তারেক রহমানের স্পষ্ট বার্তা: রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও জাতীয় স্বার্থে ঐক্য অপরিহার্য

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে দলগুলোর মধ্যে মতভেদ থাকবেই, তবে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকা অত্যাবশ্যক। তিনি উদ্বুদ্ধ করেছেন, গণতন্ত্র রক্ষায় দলগুলো যেন একে অপরের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে না লিপ্ত হয়। আজ বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হওয়া বিএনপির বিজয় র‍্যালি–পূর্ব সমাবেশে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তারেক এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, “জাতীয় স্বার্থে সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্য অপরিহার্য। ধর্ম, দর্শন ও মতের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্র আমাদের সবার। জনগণের ভোটে দায়িত্ব পেলে বিএনপি দেশের জন্য কী ধরনের সংস্কার ও রাজনীতি পরিচালনা করবে, সেটি ৩১ দফার মাধ্যমে আমরা জনগণের সামনে তুলে ধরেছি। আমরা চাই জনগণের সহযোগিতা ও সমর্থন পেতে।”

তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদী শাসনামলে কেউ নিরাপদ ছিল না, আমাদের সন্তানেরাও নিরাপদ ছিল না। আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সেদিন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার নষ্ট হয়ে সারা দেশকে বন্দি কারাগার ও আয়নাঘরে পরিণত করা হয়েছিল।”

দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের গুরুত্ব তুলে ধরে তারেক বলেন, “গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ছাড়া নারী-পুরুষ, সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু কেউই নিরাপদ নয়। হাজার হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক অধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হবে।”

তিনি জুলাই ঘোষণাপত্র ও নির্বাচন সময়সীমা ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানান।

মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ও দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হওয়া বিজয় র‍্যালি বিজয়নগর, পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন মোড় হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হবে। বিকেল সাড়ে চারটায় সমাবেশ শেষে শোভাযাত্রা শুরু হয়। এতে ঢাকা ও আশপাশের জেলার বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন।

/আশিক