বগুড়ায় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নাটকীয়ভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও গায়ক হিরো আলম। এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং তা নিয়ে শুরু হয় নানা বিতর্ক। হিরো আলমের স্ত্রী রিয়ামনি দ্রুত তার কাছে ছুটে যান। কিন্তু তালাকের প্রসঙ্গ উঠায় রিয়ামনি স্পষ্ট জানান, তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়নি; এটি শুধুমাত্র হিরো আলমের অভিমান।

রিয়ামনি দাবি করেছেন, তাদের জীবনে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করার কারণে নানা সমস্যা হয়েছে, তবে এখন হিরো আলম আস্তে আস্তে মানসিকভাবে সুস্থ হচ্ছেন। কিছুদিনের মধ্যে তিনি মিডিয়ার সামনে এসে নিজেই পুরো বিষয়টি জানাবেন বলেও জানান তিনি।

গত কয়েক মাসে এই দাম্পত্যে ওঠা নানা বিবাদের মধ্যে রয়েছে বাবার মৃত্যুতে পাশে না থাকার অভিযোগ, পারিবারিক আদালতে দেনমোহর ও ভরণ-পোষণ সংক্রান্ত মামলা এবং পরকীয়া ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। হিরো আলম ২১ জুন স্ত্রীর বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন, যেখানে তিনি জানান, স্ত্রী ও এক মহিলার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে এবং তারা তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন।

২৮ জুন সকালে বগুড়ার এক বন্ধুর ঘর থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হন হিরো আলম। প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতালে তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার পর থেকে রিয়ামনি হাসপাতালে এসে তার স্বামীর পাশে আছেন। তাদের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে নানা জল্পনা-আলোচনা শুরু হয়েছে। এই ঘটনাটি শুধু বিনোদন জগতেই নয়, সামাজিক মঞ্চেও ব্যাপক সমালোচনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অভিনেতা শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে তার সিনেমার জীবন, সবকিছু নিয়েই দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায়। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, এই ঢালিউড তারকার বিপরীতে পাকিস্তানের অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে দেখা যেতে পারে। নতুন এই গুঞ্জনের পালে হাওয়া লেগেছে খোদ শাকিব খানের এক সাক্ষাৎকারের পর, যেখানে তার কথায় তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

কিছুদিন আগেই শাকিব খানের একটি নতুন লুক দর্শকদের চমকে দিয়েছিল, বিশেষ করে তার মোটা গোঁফ সবার নজর কাড়ে। তার আসন্ন ছবি ‘প্রিন্স’ নিয়েও ব্যাপক আলোচনা চলছে। তবে এই মুহূর্তে অভিনেতা ‘সোলজার’ নামে আরেকটি ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছেন।

এ কারণে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, যদি হানিয়া আমিরের সাথে জুটি বাঁধা হয়, তবে তা কোন ছবিতে ঘটবে? শাকিব খান নিজে এই ধোঁয়াশা পুরোপুরি দূর না করলেও, তিনি স্বীকার করেছেন যে একটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য হানিয়ার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তবে, তিনি এও স্পষ্ট করেছেন যে এখনও পর্যন্ত কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।

এদিকে, শাকিব খানের অনুরাগীদের একাংশ এর মধ্যেই দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানোর চেষ্টা করছেন। অনেকেই ধারণা করছেন, ‘প্রিন্স’ ছবিতেই হয়তো শাকিবের সঙ্গে হানিয়াকে দেখা যাবে। জানা গেছে, নায়ক ডিসেম্বর মাস থেকে এই ছবির শুটিং শুরু করবেন। এই ছবিটি শেষ করার পর, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তিনি আরও একটি নতুন ছবির কাজ শুরু করবেন, যার নাম এখনও ঠিক হয়নি।

যদিও শাকিব খানের পক্ষ থেকে কথা বলার ইঙ্গিত মিললেও, এই বিষয়ে পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের তরফ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

সূত্র: আনন্দবাজার

অভিনেত্রী তানজিন তিশাকে নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। সম্প্রতি এক নারী উদ্যোক্তার দায়ের করা প্রতারণা মামলার রেশ কাটতে না কাটতেই, এবার এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠল। সায়ানা কুটর ফ্যাশন হাউসের কর্ণধার ও ফ্যাশন ডিজাইনার আয়েশাহ আনুম ফায়যাহ সানায়া চৌধুরী নামে এই নারী উদ্যোক্তা অভিনেত্রী তানজিন তিশার বিরুদ্ধে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন। এই মর্মে তিনি গত ১২ নভেম্বর রাজধানীর গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

শাড়ি ফেরত চাওয়ায় হুমকি

সাধারণ ডায়েরিতে ডিজাইনার সানায়া চৌধুরী উল্লেখ করেন, বিবাদী তানজিন নাহার তিশা গত ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে তার কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা দামের একটি শাড়ি প্রোগ্রামে পরার জন্য নিয়ে যান। শাড়িটি পরা শেষে পরের দিন ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও অদ্যাবধি তিনি শাড়িটি ফেরত দেননি।

প্রথম হুমকি শাড়িটি ফেরত চাইতে গিয়েই হুমকির শিকার হন বলে অভিযোগ সানায়ার। তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন, শাড়ির জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে তিনি তিশার ফেসবুক মেসেঞ্জারে মেসেজ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিশা তাঁকে ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শাড়ি ফেরত চাওয়ার কারণে নানা প্রকার অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালসহ জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। এমনকি ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি)-এর মাধ্যমে হেনস্তা করবেন বলেও হুমকি প্রদান করেন। এর কিয়দংশ তাঁর মোবাইল কল রেকর্ডিংয়ে প্রমাণ হিসেবে রয়েছে।

হুমকি বৃদ্ধি ডিজাইনার সানায়া চলতি বছরের ৫ নভেম্বর তানজিন তিশার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলার খবর সংবাদপত্রে জেনে শাড়িটি ফেরত দেওয়ার জন্য বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, এর পরই হুমকি আরও বেড়ে যায়। তিশা সানায়া ও তাঁর ফটোগ্রাফারকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।

মানহানি ও ব্যবসায়িক ক্ষতির হুমকি

জিডিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অভিনেত্রী তিশা সানায়াকে মামলা করার হুমকিসহ তাঁর মান-সম্মান নষ্ট করে সমাজে হেয় করে ভাইরাল করার হুমকি দেন। এমনকি বিগত ১০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ফেসবুক মেসেঞ্জারে মেসেজ করে তাঁর ব্যবসা নষ্ট করা, ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট করা এবং তাঁর ডিজাইন করা কাপড় কেউ পরবে না বলে হুমকি প্রদান করেন।

এই ফ্যাশন ডিজাইনার জিডির শেষে উল্লেখ করেন, “উক্ত বিষয়ে বর্তমানে আমি ভীষণ নিরাপত্তাহীনতাবোধ করছি।”

বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র (৮৯)-র শারীরিক অবস্থা নিয়ে সোমবার রাত থেকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গুজব ছড়ায়। কেউ কেউ এমনকি তার মৃত্যুর খবরও প্রচার শুরু করে। তবে সেই খবর পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে, অভিনেত্রী এশা দেওল।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে এশা দেওল লিখেছেন, “গত কয়েক দিন ধরে আমার বাবার শারীরিক অবস্থা নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। সবাইকে জানাতে চাই, তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল। আমাদের পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান করুন এবং বাবার দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করুন।”

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ধর্মেন্দ্রকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে সাময়িকভাবে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে তার অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর পাঞ্জাবের নসরালি গ্রামে জন্ম নেওয়া ধর্মেন্দ্র ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের এক অনন্য নাম। ছোটবেলা থেকেই সিনেমার প্রতি ভালোবাসা থাকলেও জীবনের শুরুটা সহজ ছিল না। ১৯ বছর বয়সে পরিবার চালাতে ভারতীয় রেলে কেরানির চাকরি নেন। পরে চাকরি ছেড়ে পাড়ি জমান মুম্বাইয়ে অভিনয়ের স্বপ্ন নিয়ে।

১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক হিসেবে। **‘শোলে’, ‘ধরমবীর’, ‘ফুল অউর পাথর’, ‘সত্যকাম’, ‘রাখওয়ালা’**সহ অসংখ্য সুপারহিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

প্রথমে বিয়ে করেন প্রকাশ কৌরকে, পরবর্তীতে বিখ্যাত অভিনেত্রী হেমা মালিনীর সঙ্গে দাম্পত্য বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সন্তান এশা ও আহানা দেওল— দুজনই বলিউডে অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত।

বর্তমানে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র, এবং পরিবার জানিয়েছে, তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক স্থিতিশীল।

কোরিয়ান ড্রামা সিরিজ বা কে-ড্রামা এখন বিশ্বজুড়ে দর্শকদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। এই বছরটিও তার ব্যতিক্রম নয়। মনোমুগ্ধকর গল্প, অসাধারণ অভিনয় এবং দুর্দান্ত নির্মাণশৈলী দিয়ে কোরিয়ান নির্মাতারা একের পর এক চমক উপহার দিয়ে চলেছেন। এই প্রতিবেদনে আমরা দেখব ২০২৫ সালের এখন পর্যন্ত সেরা ১০টি কোরিয়ান সিরিজ, যা নেটফ্লিক্স, প্রাইম ভিডিও এবং ডিজনি প্লাস-এর মতো প্ল্যাটফর্মে ঝড় তুলেছে।

সেরা ১০ কোরিয়ান সিরিজ

জিন মেক এ উইশ (Genie Make a Wish): হাজার বছর ধরে বোতলবন্দী এক জ্বীন (কিম উ-বিন) এবং আবেগহীন এক তরুণী (বে সুজি) কে ঘিরে এই ফ্যান্টাসি রম-কম সিরিজটি তৈরি হয়েছে। জ্বীনটির কাজ হলো মানুষকে দুর্নীতিগ্রস্ত করা, নতুবা তাকে ভয়ঙ্কর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু মেয়েটি তার সমস্ত কৌশলের প্রতি ইমিউন বা অনাক্রম্য হওয়ায় গল্প মোড় নেয় অন্যদিকে। (নেটফ্লিক্স)

কুইন মেন্টিস (Queen Mantis): এটি একটি ডার্ক মিস্ট্রি থ্রিলার। ২০ বছর আগে 'মেন্টিস' নামে পরিচিত এক সিরিয়াল কিলার পাঁচজন পুরুষকে হত্যা করে জেলে যায়। যখন নতুন করে হুবহু একই কৌশলে হত্যাকাণ্ড শুরু হয়, তখন পুলিশ বাধ্য হয় সেই পুরনো খুনির সাহায্য নিতে। উত্তেজনা আরও বাড়ে যখন জানা যায়, কেসটির প্রধান গোয়েন্দা আসলে ওই খুনিরই সন্তান। (নেটফ্লিক্স)

টুয়েলভ (12): এটি একটি হাই-অকটেন অ্যাকশন থ্রিলার। মা ডং-সিওক অভিনীত এই সিরিজে '12' নামক একটি গোপন স্পেশাল অপস ইউনিটকে দেশের অভ্যন্তরে বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসী হুমকি এবং আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালান নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে লড়তে দেখা যায়। (ডিজনি প্লাস)

কনফিডেন্স কুইন (Confidence Queen): তিনজন ধুরন্ধর প্রতারককে নিয়ে এই ক্রাইম কমেডি সিরিজ। তারা আধুনিক যুগের ভিজিলান্টে বা রক্ষাকর্তার মতো কাজ করে। একদল চালাক মাস্টারমাইন্ড, একজন অভিজ্ঞ প্রবীণ এবং একজন সৎ তরুণ সদস্যকে নিয়ে গড়া এই টিমের মজার মজার কাণ্ডকীর্তি নিয়ে এগিয়েছে এর গল্প। (প্রাইম ভিডিও)

দ্য ডিফেক্টস (The Defects): এটি একটি ডার্ক রিভেঞ্জ থ্রিলার। দত্তক নেওয়া শিশুরা, যাদেরকে তাদের পালক পিতামাতা পরিত্যাগ করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল, তারা বড় হয়ে ফিরে আসে প্রতিশোধ নিতে। এটি প্রথাগত পুলিশের গল্পের বাইরে গিয়ে ভিকটিমদের নিজেদের সাজানো এক অন্ধকার ক্যাট-অ্যান্ড-মাউস গেমের গল্প। (প্রাইম ভিডিও)

ইউ অ্যান্ড এভরিথিং এলস (You and Everything Else): দুই নারীর দীর্ঘ বন্ধুত্বের গল্প এটি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাদের পরিচয়, এরপর কৈশোরের ঈর্ষা, বিচ্ছেদ এবং ৪০-এর কোঠায় এসে পুনর্মিলন। যখন একজন টার্মিনাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অন্যজনকে তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পাশে থাকতে বলে, তখন গল্পে এক আবেগঘন মোড় আসে। (নেটফ্লিক্স)

বিয়ন্ড দ্য বার (Beyond the Bar): এটি একটি পরিপক্ক লিগ্যাল ড্রামা। একজন সৎ কিন্তু সামাজিকভাবে কিছুটা অদ্ভুত রুকি বা নতুন আইনজীবী এবং একজন শান্ত ও তীক্ষ্ণধী সিনিয়র আইনজীবীর তত্ত্বাবধানে তার একজন শক্তিশালী অ্যাটর্নি হয়ে ওঠার গল্প এটি। (নেটফ্লিক্স)

আওয়ার আনরিটেন সোল (Our Unwritten Soul): দুই যমজ বোনের জীবনের গল্প। একজন উদ্বেগহীন প্রাক্তন অ্যাথলিট এবং অন্যজন অফিসের চাপে পিষ্ট পারফেকশনিস্ট। যখন একজন মানসিক চাপে ভেঙে পড়ে, তখন অন্যজন কয়েক মাসের জন্য জীবন বদল করার এক অদ্ভুত প্রস্তাব দেয়। (নেটফ্লিক্স)

টেম্পেস্ট (Tempest): একটি গ্লোবাল ব্লকবাস্টার অ্যাকশন-রোমান্স। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী স্বামীর গুপ্তহত্যার পর, তার স্ত্রী (একজন সাবেক রাষ্ট্রদূত) সত্য উদঘাটনের জন্য রাজনীতির নির্মম ঝড়ে পা রাখেন। সেখানে তার দেখা হয় এক রহস্যময় অপারেটিভের সাথে, যে হয়তো তার রক্ষক অথবা ঘাতক। (ডিজনি প্লাস)

বন অ্যাপেটিট, ইওর ম্যাজেস্টি (Bon Appétit, Your Majesty): তালিকায় এক নম্বরে থাকা এটি একটি টাইম ট্রাভেল ফ্যান্টাসি ড্রামা। একজন আধুনিক ফরাসি শেফ একটি অদ্ভুত সূর্যগ্রহণ এবং পুরনো রান্নার বইয়ের মাধ্যমে প্রাচীন জোসোন যুগে চলে যায়। সে সরাসরি গিয়ে পৌঁছায় এক অত্যাচারী রাজার শিকারের জায়গায়, যিনি তার ভয়ঙ্কর খ্যাতির পাশাপাশি খাবারের স্বাদের জন্যও পরিচিত ছিলেন। (নেটফ্লিক্স)

/আশিক

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান হঠাৎ করেই ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি আপাতত গান ও অভিনয় দুই ক্ষেত্র থেকেই সরে যাচ্ছেন। এই সিদ্ধান্তে তার কোটি ভক্তের মধ্যে যেমন বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি শোবিজ অঙ্গনে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা–কল্পনা। অনেকে বলছেন, তাহসান নাকি শিগগিরই কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে যাচ্ছেন, এমনকি আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবেও দেখা যেতে পারে। কিন্তু সম্প্রতি ঢাকায় এক উৎসবের উদ্বোধনে এসে তিনি নিজেই এসব গুঞ্জন স্পষ্টভাবে উড়িয়ে দেন।

তাহসান বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছি না। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে এক কনসার্টে আমি বলেছিলাম, গান থেকে কিছুদিন বিরতি নিতে চাই। সেখানে উপস্থিত দর্শক খুবই কম ছিল। আমি ভাবিনি, কথাটা এত দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে। আমি ধীরে ধীরে অভিনয় থেকে দূরে গেছি, এখন একইভাবে গান থেকেও সময় নিয়ে দূরে থাকতে চাই। কিন্তু কেউ কেউ আমার কথাটাকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করছেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমার কিছু ছবি টুপি পরিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যেন আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। এটা একধরনের খেলা, ভাইরাল হওয়ার প্রতিযোগিতা। এখন এমন একটা সময় চলছে, যেখানে মানুষ কোনো কিছু ভাইরাল করার জন্য মিথ্যা খবরও বানিয়ে ফেলে। তাই এখন কথা বলার আগে দশবার ভাবতে হয় কোন কথাটা নিয়ে কী রকম বিকৃতি হতে পারে।”

রাজনীতি নয়, এখন তাহসানের মূল মনোযোগ নিজের পড়াশোনা ও ব্যক্তিগত বিকাশে। তিনি বলেন, “প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু অধ্যায় থাকে। একসময় মনে হতো, আমি অনেক কিছু জেনে ফেলেছি। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, কিছুই জানি না। তাই আবারও পড়াশোনায় ফিরতে চাই, নিজের ভেতরের মানুষটাকে নতুন করে খুঁজে পেতে চাই।”

সম্প্রতি তাহসান তার সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বন্ধ করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “অবসরে যাওয়া মানুষের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। তাছাড়া এই মাধ্যমগুলো এখন অনেক বেশি টক্সিক হয়ে গেছে। ভালো কিছুর চেয়ে খারাপ খবরই এখানে দ্রুত ছড়ায়। তাই মনে হয়েছে, এখন একটু দূরে থাকা দরকার। আমি চাই মানুষ ধীরে ধীরে আমাকে ভুলে যাক।”

গান ও অভিনয় থেকে সরে আসার ঘোষণা তার ভক্তদের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে। কিন্তু তাহসান বলেন, “সত্যি বলতে, কষ্ট আমারই বেশি। যে গানকে আমি জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবেসেছি, তা থেকে সরে আসাটা সহজ নয়। কিন্তু জীবনের কিছু তীব্র অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি আমাকে এই পথেই এনেছে। এখন আমি শুধু একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে শান্তিতে বাঁচতে চাই।”

তাহসান মনে করেন, তার এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ হলো আত্ম–অন্বেষণ এবং মানসিক প্রশান্তি। তিনি বলেন, “খ্যাতি, গ্ল্যামার, আলো সবকিছুই একসময় ক্লান্ত করে দেয়। এখন আমি আলো নয়, একটু ছায়া চাই। যেখানে শান্তিতে থাকতে পারব, নিজেকে চিনতে পারব। সেটাই এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য।”

তার এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই বিদায়ের ঘোষণা মনে করলেও তাহসান সেটিকে দেখছেন এক নতুন সূচনা হিসেবে। তিনি বলেন, “প্রত্যেক মানুষের জীবনে একসময় থামার দরকার হয়। আমি এখন সেই সময়টায় আছি। হয়তো আগামীতে অন্যভাবে ফিরে আসব, হয়তো আর আসব না কিন্তু আপাতত আমি নিজেকে সময় দিতে চাই।”

-রাফসান

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন পরিচালক হিসেবে করপোরেট ব্যক্তিত্ব রুবাবা দৌলার দায়িত্ব গ্রহণকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনন্দনের জোয়ার চলার সময়, ঠিক তখনই একটি 'বেফাঁস' মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিলেন অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ। নেটিজেনদের তীব্র তোপের মুখে শেষ পর্যন্ত তাঁকে সেই পোস্ট মুছে ফেলতে বাধ্য হতে হয়েছে।

গত ৩ নভেম্বর প্রথমবারের মতো বিসিবির বোর্ড মিটিংয়ে যোগ দেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) কর্তৃক মনোনীত নতুন পরিচালক রুবাবা দৌলা। এই দিন তার একটি স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করে ইরফান সাজ্জাদ লিখেছিলেন, "এর পরও যদি পোলাপান পারফরম্যান্স না করতে পারে, তাহলে আর আশা নেই।"

অভিনেতার এই মন্তব্যকে যদিও অনেকে নিছক রসিকতা হিসেবে দেখেছিলেন, কিন্তু নেটিজেনদের একটি বড় অংশ এটিকে 'অশালীন' ও 'নারীবিদ্বেষী' হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তাদের মতে, একজন নারী ক্রীড়া সংগঠকের পেশাদারি দক্ষতা ও অর্জনকে ছাপিয়ে তার বাহ্যিক সৌন্দর্যকে ইঙ্গিত করে এমন মন্তব্য কুরুচিপূর্ণ।

ফেসবুক ব্যবহারকারী তুনাজ্জিনা সিকদার তুনা ইরফানের পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে কড়া ভাষায় মন্তব্য করেন। তিনি লেখেন, "জনাব ইরফান সাজ্জাদ, দয়া করে আপনার সংবাদ উপস্থাপিকা স্ত্রী বা বোন (যদি থাকে) তাদের জিজ্ঞেস করুন, কর্মক্ষেত্রে কি তারা এমন মন্তব্য শুনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন? রসিকতা এবং অশালীনতার মধ্যে পার্থক্য আছে। আপনার মন্তব্যটি রসিকতা নয়, এটি অশালীন আচরণ, যা নারীদের জন্য অনিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে।" তিনি অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানান।

সমালোচনার মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ প্রথমে তার মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি লেখেন, তিনি একজন সাধারণ মানুষ এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভক্ত। তাঁর পোস্টটি ব্যঙ্গাত্মক ছিল। তিনি রুবাবা দৌলাকে 'ক্রাশ' হিসেবে উল্লেখ করে তাকে স্বাগত জানাচ্ছিলেন। তিনি মূলত বলতে চেয়েছিলেন যে এত সুন্দর ও মেধাবী একজন ব্যক্তি বিসিবিতে যোগ দিয়েছেন, এর পরও যদি খেলোয়াড়রা অনুপ্রাণিত না হন, তবে কখনোই হবে না।

তবে বিতর্কের তীব্রতা না থামায় শেষ পর্যন্ত পোস্টটি সরিয়ে নেন ইরফান সাজ্জাদ। পরবর্তীতে তিনি জানান, "অনেকেই ভুল বুঝেছে, তাই পোস্টটি ডিলিট করছি। এখন তো কিছু পোস্ট করলেই মানুষ উল্টাপাল্টা মন্তব্য করে।"

জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশার নামে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ‘অ্যাপোনিয়া’ নামের একটি অনলাইন ফ্যাশন পেজের কর্ণধার নারী উদ্যোক্তা বলছেন, তিশা ২৮,৮০০ টাকার একটি শাড়ি প্রমোশন করার কথা বললেও তার মূল্য পরিশোধ করেননি এবং এক পর্যায়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।

এই বিষয়ে তিশা তার ফেসবুক পেজে দাবি করেছিলেন, ওই শাড়িটি তাকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। তবে ‘অ্যাপোনিয়া’ পক্ষের এক্সিকিউটিভ মো. আমিনুল ইসলাম ক্ষতিপূরণ ও ক্ষমা চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠান। নোটিশটি পাঠানোর দায়িত্ব সামলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সলিমুল্লাহ সরকার।

নোটিশ ২২ অক্টোবর তিশার বাসায় ডাকযোগে এবং হোয়াটসঅ্যাপে পৌঁছে দেওয়া হয়। এতে এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার জন্য ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তিশা কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।

এরপর ৫ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১৮ নম্বর কোর্টে মো. আমিনুল ইসলাম দায়ী হয়ে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি নথিভুক্ত হয় ৯৬২/২০২৫ নম্বর হিসেবে। আদালতে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করা হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালত মামলাটি গ্রহণ করে বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি)কে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার প্রক্রিয়ার পর খুব শিগগিরই তানজিন তিশার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে।

অ্যাপোনিয়া পেজের কর্ণধার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমাদের পণ্যের জন্য প্রমোশন নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু মূল্য পরিশোধ হয়নি। তিশা দাবী করেছেন যে এটি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে, তবে আমাদের নথিতে আর্থিক লেনদেনের কোনো প্রমাণ নেই। তাই আইনি পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প ছিল না।”

-রাফসান

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগামী আসরগুলোতেও ঢাকা ক্যাপিটালস দলের মালিকানায় থাকছেন ঢাকাই সিনেমার 'কিং খান' শাকিব খান। প্রথমবার দলের মালিকানা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করার পর, এবার সব ধোঁয়াশা কাটিয়ে জানা গেল, আগামী পাঁচ বছরের জন্য ঢাকা ক্যাপিটালসের মালিকানায় থাকবে তার কোম্পানি চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস।

আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে বিপিএল-এর ১২তম আসর শুরু হতে চলেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এরই মধ্যে আসন্ন আসরের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মালিকানা ঘোষণা করেছে। এর মধ্য দিয়েই নিশ্চিত হলো, 'হট ফেভারিট' ঢাকা ক্যাপিটালস দলের মালিকানায় থাকছেন শাকিব খান।

দীর্ঘমেয়াদি মালিকানা ও দলের সংখ্যা হ্রাস

প্রথমবার বিপিএলে দলের মালিকানা নিয়ে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের পর শাকিব খান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আগামীতে তার দল আরও শক্তিশালী, আগ্রাসী এবং জয়ের জন্য আরও প্রস্তুত থাকবে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বুধবার বিকেলে খবরটি নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি বিসিবি সূত্র থেকে জানা যায়, আগামী পাঁচ বছরের জন্য ঢাকা ক্যাপিটালসের মালিকানায় থাকছেন শাকিব খান।

গেল আসরে মোট সাতটি দল অংশ নিলেও, এবার দুটি দল কমিয়ে পাঁচটি দল অংশগ্রহণ করছে। বাদ পড়া দুটি দল হলো খুলনা এবং বরিশাল। অংশগ্রহণকারী দলগুলো হলো: ঢাকা, রংপুর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেট।

ফ্র্যাঞ্চাইজি ও টুর্নামেন্টের সূচি

ঢাকা: চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস (শাকিব খান)

রংপুর: টগি স্পোর্টস

চট্টগ্রাম: ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেস

রাজশাহী: নাবিল গ্রুপ

সিলেট: ক্রিকেট উইথ সামি

টুর্নামেন্টের আগে প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ নভেম্বর। বিপিএল-এর ১২তম আসরের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জানুয়ারি।

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা তার ব্যক্তিগত জীবনে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছেন। বহু বছর ধরে বলিউডের আলোচিত দম্পতি হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি এবং অভিনেতা আরবাজ খানের সঙ্গে দুই দশকের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছিলেন। এর পরে, মালাইকা অভিনেতা অর্জুন কাপুরের সঙ্গে ছয় বছর দীর্ঘ একটি সম্পর্ক রাখেন, যা গত বছর দূরত্বের কারণে শেষ হয়ে যায়।

এরপর, তার জীবনে নতুন করে বন্ধুত্বের সূত্রপাত হয় এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর সঙ্গে। এই বন্ধুত্ব ক্রমেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পর্যায়ে পৌঁছে এবং বর্তমানে তারা নিয়মিত একে অপরকে ডেট করছেন। গত বছরের জুলাই মাসে স্পেনে ছুটি কাটানোর সময়ও তাদের একসাথে দেখা গিয়েছিল, যা তখনই গণমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে।

সম্প্রতি, স্পেনের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী এনরিক ইগলেসিয়াসের ‘হাইভোল্টেজ’ কনসার্ট থেকে কিছু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে মালাইকা সাদা শার্ট ও ডেনিম প্যান্টে উপস্থিত, গান তালের সঙ্গে নাচছেন এবং তার পাশে একজন যুবক দাঁড়িয়ে আছেন, যার সঙ্গে তার চোখে চোখে কথাবার্তা দেখা যায়। নেটিজেনরা যুবকের বয়স প্রায় ৩০-এর ঘরে অনুমান করেছেন।

প্রচলিত জল্পনার অবশেষে জানা যায়, এই রহস্যময় যুবকের নাম হর্ষ মেহেতা। তিনি একজন হীরা ব্যবসায়ী এবং বেলজিয়ামে তাঁর ব্যবসা রয়েছে বলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে উল্লেখ করা হয়েছে। জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে মালাইকা এবং হর্ষ একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখছেন।

মালাইকা-হর্ষ জুটির ভিডিও ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার হওয়ার পর ভক্তদের মধ্যে উষ্ণ প্রতিক্রিয়ার ঢেউ দেখা দেয়। অনেকে তাদের chemistry প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন, তাদের একসঙ্গে দেখলে প্রায়শই উষ্ণতা ও রসায়ন অনুভূত হয়। তবে, বিপরীত মতও প্রকাশিত হয়েছে; কিছু নেটিজেন বলেছেন, কেবল একসঙ্গে দেখা মানেই প্রেমিক হওয়ার নিশ্চয়তা দেয় না, এবং এটি হতে পারে হর্ষের মালাইকার ছেলের বন্ধু হওয়ার সম্ভাবনাও।

এছাড়াও উল্লেখযোগ্য, অর্জুন কাপুরের সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও মালাইকা তাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ রেখেছেন। সম্প্রতি মালাইকার জন্মদিনে অর্জুন তাকে শুভেচ্ছা জানান, যা তাদের পারস্পরিক সখ্যতা রক্ষা করছে।

-রাফসান