ইসরায়েল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার সতর্কবার্তা

রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছে ইরানে সম্ভাব্য সামরিক হস্তক্ষেপ কিংবা ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরাসরি জানিয়েছে, এমন পদক্ষেপ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতা বাড়াবে না, বরং আরও বৃহৎ সংঘাতের পথ খুলে দিতে পারে।

বুধবার (১৮ জুন) আল আরাবিয়া ও দ্য গার্ডিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, “ইসরায়েলকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দেওয়া কিংবা সেই ধরনের কোনো পরিকল্পনাও আমরা বরদাশত করব না।” রাশিয়া মনে করে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি হস্তক্ষেপ পরিস্থিতিকে ভয়াবহ দিকে নিয়ে যেতে পারে।

রিয়াবকভ বলেন, মস্কো এখনো ইরান ও ইসরায়েল—উভয় দেশের সঙ্গে সক্রিয় কূটনৈতিক যোগাযোগ রাখছে। রাশিয়া চাইছে, উত্তেজনার এই সময়েও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খোলা থাকুক। তিনি আরও জানান, রাশিয়া এই সংকটে কোনো একতরফা সামরিক সমর্থনের বিপক্ষে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি-নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইরান ইস্যুতে সরব হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে একাধিক সামাজিকমাধ্যম পোস্টে তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির অবস্থান শনাক্ত করার দাবি করেন। ট্রাম্প বলেন, “তিনি (খামেনি) এখন একটি সহজ লক্ষ্যবস্তু, কিন্তু আমরা তাকে হত্যা করছি না, অন্তত এখন নয়।”

ট্রাম্প আরও বলেন, “আমরা চাই না ইরান বেসামরিক নাগরিক বা মার্কিন সেনাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করুক। কিন্তু আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে।” এক পর্যায়ে তিনি বড় অক্ষরে লেখেন, ‘শর্তহীন আত্মসমর্পণ!’, যা আগের বক্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি যেখানে তিনি ইরানের কাছ থেকে “পূর্ণ আত্মসমর্পণ” দাবি করেছিলেন।

সবচেয়ে চমকপ্রদ ছিল ট্রাম্পের দাবি—“ইরানের আকাশে আমরা এখন পূর্ণ ও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছি।” যদিও মার্কিন সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় সরাসরি জড়িত হওয়ার কথা ঘোষণা করেনি, তবুও ট্রাম্পের এই বক্তব্যে কাদের ‘আমরা’ বোঝানো হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।