স্বর্ণ কেনার আবার সুযোগ? দুবাইয়ে ৩০০ দিরহামের নিচে নামতে পারে দাম

আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক সিটি (Citi) এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে শুরু করে ২০২৬ সালের মধ্যে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমতে পারে। তাদের মতে, বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধার বিশেষ করে মার্কিন অর্থনীতির গতিশীলতা স্বর্ণের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমিয়ে দিতে পারে। এতে করে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দর প্রতি আউন্সে ২৮০০ থেকে ৩০০০ মার্কিন ডলারের মধ্যে নেমে আসতে পারে।স্বর্ণ কেনার আবার সুযোগ? দুবাইয়ে ৩০০ দিরহামের নিচে নামতে পারে দামএই সম্ভাব্য দরপতনের প্রভাব সরাসরি পড়তে পারে দুবাইয়ের স্বর্ণ বাজারে। সিটির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বর্তমানের তুলনায় দাম অনেকটাই কমে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম আবারও ৩০০ দিরহামের নিচে নেমে যেতে পারে। যা সর্বশেষ হয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরের আগে।

বর্তমান দাম ও অতীত তুলনাবর্তমানে দুবাইয়ে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি গ্রাম ৩৭৮.৫ দিরহাম, যেখানে ২৪ ক্যারেটের মূল্য ৪০৮.৭৫ দিরহাম। গত বছরের অক্টোবরে প্রথমবারের মতো ৩০০ দিরহাম ছাড়িয়ে যায় ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দর, এরপর তা বেড়ে সর্বোচ্চ ৩৮৩ দিরহামে পৌঁছায়।

পূর্বাভাস নিয়ে মতবিরোধতবে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এই পূর্বাভাসের সঙ্গে একমত নন। কানজ জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিল ধানক মনে করেন, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি এবং আর্থিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে স্বর্ণের মূল্য আরও বেড়ে ৩৮০০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে।

ডিজিটাল স্বর্ণের দিকে ক্রেতাদের ঝোঁকবিশ্লেষকদের মতে, স্বর্ণের উচ্চমূল্য সরাসরি স্বর্ণ কেনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। ফলে অনেকেই এখন ডিজিটাল স্বর্ণে, যেমন: গোল্ড অ্যাকাউন্ট, ইটিএফ, এবং বিনিয়োগ অ্যাপ-এর মাধ্যমে স্বর্ণে বিনিয়োগ করছেন। এটি খুচরা বাজারে বিক্রির চাপ কিছুটা কমিয়ে দিলেও, দরপতন হলে আবার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্রয়চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

এক বিক্রেতা বলেন, “যদি দাম ৩০০ দিরহামের নিচে নামে, সাধারণ ক্রেতাদের জন্য আবারও স্বর্ণ বিনিয়োগের নতুন সুযোগ তৈরি হবে।”

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যৎতবে বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যদি তাদের স্বর্ণ ক্রয় হ্রাস করে, তখনই প্রকৃত দরপতন দেখা যেতে পারে। এর আগ পর্যন্ত এই সব পূর্বাভাস কেবল সম্ভাবনামাত্র। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম যেভাবে রাজনৈতিক ও আর্থিক পরিবর্তনের ওপর নির্ভরশীল, তাতে করে দৃশ্যপট যে কোনো সময় বদলে যেতে পারে।

—আশিক নিউজ ডেস্ক