গণঅভ্যুত্থান দিবসকে ঘিরে বিএনপির প্রস্তুতি, নেতৃত্বে রিজভী-মোর্শেদ

চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি। এ উপলক্ষে ‘শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন’ শীর্ষক একটি ৫৮ সদস্যের উদযাপন কমিটি গঠন করেছে দলটি।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

গণআন্দোলনের স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচিবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান,

“জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান গণতন্ত্রকামী জনগণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই উপলক্ষে আমরা ‘শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি’ হিসেবে কর্মসূচি পালন করব।”

তিনি জানান, ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই কর্মসূচির আওতায় গণআন্দোলনের শহীদদের স্মরণ, আলোচনা সভা, চিত্র প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং গণজমায়েতের মতো কার্যক্রম থাকবে।

উদযাপন কমিটির নেতৃত্বগঠিত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে রুহুল কবির রিজভীকে এবং সদস্য সচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান। এছাড়া দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে কয়েকটি উপকমিটিও গঠন করা হবে।

কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন—খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন-নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, রকিবুল ইসলাম বকুল, শামা ওবায়েদ, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, আফরোজা আব্বাস, মাওলানা কাজী সেলিম রেজা, মাওলানা আবুল হোসেন, কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন প্রমুখ।

কমিটিতে রয়েছেন সাংবাদিক ও পেশাজীবীরাও, যেমন: আমিরুল ইসলাম কাগজী, সাঈদ আব্দুল্লাহ, এহসান মাহমুদ ও সাঈদ খান।

গণতন্ত্রকামীদের আত্মত্যাগ স্মরণরিজভী আহমেদ বলেন,

“শেখ হাসিনার দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনামলে গণতন্ত্রকামী যারা আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের স্মরণে আমরা এই আয়োজন করছি। এই কর্মসূচি বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রস্তুতির অংশ।”

বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান ছিল সরকারবিরোধী বৃহত্তম গণপ্রতিরোধের রূপরেখা, যা দেশব্যাপী সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে জনগণের জবাব ছিল।

—আশিক নিউজ ডেস্ক