আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছেন ইসরায়েলিরা

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে ইরানের সরাসরি সামরিক পদক্ষেপে। শুক্রবার (২০ জুন) ইরানের সামরিক বাহিনী ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। হামলার পরপরই জেরুজালেম ও তেল আবিবজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে সক্রিয় করা হয়েছে। আকাশে উড়ে আসা প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের জবাব দিতে আয়রন ডোমসহ বিভিন্ন প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। এদিকে, জনগণের নিরাপত্তার জন্য ইসরায়েলজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের দ্রুত সুরক্ষিত স্থানে আশ্রয় নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থানের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ইরানি সংবাদমাধ্যমেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা বলছে, এটি ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাবে নেওয়া পদক্ষেপ এবং হামলা লক্ষ্যভিত্তিক সামরিক স্থাপনার ওপর চালানো হয়েছে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বাজিয়ে জনগণকে সতর্ক করা হয়, যা বিভিন্ন শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।

এই হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সংঘাত কেবল ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে গোটা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

বর্তমানে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো ইসরায়েল এই হামলার জবাবে কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে। পরিস্থিতি একটি পূর্ণমাত্রার সামরিক সংঘর্ষে রূপ নেবে নাকি আন্তর্জাতিক কূটনীতির মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের পথ খুঁজে বের করা হবে, সেটিই এখন বিশ্বের কূটনৈতিক মহলে আলোচনা ও দুশ্চিন্তার কেন্দ্রবিন্দুতে।

ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক