নামাজের মাঝে দরুদ ও তাশাহহুদের মাহাত্ম্য

নামাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ তাশাহহুদ, যা নামাজের বৈঠকে পড়া ওয়াজিব। এই দোয়ায় আল্লাহর প্রশংসা, নবীজি মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি দরুদ এবং ঈমানের সাক্ষ্য প্রকাশ পায়। নবীজি (সা.) বলেছেন, “যখন তোমরা নামাজে বসো, তখন অবশ্যই ‘আত্তাহিয়্যাতু’ পাঠ করবে।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪০২)।

তাশাহহুদের বাংলা উচ্চারণ এবং অর্থ জানা থাকলে নামাজে একাগ্রতা ও অনুভূতি আরও গভীর হয়। যারা আরবি পড়তে পারেন না, তাদের জন্য সহজবোধ্য বাংলা উচ্চারণ দেওয়া হলো—

বাংলা উচ্চারণ:“আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস-সালাওয়াতু ওয়াত-তাইয়্যিবাতু। আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান্নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস-সালিহীন। আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।”

অর্থ:“সকল প্রশংসা, সালাত ও পবিত্র কথা আল্লাহর জন্য। হে নবী, আপনার প্রতি শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। আমাদের ওপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের ওপরও শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কেউ নেই এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বান্দা ও রাসুল।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৮৩১)

তাশাহহুদ নামাজের দ্বিতীয় এবং শেষ রাকাতে বৈঠকে পড়ে। চার রাকাতের নামাজে দ্বিতীয় রাকাতে দুই সিজদার পর বা চতুর্থ রাকাতের দ্বিতীয় সিজদা শেষে বসে তাশাহহুদ পাঠ করা হয়। বসার সময় ডান পায়ের পাতা খাড়া রেখে বাঁ পা ভাঁজ করে বসতে হয়। ডান হাত ডান হাঁটুর ওপর ও বাম হাত বাম হাঁটুর ওপর রাখা উচিত। ‘আশহাদু আল্লাহ ইলাহা’ বলার সময় ডান হাতের তর্জনী উঁচু করে তাওহিদের সাক্ষ্য প্রদান করতে হয়।

চার রাকাতের নামাজ হলে দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহহুদ পড়ে উঠে দাঁড়ান, আর দুই রাকাতের নামাজ হলে তাশাহহুদ শেষে দরুদ শরিফ ও দোয়া মাসুরা পড়া হয় এবং সালাম দিয়ে নামাজ সমাপ্ত হয়। তাশাহহুদ পড়ার সময় শান্ত এবং নরম স্বরে পড়া উচিত, যেন নিজেই শুনতে পারেন।