এলো সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কঠোর বিধি-নিষেধ

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সময়মতো অফিসে উপস্থিতি ও নির্ধারিত সময় পর্যন্ত দপ্তরে অবস্থান বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এখন থেকে কেউ অফিস সময় শেষ হওয়ার আগে, অর্থাৎ বিকেল ৫টার আগে কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। অফিস চলাকালে দাপ্তরিক বা ব্যক্তিগত কোনো প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগ প্রধানের অনুমতি নিতে হবে এবং ‘অফিস ত্যাগ রেজিস্টারে’ তার উপযুক্ত এন্ট্রি করতে হবে।

এই নির্দেশনার ভিত্তি হলো ২০১৯ সালে জারি করা সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা। এই বিধিমালায় স্পষ্টভাবে বলা আছে বিনা অনুমতিতে অফিস ত্যাগ, কর্মে অনুপস্থিতি কিংবা বিলম্বে অফিসে উপস্থিত হওয়া এসব আচরণ শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে। একইসঙ্গে ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালাও প্রয়োগ করা হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজ নিজ দপ্তরে উপস্থিত থাকতে হবে। সময়মতো অফিসে না পৌঁছালে বা নিয়মিত দেরি করলে তাদের বেতন কেটে নেওয়া হবে অথবা নির্ধারিত ছুটি থেকে কর্তন করা হবে। এমনকি কেউ একাধিকবার এ ধরনের অনিয়ম করলে তার সাত দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কেটে নেওয়ার বিধানও রাখা হয়েছে।

সরকার মনে করছে, এই কড়াকড়ি মূলত প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিশ্চিতের একটি উদ্যোগ। অনেক দপ্তরে এখনো সময়জ্ঞান ও দায়িত্ববোধের অভাব রয়েছে, যা জনসেবা ও প্রশাসনিক দক্ষতাকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই দেরিতে আসা, অনুমতি ছাড়া বাইরে যাওয়া বা আগে চলে যাওয়ার সংস্কৃতি বন্ধ করতে এ পদক্ষেপ।

এখন থেকে কেউ যদি বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধে কেবল বেতন কর্তন নয়, বরং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে দপ্তরের জবাবদিহিতা ও সময়নিষ্ঠা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারি সেবার মানও উন্নত করা হবে বলে মনে করছে সরকার।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক