শ্রীলঙ্কার হাতে ভারতীয় জেলে আটক, জব্দ ২ ট্রলার

শ্রীলঙ্কার সমুদ্রসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে আট ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে দেশটির নৌবাহিনী। রোববার (২৯ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনী জানায়, শনিবার রাতে গভীর সমুদ্রে টহলের সময় তাদের আটক করা হয়। অভিযুক্ত জেলেরা শ্রীলঙ্কার জলসীমায় প্রবেশ করে অবৈধভাবে মাছ ধরছিলেন বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।

শ্রীলঙ্কার ইরানাতিভু দ্বীপের উপকূলে অভিযান চালিয়ে আটক করা জেলেদের সঙ্গে দুটি ভারতীয় মাছ ধরার ট্রলারও জব্দ করা হয়েছে। নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, আটক জেলেদের বর্তমানে ইরানাতিভুতে রাখা হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ভারতের দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আটক হওয়া জেলেরা তামিলনাড়ু উপকূল থেকে সমুদ্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন। ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সামুদ্রিক সীমানা বিতর্ক বহুদিনের, বিশেষ করে মাছ ধরার অধিকার নিয়ে দুই দেশের মাঝে প্রায়শই উত্তেজনা তৈরি হয়।

শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনীর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ১৮ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করা হয়েছে এবং তিনটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। এর আগের বছর, ২০২৪ সালে, দেশটির জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ৫২৯ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করা হয়েছিল।

বারবার সতর্কতা সত্ত্বেও ভারতীয় জেলেদের এমন অনুপ্রবেশ প্রশ্ন তুলছে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও দ্বিপাক্ষিক সামুদ্রিক সংলাপের কার্যকারিতা নিয়ে। শ্রীলঙ্কার জেলেরা দাবি করে আসছেন, ভারতীয় ট্রলারগুলো গভীর সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে, যা তাদের জীবিকার জন্য হুমকি। অন্যদিকে ভারতের মৎস্যজীবীরা বারবার বলছেন, সুনির্দিষ্ট সীমারেখা না থাকার কারণে ভুলক্রমে সীমা অতিক্রমের ঘটনা ঘটে।

এই পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে দুই দেশের সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। না হলে ভবিষ্যতে এই ধরণের ঘটনা দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক