করে ফেলা হয় কি না তাও চিন্তা করতে হবে।
সংস্কার রাতারাতি করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন সংস্কার মানে আইনের পরিবর্তন। সংস্কার রাতারাতি করা সম্ভব না বরং এটি ধাপে ধাপে করতে হবে। তিনি বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা কমাতে ধাপে ধাপে এগোনোর ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তাঁরাও বিচার বিভাগের আধুনিকায়ন ও ডিজিটালাইজেশনের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন।
নির্বাচন ও গণভোটের খরচ নিয়ে সরকারের নো টেনশন নীতির কথা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচন ও গণভোটের জন্য বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ডক্টর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন এটা নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না। তবে নির্বাচনের জন্য এরই মধ্যে যে বাজেট ধরা হয়েছে গণভোটের কারণে এবং প্রবাসীদের জন্য ভোটের ব্যবস্থা করায় সেই বাজেট বাড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সোমবার সচিবালয়ে ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের চাহিদার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে স্পর্শকাতর ভোটকেন্দ্রগুলোতে বডি ক্যামেরা দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। নির্বাচন আয়োজনের সময়সীমা নিয়ে তিনি বলেন নির্বাচন ও গণভোট দুই দিন করা অনেক কঠিন বিষয়। তাই নির্বাচন ও গণভোট এক দিনে করাই ভালো কারণ পৃথিবীর অনেক দেশেই এ ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়া বাজারের পরিস্থিতি ও খাদ্য আমদানির বিষয়েও কথা বলেন তিনি। সরকার ভারত থেকে ৫০ হাজার টন বাসমতি চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেন অর্থ উপদেষ্টা।
প্রবাসী ভোটে নতুন রেকর্ড শীর্ষে যে দুই দেশ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট অংশগ্রহণের প্রথম ধাপে নিবন্ধন ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। চালুর পাঁচ দিনের মাথায় পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধন সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অনলাইন পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ২০ হাজার ৩৮৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশি। সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানকারী ভোটাররা, আর আসনভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩ আসন।
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন অ্যাপ portal ocv gov bd report এ দেখা যায়, পূর্ব এশিয়া দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার দেশগুলোয় ১৯ নভেম্বর থেকে নিবন্ধন শুরু হয়। রোববার মধ্যরাত থেকে যুক্ত হয়েছে উত্তর আমেরিকা ও ওশেনিয়ার দেশগুলোও। সব মিলিয়ে ৭১টি দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখন নিবন্ধন করছেন, এবং ধাপে ধাপে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন চলবে। এর আগে রোববার মধ্যরাতে এই পর্ব শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সাড়া বিবেচনায় আরও পাঁচ দিনের সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ওসিভি এসডিআই প্রকল্পের টিম লিডার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সালীম আহমদ খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশগুলোতে রোববার রাত থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে পূর্ব এশিয়া দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার দেশগুলোতেও নিবন্ধন সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। তিনি জানান, বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক ধাপে ধাপে এই নিবন্ধন কর্মসূচি চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ চালুর পর থেকে প্রবাসীদের মধ্যে বিপুল সাড়া লক্ষ্য করা গেছে। ১৯ নভেম্বর থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২০ হাজার ৩৮৫ জন নিবন্ধন করেন, যার মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৫৮৪ জন, এবং বাকিরা নারী। দেশভিত্তিক হিসাবে দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষে রয়েছে ৭ হাজার ৯৯০ জন নিবন্ধনের মাধ্যমে। দ্বিতীয় স্থানে জাপান ৫ হাজার ৩১ জন, এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ হাজার ১৮০ জন, এবং চীন ১ হাজার ৪০৮ জন।
জেলাভিত্তিক তথ্য বলছে, প্রবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকা জেলার নিবন্ধন ২ হাজার ৩৪৮ জন। এরপর কুমিল্লা ১ হাজার ৬৬১ জন, নোয়াখালী ১ হাজার ৪০১ জন, এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৯৯৯ জন।
আসন অনুযায়ী নিবন্ধন তালিকায় শীর্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩, যেখানে নিবন্ধন করেছেন ৭৪১ জন ভোটার। এরপর নোয়াখালী ৩-এর ৪০৫ জন, নোয়াখালী ১-এর ৩৯৮ জন, মুন্সিগঞ্জ ৩-এর ৩৯৬ জন, ফেনী ৩-এর ৩৬৩ জন, এবং চট্টগ্রাম ১৬-এর ৩১৬ জন। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান পাঁচ দিন করে প্রতিটি অঞ্চলে নিবন্ধনের সময় বরাদ্দ করা হয়েছে যাতে বিশ্বের সব অঞ্চল থেকে প্রবাসীরা অংশ নিতে পারেন।
এদিকে দেশে অবস্থানকারী তিন ধরনের ভোটার যেমন কর্মস্থলভিত্তিক দায়িত্বে থাকা সদস্যরা, গুরুতর অসুস্থ, এবং দীর্ঘমেয়াদে কর্ম–সংশ্লিষ্ট কারণে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচলকারী ব্যক্তিরাও ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোস্টাল ভোট নিবন্ধনের আওতায় আসবেন। একই সময়ে বাদ পড়া প্রবাসীদের জন্যও পুনরায় নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে।
-রাফসান
পাঠকের মতামত:
- আগামী ৫ বছরে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাংক
- ঘন ঘন ভূমিকম্প নিয়ে আহমাদুল্লাহর জরুরি সতর্কবার্তা
- ইথিওপিয়ায় বিরল অগ্ন্যুৎপাতের দৃশ্য এবং ১২ হাজার বছরের নীরবতা ভাঙার গল্প
- কুমিল্লায় বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
- শিক্ষা আজ জাতির মেরুদণ্ড নয় বরং অসুস্থতায় পরিণত হয়েছে: রিজভী
- এভারকেয়ারে নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকা খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন
- রাজনৈতিক দল জান্নাতের টিকিট দিতে পারে না বলে জামায়াতকে তোপ দাগলেন এ্যানি
- গুরুতর অনিয়ম ও ঘুষের সত্যতা মেলার পরও এসপি পেলেন নামমাত্র শাস্তি
- ক্যানসার থেকে বাঁচতে জীবনযাত্রায় আনুন ৫টি সহজ পরিবর্তন
- উপকারী হলেও মেথি ভেজানো পানি যাদের জন্য মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে
- শুধু ওয়াজ মাহফিল নয় এবার রাষ্ট্র পরিচালনার স্বপ্ন দেখছেন গিয়াসউদ্দিন তাহেরী
- প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ডক্টর ইউনূসের জরুরি বৈঠক
- চট্টগ্রাম ৪ আসনে বিএনপির অভিজ্ঞতা নাকি জামায়াতের কৌশল কার পাল্লা ভারী
- চুক্তি নবায়নের আলোচনা থমকে যাওয়ায় রিয়ালে অনিশ্চিত ভিনিসিয়ুসের ভবিষ্যৎ
- মার্কিন সন্ত্রাসী তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নাম
- গত ১৫ বছর গণমাধ্যম ফ্যাসিবাদ লালন করেছে: মির্জা ফখরুল
- প্রধান উপদেষ্টার ওপর আস্থা থাকলেও অন্যদের নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন রিজভী
- নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশে হঠাৎ বেড়েছে টার্গেট কিলিং ও ফিল্মি স্টাইলে হত্যা
- ভারতীয় চাল কেনা হচ্ছে সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে: বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের নতুন কৌশল
- আজ বিকেল থেকে এনআইডি সংশোধন নিয়ে ইসির বড় সিদ্ধান্ত
- ২৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বলিউডের হি ম্যান খ্যাত কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র আর নেই
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে প্রতারণা আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার বিস্ফোরক মন্তব্য
- মালয়েশিয়ায় জেলের ঘানি টেনে অবশেষে দেশে ফিরতে হলো ৪৯ বাংলাদেশিকে
- জুলাইয়ের গণহত্যা মামলায় এবার সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের দিনক্ষণ চূড়ান্ত
- মামলার জট কমাতে আইন মন্ত্রণালয়ের ২১টি সংস্কার ও লিগ্যাল এইড নিয়ে উপদেষ্টার বার্তা
- নির্বাচন ও গণভোটের খরচ নিয়ে সরকারের নো টেনশন নীতির কথা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি দুই বড় প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীল লেনদেনে
- ডিএসই ৩০ সূচকে জোরদার উত্থান বাজারে ফিরছে আস্থা
- রেকর্ড ডে সামনে রেখে পদ্মা অয়েলের স্বচ্ছ লেনদেন নির্দেশনা
- প্রবাসী ভোটে নতুন রেকর্ড শীর্ষে যে দুই দেশ
- ভূমিকম্পে বাথরুম কি সত্যিই নিরাপদ? জানুন বিশেষজ্ঞদের মত
- বাংলাদেশি ওষুধশিল্পের রেনাটার মাইলফলক
- ডিএসইতে একযোগে এনএভি প্রকাশ, কোন ফান্ড কোথায় দাঁড়াল
- ২১–১৮ ক্যারেটেও দাম কমছে, কেমন হবে বাজারের পরবর্তী ধাপ?
- দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন খালেদা জিয়া
- এবার তিন মুসলিম দেশে ভূমিকম্প
- পেকুয়ায় আওয়ামী লীগের ৩০ নেতার বিএনপিতে যোগদান
- কাক দিয়ে শহর পরিষ্কার করছে উন্নত যে দেশ
- দুটি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
- তিন জিকিরে গুনাহ মাফ ও জান্নাতের সুসংবাদ
- রাজধানীতে আজ চারটি বড় কর্মসূচি
- ঢাকায় আজ সোমবার যেসব এলাকায় দোকান–মার্কেট বন্ধ
- ঢাকায় শুরু শীতের আলতো উপস্থিতি
- আবারও হাসপাতালে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
- ত্বক উজ্জ্বল করতে পানির ভূমিকা আসলে কতটুকু তা নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- মেজর সিনহা হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে উঠে এল সেই রাতের রোমহর্ষক বর্ণনা
- স্বাস্থ্য খাত ও বেকারত্ব দূরীকরণে বিএনপির মেগা প্ল্যান তুলে ধরলেন আমীর খসরু
- শিরোপা জয়ের রেসে আজ বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তান কার পাল্লা ভারীে
- বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে
- ভয়ংকর ঝুঁকিতে দেশের তিন বড় শহর: মাটির নিচ থেকে আসছে বড় বিপদের বার্তা
- আজকের ভূমিকম্প আমাদের কী শিক্ষা দিচ্ছে: একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?
- ফায়ার সার্ভিসে ফোনের বন্যা, হেলে পড়েছে কয়েকটি ভবন
- ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর তালিকা এবং বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ পরিসংখ্যান
- ২৫০ বছরের ইতিহাস বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ কি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে?
- ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- রাকিবের দুর্দান্ত দৌড়, মোরসালিনের ফিনিশিং: শুরুতেই ব্যাকফুটে ভারত
- প্রপাগান্ডা আর ষড়যন্ত্র পেরিয়ে জনতার কাতারে: জন্মদিনে তারেক রহমানকে নিয়ে ভাবনা
- হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী?
- ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হলো যেভাবে
- তারকাদের বাদ দিয়েই বাংলাদেশের মুখোমুখি ভারত, কোচের কড়া সিদ্ধান্তে তোলপাড়
- মাটির নিচে তিন প্লেটের সংযোগস্থলে থাকা চট্টগ্রাম যেভাবে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে








