সকালে-সন্ধ্যায় পড়ুন দুশ্চিন্তার হাত থেকে মুক্তির দোয়া

দুনিয়ার জীবনে নিরবচ্ছিন্ন সুখ ও শান্তি পাওয়াটা খুব কম মানুষের ভাগ্যে থাকে। জীবনে নানা সমস্যা, সংকট ও বিপদ-আপদ আসতেই পারে। এসব পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তা, হতাশা ও আশংকা অন্তরকে অস্থির করে তোলে। কিন্তু এমন সময়ে আল্লাহর স্মরণ, তাঁর ওপর ভরসা ও দোয়াই একজন মুমিনের সবচেয়ে বড় সম্বল।

হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) একটি বিশেষ দোয়া শিখিয়েছেন, যা প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় সাতবার পাঠ করলে দুনিয়া ও আখেরাতের সকল দুশ্চিন্তার মোকাবেলায় আল্লাহই যথেষ্ট হয়ে থাকেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এই দোয়া পাঠ করবে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট হবেন।

এই দোয়ার অর্থ হলো:

حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِالْعَظِيمِ

উচ্চারণ: “আল্লাহ আমার জন্য যথেষ্ট। তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, আমি তাঁর ওপর ভরসা করি এবং তিনি মহান আরশের রব।”

এই দোয়া আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস ও পরিপূর্ণ ভরসার নিদর্শন, যা প্রত্যেক আদর্শ মুমিনের বৈশিষ্ট্য। মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এবং মহান নবী হজরত ইবরাহিম (আ.) কঠিন বিপদের সময় এই দোয়াটি পাঠ করতেন। যেমন, ইবরাহিম (আ.) যখন আগুনে নিক্ষেপিত হন, তখন তিনি এই দোয়াটি উচ্চারণ করেছিলেন। নবী করিম (সা.)ও ওহুদ যুদ্ধে বিপর্যয়ের সময় এই দোয়ায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।

ইসলামে কখনোই আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া কিংবা আশা হারানো নিষিদ্ধ। ভালো ও খারাপ সময়েই আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা মুমিনের ধর্ম। আল্লাহ নিজে বলেছেন, “তোমরা আমার রহমত থেকে নিরাশ হয়ে যেও না; কারণ শুধুমাত্র কাফেররাই রহমত থেকে নিরাশ হয়।” (সুরা ইউসুফ: ৮৭)

অতএব, জীবনের সংকটে, দুশ্চিন্তায় ও ভয়ভীতিতে আল্লাহর স্মরণ ও দোয়া মানুষের শক্তির উৎস। এগুলো মুমিনের অন্তরকে শান্তি দেয় এবং আশাবাদী করে তোলে।