দুদকে নতুন ৪ পরিচালক, দুর্নীতি প্রতিরোধে কতটা প্রভাব ফেলবে?

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চারজন উপপরিচালককে পরিচালক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, যা সোমবার (২৩ জুন) প্রধান কার্যালয় থেকে জারি করা আদেশের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে। এই পদোন্নতি দুদকের অভ্যন্তরীণ কর্মজীবনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন মো. হেজাজ উদ্দিন শরীফ, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. ফজলুল হক ও মোহাম্মদ নূরুল হুদা। তাঁরা বর্তমানে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত আছেন এবং কমিশনের বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর গ্রেড-৫ অনুযায়ী এই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

পদোন্নতি লাভের ফলে তাঁরা দুদকের উচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারণ ও পরিচালনায় আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারবেন। পাশাপাশি, এই পদোন্নতি তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি করবে, যা কাজের মনোভাব ও কার্যকারিতা উন্নয়নে সহায়ক হবে।

দুদকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বলছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন পরিচালকরা কমিশনের কার্যক্রমে নতুন দিকনির্দেশনা ও শক্তি যোগ করবেন। এর ফলে দেশের উন্নয়ন ও শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় দুদকের ভূমিকা আরও দৃঢ় হবে।

অন্যদিকে, এই পদোন্নতি প্রক্রিয়া দুদকের অভ্যন্তরীণ নিয়ম ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। এতে কর্মীদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় দুর্নীতি দমন কার্যক্রমে প্রযুক্তি ব্যবহার, আইনি জটিলতা মোকাবেলা এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার করার মতো অগ্রাধিকার বিষয়গুলি রয়েছে।

সর্বোপরি, এই পদোন্নতি দুদকের মধ্যে একটি ইতিবাচক সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে নেয়া একটি পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হচ্ছে, যা দুর্নীতি প্রতিরোধে দেশের জনগণের আস্থাও বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।

-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক