হাইকোর্টে জুবাইদা রহমান: যেদিন থাকছে আপিল শুনানি

সত্য নিউজ: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তিন বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এর আপিল শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (২১ মে) সকালে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন।

এর আগে গত ১৪ মে, তার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তাকে জামিন প্রদান করেন একই বেঞ্চ। একইসঙ্গে, সাজা থেকে খালাস চেয়ে করা আপিলটি গ্রহণযোগ্য ঘোষণা করা হয় এবং আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিনে মুক্ত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিলম্বিত আপিল, তবে আদালতের অনুমোদন

দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থান করার কারণে ৫৮৭ দিন বিলম্বে আপিল করেন জুবাইদা রহমান। এই বিলম্ব মার্জনার আবেদন মঙ্গলবার (২০ মে) হাইকোর্ট গ্রহণ করে। একইদিনই তিনি তার সাজা বাতিল চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আপিল দায়ের করেন।

মামলার পটভূমি

২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঢাকার কাফরুল থানায় জুবাইদা রহমান, তারেক রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এই মামলার রায়ে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট, ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

দীর্ঘ ১৭ বছর লন্ডনে অবস্থানের পর, গত ৬ মে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফেরেন জুবাইদা রহমান। দেশে ফিরে আপিল দায়েরের প্রস্তুতি নেন এবং বিলম্বিত আবেদনের মাধ্যমে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জুবাইদা রহমানের দণ্ড এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। এতে বলা হয়, সাজা স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জুবাইদা রহমানের পক্ষে হাইকোর্টে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহাজান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। অন্যদিকে, দুদকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, "সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত এবং জামিনও মঞ্জুর করেছেন। শুনানির জন্য মামলার যাবতীয় নথি তলব করা হয়েছে।"