চট্টগ্রামে সতর্কতা জোরদার, চালু হল আইসোলেশন ও টেস্ট সেন্টার

চট্টগ্রামে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। চলতি জুন মাসেই আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে শতাধিক। এমন পরিস্থিতিতে নাগরিক স্বাস্থ্যসুরক্ষার লক্ষ্যে জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

নগরীর আলকরণ এলাকার চসিক জেনারেল হাসপাতাল (মেমন হাসপাতাল-২)-এর তৃতীয় তলায় চালু করা হয়েছে একটি ১৫ শয্যার বিশেষ আইসোলেশন সেন্টার। একইসঙ্গে উদ্বোধন করা হয়েছে একটি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট সেন্টারও।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এই কেন্দ্র দুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও চিকিৎসক ডা. শাহাদাত হোসেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, "করোনার প্রকোপ আবারও দেখা যাচ্ছে। তাই আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে পুরুষ রোগীদের জন্য ১০টি এবং নারী রোগীদের জন্য ৫টি শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে আরও ৫টি শয্যা বাড়ানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।"

তিনি আরও জানান, আইসোলেশন সেন্টারে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সিলিন্ডার, চিকিৎসক, নার্স এবং সেবাকর্মী নিযুক্ত রয়েছে। উপসর্গ দেখা দিলেই র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো যাবে এখানেই। আর গুরুতর রোগীদের পাঠানো হবে ভেন্টিলেটর সুবিধাসম্পন্ন হাসপাতালে।

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন নাগরিকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "অনেক সময় এখন রোগীরা জ্বর বা কাশি ছাড়াই শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ জন্য করোনা শনাক্তের পরীক্ষা ও সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবাই মাস্ক পরুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আমরা অতীতেও সম্মিলিতভাবে করোনা মোকাবিলা করেছি, এবারও পারব ইনশাআল্লাহ।"

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, ডা. হোসনা আরা বেগম, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলা শাখার সেক্রেটারি ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালি ও ডা. এস এম সারোয়ার আলম।

এদিকে, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের সবাই নগরবাসী এবং তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, শেভরন এবং এভারকেয়ারসহ বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে।