ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ১০ ক্ষেপণাস্ত্র!

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে নতুন করে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা ও সামরিক সূত্র উদ্ধৃত করে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে সর্বোচ্চ ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

ঘটনার পরপরই জর্ডানের রাজধানী আম্মানে প্রথম সাইরেন বাজে। সংবাদ সম্প্রচারের সময় আবারও নতুন করে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে, যা স্পষ্ট করে যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো জর্ডানের আকাশসীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। এরপর সেগুলোকে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং তেলআবিবের আকাশে দেখা গেছে বলে বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শী ও নিরাপত্তা সংস্থা জানায়।

ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো ক্ষেপণাস্ত্রের মাটিতে আঘাত হানার খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলের ম্যাগেন ডেভিড আদোম (জাতীয় জরুরি চিকিৎসা সেবা) বা অন্যান্য সামরিক-চিকিৎসা ইউনিটগুলো কোনো হতাহত বা ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার তথ্য দেয়নি।

ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের কোনো চিত্র বা ভিডিও ফুটেজ এখনও ইসরায়েলি বা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। ফলে এই আক্রমণ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিহত হয়েছে, নাকি আকাশেই নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

সাইরেন বাজানো হয়েছে শুধুমাত্র তেলআবিব শহরেই নয়, বরং শহরের বাইরের মধ্যাঞ্চল ও উপশহরগুলোতেও। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়, যা থেকে অনুমান করা যায় যে ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু বা পথ ছিল ব্যাপক বিস্তৃত। ইসরায়েলের আয়রন ডোম এবং অন্যান্য বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঘটনার পরপরই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে উদ্বেগ জানানো শুরু হয়েছে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার এই নতুন অধ্যায় হয়তো আরও বড় সংঘাতে রূপ নিতে পারে যদি উভয় পক্ষ সংযম না দেখায়।

যদিও এই মুহূর্তে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের কোনো প্রমাণ মেলেনি এবং কোনো হতাহতের খবরও নেই, তবে এই ধরণের ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলছে। ইসরায়েল তার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ।

সূত্র: আল জাজিরা