ফিফটির দোরগোড়ায় থেমে গেল মুশফিক, গলে শেষ দিনে নাটকীয়তা ও বৃষ্টি

গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের শেষ দিনে যেন রচিত হলো এক শোকাতুর মুহূর্ত—বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম তার ২৮তম টেস্ট ফিফটির ঠিক এক রান আগে রানআউট হয়ে ফিরলেন, আর তারপরই নামল বৃষ্টি।

চতুর্থ দিনের শেষে ১৭৭ রানে তিন উইকেটে শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের প্রথম ঘন্টায় নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুশফিক গড়ে তোলেন দৃঢ়তা ও ধৈর্যের প্রতীক এক জুটি। দুজনের ব্যাটে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের লিড পেরিয়ে যায় ২০০ রান। শান্ত যেখানে ছিলেন নিজস্ব ছন্দে ৮৯ রানে অপরাজিত, মুশফিক ধীরে ধীরে এগোচ্ছিলেন তাঁর অভিজ্ঞতা আর সংযম দিয়ে।

তবে ১০২ বলের এক দৃঢ় ইনিংসে ৪৯ রান করা মুশফিক যখন ফিফটির খুব কাছে, তখনই বিপর্যয়। প্রবাথ জয়াসুরিয়ার বলে মিড-অনে একটি দ্রুত রান নিতে গিয়ে থারিন্দু রত্নায়েকের সরাসরি থ্রোয়ে ক্রিজে পৌঁছাতে পারেননি তিনি। তৎক্ষণাৎ থার্ড আম্পায়ারের সাহায্যে নিশ্চিত হয়—আঙুল উঠছে ওপরে, আর মাঠ ছেড়ে ফেরার ক্লান্ত পথে হাঁটছেন মুশফিক।

এই রানআউট কেবল এক ব্যাটারের ব্যক্তিগত স্কোর থামায়নি, ভেঙে দেয় ১০৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ চতুর্থ উইকেট জুটি, যা বাংলাদেশকে শক্ত ভিত্তি দিচ্ছিল। এবং সেই মুহূর্তেই যেন প্রকৃতিও আবেগময় হয়ে ওঠে—নেমে আসে বৃষ্টি। আম্পায়াররা দ্রুত মাঠ ছাড়েন, গ্রাউন্ড স্টাফরা ছুটে আসেন কভার নিয়ে।

বাংলাদেশ ৭৬ ওভারে ২৩৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করে, লিড দাঁড়ায় ২৪৭ রান। যদিও ফল নির্ধারিত না হলেও, মুশফিক-শান্ত জুটি দিনের প্রেক্ষাপটে ছিল অমূল্য।

এই ইনিংস আবারও প্রমাণ করল—বয়স বাড়লেও, বড় ম্যাচে দলের জন্য থিতু হওয়ার লড়াইয়ে মুশফিকুর রহিম এখনো প্রাসঙ্গিক। আর শান্ত তাঁর ধারাবাহিকতা ও নেতৃত্বের দায়িত্ব নিয়ে যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যতের আস্থার নাম হয়ে উঠছেন।

এবার দেখার বিষয়, বৃষ্টি আর আলো যদি সুযোগ দেয়, তবে শেষ সময়ে শান্ত ও বাংলাদেশের বোলাররা কতটা চাপ সৃষ্টি করতে পারেন লঙ্কানদের ওপর।

মুশফিকুর রহিম রানআউট, গলে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা, চতুর্থ উইকেটে ১০৯ রানের জুটি, শান্তর অপরাজিত ইনিংস, টেস্ট ক্রিকেট বাংলাদেশ, ফিফটির এক রানের আফসোস, গলে বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলা, শ্রীলঙ্কা সিরিজ ২০২৫