খামেনির লড়াইয়ের ডাক: আপস নয়, প্রতিশোধই পথ

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতে দেশটি কোনো ধরনের আপস করবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, “জায়নবাদী শাসকদের প্রতি কোনো করুণা দেখানো হবে না, বরং তাদের সন্ত্রাসী তৎপরতার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।” মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।

এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের’ আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্পের ওই মন্তব্যের পরপরই খামেনির কণ্ঠে স্পষ্ট প্রতিরোধের বার্তা উঠে আসে।

খামেনির বক্তব্যের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ আরও চড়িয়েছে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা। ইরানের গণমাধ্যম এবং বার্তাসংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল এবার টার্গেট করেছে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মূল কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কারখানা এবং তেহরান সংলগ্ন একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র।

এছাড়া ইরানের ইমাম হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়েও হামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) দাবি করেছে, তারা ইরান থেকে ছোড়া একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে।

ইসরায়েলি হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে মঙ্গলবার রাতে ইরানও নতুন করে ইসরায়েলে হামলা চালায়। এর আগে তেহরানের পক্ষ থেকে তেল আভিভের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। ইরান দাবি করেছে, এই প্রতিক্রিয়া জায়নবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার অংশ।

দুই দেশের মধ্যে চলমান এই সামরিক উত্তেজনা পঞ্চম দিনে প্রবেশ করেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এখন আর কেবল উত্তেজনা নয়, এটি ধীরে ধীরে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক