আজ জানা যাবে পবিত্র আশুরার দিন

মুসলিম উম্মাহর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র দিন আশুরা কবে পালিত হবে, তা নির্ধারণ করতে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ আজ বাংলাদেশের আকাশে দেখা গেলে, আগামী ৬ জুলাই (রোববার) পালিত হবে পবিত্র আশুরা। সেদিন সরকারি ছুটি থাকবে এবং ব্যাংকসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, চাঁদ দেখা গেলে তার ভিত্তিতে হিজরি নতুন বছরের গণনা শুরু হবে এবং মহররমের ১০ তারিখ আশুরার দিন হিসেবেই নির্ধারিত হবে ছুটির তারিখ। আজ সন্ধ্যা ৭টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ বিষয়ে বৈঠকে বসবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

মুহাররম ও আশুরার তাৎপর্য

‘আশুরা’ শব্দটি এসেছে আরবি ‘আশারা’ (عشرة) শব্দ থেকে, যার অর্থ ‘দশ’। হিজরি বছরের প্রথম মাস মুহাররম। এই মাসের ১০ তারিখ-কে বলা হয় আশুরা যা ইসলামী ইতিহাসে গভীর তাৎপর্যপূর্ণ দিন।

এই দিনটি শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মের ইতিহাসেও গুরুত্ব বহন করে। হাদিস ও ইসলামি ইতিহাস অনুযায়ী, আশুরার দিন বহু ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। বিশেষ করে, হজরত মুসা (আ.)-এর সময় ফেরাউনের জুলুম থেকে বাঁচার জন্য নীল নদ পার হওয়ার ঘটনা এবং ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে বেদনাবিধুর কারবালার ট্র্যাজেডি, যেখানে মহানবী (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.) পরিবার-পরিজনসহ শাহাদাত বরণ করেন তা এই দিনকেই ইতিহাসের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড় করিয়েছে।

চাঁদ দেখা গেলে জানানোর আহ্বান

বাংলাদেশের আকাশে মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানানোর জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

চাঁদ দেখা গেলে তা জানাতে বলা হয়েছে নিম্নোক্ত নম্বরগুলোতে:

টেলিফোন: ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬, ০২-৪১০৫০৯১৭

ফ্যাক্স: ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭, ০২-৯৫৫৫৯৫১

এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)-কে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আজকের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় আচার ‘আশুরা’র তারিখ ও সরকারি ছুটি নির্ধারণ। তাই আজ সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তের দিকে নজর রাখছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। চাঁদ দেখা গেলে নতুন হিজরি বছরের সূচনা হবে, আর ১০ দিন পর পালিত হবে পবিত্র আশুরা একটি অতীত-ঐতিহ্য, ত্যাগ ও আত্মদানের অনন্য নিদর্শনের দিন।