বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন: সাবেক মেয়র আইভীর রিমান্ডে আপাতত স্থগিতাদেশ

নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রিকশাচালক তুহিন নিহতের ঘটনায় করা মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন শুনানি স্থগিত করেছেন আদালত। আগামী ৭ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঈন উদ্দিন কাদির এ আদেশ দেন। আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীন জানান, এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ছানোয়ার হোসেন আইভীর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে, শুনানিকালে আদালতে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মাঝে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। পরে বিচারক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে রিমান্ড শুনানি স্থগিত করেন।

আইভী বর্তমানে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে বন্দি থাকলেও তিনি ভার্চ্যুয়ালি আদালতে শুনানিতে অংশ নেন। তাঁর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী মাহবুবুর রহমানসহ অন্তত ১০-১২ জন আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক।

আইভীর পক্ষে আইনজীবী আওলাদ হোসেন বলেন, এজাহারে আইভীর সরাসরি সম্পৃক্ততার কোনো উল্লেখ নেই। পাশাপাশি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি রিমান্ড শুনানি স্থগিতের আবেদন করেন, যা আদালত মঞ্জুর করেছেন।

২০২৩ সালের ২০ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন রিকশাচালক তুহিন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের স্ত্রী আলেয়া আক্তার ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, কায়সার হাসনাত, গোলাম দস্তগীর গাজী ও সাবেক মেয়র আইভীসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে আইভীর অবস্থান ১১ নম্বরে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৯ মে ভোরে ডিবি পুলিশ নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগে আইভীর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এরপর পোশাককর্মী মিনারুল হত্যাসহ মোট ছয়টি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।