ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেঁপে উঠল ইসরায়েল

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইসরায়েলের কেন্দ্র থেকে উত্তরের বিভিন্ন শহরে একযোগে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরান থেকে ছোড়া নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে বুধবার ইসরায়েলের বিভিন্ন অংশেবিস্ফোরণ সংকেত সক্রিয় হয় এবং জনগণকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, কমপক্ষে চারটি ক্ষেপণাস্ত্রের সরাসরি আঘাতের ঘটনা ঘটেছে। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

জেরুজালেম ও তেলআবিবসহ বেশ কয়েকটি শহরে একযোগে সক্রিয় হয় বিমান হামলা সতর্কতা সাইরেন। বিভিন্ন ভিডিও ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একাধিক বিস্ফোরণ শহরবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি করে।

যদিও তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির কোনো নিশ্চিত তথ্য মেলেনি, তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, ঘটনাটি ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার একটি নতুন ও বিপজ্জনক ধাপ নির্দেশ করে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা ইরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে পরোক্ষ সংঘাত সরাসরি রূপ নিতে পারে এমন আশঙ্কা বাড়ছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দিলেও, দেশটির বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি ও স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাও ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এর আগে একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন সম্ভাব্য ইরানবিরোধী সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইরানের এই পাল্টা হামলা যুক্তরাষ্ট্রকেও সরাসরি সংঘাতে টেনে নেওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছে।

যদিও এখনো বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর নিশ্চিত নয়, তবে এই সিরিজ হামলা ও পাল্টা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা আবারও ঘনীভূত হয়েছে। কূটনৈতিক আলোচনার পথ ক্রমেই সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে, এবং সামরিক সমাধান যে দিন দিন বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে, তা এ হামলাই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

সূত্র: আল জাজিরা