ভিজিএফ চাল বিতরণে ঘুষ, মিঠামইনে ধরা পড়লেন দুই কর্মকর্তা

কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নে ভিজিএফ (ভাজার জন্য গঠিত ফুড) চাল বিতরণে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ ওসমান হোসেন এবং ইউপি সচিব মোঃ আলমগীর হোসেনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইটনা সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল কাফির নেতৃত্বে পুলিশের সমন্বয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিজিএফ চাল বিতরণের সময় মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে প্রতিজন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে এক হাজার টাকা অনৈতিকভাবে আদায় করার অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগ অনুযায়ী, তারা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল বিতরণের সময় অর্থ আদায়ের মাধ্যমে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছিলেন।

মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর কবির জানান, যৌথবাহিনী তাদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তিনি বলেন, এখনো লিখিত অভিযোগ পুলিশ অফিসে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে মিঠামইন থানার ওসি জানিয়েছেন। এছাড়া আটককৃতদের বিরুদ্ধে ভিজিএফ চাল বিতরণের অনিয়ম ও দুর্নীতি বিষয়ক তদন্ত শুরু হয়েছে।

ভিজিএফ কর্মসূচি দেশের অভুক্ত ও গরীব জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য পরিচালিত একটি সরকারি উদ্যোগ। এ ধরনের অনিয়ম এবং দুর্নীতি কর্মসূচির সুষ্ঠু বাস্তবায়নে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। চালের অনৈতিক বণ্টন গরীব ও অসহায় মানুষের হাতে পৌঁছানো থেকে বিরত রাখে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে।

মিঠামইন উপজেলার ভিজিএফ চাল বিতরণে প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে তাদের আটক এবং যৌথবাহিনীর অভিযান গুরুত্ব বহন করছে। এটি সরকারের দুর্নীতি দমন ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার প্রচেষ্টার অংশ। চলতি বছর নানা স্থানে ভিজিএফ বিতরণে অনিয়মের খবর আসার পর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। এই ধরনের অভিযান সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

-শরিফুল, নিজস্ব প্রতিবেদক