“আমাকে ছেড়ে গেলেন কেন?”—নিখোঁজ গৃহকর্মীর করুণ কাহিনি

১১ মাসের ‘কাজ’ শেষে রহস্যজনক নিখোঁজ, এরপর মামলা—এবার তদন্তে জোর দিয়েছে পুলিশ

রাজধানীর বনশ্রীতে গৃহকর্মী মরজিনা আক্তারকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আটক হওয়া দম্পতি মাহবুবুল হক চৌধুরী ওরফে বাবর আলী (৫৯) ও তার স্ত্রী জামিলা চৌধুরীর (৪৫) চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড শুনানিতে জানান, হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ, পরিকল্পনা ও সংশ্লিষ্ট আরও ব্যক্তিদের শনাক্তে এই দম্পতির রিমান্ড প্রয়োজন।

সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম শুনানি শেষে দু’জনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার মাইন উদ্দিন রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ জেলার একটি আত্মীয়ের বাড়ি থেকে এই দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১১ মাস আগে প্রতিমাসে মাত্র তিন হাজার টাকা বেতনে মরজিনা আক্তার বনশ্রীর ওই বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। কাজ শুরুর কিছুদিন পর থেকেই তার উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠে।

নির্যাতনের বিষয়ে মাঝে মাঝে মোবাইল ফোনে দাদিকে জানাতেন তিনি। পরে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

মরজিনার চাচা আব্দুর রহমান জানান, গত ২০ মার্চ তিনি ওই বাসায় গিয়েও মরজিনাকে পাননি। পরে ১২ এপ্রিল অপহরণের অভিযোগে থানায় মামলা করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, মরজিনাকে গুম কিংবা হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে চায় তারা। এ ঘটনায় যারা সম্পৃক্ত, তদন্তে তাদের নামও আসতে পারে।