বিচার ও সংস্কার—বিএনপির অঙ্গীকার কি? শুনুন এ্যানির মুখে

আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে আওয়ামী লীগ শাসনামলে সংঘটিত দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও অনিয়মের বিচার এবং প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সংস্কার অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)-এর ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ্যানি বলেন, “বিচার ও সংস্কার একটি ধারাবাহিক ও অব্যাহত প্রক্রিয়া। বিএনপিই সর্বপ্রথম দেশব্যাপী সংস্কারের কথা বলেছিল। সেই ধারাবাহিকতায় তারেক রহমান ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের অংশগ্রহণমূলক সরকার গড়ার জন্য এসব সংস্কার বাস্তবায়ন জরুরি।”

আওয়ামী লীগ সম্পর্কে তীব্র সমালোচনা করে এ্যানি বলেন, “আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে ফ্যাসিবাদ কায়েম, দুর্নীতি আর লুটপাটের। উন্নয়নের কথা বলে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা মানে জনগণের টাকা লুণ্ঠনের বৈধ পন্থা তৈরি।”

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজনীতিতে মতভেদ থাকতেই পারে। তবে আমরা সমমনা দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে যুগপৎভাবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। লক্ষ্য ছিল একটাই—গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর ১৭ বছরের দীর্ঘ আন্দোলনের ফলাফলই হচ্ছে জুলাই আন্দোলন। এটিকে শুধু ছাত্র-জনতার আন্দোলন বললে অবমূল্যায়ন করা হবে। এটা ছিল একটা প্রকৃত ‘গণঅভ্যুত্থান’।”

ছাত্র রাজনীতির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এ্যানি বলেন, “এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল থেকে কারফিউ ভেঙেছিলাম। তখন পরিকল্পনা ছিল, যদি পুলিশ বা বিডিআর আক্রমণ করে, আমরা ছাত্ররা সবাই রুখে দাঁড়াব। সেদিন সব হলের গেটে তালা মেরে, ছাদে ছাদে মিছিল শুরু করি। জিয়া হলের দেয়াল পেরিয়ে কাঁটাবন মার্কেটের ছাদে গিয়েও আন্দোলন চালিয়েছিলাম। ছাত্র সমাজের সেই ঐক্যই এরশাদ পতনের প্রধান চালিকাশক্তি ছিল।”