মির্জা ফখরুলের দৃঢ় বিশ্বাস: অন্তর্বর্তী সরকার সফল পথে

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যেই অনেক ভালো কাজ সম্পন্ন করেছে এবং তা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি নতুন দিশা দেখাচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন, সবাই মিলিত হয়ে এই সরকারের পাশে দাঁড়াবেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের সংগ্রাম মূলত জনগণের সংগ্রাম। প্রথম পর্যায়ে আমরা সফল হয়েছি। জনগণের কাছে আমরা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছি এবং সেটি বাস্তবায়নের জন্য নিরলস কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনগণের আশা পূরণ সম্ভব নয়। এজন্য আমরা ৩১ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছি, যা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে প্রণীত।”

গত দশ মাসের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “অনেক সময় সন্দেহের সাথেই দেখেছি ঘটনাগুলো কোথায় পৌঁছাবে। কিন্তু যখন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের মধ্যে সংলাপ হয়, তখন আমরা আশ্বস্ত ও অনুপ্রাণিত হই। আশা রাখছি আগামী ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা আমাদের সকল প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাবে।”

তিনি আরো বলেন, “সংস্কারের কাজ ইতোমধ্যে এগিয়ে চলছে। কিছু বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি, কিছু বিষয়ে এখনো মতানৈক্য রয়েছে। একমত হওয়া বিষয়গুলো আমরা দ্রুত বাস্তবায়ন করব। আর বাকি বিষয়গুলো নিয়ে নির্বাচনের পর আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করব।”

রোববার (২২ জুন) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই তরুণ প্রজন্মের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। যারা বিগত আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, আমরা বিশ্বাস করি, তারা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, মিজানুর রহমান, ডেএসডির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ উদ্দিন স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।

—আশিক নিউজ ডেস্ক