ইসরায়েলি যুদ্ধঘাঁটি কাঁপল ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রে!

ইরানের ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩’-এর আওতায় ইসরায়েলের তেলআবিবে অবস্থিত কৌশলগত ‘কিরিয়া ওয়ার কমপ্লেক্স’-এ চালানো হামলায় একটি প্রশাসনিক ভবনে সামান্য কাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে। তবে, হামলাটি মূল সামরিক কার্যক্রম ব্যাহত করতে ব্যর্থ হয়েছে, বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

এই অভিযানের সময় ইসরায়েল ইরানের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উদ্ভাবন সংস্থা (SPND)-তে পাল্টা হামলা চালায়। সংস্থাটি ইরানের সামরিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত।

প্রাথমিক মূল্যায়নে দেখা গেছে, SPND-এর স্থাপনাগুলিতে সীমিত মাত্রার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে, বিস্তারিত পর্যালোচনা এখনও চলমান রয়েছে বলে জানায় ইরানি কর্তৃপক্ষ।

এই পাল্টাপাল্টি হামলা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার নতুন মাত্রা তৈরি করেছে। বিশেষ করে শুক্রবার ও শনিবার ইসরায়েলের ‘একতরফা ও উসকানিমূলক’ বিমান হামলায় শহীদ হয়েছেন ১০০ জনের বেশি ইরানি নাগরিক, যাদের মধ্যে রয়েছেন নামকরা সেনা কর্মকর্তারা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী, সাধারণ বেসামরিক মানুষ এবং জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়রা।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন—

অলিম্পিক শুটার হামিদ তোমারি,

অশ্বারোহন চ্যাম্পিয়ন মেহদি পোলাদভন্দ ও তার পরিবার,

এবং জনপ্রিয় পিলেটস প্রশিক্ষক নিলুফার ঘালেহভান্দ।

এই ঘটনাগুলোকে ইরান ‘সুপ্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ ও ‘সরাসরি যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করে চালায় ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩’।

অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য ছিল তেলআবিবের ‘কিরিয়া সামরিক কমপ্লেক্স’, যা জায়নিস্ট শাসকগোষ্ঠীর যুদ্ধ পরিকল্পনার মূল ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

বিশ্লেষকদের মতে, ইরান এই হামলার মাধ্যমে কেবল প্রতিক্রিয়া দেখায়নি, বরং একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যদি আগ্রাসন অব্যাহত থাকে, তবে প্রতিক্রিয়াও হবে আরও ব্যাপক, সুনির্দিষ্ট ও ধ্বংসাত্মক।সূত্র: তেহরান টাইমস

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক