চারদিন প্রেমিকের বাড়ির সামনে—শেষপর্যন্ত কী হলো সেই তরুণীর ভাগ্যে

কিশোরগঞ্জের কেন্দুয়ার ইটাচকি গ্রামে প্রেমিকের ঘরের সামনে টানা চারদিন ধরে অনশন করে শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের আশ্বাসে বাড়ি ফিরে গেলেন এক তরুণী।ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে, যখন স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতির অবসান হয়।

প্রেমিক আলিম উদ্দিন প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা না রাখায় প্রেমিকা সরাসরি তার বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেন। স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। টানা চারদিন ওই তরুণী আলিমের বাড়ির সামনে অনশন চালিয়ে যান বিয়ের দাবিতে।

এ সময় গ্রামবাসী, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের প্রতিনিধি দল বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার শুক্রবার জানান, “তরুণীটিকে আমরা যথাযথ কাউন্সিলিং করেছি। পরিস্থিতি বিবেচনায় তার নিরাপত্তা এবং সামাজিক অবস্থান রক্ষা করাই ছিল আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। তাই তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আলিম উদ্দিন বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। দেশের বাইরে কেউ অপরাধ করে পালিয়ে গেলেও সরকারের কাছে তাদের তথ্য সংরক্ষিত থাকে। প্রয়োজনে তাকে ফিরিয়ে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান কাওছার বলেন, “প্রশাসনের সহায়তায় ও উভয় পরিবারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে তরুণীকে শান্তিপূর্ণভাবে তার নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।”

তরুণীর অভিযোগ অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে আলিম উদ্দিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও আলিম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে মালয়েশিয়ায় চলে যান।

আলিম উদ্দিনের বড় ভাই ইসলাম উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, “আমার ভাই যদি ওই মেয়েটিকে বিয়ে করতে রাজি হয়, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা চাই বিষয়টি সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধান হোক।”

এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও প্রশাসনের দায়িত্বশীল আচরণ ও হস্তক্ষেপের কারণে বড় ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো গেছে বলে সবাই মত প্রকাশ করেন।