“এই বিজয় ইরানিদের”—পেজেশকিয়ানের জাতির উদ্দেশে বার্তা

১২ দিনের টানা সংঘাতের পর ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর প্রেক্ষাপটে জাতির উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান। মঙ্গলবার রাতে দেওয়া ওই বার্তায় তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ইসরাইলি আগ্রাসনের মধ্যে ইরানিদের যে ঐক্য, সংহতি ও প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে—তা জাতিগত গৌরবের উদাহরণ এবং ভবিষ্যতের জন্য অমূল্য সম্পদ।”

জাতিকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, “সর্বসাধারণের উচিত নিজেদের এই ঐক্য ও বিজয়ের জন্য গর্ব করা। শত্রুরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জবাবে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি ও চাপে পড়েছে, তা ইরানের তুলনায় বহুগুণ বেশি। এই সাফল্য এসেছে জাতির সম্মিলিত মনোভাব, প্রতিরোধ এবং সাহসিকতার ফলস্বরূপ।”

তিনি আরও বলেন, “ইসরাইলি দখলদার বাহিনী আমাদের চূড়ান্ত জবাবের মুখে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য হয়েছে। এই ঐতিহাসিক ঘটনা ইরানি জাতির মনোবল ও আত্মপরিচয়কে আরও দৃঢ় করেছে।”

জাতীয় ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে পেজেশকিয়ান বলেন:“আমাদের মধ্যে যে সংহতি তৈরি হয়েছে, তা এখন কেবল যুদ্ধের ফল নয়—এটি আমাদের ভবিষ্যতের পথচলার শক্তি। এই ঐক্য আমাদের জাতীয় সম্পদ এবং এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।”

তিনি আরও বলেন, “বিজয় মানে শুধু সামরিক সাফল্য নয়, বরং মনোবলের জয়ও। ইরানিদের মধ্যে যে দৃঢ় মনোভাব, তা গোটা বিশ্বের সামনে আমাদের জাতিগত মহত্ত্বের পরিচয় দিয়েছে। এই জন্য প্রতিটি নাগরিকই গর্বিত হওয়ার যোগ্য।”

আঞ্চলিক শান্তি ও সহাবস্থান নিয়েও কথা বলেন তিনি।তার ভাষায়, “ইরান বরাবরই আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী। আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা মুসলিম বিশ্ব ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য নিবেদিত। যারা আমাদের বিভাজন করতে চেয়েছিল, তারা ব্যর্থ হয়েছে।”

উল্লেখ্য, এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন গোটা অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে ইরান যুদ্ধবিরতির পর নিজেদের প্রতিরোধ ও ঐক্যের জয় হিসেবে জাতিকে নতুন আত্মবিশ্বাসে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছে।