আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আলোচিত মামলা

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলায় একজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বিচারিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

কে হচ্ছেন অ্যামিকাস কিউরি?এ মামলায় অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামান। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী বুধবার (২৫ জুন) এ মামলায় তার মতামত শুনবে ট্রাইব্যুনাল।

অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে তিনি আদালতকে এই মামলার আইনগত দিক, যুক্তি ও বিচারিক ব্যাখ্যা দিতে সহায়তা করবেন। আদালত অবমাননার মতো স্পর্শকাতর মামলায় আইনি নিরপেক্ষতা ও ন্যায্যতা রক্ষায় অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মামলার পটভূমিআদালত অবমাননার অভিযোগটি এসেছে একটি টেলিফোন কথোপকথনের অডিও ক্লিপকে কেন্দ্র করে, যেখানে দাবি করা হয়েছে—এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে কথোপকথনে শেখ হাসিনা বলেছেন,“২২৭ মামলায় ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি।”

এই অডিওর সূত্র ধরে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখা আদালত অবমাননার অভিযোগ উত্থাপন করে। মামলায় শেখ হাসিনাসহ দুইজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

হাজিরা ও ব্যাখ্যার অনুপস্থিতিপ্রসিকিউশন জানায়, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও শেখ হাসিনা আদালতে হাজির হননি, এবং আইনজীবীর মাধ্যমেও কোনো ব্যাখ্যা দেননি। এ অবস্থায় আদালত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ধারা অনুযায়ী, আদালত অবমাননার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

বিচারিক পরবর্তী ধাপট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, অ্যামিকাস কিউরির মতামত শোনার পরই মামলার পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করা হবে। আদালতের নজরে আছে—এই মামলার সংবেদনশীলতা ও প্রভাব। সেজন্য আইন ও প্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের একটি সূত্র।

—আশিক নিউজ ডেস্ক